Friday, July 13, 2012

ইউরোপ এবং আফ্রিকায় বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সম্ভাবনাময় বাজার



নিউইয়র্ক: প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে মেরিটিমাস নামে একটি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি খুব শিগগির বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ শিল্পে ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে আরো কয়েকটি প্রকল্প মিলে কোম্পানির বিনিয়োগ ৪শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

মেরিটিমাস কোম্পানির চেয়ারম্যান এএম রফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, “সার্বিক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি হবে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। এর মালিকানা সম্পূর্ণভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে।”তুরস্কসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে তাদের সফল আলোচনা হয়েছে। ইউরোপ এবং আফ্রিকায় বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে বলে উভয়পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “মেরিটিমাসের বিনিয়োগ জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। একই সঙ্গে এ উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর অংশে কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করা হবে।”মেরিটিমাস নারীসহ দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে বলে তাদের আশা।
 বাংলাদেশে এর মধ্যেই দু’টি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ঢাকার আনন্দ এবং চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন নামে সম্পূর্ণ রফতানিমুখী দু’টি কোম্পানি এরইমধ্যে কয়েকটি জাহাজ রফতানি করেছে।  
 বিশ্বব্যাপী জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এখন মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি ডলার। সেখানে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে এ বাজারে ৪শ’ কোটি ডলার ব্যবসা করতে পারবে। উদ্যোগের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, মেরিটিমাস এর মুখ্য পাঁচটি প্রকল্পের কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবে বলে তারা আশা করছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে- মেরিন একাডেমি এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ অন্যতম।  সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের রফতানিমুখী শিপইয়ার্ড, দেশীয় শিপইয়ার্ড এবং নিজেদের ও আন্তর্জাতিক জাহাজের জন্য একটি উন্নতমানের মেরামত কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্য আছে তাদের।
মেরিটিমাস জাহাজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে দেড়শ’ বিঘা জমি কেনা হয়েছে বলে জানান কোম্পানির চেয়ারম্যান এএম রফিকুল ইসলাম। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভারতের১শ’ কোটি ডলার ঋণের অর্থ বাংলাদেশ পদ্মা সেতু প্রকল্পে খরচ করতে পারবে


ভারতের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন প্রতিশ্রুত ১শ’ কোটি ডলার ঋণের অর্থ বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে খরচ করতে পারবে। দেশটির । একটি বার্তা সংস্থাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাংক যেহেতু পদ্মাসেতুতে তার অর্থায়ন প্রত্যাহার করেছে সেহেতু ভারতের প্রতিশ্রুত ঋণের অর্থ বাংলাদেশ সরকার পদ্মাসেতু প্রকল্পে ব্যবহার করলে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।তিনি বলেন, ঋণের ব্যাপারে ভারতের শর্তই ছিলো বাংলাদেশ তার প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে পারবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পদ্মাসেতু প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে।  নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, পদ্মাসেতু একটি বৃহৎ প্রকল্প এবং এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে। তবে ভারতীয় ঋণের অর্থে প্রকল্পের কাজ শুরু করা অবশ্যই সম্ভব।

জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই তাকে ফোন করে সাহস জোগাচ্ছেন

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই তাকে ফোন করে সাহস জোগাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী।
দশম শ্রেণীর এক ছাত্র, নওগাঁর মাণ্ডার এক কলেজ ছাত্র এবং ঝিনাইদহের এক দিনমজুর টেলিফোনে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ দিতে চেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমি যে উন্মেষ দেখেছি, তাদের মর্যাদাবোধ আমাকে আশান্বিত করে, আমরা এগিয়ে যাব।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা নতুন আঙ্গিকে পদ্মা সেতু করতে চাই। সোজা কথায় দোতলা ব্রিজ। ওপরে গাড়ি চলবে, আর নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে।  
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ফোন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের মধ্যে অনেক প্রবাসী এ প্রকল্পে অর্থায়নেরও আগ্রহ দেখিয়েছেন। সেতু নির্মাণের জন্য বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহেরও পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও যখনই সময় পাচ্ছেন, তখনই ফোন ধরছেন।” 
প্রধানমন্ত্রী গত ৪ জুলাই সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করে দেন। তার পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে কেউ অবৈধ সুযোগ নিতে চাইলে তা সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
এরপর স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে ফোন করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছেন বলে জানান শাকিল।তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যয়ী এবং উদ্দীপ্ত। তিনি মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আবারো দেশের মানুষ পদ্মা সেতুকে জাতীয় মর্যাদার বিষয় হিসাবে বিবেচনা করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।”  প্রধানমন্ত্রী গত ৪ জুলাই জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন। ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেন।প্রবাসীরা ফোনে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তারা যে পরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে দেশে পাঠায়, তার পরিমাণও তারা সাধ্যমতো বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জানান, জাহাঙ্গীরনগর ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে চেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কিছু ছাত্র তাদের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে উপাচার্যের কাছে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন।জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের একদিনের বেতন এই সেতুর জন্য দেওয়ার কথা বলেছেন। গোপালগঞ্জের করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা দুই লাখ টাকা দেবেন বলেছেন।এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন, বেসরকারি ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানি ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমিতির বার্ষিক নৈশভোজে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা সরকারি কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে আমরা জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যেতে প্রস্তুত। আমাদের সন্তানরাও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ,  প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সামান্য একটা পদ্মা সেতু করতে পারব না?” 
প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নম্বর +৮৮ ০১৭১১৫২০০০০ এবং +৮৮ ০১৮১৯২৬০৩৭১ । ,sheikhhasina@hotmail.com। 

