লেখকের জবানবন্দী
আমি কোন প্রথাগত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ছিলাম না। এখনো নই। আমি মূলত একজন কাটখোট্টা বিজ্ঞান লেখক। যারা আমায় চেনে এই পরিচয়ই হয়তো কিছুটা চেনে। তবে কাঠখো...ট্টা বিজ্ঞানের লেখা লিখলেও রবীন্দ্রনাথকে একদম জানিনা তা তো নয়। তবে সে জানাটাও বিজ্ঞানের মাধ্যমেই। তাঁর শেষ বয়সে লেখা ‘বিশ্বপরিচয়’ নামের প্রিয় বইটা তো সেই ছোটবেলাতেই পড়া হয়ে গিয়েছিল, তারপর ‘বড় হয়ে’ বিজ্ঞানের নানা বিষয় আশয় নিয়ে পত্র-পত্রিকা এবং ব্লগে লিখতে গিয়েই রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে আবিষ্কার করা আমার। ততদিনে কেবল বিশ্বপরিচয়ের সাথেই পরিচয় ঘটেনি, পাশাপাশি জানা হয়েছে বিখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সাথে বন্ধুত্বের কথা, জেনে ফেলেছি আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীর সাথে বাস্তবতা, দর্শন এবং প্রাচ্য-প্রতীচ্যের সুরের মূর্ছনা নিয়ে কী ভীষণ নিগূঢ় আলোচনা করেছিলেন কবি। এগুলো নিয়ে আমার কিছু বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধ এখানে ওখানে প্রকাশিতও হয়েছে ততদিনে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোন পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ আমি কখনো লিখব তা মাথায়ই ছিলো না কখনো।
কিন্তু এ দৃশ্যপট পালটে গেল এ বছরের (২০১৪) সালের জুন মাসে দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণের সময়। সে ভ্রমণের অংশ হিসেবে আর্জেন্টিনা এবং পেরুতে সপ্তাহ খানেক থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এক ফাঁকে ঢু মেরেছিলাম আর্জেন্টিনার ‘রবি-তীর্থে’ অর্থাৎ, রবিঠাকুরের আর্জেন্টিনীয় বান্ধবী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর বাড়ি ‘ভিলা ওকাম্পো’তে। আমার মেয়েকে নিয়ে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছিলাম সে বাড়িতে। বার হাজারের ওপর বইপত্র, নানা পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র এবং ভিক্টোরিয়ার প্রকাশিত পত্রিকার পুরনো সংখ্যা এবং সে বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে আপ্যায়িত মনীষীদের ছবি সম্বলিত সেই বাড়ি দর্শনের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা তীর্থস্থান ভ্রমণের সাথে তুলনীয় ছিল যেন।
‘ভিলা ওকাম্পো’তে প্রবেশের আগে অনেকের মতো আমিও ভাবতাম ওকাম্পো বোধ হয় কেবল রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য অনুরাগীদের মধ্যে অন্যতম একজন নারী ছিলেন। হয়তো একটু আধটু সাহিত্য রসিক, এবং সাহিত্য অনুরক্ত নারী ছাড়া তিনি তেমন কিছু নন। এছাড়া ওকাম্পোর বলার মতো পরিচয়ই বা আছে কী? কিন্তু সে ধারণা আমূল বদলে গেল আর্জেন্টিনা ভ্রমণ শেষ করে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথির সন্ধান আমি পেলাম, যার আলোকে ওকাম্পোকে জানার চেষ্টা শুরু করলাম। ধীরে ধীরে জানলাম, দক্ষিণ আমেরিকার সাহিত্য সংস্কৃতিতে আধুনিকতা আনয়ন এবং নারীবাদ প্রতিষ্ঠায় ওকাম্পোর কতখানি অবদান ছিল। পাশাপাশি তিনি ছিলেন ভীষণ এক উদ্যমী নারী। তিনি ‘সুর’ নামে একটি পত্রিকা বের করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ত্রিশের দশকে, এবং এর ডাকসাইটে সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন প্রায় চল্লিশ বছর