Sunday, May 1, 2016

তবু সিনায় সিনায় লাগে টান-পুড়ে যায় জ্বলে যায় বন্ধুতা- সুমি খান

ভারত -বাংলাদেশের নাগরিকদের শেকড়ের একই টান-
একই গঙ্গা -পদ্মার আবাহনে সিনান।
তবু সিনায় সিনায় লাগে টান-
পুড়ে যায় জ্বলে যায় চিরবন্ধুতার সেতারের তিন তার-
গেয়ে ওঠে  রক্তস্নাত বিরহী কন্ঠের  রাগসঙ্গীত...বহে যায়  কাল নিরবধি ।
এমনই এক আত্মকথনের  দিনলিপি আজ তুলে ধরি পাঠকের কাছে।

First of all ,my  gratitude to past and present Indian High commissioners and Asst High commissioners of India .But Sorry to say here,very unfortunately present Indian High Commission or Asst High Commission officers behave extremely non professional. Some of them even told, when they (staff/officers of visa office deny the order of the hn'ble High commissioner or Asst high commissioner,And even  Said, "...they (Hn'ble HC /AHC should have to know -they (HC/AHC) don't have any power" . This bad practice is the reality.

Who  behave to visa applicants (Specially who are Secular or Anti Racism activists ) as if the applicants are their Subordinate!
বাংলাদেশ থেকে পেশাগত কাজে বা চিকিৎসার জন্যে বা  পড়ালেখা, স্কলারশীপ,ফেলোশীপ অথবা আমন্ত্রিত হয়ে ভারতে যাচ্ছেন অনেকে- অন্যান্য দেশে ও যান অনেকে।
তবে  অনেকে বলেন, এসব স্কলারশীপ , ফেলোশীপ বা  ভিসা দেবার জন্যে বা হাইকমিশনের বিশেষ দিবসের আমন্ত্রিতদের তালিকায়  প্রথম সারিতে থাকেন  কওমী মাদ্রাসা, জামাত শিবিরের খঞ্জরধারী ঘাতকেরা, তাদের অনুসারী -যারা চরম ভারত-বিরোধী  পাকিপন্থী সাম্প্রদায়িক শক্তি বা ভারতের বৈরি রাজনীতিক, তারা।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনা  এখানে তুলে ধরা হলো। অনেকের সাথে মিলে যেতে পারে এ ঘটনা। সেটাই বাস্তব।
সাধারণ কোন পেশাদার , স্থায়ী ঠিকানার থেকে অনেক দূরে থাকেন।
কর্মক্ষেত্র ছেড়ে ভিসা নিতে  ভারতীয় হাইকমিশন বা সহকারী হাইকমিশনে যেতে পারছেন না।
ভারতীয় ভিসার ফর্ম পূরণ করতে হলেও অনেক হ্যাপা। সেসব নিয়ে বড়ো বাণিজ্য। এ নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখানো হয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনকে । কিছুদিন এসব ঝামেলা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও, একই পরিস্থিতিই রয়ে গেছে। একটি কম্পিউটার নিয়ে বসে যে কারো  শত শত টাকা থেকে  লক্ষ টাকা হয়ে যায়; শুধু ভিসা ফর্ম পূরণের সিন্ডিকেটের অংশ যদি তিনি হন। যাই হোক্ , ভিসা ফরম অনলাইনে সহজলভ্য না হলে এদের দ্বারস্থ হতেই হবে। সেভাবে ভিসা ফরম ও পূরণ হলো।
 হাইকমিশনে ফোন করে  যোগাযোগ করলেন ভিসা প্রার্থী । দীর্ঘক্ষণ কথা হলো  এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে। তাঁর কথামতোই পরদিন সকালে  ভিসাপ্রার্থীর সন্তানকে পাঠানো হলো হাই কমিশনে। কিন্তু  আগের দিন দীর্ঘক্ষণ কথা বললেও  পরদিন সকালে সেই কর্মকর্তা আর ফোন ধরলেন না।
 ভিসা প্রার্থীকে বাধ্য হয়ে সম্মানিত সহকারী হাইকমিশনারের কাছে ফোন করতে হলো। বেশ বিনয়ের সাথে তিনি সাড়া দিলেন এবং ভিসাপ্রার্থীর সন্তানকে ডেকে নিয়ে ফর্মটি দেখলেন।সব যথাযথ দেখে সহকারী হাইকমিশনার নিজে দায়িত্ব নিয়ে দ্রুততার সাথে সেই ভিসা ফরমে  স্বাক্ষর করে নির্দেশনা দিলেন প্রসেস করার জন্যে।
হা হতোস্মি!