র‍্যাব মিডিয়া পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল শুক্রবার সন্ধ্যায়   অন্যদৃষ্টি কে বললেন, এই প্রতিবেদন জনকন্ঠে প্রকাশিত সর্বশেষ গাঁজাখুরি সংবাদ

তদন্তে নতুন মোড়
সাগর রুনী হত্যাকান্ড
রবিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের সুড়ঙ্গপথে তৈরি গোপন পাইপলাইন সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কি হত্যার কারণ? ্রস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মাহফুজসহ যেই জড়িত হোক না সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে

শংকর কুমার দে ॥ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকা-ের জন্য ‘হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের গোপন সুড়ঙ্গ পথে বিকল্প পাইপ লাইন স্থাপনের ভিডিও ফুটেজসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ তৈরি করাই কি কারণ? র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী প্রতিনিধি দল হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের গোপন সুড়ঙ্গ পথ পরিদর্শন করেছেন। এরপরই এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সার্ভারে থাকা বিবিয়ানার বিভিন্ন অনিয়ম এবং রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্তের ভিডিও ফুটেজগুলো অতিসম্প্রতি চুরি হয়ে গেছে বলে দাবি করে তেজগাঁও থানায় পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে। এ দুটি জিডির ব্যাপারেও তদন্ত করা হচ্ছে। এ খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনী তাঁর স্বামী মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার খুন হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে গিয়েছিলেন হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শনে। বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শনকালে মেহেরুন রুনীকে হেলমেট পরিহিত অবস্থাতে দেখা গেছে। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় সেখান থেকে একটি প্রতিবেদন প্রচার করতে দেখা গেছে মেহেরুন রুনীকে। হঠাৎ করেই প্রতিবেদনটি প্রচারের মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের প্রতিবেদনটি তৈরিকে কেন্দ্র করে রুনীকে শাসানো হয়।
মেহেরুন রুনী হবিগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন। ভিডিও ফুটেজসহ কয়েকটি প্রতিবেদন পাঠানো হলেও আর প্রচার করেনি বেসরকারী টিভি চ্যানেলটি। এখানেই লুকিয়ে আছে অন্তর্নিহিত রহস্য। ঢাকায় ফেরার পর চ্যানেলটির মালিক বিবিয়ানা বিষয়ে রিপোর্ট করায় রুনীকে গালমন্দ করেন। এই ঘটনায় রুনীর তখন ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। এরপর রুনীর কাছ থেকে বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড সম্পর্কিত সকল তথ্য-উপাত্ত এবং ভিডিও ফুটেজ হাতিয়ে নেয়া হয়। চ্যানেলে প্রচারের জন্য রুনী কয়েকটি প্রতিবেদন দাখিল করলেও মূল ডকুমেন্ট রেখে দেন নিজ ল্যাপটপে। খুনের পর লুট হয়ে গেছে রুনীর সেই ডকুমেন্টসহ ল্যাপটপটিও। ডকুমেন্টসহ ল্যাপটপ লুট হওয়ার সঙ্গে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সার্ভারে থাকা বিবিয়ানার বিভিন্ন অনিয়ম এবং রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্তের ভিডিও ফুটেজগুলো অতিসম্প্রতি চুরি হওয়ার ঘটনার সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে কি না, সেটাই এখন তদন্তকারীদের কাছে প্রশ্ন।
প্রশ্ন উঠেছে, হবিগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের গোপন সুড়ঙ্গ পথে বিকল্প পাইপ লাইন স্থাপনের ভিডিও ফুটেজসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিকে কেন্দ্র করে স্বামীসহ রুনী বিশেষ মহলের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন কিনা? র‌্যাবের তদন্তে এ ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। সাংবাদিক দম্পতির হত্যারহস্য উদ্ঘাটনের ব্যাপারে অন্যান্য কারণের সঙ্গে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহের তীর এখন বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের দিকেই।
তদন্তকারীরা যে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন তা হচ্ছে, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সমর্থক কি না? তাঁর ছোট ভাই ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা? এই টিভি চ্যানেলটির তিন সিনিয়র সাংবাদিক বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুবিধাভোগী কিনা? টিভি চ্যানেলটির মালিককে র‌্যাব কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে যাওয়ার পর তাদের টিভি চ্যানেলের সুরক্ষিত অফিস থেকে ভিডিও ফুটেজ চুরি হয়ে যায় কিভাবে? তদন্তে এসব প্রশ্ন সামনে চলে আসছে।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের একটি গোপন সুড়ঙ্গ পথ থেকে পেট্রোবাংলা কিংবা সরকারী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ঠিকাদাররা বিকল্প একটি পাইপলাইন স্থাপন করছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে কোথায় কিভাবে গ্যাস নেয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ধরনের রহস্যময় বিকল্প পাইপ লাইন রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, এখন তাও খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিবিয়ানাকে কেন্দ্র করে দুটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করেছিল রুনী। এর জের হিসেবেই স্বামীসহ রুনী প্রভাবশালী মহলের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন কি না, এখন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, সাগর-রুনী হত্যাকা-ের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন তদন্তকারীদের হাতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, শুধু মাহফুজ নয়, ঘটনার সঙ্গে যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম তদারক করছে। সব কিছু মিলিয়ে সাগর-রুনীর হত্যারহস্যের সন্দেহের তীর এখন বিবিয়ানার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দিকেই।
এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সার্ভারে থাকা বিবিয়ানার বিভিন্ন অনিয়ম এবং রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্তের ভিডিও ফুটেজগুলো অতিসম্প্রতি চুরি গেছে বলে দাবি করে চ্যানেল কর্মকর্তারা তেজগাঁও থানায় পৃথক দুটি জিডি করেছেন। এ দুটি জিডির পরই র‌্যাব তদন্তকারীদের আরও ভাবিয়ে তুলেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে হঠাৎ কেন সুরক্ষিত টিভি চ্যানেলের অফিস থেকে ভিডিও ফুটেজ চুরি হয়ে যাবে?
র‌্যাবের তদন্তে খুবই গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিয়ে খোঁজা হচ্ছে আরেকটি প্রশ্নের। এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি ‘পরকীয়ার বলি’। পরকীয়ার বলি হলে পরকীয়া প্রেমিক কে? এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান এও বলেছেন, সাগর সরোয়ার চাকরি নিয়ে জার্মানিতে চলে যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী মেহেরুন রুনীর সঙ্গে এক বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ হতো। সাংবাদিক দম্পতির পরকীয়া প্রেমিক খুঁজে বের করার জন্য এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সাংবাদিক দম্পতির মনোমালিন্যের বিষয়েও তাঁর কাছে তথ্য চাইবে র‌্যাব।
র‌্যাবের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র পুত্র মেঘের প্রথম সাক্ষাতকারের ভিডিও ফুটেজটি। মেঘের প্রথম সাক্ষাতকারটির বিষয়বস্তু অন্য কোন টিভি চ্যানেল পেল না কেন বা প্রচারিত হলো না কেন? তাহলে কি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেঘকে দিয়ে একটি সাক্ষাতকার দেয়ার ঘটনা ঘটিয়ে তাতে ভিডিও করা হয়েছে? এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মেঘের প্রথম সাক্ষাতকারের যে ভিডিও ফুটেজটি দেয়া হয়েছে তাতে মেঘ বলেছে, প্রথমে আমার আব্বু (সাগর) আমার আম্মুকে (রুনী) খুন করে। পরে দুইটি গু-া আমার আব্বুকে খুন করে। এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের এই ধরনের বক্তব্যের পর মেঘের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মেঘকে মনস্তত্ত্ববিদদের কাছে নেয়া হচ্ছে। এটিও একটা তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ফ্ল্যাটের বেডরুম থেকে মাছারাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন রুনীর ভাই। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আড়াই মাস তদন্ত শেষে তদন্তে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করায় উচ্চআদালত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)। র‌্যাবের এএসপি জাফর উল্লাহ তদন্তকারী এবং সদর দফতরের তিন পরিচালক এই মামলার তদন্তের তদারক করে যাচ্ছেন।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাওহিদে যোগ না দেওয়ায় স্বামীকে তালাক দেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার নাটোরে মামলা



নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র মৌলবাদী সংগঠন হিযবুত তাওহীদে যোগ না দেওয়ায় নাটোরের স্কুল শিক্ষক স্বামীকে তালাক দিয়েছেন চায়না ইয়াসমিন।
টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার বাথুলী সাদী গ্রামের সমেজ খানের পুরো পরিবার উগ্রপন্থি মৌলবাদী সংগঠন হিযবুত তাওহীদের সদস্য । উগ্রবাদী এই সংগঠনে ইসলাম ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দেয়া হয় সদস্যদের কাছে। তাদের বাধ্য করা হয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে জঙ্গীবাদে দীক্ষা নিতে। শর্ত দেয়া হয় এতে রাজী না হলে বিচ্ছেদ ঘটাতে।সমেজ আলীর মেয়ে চায়না তার ১১ বছরের ছেলেকে মৌলবাদী   এই জঙ্গী সংগঠনের গোপন আস্তানায় নিয়ে সদস্য করেছেন। তার স্বামী স্কুল শিক্ষক শাহজাহান আলী এই জঙ্গী সংগঠনের সদস্য হন নি বলে তাকে তালাক দিয়েছেন চায়না।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাওহিদে যোগ না দেওয়ায় স্বামীকে তালাক দেয়ার  অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নাটোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী নাটোর সদর উপজেলার পারখোলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আসলাম হোসেনের ছেলে স্কুল শিক্ষক শাজাহান আলী। মামলায় স্ত্রী চায়না ইয়াসমিন, শ্বশুর সমেজ খান,  চায়নার  দুই ভাই রিপন ও সুমনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৫ জুলাই টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার বাথুলী সাদী গ্রামের সমেজ খানের মেয়ে চায়নার সঙ্গে শাজাহানের বিয়ে হয়। আব্দুস সামী নামে তাদের একটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ১১ বছর।
শাজাহানের স্ত্রী, শ্বশুর, স্ত্রীর ভাইয়েরা হিযবুত তাওহীদের সদস্য। বিয়ের পর থেকেই তারা তাকেও ওই সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।  স্ত্রী চায়না তাকে জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিবারের সবাইকে হিযবুত তাওহীদের সদস্য হতে হবে। সংগঠনের সদস্যের বাইরে কারো সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। এমনকী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর-সংসারও করা যাবে না।  হিযবুত তাওহীদে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাজাহানকে তালাক দিয়ে গত ১৫ মার্চ ছেলে সামীকে নিয়ে স্ত্রী চায়না ইয়াসমিন বাবার বাড়ির চলে যান। পরে শাজাহান খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ছেলে সামীকে হিযবুত তাওহীদের গোপন আস্তানায় ভর্তি করা হয়েছে। তাই, ছেলেকে উদ্ধারের জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।

