Saturday, October 1, 2016

ভারত প্রতিশোধ নিলো-সার্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত - মুহম্মদ শফিকুর রহমান

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরির সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তান থেকে ঢুকে ১৮ জন ভারতীয় সেনা হত্যার প্রতিশোধ নিল ভারত। বুধবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে ৫০০ মিটার হতে দুই কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে অন্তত ৮টি জঙ্গীঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় এবং ৯ পাকিস্তানী সেনা ও অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গীকে হত্যা করে ফিরে আসে।

পাকিস্তান কর্তৃক উরি হামলার ১১ দিন পর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকস’ নামে ভারত এ সেনা আক্রমণ চালাল। ফলে দুই দেশের সম্পর্কতো খারাপ হলোই, পাশাপাশি সার্বিক বিচারে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সমঝোতা জোট সার্কের ভবিষ্যতও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। আসন্ন সার্ক সম্মেলনে (পাকিস্তানে) ভারত যোগ দিচ্ছে না, সঙ্গে ভুটানও। বাংলাদেশ আগেই ঘোষণা করেছে যাচ্ছে না। বাংলাদেশের না যাওয়ার অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে :

১. পাকিস্তান এরই মধ্যে জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

২. বাংলাদেশে যত জঙ্গী তৎপরতা হয়েছে তার সবকটির পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে।

৩. ১০ ট্রাক অস্ত্রের পেছনে পাকিস্তান জড়িত।

৪. ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল সেই আর্জেস গ্রেনেডও পাকিস্তানে তৈরি।

৫. বাংলাদেশে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধেও পাকিস্তান অনধিকার হস্তক্ষেপ, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির বিরুদ্ধে নিন্দা বিবৃতি দিয়েছে। এমনকি পাকিস্তান পার্লামেন্টও নিন্দাপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা আমরা মনে করি পাকিস্তানের কোন এখতিয়ারই নেই। এই পাকিস্তান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সঙ্গে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। জীবন বাঁচাতে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করে। সেদিন তারা বলেছিল, নেতৃস্থানীয় যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ পাকি আর্মির বিচার করবে দেশে নিয়ে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা তা করেনি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাপ্য সম্পদ ফেরত দেয়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানীদের ফেরত নিয়ে যায়নি।

৬. সম্প্রতি গুলশানের হলি আর্টিজন রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলা ও বিদেশীদের হত্যার পেছনেও পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৭. বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জামায়াত-শিবির, হিযবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহরীর, আনসারুল্লা বাংলা টিম, আনসারুল ইসলাম, হামযা ব্রিগেডÑ এসবের পেছনেও পাকিস্তানের অর্থ-অস্ত্র যোগান রয়েছে।

৮. বাংলাদেশের জঙ্গীরা পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় পাচ্ছে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজ করেছে বলে আমরা মনে করি। এটি বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশ জঙ্গী দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে কাজ করে চলেছে। জঙ্গীদের প্রতি এতটুকু ছাড়ও দিচ্ছে না। সেদিক থেকে ভারত কর্তৃক পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অভ্যন্তরে ঢুকে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে (সার্জিক্যাল স্ট্রাইকস) জঙ্গী দমন সঠিক নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে বলে সবাই মনে করে। বাংলাদেশ নিজ দেশে নয়, যেখানে জঙ্গী তৎপরতা দমনের পদক্ষেপ নেয়া হবে, সেখানেই এ দেশের সমর্থন থাকবে। এটাই স্বাভাবিক এবং নীতি। অবশ্য কেবল বাংলাদেশ নয়, আমেরিকাও ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন করছে।

অবশ্য হাস্যকরভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ভারতের অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন একদিকে, আরেকদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকস’ একটি বিভ্রম। মিথ্যা প্রভাব সৃষ্টির জন্য ভারত এটি রটাচ্ছে। আবার তারা এটাও বলেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর গোলাগুলিতে এক ভারতীয় সৈন্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তান বাহিনী তিনটি ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ চৌকি ধ্বংস করে দিয়েছে।