প্রধান কর্তাব্যক্তির স্বাক্ষর আছে বটে , তাতে কী? কে তার স্বাক্ষর বা নির্দেশের তোয়াক্কা করেন?
টোকেন দিতে সাড়ে ৩ ঘন্টার বেশী লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো ভিসাপ্রার্থীর সন্তানকে।
প্রচন্ড দাবদাহে কোন কাজ থেমে নেই । হয়রানি ও থেমে নেই।
সকাল ১১টা থেকে যতোবার ই ফোন করা হয়, "হয়ে যাচ্ছে" বলেও নানান টালবাহানা । এভাবে বেলা ৩টা বাজে প্রায়।ভিসাপ্রার্থীর মা ও  বাইরে প্রতীক্ষারত । বেলা দ্বিপ্রহর পেরিয়েছে সেই কবে।
ভিসাপ্রার্থী 'অপরাধী'র মা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আজীবন সংগ্রামী। তিনি এর কয়দিন আগে মাত্র নিউমোনিয়া থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
সহকারী হাইকমিশনার এসব  কিছু না জানলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেটা খুব ভালো করেই জানতেন। তবে তাতে কি? ভিসা দেয়া কি মুখের কথা?  অসুস্থ হলে কী হবে, তিনি তো তাঁর সন্তানের  ভিসাটি নিতে গিয়েই 'অপরাধ 'করেছেন।
তাঁর আরো অপরাধ অবসর জীবনে আরাম না করে, অসুস্থ শরীরে বিশ্রাম না নিয়ে নিপীড়িত বঞ্চিতদের আইনী এবং আর্থিক সহযোগিতা দেন নিয়মিত।বেশ কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াচ্ছেন। আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা করেন। - সেই নিপীড়িত বঞ্চিতরা দূর দূরান্ত থেকে অপেক্ষা করে আছেন তাদের এই ত্রাতার জন্যে। মাঝে একদিন হাইকমিশন বন্ধ ছিল। এভাবে পরপর তিন/চার দিন- প্রতিদিনই ধর্ণা দেয়া, প্রতিদিনই  ঘন্টার পর ঘন্টা হিটওয়েভে অপেক্ষা করা নিয়ম হয়ে গেলো।
এক পর্যায়ে রিসেপশন থেকে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হলো, " স্যারের সিগনেচার থাকার পরও এতোক্ষণ আপনার ছেলেকে লাইনে  দাঁড় করিয়ে রাখা হলো ? " এর আগের দিন যিনি কথা বলেছিলেন, তাকে এতোক্ষণে পাওয়া গেলো , জবাব দিলেন, "আসলে হয়েছে কি, স্যারের সাথে কথা বলেছেন তো, আমাদের তো আর কিছু করার থাকে না। এসব আমাদের কাজ ও নয়। " তিনি যে কোন ভাবেই সাড়া দেন নি। আগের দিন তার নির্দেশনা মতো  সময়ে ফর্ম পাঠানোর পর ও তিনি এড়িয়ে গেছেন-কী কারণে এড়িয়ে গেছেন, তাও বললেন না।  বেশ সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গেলেন পুরো বিষয়টা।
আবারো ভিসাপ্রার্থীর মাতা গেলেন সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের গেটে।কিন্তু  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেউ ফোন ধরলেন না। প্রায় ২ ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হলো ভিসাপ্রার্থীর মায়ের। পরে শেষ বিকেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ফোন করে প্রশ্ন করলেন, পাসপোর্টটি নিতে কেউ যায় নি কেন।জানালেন, পরদিন তাদের অফিস  বন্ধ।