বাদীর অভিযোগ শুনে আব্দুস সামীকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করার জন্য চায়না ইয়াসমিন ও তার বাবা সহ দু`ভাইকে নিদের্শ দিয়েছেন বিচারক ।

Thursday, July 12, 2012

এ অবস্থা দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন? যারা এ বিদ্যাপীঠ পুড়িয়ে ছারখার করতে পারে, তারা মানুষ হতে পারে না - শিক্ষামন্ত্রী



সিলেট ১২ জুলাই :‘ ছাত্রজীবনে আমি যে ঘরে থাকতাম,শতবছরের ঐতিহ্যবাহী সেই কক্ষের ভস্মীভূত  অবস্থা দেখে আমি ঠিক থাকতে পারিনি। এ অবস্থা দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন! যারা এ বিদ্যাপীঠ পুড়িয়ে ছারখার করতে পারে, তারা মানুষ হতে পারে না।’ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজের পোড়া ছাত্রাবাস পরিদর্শন করতে গিয়ে একথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।সিলেটের এমসি কলেজে গত রোববার রাতে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রলীগ ছাত্রাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৪২টি ঘর পুড়ে যায়। 
ছাত্রাবাসের ‘এ’ ব্লকের সামনে থমকে দাঁড়ান তিনি। কলেজে পড়াকালীন এ ঘরটিতে তিনি থাকতেন বলে সেই সময়কার স্মৃতিচারণা করেন। আগুনে পোড়া ছাত্রাবাস দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে একপর্যায়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের তুখোড় ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ।
নুরুল ইসলাম নাহিদ  বলেন, ‘এমসি কলেজ আগুন দিয়ে পোড়ানোর মামলার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা অন্ধের মতো গ্রহণ করব না। যারা আগুন দিয়েছে, তাদের  আড়াল করার চেষ্টা হলে তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না।’ এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ধীরেশ চন্দ্র সরকারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামে সৎ পিতা কবির আহমদ গ্রেফতার

কিশোরী সৎ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর নিউমুরিং এলাকা থেকে কবির আহমদ (৩২) নামের এক নৌযান শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার ভোরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে।

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. শামসুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ফিশিং ট্রলারের মেকানিক কবির আহম্মদ কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা উপজেলা সদরে।দু’বছর আগে কবির কাজল রেখা বেগম নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে বিয়ে করেন। আগের সংসারে কাজল রেখার আনুমানিক ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী আছে। বিয়ের পর কবিরের সম্মতিতে ওই মেয়েকেও কাজল রেখা তাদের সংসারে নিয়ে আসেন। গত ৩ জুন কাজল রেখা তার মেয়েকে রেখে ঝালকাঠিতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে ওই দিন রাতেই কবির ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঝালকাঠি থেকে ফেরার পর ১০ জুন কাজল রেখা এ ঘটনা জেনে কর্ণফুলী থানায় কবিরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে কবির  পালিয়ে যায়। পরে কবির নগরীর বন্দর থানার নিউমুরিং এলাকায় এসে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পুলিশ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই বাসা থেকে কবিরকে গ্রেফতার করে। ওসি জানান, কবিরকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

Tuesday, July 10, 2012

‘‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে সত্য আমরা বাঙ্গালি’’



১০ জুলাই প্রাচ্যের খ্যাতিমান ভাষা বিজ্ঞানীড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ১২৮ তম জন্মদিন। স্মরণীয় এ উক্তিটি বহু ভাষাবিদ, দার্শনিক , জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র।১৮৮৫ সালের এই দিনের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাভাষা ও সাহিত্যে অন্যন্য অবদান রাখা ছাড়াও তিনি চিরদিন বাঙালির শ্রদ্ধা এবং সম্মান পাবেন বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনে সাহসী ও জোরালো ভূমিকার জন্য। কিংবদন্তী ভাষা গবেষক ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন জ্ঞানতাপস মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯০৪ সালে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং ১৯০৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ বা এইচএসসি পাশ করেন। ১৯১০ সালে সিটি কলেজ, কোলকাতা থেকে সংস্কৃতে সম্মান-সহ বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক দর্শনতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি । প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৫ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি (১৯২৫) লাভ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ।কলেজ জীবন থেকে বহু ভাষা অনুরাগী মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী গবেষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯২১ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে। পাশাপাশি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সালে পর্যন্ত । ফ্রান্সের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক  হিসেবে নিযুক্ত হন । ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে বগুড়া আযিযুল হক কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৩ সালে আবারও ফিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েযোগ দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমীতে যোগ দেন। নিযুক্ত হন বাংলা একাডেমীর ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদে। কাজ করেন বাংলা পঞ্জিকা প্রণয়নের কাজেও। বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে ভাষা বিজ্ঞানে অন্যন্য অবদান রেখেছেন ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ - বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, দীওয়ানে হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, বিদ্যাপতি শতক, বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান অন্যতম।১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। একই বছর ফ্রান্স সরকার এই ভাষা বিজ্ঞানীকে সম্মানজনক পদকনাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্সপ্রদান করে। ###