অভিযানের পর ভারতীয় এক সেনাকর্তা রণবীর সিং প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে অভিযানের কথা জানিয়ে বলেছেন, বেশকিছু জঙ্গীঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, ৮০ জনের মতো জঙ্গীকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতর থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযানের আগেই কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, কাশ্মীরের রাজ্যপাল এনএন ভোরা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জী, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারীকে অভিযান সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ওই দিনই ভারতে নিযুক্ত কূটনীতিকদের অভিযান সম্পর্ক অভিহিত করেন। কংগ্রেস প্রধান শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীও এ অভিযানে মোদি সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি সব দলের সভা ডেকেছেন।

তবে এটা ঠিক, মাথা গরম পাকিস্তানের হুমকি-ধমকি চলছেই। পাকি-প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের পরমাণু অস্ত্র ‘শোপিস’ নয়। এর অর্থ তারা পরমাণু বোমা ফাটাবেন? কিন্তু পাকিস্তান ভুলে যায় এটা ১৯৪৫ নয়, এটা ২০১৬ সাল এবং একতরফাও নয়, ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অন্যান্য সামরিক ক্ষমতার দিক থেকে ভারত অপেক্ষাকৃত শক্তিধর। তাছাড়া এরই মধ্যে সিন্ধু ভাগীরথী শতদ্রু বিপাসায় অনেক পানি গড়িয়েছে, অনেক ভাঙ্গাগড়ার খেলা হয়েছে, দেশ ভেঙ্গেছে, দেশ গড়েছে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বেলুচিস্তানের জনগণ স্বাধীনতার আওয়াজ তুলেছে। পাকিস্তান এখন তারা নতুন মিত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। তুরস্ক এখন তাদের পরম মিত্র। অবশ্য আগেও ছিল। একযোগে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু যে তুরস্ক নিজ দেশেই জঙ্গীবাদ ঠেকাতে গলদগর্ম হচ্ছে তার সঙ্গে মিত্রতা এক অবাস্তব অলাভজনক কূটনীতি। অবশ্য পাকিস্তান এসব বোঝে না। একটা সাজেশন পাকিস্তানকে দেয়া যায়, মধ্যপ্রাচ্যে দৌড়াদৌড়ি করেও লাভ হবে না। তারা নিজেরাই এখন ভাঙচুরে অংশ নিয়ে যে ভুল করেছে তা অনুধাবন করতে পারছে, আফসোস করছে। বরং পাকিস্তানের উচিত আমেরিকার নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়া। দুই পাগলে মিলবে ভাল। কিন্তু এখানেও প্রবলেম আছে, ট্রাম্পের জয়লাভের সম্ভাবনা নিবু নিবু বাতির মতো ক্ষীণ।

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী, মেধাবী, দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ তো দূরে থাক, পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখবেন না। যে দেশে বেনজির ভুট্টোর মতো জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান, একটু লেখাপড়া করতে চেয়ে মালালা ইউসুফজাই গুলিবিদ্ধ হয়ে দেশান্তরী হন, সেখানে কোন শান্তিকামী মানুষ পা রাখতে পারেন না। ওটা বর্বর দেশ, ওখানে সভ্য মানুষের স্বাধীনতা নেই।

তবে হ্যাঁ, পাকিস্তানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই পাকিস্তান ১৯৭১ সালে আমাদের সঙ্গে হেরেছে, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেও আমাদের একাত্তরের মতো নাকে খত দিয়ে বেঁচেছে। ১৯৯৯ সালে ভারতের সঙ্গে কারগিল যুদ্ধেও একই পরিণতি ভোগ করেছে।

আজ এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশের উচিত হবে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেয়া। অবশ্য সে প্রক্রিয়া বেশ আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে দেশটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