বন্ধের পরদিন আবার বৃহস্পতিবার । ভিসাপ্রার্থীর মাতা আবারো গেলেন।
 শুধু তো পাসপোর্টটি নেয়া, এ আর কতোক্ষণের কাজ । দেড় ঘন্টার পথ যাওয়া আসায় তিন থেকে চার ঘন্টা । এর পর  পাসপোর্টটা দিলেই অফিসে ফিরে আসা।
কিন্তু সহকারী হাইকমিশনের গেটে অপেক্ষা করতে করতে রিসেপশানে  বারবার ফোন করলেন সেই মানবাধিকার সংগঠক এবং মুক্তিযোদ্ধা নারী , সমাজের নিপীড়িতদের সেবা করা যার ব্রত। জানতে চাইছেন, সম্মানিত কর্মকর্তাদের কখন দয়া হবে, করুণা হবে- পাসপোর্টটি দেবেন তারা। কিন্তু না। সাড়া নেই।
সন্তানের চিকিৎসা করতে জরুরী ভাবে ভারতে যাওয়ার কথা , তাই অধীর হয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুণেন মা- পাসপোর্টটি কখন ভিসাসহ হাতে পাবেন।
না, সেই কর্মকর্তার সময় নেই কথা বলার । তিনি অফিসে ঢুকেই সব শুনেছেন। পাসপোর্টটি তো তারই ড্রয়ারে। সেটা বের করে পিয়নকে দিয়ে পাঠানোর সময় কোথায় তাঁর? যদিও  তিনিই বলেছেন আসতে; থাকনা বাইরে অপেক্ষমান।  তাঁর কল রিসিভ করা বা তাঁকে ভেতরে ডেকে বসবার যোগ্যতা কি আর এসব 'মহিলা' রাখেন? তিনি তো  কোন ব্যবসায়ী নেত্রী নন। অথবা জামাত বা ভারতবিরোধী কোন জোটের নেত্রী নন।
তুচ্ছ এসব বিষয় না ভেবে বড়োকর্তার রুমে মিটিংয়ে চলে গেলেন  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ।
বাইরে অপেক্ষমান সেই মুক্তিযোদ্ধা মানবাধিকার সংগঠক মায়ের উদ্বেগ -তাঁর সাহায্য-সহযোগিতা প্রত্যাশী দীর্ঘক্ষণ প্রতীক্ষারত নিরীহ নিপীড়িতদের জন্যে।তাঁর অফিসে ফিরে যেতেও কমপক্ষে দু'আড়াই ঘন্টা লাগবে। সেই দরিদ্র মানুষগুলোকে তো আবার কাজে ফিরে যেতে হবে। সেও তো অনেক দূর গ্রাম।এই অসহায় মানষগুলোকে তো ফিরিয়ে দেয়া যায় না। দীর্ঘক্ষণ প্রতীক্ষাও করানো যায় না।
ভিসাপ্রার্থী সন্তান সকাল থেকে হাইকমিশনে  অনেকবার ফোন করার পর বারবার ই জবাব এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আসেন নি। এক পর্যায়ে জবাব এলো, "বলা যাচ্ছে না কিছু, মাত্র মিটিংয়ে বসেছেন...বাবু। আপনি  সকাল থেকে চারবার ফোন করেছেন, আপনার মা চারবার ফোন করেছেন -সবই বলেছি। তিনি তো মিটিংয়ে বসে গেছেন।"
 বাধ্য হয়ে চরম রূঢ়ভাষায় ভিসাপ্রার্থীকে এর জবাবে বলতে হয় , "যথেষ্ট হলো।এতো হয়রানির আর প্রয়োজন নেই , পাসপোর্টটি দয়া করে ড্রেনে ফেলে দিতে বলবেন তাঁকে। আমার মা  অসুস্থ । তাঁকে এই প্রখর দাবদাহে অপেক্ষা করানোর আর প্রয়োজন নেই ।এই সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। "