Monday, July 9, 2012

Revolutionary Order on 5 July to stop harrasmet of Witness by War Crime Lawers


AvšÍR©vwZK Aciva UªvBe¨ybv‡j mvÿx‡K †Rivi bv‡g nqivwbi weiæ‡× Ae‡k‡l K‡Vvi wm×všÍ wb‡jb †Pqvig¨vb| 5 RyjvB we‡K‡j GB wb‡`©kbv Rvwi Kivi ci A‡bKUv †hb †f‡½ co‡jb †Mvjvg Avh‡gi AvBbRxwe wgRvbyj Bmjvg|
 Avmvgx‡K cy‡iv mgq _vK‡Z nqbv  ‡Rivi bv‡g AcÖvmw½K cÖ‡kœ mvÿx‡`i N›Uvi ci N›Uv, w`‡bi ci w`b nqivwb:‡Rivi mgqmxgv ‡eu‡a ‡`qvi  `vwe
evsjvwbDR†Uv‡qw›U‡dv‡i g½jevi AmZ¨ Z_¨ Dc¯’vc‡bi R‡b¨ e¨vL¨v `vwe Ki‡jb UªvBe¨ybvj evsjv wbDR †Uv‡qw›U‡dv‡ii Kv‡Q; bqvw`MšÍ wi‡cvU©vi‡K mZK© †bvwUk04 RyjvB
mywg Lvb:  GKvˇi †Kv_vq AvkÖq wb‡q‡Qb, Zvi evwoIqvjvi bvg wK , Zv‡`i m`m¨ msL¨v KZ wQj? †Kvb gwnjv wQj wK?  GKvˇi Avcbvi PvPv wK PvKwi Ki‡Zb?Zvi evmv †_‡K Zvi  Awdm KZ gvBj `~iZ¡ wQj? avbgwÛ ZLb †Kvb _vbvi Aaxb wQj, avbgÛx _vbvi kvwšÍ KwgwUi cÖavb †K wQ‡jb... G‡Ki ci GK GiKg AevšÍi cÖ‡kœ mvÿx‡K weeªZ Ges nqivwb Ki‡Qb Avmvgx  †Mvjvg AvR‡gi c‡ÿi AvBbRxwe মিজানুল ইসলাম | eyaevi `ycy‡i †Rivi GK ch©v‡q G e¨vcv‡i ট্রাইব্যুনাল- Gi চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের w`‡K ZvwK‡q gyw³hy‡×i BwZnvm M‡elK  W. gybZvwmi gvgyb e‡jb, Ò AvR wZb w`b a‡i cuvP N›Uv `uvwo‡q †Rivi Reve w`w”Q| g~j cÖm½ Gwo‡q AcÖvmw½K me cÖkœ K‡iB hv‡”Qb | Av‡iv GKeQi GiKg cÖkœ K‡i †M‡j I Avwg GKBfv‡e Reve †`‡ev|Ó আন্তর্জাতিক অপরাধ wePvicwZ wbRvgyj nK †PŠayix bvwm‡gi `„wó AvKl©Y K‡ib একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী  gyw³hy‡×i BwZnvm গবেষক ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক . মুনতাসীর মামুন Z„Zxq  দিনের জেরায় AcÖvmw½K cÖm½ G‡b `xN© mgq †Riv Kivi mgq‡ÿc‡bi Awf‡hvM G‡b cÖwZev` K‡i‡Qb|
UªvBe¨ybv‡ji †Pqvig¨vb wePvicwZ wbRvgyj nK †PŠayix bvwmg  Avmvgx c‡ÿi AvBbRxwe‡K mZK© K‡i e‡jb, Ò Avgiv GKUv ‡g‡mR w`‡Z PvB| UªvBe¨ybv‡j mvÿx w`‡Z Avmv gv‡bB AcÖvmw½K cÖ‡kœi †Rivq mgq bó, n¨vivm‡g›U †hb g‡b bv K‡i †KD| mvÿx †hb bv fv‡eb GLv‡b mvÿx w`‡Z G‡j Zvi †ckvi ÿwZ n‡e|Avgiv ‡Rivi mgqmxgv †eu‡a †`‡ev| G‡Z Avcbv‡`i fv‡jvB n‡e| mvavi‡Yi †P‡q wظY mgq cv‡eb|Ó Gi Av‡M g½jev‡ii †Rivq W.gybZvwmi gvgyb e‡j‡Qb, জামায়াতে ইসলামী একটি সাম্প্রদায়িক ধর্মব্যবসায়ী দল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যার কৌশল নিয়েছিল, এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। তারা বেসামরিক লোকজনদের প্রভাবানান্বিত করত। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দীর্ঘ 6 N›Uv জেরায় তিনি কথা বলেন।
 eyaevi mKv‡j UªvBe¨ybv‡j cÖwmwKDUvi  GW‡fv‡KU wRqv` Avj gvjyg ‰`wbK bqvw`M‡šÍi GKwU Kwc Av`vj‡Z Zz‡j a‡i e‡jb, ‡`‡k Ges mviv Dcgnv‡`‡k m¤§vwbZ M‡elK W. gybZvwmi gvgy‡bi weiæ‡× AmZ¨ Z_¨ Dc¯’vcb K‡i‡Q †nWjvBb Ges cÖKvwkZ msev‡`|G‡Z ejv n‡q‡Q wZwb mvÿ¨ †`evi ciciB Av`vj‡Z Zvi e³e¨ A¯^xKvi K‡i‡Qb| UªvBe¨ybv‡ji †Pqvig¨vb bqvw`M‡šÍi wi‡cvU©vi †K Rvb‡Z PvB‡j †g‡nw` nvmvb Zvi e³e¨ Dc¯’vcb K‡ib| G ai‡Yi AmZ¨ Z_¨ Dc¯’vc‡bi weiæ‡× Zv‡K mZK© K‡ib Av`vjZ| Gi ci B †Pqvig¨vb evsjvwbDR †Uv‡qw›U‡dvi WUKg Gi g½jevi cÖKvwkZ msev‡`i Kwc Av`vj‡Z Dc¯’vcb K‡i Avmvgx c‡ÿi AvBbRxwe ZvRyj Bmjvg †K  RvgvqvZ †bZv mvB`xi evwo †_‡K Lvevi mieiv‡ni AbygwZ †P‡q Kviv KZ©„c‡ÿi Kv‡Q Av‡e`b bv K‡iB UªvBe¨ybvj‡K `vqx K‡i MYgva¨‡g AmZ¨ Z_¨ Dc¯’vc‡bi KviY `k©v‡Z e‡jb| Dfq‡K 11 RyjvB‡qi g‡a¨ wjwLZ e¨vL¨v Dc¯’vc‡bi wb‡`©k Rvwi n‡jI Avmvgx c‡ÿi AvBbRxwe wgRvbyj Bmjv‡gi Av‡e`‡b ZvRyj Bmjv‡gi cÖwZ wb‡`©k Zz‡j †bb †Pqvig¨vb | e„n¯úwZevi AvavN›Uvi g‡a¨ gybZvwmi gvgy‡bi ‡Riv †kl Kivi †gŠwLK wb‡`©k w`‡q‡Q Av`vjZ| Gi ci ‡Mvjvg Avh‡gi weiæ‡×  mv‡eK ZZ¡veavqK miKv‡ii Dc‡`óv  GW‡fv‡KU myjZvbv Kvgv‡ji mvÿx ïiæ n‡e|### 04/07/12