ধরে। বুয়েনোস আইরেস থেকে স্প্যানিশ ভাষায় ছাপানো এ পত্রিকাটি কেবল আর্জেন্টিনায় নয়, সারা দক্ষিণ আমেরিকাতেই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল পঞ্চাশ, ষাট এবং সত্তরের দশকের তাল-মাতাল সময়গুলোতে। হর্হে লুইস বর্হেস, মার্সেল প্রুস্ত, টমাস মান, টি এস এলিয়ট, হেনরি মিলার, জ্যাক মারিত্যাঁ, পল ক্লোদেল, অল্ডাস হাক্সলি, সিমোন ওয়াইল, লিউইস মামফোর্ড, আঁদ্রে জিদ, মার্টিন হাইডেগার, এজরা পাউন্ড সহ সারা পৃথিবীর বিখ্যাত লেখকেরা সে পত্রিকায় লিখতেন। এই পত্রিকার মাধ্যমেই ভার্জিনিয়া উলফের নারীবাদী লেখার সাথে দক্ষিণ আমেরিকার পাঠক-পাঠিকাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ওকাম্পো। পত্রিকা প্রকাশ ছাড়াও সাহিত্য এবং সামাজিক অঙ্গনে তাঁর অবদানের খোঁজ পেলাম ব্যাপক পরিসরে। ভিলা ওকাম্পোর লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখলাম- রবীন্দ্রনাথ, কাইজারলিঙ, ভার্জিনিয়া উলফের মত প্রথিতযশা মানুষদের নিয়ে তিনি বই প্রকাশ করেছেন। অনুবাদ করেছেন কাম্যু, টি ই লরেন্স, ফকনার, ডিলান টমাস, গ্রাহাম গ্রিন সহ অনেকের কাজ। অসংখ্য পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন সারা জীবনে। ১৯৬৭ সালে বিশ্বভারতী থেকে তাঁকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে আর্জেন্টাইন একাডেমি অব লেটার্স’ এর সভানেত্রী (Alberdi Chair) নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এত শত পুরস্কারের ভিড়ে আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত এবং উদ্বেলিত করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া সম্মাননাটি। আমি খুঁজে দেখলাম, ওকাম্পোর আগে বিগত ৩৩০ বছরে মাত্র দশজন নারী এই সম্মাননা লাভ করতে পেরেছিলেন।
তবে পুরস্কার নয়, সবকিছু ছাপিয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে আসলো তার নারীবাদী এবং মানবতাবাদী ভূমিকাটি। বিশেষত নারীদের অধিকারের উপর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেছিলেন, যেগুলো ছিল তখনকার সময়ের তুলনায় যথেষ্ট সাহসী। সে সমস্ত লেখায় তিনি নারী-পুরুষের সাম্যের কথা বলেছেন, নারীর ভোটাধিকারের কথা বলেছেন, নারীর যৌন স্বাধীনতার কথা বলেছেন, বিয়ে এবং পরিবার নিয়ে সনাতন ধারণার বাইরে গিয়ে লিখেছেন, নারীদের উপর পুরুষদের ধর্ষণের প্রতিবাদ করেছেন, এমনকি জন্মনিয়ন্ত্রণ, একক মাতৃত্ব,গর্ভপাতের অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন (‘নারী: তার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ’ শিরোনামের তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখার অনুবাদ এই বইয়ের পরিশিষ্টে সন্নিবেশিত হয়েছে)। ১৯৩৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনা মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন, সে সময় পি.ই.