আমাদের পাকিস্তানকে হিসাবে নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই এ কথা সর্বজনবিদিত। এমনকি উন্নত দেশের লোকেরা স্বীকার করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় পাকিস্তানকে অনেক নিচে ফেলে দিয়েছে, অনেক দেশকেই পেছনে ফেলেছে। এমনকি অর্থনীতিবিদ নোবেল লরিয়েট প্রফেসর অমর্ত্য সেনের ভাষায় কোন কোন সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় চীনের পাশাপাশি প্লেনের মতো টেকআপ করছে।

তাছাড়া আমরা কেন ভুলে যাব যে, এই পাকিস্তান ১৯৭১ সালে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে, হত্যা করেছে। এখনও তাদের সেদিনের সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন কাজ হলো সেসব যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী এখানকার কুসন্তানদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপকে সার্বিক সমর্থন সহযোগিতা করা। আমাদের এখনকার কাজ এসব বিষবৃক্ষকে মূলসহ উৎপাটন করে বাংলার মাটি পবিত্র করা, যা শেখ হাসিনা করে চলেছেন। তবে দুঃখজনক ঘটনা হলোÑ একটি টিভি টকশোতে দেখলাম একজন বিএনপি নেতাকে সাম্প্রতিক ভারত কর্তৃক পাকি নিয়ন্ত্রণ কাশ্মীর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জঙ্গীনিধন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন ‘আমাদের সতর্কতার সঙ্গে মন্তব্য করতে হবে।’ এর অর্থই হলো পাকিস্তানের প্রতি মৌন সমর্থন। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির সাম্প্রতিক দল পুনর্গঠনেও দেখা গেছে পাকিপন্থীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। এমনকি মৃত্যুদন্ড ও আমৃত্যু কারাভোগের সাজাপ্রাপ্ত ও সাজা কার্যকর হওয়া দুই রাজাকারের সন্তানকে দলের নির্বাহী কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া রাজাকার-এ-আযম গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরত এনে নিষিদ্ধ জামায়াতকে পুনরুজ্জীবিত করে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষের চারাগাছটি লাগিয়েছিলেন। যা মিলিটারি এরশাদ ও হাফ মিলিটারি খালেদার নার্সিংয়ে আজ ডালাপালা ছড়িয়ে গোটা বাংলাদেশকে আচ্ছন্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলছেন ও মূলোৎপাটন করে চলেছেন। আর বিএনপি নেত্রী এখনও জঙ্গীবাদের বিষবৃক্ষের চাড়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তাছাড়া যে পাকিস্তান এখনও জঙ্গী বানিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে, প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাচ্ছে, সেই পাকিস্তানের সঙ্গে কারও সম্পর্ক রাখা ঠিক নয়। পাকিস্তানের হাতে আজ সার্কেরও যেন অন্তিমযাত্রা শুরু হলো।

সর্বশেষ যে কথাটি বলতে চাই পাকিস্তানের জাতির পিতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহ তার দ্বিজাতি তত্ত্ব, অর্থাৎ আমি মুসলমান আমার জন্য আলাদা রাষ্ট্র, হিন্দুদের জন্য হিন্দু স্থান এভাবে দুই দেশ সৃষ্টির মাধ্যমে হাজার বছরের ভারতকে দ্বিখ-িত করে যে ক্ষতটি সৃষ্টি করে যান, তা আজও শুকায়নি, বরং ক্যান্সারের মতো মাঝে মধ্যেই নতুন ক্ষত সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে সেই ক্ষতকে ক্যান্সারে রূপ নেয়া থেকে বাঁচিয়েছি। তাছাড়া পাকিস্তান ও ভারত বহু ভাষাভিত্তিক দুই সংস্কৃতির দেশ; আমাদের পাশে ভারত হলেও লাগোয়া পশ্চিমবাংলা, ত্রিপুরা এবং অসমের একাংশ একই ভাষা সংস্কৃতি লালন করছি। আমাদের মধ্যে এই সম্পর্ক কোনদিন টুটবার নয়।

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি -জাতীয় প্রেসক্লাব