25 sept1971 Golam Azam Announced to commit Suicide if `Bangladesh' named any Country Born


ÔcvwK¯Ívb hw` bv _v‡K Zvn‡j RvgvZ Kg©x‡`i `ywbqvq †eu‡P †_‡K jvf bvB| evsjv‡`k bv‡gi wKQy n‡j Avwg AvZ¥nZ¨v Ki‡ev|Õ25 †m‡Þ¤^i 1971 cvwK¯Ívb i¶vq Bmjvg iÿvi bv‡g gyw³Kvgx evOvwj wba‡b ivRvKvi I Avje`i‡`i cÖwZ AvnŸvb Rvwb‡q ivRvKvi wk‡ivgwY †Mvjvg Avhg  G †NvlYv w`‡qwQ‡jb| cvwK¯Ívwb †mbvevwnbx  Ges ivRvKvi Avje`i evwnbxi MYnZ¨v ,al©Y, AwMœms‡hv‡Mi ee©iZvi g‡a¨B ¯^vaxb  n‡q‡Q evsjv‡`k| GB `yt‡L †Mvjvg Avhg  Zvi †NvlYv Abyhvqx AvZ¥nZ¨v K‡ibwb|  eis m`¨¯^vaxb  evsjv‡`k‡K ¯^xK…wZ bv w`‡Z 1975 ch©šÍ cuvP eQi †mŠw` Aviemn BmjvwgK †`k¸‡jv‡Z jwes K‡i‡Qb|  wZwb gnvb gyw³hy‡×i weiæ‡×B KvR K‡i hv‡”Qb|
BwZnvm mv¶¨ †`q, evsjv‡`‡ki gyw³hy‡×i weiæ‡× mivmwi Ae¯’vb wb‡qwQ‡jb †Mvjvg Avhg | G Z_¨ cÖgv‡Y Rvgvqv‡Zi `jxq cwÎKv msMÖvg B h‡_ó|  wÎk jvL knx‡`i i‡³ †Kbv evsjv‡`k †hb we‡k¦i gvbwP‡Î gv_v DuPz K‡i `uvov‡Z bv cv‡i †mRb¨ †mŠw` Avie, `yevB, Aveyavwe, Kz‡qZ, wjweqv, BivK I Bivbmn ga¨cÖv‡P¨i †`k¸‡jv‡Z P‡l †ewo‡q‡Qb| ¯^vaxb evsjv‡`k‡K Z_vKw_Z c~e© cvwK¯Ívb bv‡g D‡jøL K‡i ALÐ cvwK¯Ívb i¶vi Av‡›`vjb Ae¨vnZ †i‡L‡Qb Õ75 ch©šÍ| 1973 †_‡K Õ75 ch©šÍ †Mvjvg Avhg 7 evi †mŠw` ev`kvn dqmv‡ji m‡½ mv¶vr K‡i evsjv‡`k‡K ¯^xK…wZ bv †`qvi Aby‡iva K‡ib| IB mgq †_‡KB †mŠw` kvmK‡`i m‡½ Rvgv‡Zi GKwU mym¤úK© cÖwZwôZ nq| †Mvjvg Avh‡gi cÖKv‡k¨ ¯^‡`k we‡ivwaZvi msev` ‡mmgq djvI K‡i cÖPvwiZ n‡Zv jÛb †_‡K cÖKvwkZ mvßvwnK msMÖv‡g|
GKvˇii wPwýZ hy×vcivax †Mvjvg Avhg‡K evsjv‡`k miKvi 1972 mv‡ji 22 †deªæqvwii g‡a¨ wbR GjvKvi g¨vwR‡÷ª‡Ui mvg‡b nvwRi n‡Z wb‡`©k †`q| 1973 mv‡ji 18 GwcÖj GK cÖÁvc‡b ZrKvjxb miKvi †Mvjvg Avh‡gi bvMwiKZ¡ evwZj K‡i| c‡i wRqvDi ingv‡bi kvmbvg‡j †Mvjvg Avhg cvwK¯Ívwb cvm‡cvU© I wZb gv‡mi wfmv wb‡q 1978 mv‡ji 11 RyjvB  evsjv‡`‡k Av‡mb| wfmvi †gqv` †kl nIqvi ciI wZwb †eAvBwbfv‡e G‡`‡k †_‡K hvb| 1976, 1977, 1978, 1979 I 1981 mv‡j evsjv‡`k miKv‡ii Kv‡Q Av‡e`b K‡iI wZwb bvMwiKZ¡ †diZ cvbwb | 1988 mv‡ji 20 GwcÖ‡ji g‡a¨ †`kZ¨v‡Mi wb‡`©k †`q ZrKvjxb miKvi| 1994 mv‡ji 22 Ryb D”P Av`vj‡Zi GK wb‡`©‡k bvMwiKZ¡ †diZ cvb †Mvjvg Avhg|

