Monday, July 23, 2012

নুহাশপল্লীর সেই লিচু আর জলপাই গাছের ছায়ায় সমাধি: হুমায়ূন আহমেদের আপন ভুবন

জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের আপন ভুবন নুহাশপল্লীর সেই লিচু আর জলপাই গাছের ছায়ায় তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করার জন্য সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে সমাধি খননের কাজ।  

তিন দিকে ইটের তৈরি পাঁচ ফিট উঁচু সীমানা প্রাচীর। এর বাইরে প্রাচীর ঘেষে ভাওয়াল গভীর গজরী বন। ভেতরে অল্প একটু জায়গা জুড়ে লিচু, তেঁতুল আর জলপাই গাছের মিশেল একটি বাগান। মাঝখানে ফাঁকা এক টুকরো জায়গা। ওইখানে লিচু গাছের ছায়া এসে স্থির থাকে কখনও কখনও। দক্ষিণের জায়গাটায় শেফালি, কামিনী, বকুল, শিউলিসহ নানা ফুলের গাছ। 

নুহাশপল্লীর ভেতরকার ছোট্র এ জায়গাটা খুব প্রিয় ছিল নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের। পূর্ব দিকে সবুজে সবুজময় বিস্তৃত খোলা মাঠ। নুহাশে গেলেই তিনি ওই লিচু গাছের ছায়ায় বসে একান্তে কিছু সময় কাটাতেন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবতেন বলে জানালেন হুমায়ূন আহমেদর অত্যন্ত বিশ্বস্ত মানুষ মোশারফ হোসেন।

নুহাশের প্রধান ফটক পার হলেই হাতের ডান দিকে পূর্ব প্রান্তে ‘ হোয়াইট হাউজ’। দৃষ্টি নন্দন এই ভবনেই বসে লিখতেন আর রাত যাপন করতেন হুমায়ূন আহমেদ। হোয়াইট হাউজ থেকে ৮০/৯০  গজ পশ্চিমে মায়ের জন্য তৈরি করা মোজাইক করা নির্ধারিত একটা নামাজের স্থান। এর পরই সেই লিচু আর তেঁতুল বাগান। হুমায়ূন আহমেদ তার হাতে গড়া ভুবন নুহাশপল্লীর ওই অতিপ্রিয় স্থান লিচু গাছের ছায়ায়ই নুহাশের সবুজ ঘাসের গালিচার ওপর এরইমধ্যে নুহাশের কর্মকতা কর্মচারী ও এলাকাবাসী কবর খননের কাজ শুরু করেছেন। ২ ঘণ্টার মধ্যে কবর খননের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তারা । মাঠের মাঝখানে ছোট একটি মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। 

No comments:

Post a Comment