 অপারেটর এ কথা জায়গামতো পৌছে দিলে দ্রুততার সাথে ফিরতি কল এলো।বেশ দায়িত্ব নিয়েই তিনি তার 'দয়াপরবশতা'র কথা জানান।সেই সাথে পাসপোর্টটি গেটে পৌছে দেন।
তিনি জানান, তিনি দয়া করেছেন পাসপোর্টটি রেখে ।
 এই চিত্র প্রমাণ করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করা  সাম্প্রতিক সময়ে একটু বেশি অপরাধ।
ভিসা চাইতে গেলেই তা কর্মকর্তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন বারবার ।
তবে  বিস্ময়কর হলেও এমন অনুযোগ ও রয়েছে  ,এই হয়রানি কখনো কোনকালে বিএনপি বা জামাত নেতা কর্মীদের সাথে হয় না।
 বরং তারা বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত হন দূতাবাসের সকল অনুষ্ঠানে।
এই আমন্ত্রিতদের তালিকা বেশ বড়োই হয়। যে তালিকায় 'খুঁটিহীন'  নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক বা আজীবন সংগ্রামী  বা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা শহীদ পরিবার অনুপস্থিত ।
কারণ হয়তো এরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভোটার বা সেক্যুলার ভোটার । যাদের এদেশের রাজনীতিবিদরা  'পকেট' মনে করেন। ভারতের ভিসা অফিসের কর্মকর্তারা ও কি তাই মনে করেন?
 বিশাল ভুল করছেন তারা।
ভিসা প্রার্থী বা তাদের পরিবারের সাথে এমন অন্যায় আচরণ কখনো কাঙ্খিত হতে পারেনা। আর তা নিয়ে যখন আরো উদ্ধত আচরণ, সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
তা চরম অন্যায়, যে অন্যায়ের কোন ক্ষমা নেই।
ভারত বাংলাদেশের বন্ধুদেশ। এ দেশের সাথে বাংলাদেশের জন্ম জন্মান্তরের অকৃত্রিম বন্ধন । আর তাই এদেশের ভিসাাপ্রার্থীদের সাথে কোনোা হীনমন্যতার সুযোগ নেই ।এ ধরণের অন্যায় আচরণের প্রমাণ এবং  রেকর্ড অনেক।সব কিছুরই শেষ থাকে।  এ অন্যায় আচরণের ও শেষ থাকতে হবে।...

 গেদে সীমান্ত পথে যাবার ভিসা পাওয়া বা  ট্রেনের টিকেট পাওয়া আবার সোনার হরিণ-তাই বলে যাওয়া-
"Missed the appointment of Doctor ...Just Delaying to go Madras to take the followup treatment..
Need the train travel access .
But again the staffs will ask to wait unlimited time ...nobody can assure, when it will go to the end...!!"
স্বগতোক্তি ভেসে আসে ,"  গরীবের আর কী আছে আত্মসম্মান ছাড়া? সেটাই যদি হারাতে হয়,আর থাকেটা কি?? তার চেয়ে বাবুসাহেবেরা তোমরাই থাকো তোমাদের চিহ্নিত শত্রু যমদূত  বন্ধুদের নিয়ে। আমরা  নাহয় গেলাম না ভারত। ভিসা চাওয়ার অপরাধে যে আচরণ তোমরা আমাদের দাও, তার চেয়ে  এদেশে ভুল চিকিৎসায় আজীবন পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুই  মঙ্গল..."