evsjv‡`‡ki wewfbœ msev` gva¨‡gI †Mvjvg Avh‡gi GKvËi cieZ©x KzKxwZ© cÖKvwkZ n‡q‡Q|
GKvˇii 22 b‡f¤^i †Mvjvg Avhg evsjv‡`k †Q‡o P‡j hvq Ges cvwK¯Ívwb bvMwiKZ¡ MÖnY K‡i| 1973 mv‡j evsjv‡`k miKvi †cÖwm‡W›U AW©vi 8 Øviv †Mvjvg Avh‡gi bvMwiKZ¡ evwZj K‡i| Rvbv hvq, Gici wZwb cÖ_‡g cvwK¯Ívb hvb Ges c‡i †mŠw` Avi‡e emevm K‡ib| 6 †deªæqvwi Õ72 cvwK¯Ívb cybiæ×vi KwgwU MVb K‡ib Ges G Kv‡R Zv‡K c~Y© mn‡hvwMZv K‡ib RyjwdKvi Avjx fy‡Æv| 1974 ch©šÍ AZ¨šÍ mwµqfv‡e cvwK¯Ívb cybiæ×vi Kvh©µg Pvwj‡q †M‡Qb Zviv|
1972 mv‡j  †Mvjvg Avhg †mŠw` Avie hvb Ges evsjv‡`k‡K ¯^xK…wZ bv w`‡Z jwes K‡ib| IB eQ‡ii wW‡m¤^‡i †mŠw` ivRavbx wiqv‡` AbywôZ gymwjg hye ms¯’vi AvšÍR©vwZK m‡¤§j‡b †Mvjvg Avhg Ôc~e© cvwK¯Ívb cybtcÖwZôvÕi msMÖv‡g Suvwc‡q covi Rb¨ mvivwe‡k¦i gymjgvb‡`i AvnŸvb Rvbvb| Õ73 Gi gv‡P© cvwK¯Ívb I †mŠw` Avi‡ei mg_©‡b †Mvjvg Avhg wjexq kni †ebMvwR‡Z ciivóªgš¿x‡`i GK m‡¤§j‡b hvb| m‡¤§j‡b evsjv‡`k‡K ¯^xK…wZ bv w`‡Z Ges ALÐ cvwK¯Ív‡bi Rb¨ KvR Ki‡Z wZwb mKj gymwjg †`‡ki Kv‡Q Aby‡iva K‡ib| G wel‡q Iqvi µvBgm d¨v±m dvBwÛs KwgwUi AvnŸvqK Wv. Gg G nvmvb e‡jb, †mmg‡q †Mvjvg Avh‡gi cvwK¯Ívwb †Mvjvwgi Rb¨ 1974 mv‡ji GwcÖ‡j wÎc¶xq Pzw³i gva¨‡g cvwK¯Ívwb hy×vcivax‡`i e¨vcv‡i kZ©‡hvM¨ Pzw³ Ki‡Z eva¨ nq evsjv‡`k| ciivóªgš¿x wn‡m‡e W. Kvgvj †nv‡mb Pzw³‡Z mB K‡ib|`yf©vM¨RbK fv‡e  cvwK¯Ívwb †mbv‡`i hy×vciv‡ai welqwU wÎc¶xq Pzw³‡Z wjwLZfv‡e AšÍf©y³ Ki‡Z e¨_© nb W. Kvgvj †nv‡mb| IB Pzw³ †Mvjvg Avh‡gi cvwK¯Ívb cybiæ×vi Kvh©µg‡K Av‡iv †eMevb K‡i|
GKvˇii NvZK `vjvj wbg~©j KwgwUi mfvcwZ kvnwiqvi Kexi e‡jb, 1973 mv‡ji GwcÖ‡j †Mvjvg Avhg jÛb hvb| jÛ‡bI †_‡g _v‡Kwb Zvi evsjv‡`kwe‡ivax Kvh©µg| G mgq Zvi ZË¡veav‡b Rvgv‡Zi gyLcÎ ÔmsMÖvgÕ cwÎKv jÛb †_‡K mvßvwnK wn‡m‡e AvZ¥cÖKvk K‡i| IB eQi RyjvB gv‡m GK Abyôv‡b †Mvjvg Avhg evsjv‡`‡ki ¯^vaxbZv‡K Ô†Mvjvwgi wRwÄiÕ e‡j D‡jøL K‡i Gi cybiæ×v‡ii Rb¨ Bmjvwg D¤§vni mvnvh¨ Kvgbv K‡ib|
 1987 mv‡j evsjv‡`‡ki gyw³hy‡× aŸsm nIqv gmwR` ms¯‹v‡ii bv‡g †mŠw` ev`kv‡ni KvQ †_‡K 45 jvL †mŠw` wiqvj †bq †Mvjvg Avhg| †mŠw` Avi‡ei ev`kvn‡K wZwb e‡j‡Qb, wn›`yiv c~e© cvwK¯Ívb `Lj K‡i‡Q, gmwR`¸‡jv †f‡O †`qv n‡q‡Q Ges KziAvb kwid cywo‡q †djv n‡q‡Q|
RvgvZ wkwei‡K msMwVZ Ges Avje`i evwnbx‡K cybe©vmb Kivi Kv‡R e¨q Kiv n‡q‡Q †mB  †mŠ`x Aby`vb| cjvZK ivRvKvi, Avje`i‡`i gv‡mvnviv wbwðZ  nq †mŠw` ev`kv‡ni A‡_©|
1977 mv‡j cvwK¯Ív‡bi Z_¨gš¿x AvjZvd Mni‡K m‡½ wb‡q †Mvjvg Avhg evsjv‡`k we‡ivax ZrciZv Pvjvq Ges BmjvwgK wecø‡ei Rb¨ A_© msMÖn K‡i| 