এন-এরও সহ-সভানেত্রী ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে তিনি আর্জেন্টিনায় নাৎসি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে নিয়ে ‘একশন আর্জেন্টিনা’ (Acción Argentina) গঠন করেছিলেন। এ করতে গিয়ে সামরিক জান্তার রোষানলে পড়েছিলেন তিনি তখন। বিশেষত পেরন সরকারের (১৯৪৬-১৯৫৫) আমলে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল রাষ্ট্রবিরোধী মুক্তমত প্রচার এবং প্রকাশের অভিযোগে। সেসময় জহরলাল নেহেরু, ওয়ালদো ফ্রাঙ্ক, গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ওকাম্পোর অসংখ্য বন্ধুবান্ধবদের প্রচেষ্টা এবং দাবীর মুখে ছাব্বিশ দিনের মাথায় সরকার ওকাম্পোকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ওকাম্পো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সহমর্মী বান্ধব ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী গণহত্যার প্রতিবাদে ওকাম্পো প্রতিবাদলিপি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সরকারের কাছে। এ নতুন নতুন তথ্যগুলো আমাকে আনন্দিত এবং গর্বিত করেছে।
আর্জেন্টিনা ভ্রমণ থেকে ফিরে এসে আমি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা বিডিআর্টসের জন্য একটি লেখা লিখেছিলাম – ‘ওকাম্পো আর রবীন্দ্রনাথ : কিছু অশ্রুত গুঞ্জন’ শিরোনামে। আমার ভিলা ওকাম্পো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া নতুন সব তথ্যের আলোকে নতুনভাবে রবীন্দ্রনাথ-ওকাম্পোর সম্পর্ককে বুঝবার প্রয়াস ছিল সে লেখায়। আমি লেখাটিতে দেখিয়েছিলাম ওকাম্পোর সাথে রবীন্দ্রনাথ কেবল ‘প্লেটোনিক ধরণের’ রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াননি, কিংবা ‘বিজয়ার করকমলে’ লিখে ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেই তাঁর আর্জেন্টিনা অধ্যায় শেষ করে দেননি, বরং পূরবী পরবর্তী বহু কবিতা, গল্প এবং উপন্যাসে ওকাম্পোর উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়। ওকাম্পোর প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথের অনেক বিখ্যাত চিত্রকর্মেও। শুধু তাই নয়, আমি লেখাটিতে কিছু উপকরণ হাজির করেছিলাম, যার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হয় যে, ওকাম্পোর সংশ্রব রবীন্দ্রনাথের প্রথাগত নারীভাবনা শেষ বয়সে এসে কিছুটা হলেও পাল্টাতে সাহায্য করেছিল। লেখাটির শেষদিকে এসে আমি আধুনিক বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের প্রেক্ষাপট থেকে রবীন্দ্রজীবনে নারী এবং প্রেমকে বিশ্লেষণ করেছিলাম, যা এর আগে কেউ করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। লেখাটি ছিল বেশ দীর্ঘ। আমি ভেবেছিলাম এ ধরণের একঘেয়ে নিরস লেখা পড়তে পড়তে হয়তো পাঠকদের ক্লান্তি চলে আসবে। কিন্তু পাঠকদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তাতে মনে হয় সেরকম কিছু হয়নি। বরং, যে কোন কারণেই হোক, লেখাটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। অনেক পাঠক সে লেখায় মন্তব্য করে লেখাটিকে পূর্ণাঙ্গ বইয়ে রূপ দিতে অনুরোধ করেন। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করব বিডিআর্টসের সম্পাদক রাজু আলাউদ্দিনের কথা। বিডিনিউজ পত্রিকায় আমার পাঠানো প্রবন্ধটি পড়ে সেটিকে আরও কিছুটা বিবর্ধিত করার পরামর্শ দিয়ে পরবর্তীতে একটি বই প্রকাশের কথা বলেছিলেন। এবং সেটি তিনি বলেছিলেন প্রবন্ধটি পত্রিকায় প্রকাশের পূর্বেই। শুধু তাই নয়, আমাকে চাপ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ-ওকাম্পোর মধ্যকার সারাজীবনে প্রেরিত পত্রাবলীর অনুবাদ করিয়ে নিলেন। কেবল তাঁর কারণেই ওকাম্পো-রবীন্দ্রনাথের মধ্যকার পঞ্চাশটি হাতে লেখা চিঠির অনুবাদ এই গ্রন্থের শেষে সন্নিবেশিত হতে পেরেছে। এখানেই শেষ নয়, বইয়ের পাণ্ডুলিপি হয়ে যাবার পর তিনি পুরো পাণ্ডুলিপিটি পড়ে একটা চমৎকার মুখবন্ধ লিখে আমাকে অসীম কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন তিনি।