Sunday, July 8, 2012

Sylhet M C college Hostel is Burning:10 Injured



wm‡jU Gg wm K‡jR QvÎvev‡m Av¸b w`‡jv| wkwe‡ii AvwacZ¨ †VKv‡Z aŸsmvZ¥K Kv‡Ri GB avivevwnKZv| kvnRvjvj wek¦we`¨vjq, wm‡jU miKvix K‡jR Ges Gevi gyivixPuv` K‡j‡Ri kZe‡l©i cÖvPxb QvÎvev‡m Av¸‡b cy‡o QviLvi n‡jv| eÜ †nvK GB me©bvkv Avµgb!  msMwVZ cwiKwíZ D‡`¨vM Riæix|  



wm‡jU Ggwm K‡jR QvÎvev‡m wkwei-QvÎjxM
msN‡l© AvnZ 10,QvÎvev‡m Av¸b ;GKUv eøK iÿv Kiv †M‡jv AvcvZZ:

wm‡jU e¨y‡iv:  wm‡jU Ggwm K‡jR QvÎvev‡m wkwei-QvÎjxM msN‡l© GKUv eøK †eu‡P †M‡jv AvcvZZ: 4Uv eø‡Ki  42 Uv Kÿ QvB n‡q †M‡jv ; GKUv eøK †eu‡P †M‡jv AvcvZZ: |wm‡jU Ggwm K‡jR QvÎvev‡m QvÎwkwei-QvÎjxM msN‡l© AšÍZ 10 Rb AvnZ n‡q‡Qb| QvÎjxMKgx©iv Av¸b w`‡q‡Q K‡jR QvÎvev‡m|  †iveevi ivZ 8 Uvq bMixi evjyPi GjvKvq K‡jR QvÎvev‡m G msN‡l©i NUbv N‡U e‡j cywjk Rvwb‡q‡Q|

cywjk I cÖZ¨ÿ`kx©iv Rvbvb, QvÎwkwei wbqwš¿Z Ggwm K‡jR QvÎev‡m †iveevi mܨvq wb‡R‡`i wbqš¿Y wb‡Z hvq QvÎjx‡Mi Kgx©iv| Gmgq wkweiKgx©‡`i nvgjvq Ry‡qj Avng` bv‡gi GK QvÎjxM Kgx© AvnZ nq|wkweiKgx©iv Zv‡`i avIqv K‡i Zwo‡q w`‡j mv‡o 7 Uvi w`‡K †`kxq A¯¿k¯¿ wb‡q msNe× n‡q QvÎjxM Kgx©iv QvÎvev‡m nvgjv Pvjvq| Gmgq msN‡l©  AšÍZ 10 Rb AvnZ nb|QvÎvev‡mi 5 wU eø‡Ki wewfbœ K‡ÿ Av¸b awi‡q †`q QvÎjxM Kgx©iv |

msN‡l© QvÎjxMKgx© Ry‡qj, GmAvi iæ‡gj ¸iæZi AvnZ n‡q‡Qb| QvÎwkwe‡ii Ggwm K‡jR kvLvi mfvcwZ g‡bvqvi †nv‡mb I wkweiKgx© Rvnv½xi Avjg AvnZ n‡q‡Qb|AvnZ‡`i wm‡jU Imgvbx †gwW‡Kj K‡jR nvmcvZv‡j fwZ© Kiv  n‡q‡Q|Lei †c‡q wecyjmsL¨K cywjk wM‡q cwiw¯’wZ wbqš¿‡b Av‡b| `gKj evwnbxi Kgx©iv Av¸Y wbqš¿‡b Avb‡Z mÿg nq| kvncivY _vbvi Iwm Gbvgyj g‡bvqvi Rvbvb, msN‡l©i Lei †c‡q NUbv¯’‡j cywjk cwiw¯’wZ wbqš¿‡Y G‡b‡Q| eZ©gv‡b cwiw¯’wZ kvšÍ i‡q‡Q| QvÎevm GjvKvq AwZwi³ cywjk †gvZv‡qb Kiv n‡q‡Q|###08/07/12