রাজু আলাউদ্দিন ছাড়াও আরো দু’জনের কথা আমার আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে। একজন হলেন বন্ধু রাজর্ষি দেবনাথ। তিনি আটলান্টা থাকাকালীন সময়ে আমার পাণ্ডুলিপিটি মন দিয়ে পড়েছেন এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সংশোধনীর পরামর্শ দিয়েছেন। বস্তুত প্রাথমিক প্রুফ-রিডিং এর কাজটুকু হয়ে গিয়েছিল ‘বানান-বিশারদ’ রাজর্ষি থাকার কারণেই।
আর অন্যজন আমার স্ত্রী বন্যা আহমেদ। আমার লেখালিখির সবচেয়ে বড় সমালোচক সে। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রেরণাদাতাও। অফিসের ব্যস্ততা, কাজ কর্ম আর জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বইটার ব্যাপারে যখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তখন বন্যা আমাকে নিরন্তর উৎসাহ দিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় পরিশিষ্টে সন্নিবেশিত ওকাম্পোর ‘নারী: তার অধিকার ও দায়িত্বসমূহ’ শিরোনামের লেখাটার পুরোটা অনুবাদে সাহায্য করেছে নিজের সমস্ত কাজকর্ম শিকেয় তুলে রেখে। বন্যা না থাকলে বইটা আদৌ বের হতো কিনা আমি একেবারেই নিশ্চিত নই।
আর আছেন অবসর প্রকাশনীর সর্বেসর্বা আলমগীর রহমান। এই আলমগীর ভাইকে আমি ভীষণ ভয় পাই। উনি একসময় আমার ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ এবং আমার স্ত্রী বন্যার ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বই দুটো প্রকাশ করেছিলেন। সে প্রায় সাত আট বছর আগের কথা। এর পর থেকে বই প্রকাশের জন্য উনার দ্বারস্থ হয়ে উঠা হয়নি। আমার বরাবরই মনে হত, আমার লেখা টেখা উনি বিশেষ পছন্দ করেন না। কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে এবার বিডিনিউজে আমার লেখাটি প্রকাশের পর তিনি এ নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই পাণ্ডুলিপি যেন তাকে ছাড়া আর কাউকে যেন না দেয়া হয়, দিলে ‘ছিল্লা কাইট্টা’... বলে মহা ভয় দেখিয়েছেন। সেই ভয়ে যার পর নাই ভীত হয়ে পাণ্ডুলিপি তার হাতেই তুলে দিলাম। তবে কানে কানে বলে রাখি বাজারে একটা কথা প্রচলিত আছে যে আলমগীর ভাই নাকি নারকোলের মত। উনার কেবল বাইরের খোলসটাই শক্ত, ভিতরটা নাকি একদম নরম। তবে অনেকেই ভিতরের খবর পায় না। আমি পেয়েছি কিনা বলতে পারব না, তবে বুঝতে পেরেছি তিনি ভাল বই প্রকাশের ব্যাপারে কেবল আন্তরিকই নন, সেই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রফেশনাল এবং সবচেয়ে ভাল প্রকাশক - উনার কাজের সাথে যারা পরিচিত তাঁরাই বলতে পারবেন। বইটি অবসরের কাছে তুলে দিতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত বোধ করছি।
বিডিআর্টসে প্রকাশের কিছুদিন পর মুক্তমনা ব্লগেও আরেকটু বিবর্ধিত আকারে লেখাটি প্রকাশ করেছিলাম – ‘ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে’ শিরোনামে। বইটির জন্য এ শিরোনামটিই যুক্তিযুক্ত মনে হওয়ায় সেটাই রেখে দিলাম। নতুন শিরোনাম খোঁজার যন্ত্রণা থেকে অন্তত বাঁচা গেল! বইটি পাঠকদের ভাল লাগলে আনন্দিত বোধ করব।
অভিজিৎ রায়
ইমেইল – charbak_bd@yahoo.com
ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ইমেইল – charbak_bd@yahoo.com
ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
==================