Saturday, July 21, 2012

বিশ্ব পুঁজিবাজারে ব্যাপক ধস

বিশ্বের শেয়ারবাজারগুলোতে গত বৃহস্পতিবার ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও একদিন পর শনিবার আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, অফ্রিকা এবং এশিয়ার অধিকাংশ শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গেছে।

শনিবার ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার অধিকাংশ স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ইউরোপের শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে ইউরো স্টকস ৫০ প্রাইস ইইউআর’র সূচক ৬৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে, এফটিএসই ১০০ সূচক ৬২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে এবং সিএসি ৪০ সূচক ৬৯ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ১৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

 জার্মানির ডোসি বোর্স এজি জার্মান স্টক ইনডেক্স ডিএএক্স ১২৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৬৩০ পয়েন্টে, আইবিইক্স ৩৫ সূচক ৩৮৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে, এফটিএসই এমআইবি সূচক ৫৯৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৭ পয়েন্টে, সুইস মার্কেন্ট সূচক ৩৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে এবং স্টক্সস ইউরোপ ৫০ প্রাইস সূচক ৩৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

 এশিয়ার বাজারগুলোতে সূচকের ব্যাপক পতন হয়েছে। এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জাপানের নিক্কি-২২৫ সূচক ১২৫ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে, টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ পয়েন্ট কমে ৭৩৩ পয়েন্টে, হংকংয়ের হ্যাং স্যাং সূচক ৮১ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৬৪০ পয়েন্টে, এসঅ্যান্ডপি ২০০ সূচক ৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে স্থির হয়।

এছাড়া, এস অ্যান্ড পি এশিয়া ৫০ সিএমই সূচক ২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ১২৭ পয়েন্টে এবং কোরিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ কেওএস সূচক ০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮২২ পয়েন্টে, সাংহাই শেনঝেং সিএসআই ৩০ সূচক ২৫ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৯৮ পয়েন্টে এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ১৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে স্থির হয়।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শেয়ারবাজারের মধ্যে মেক্সিকান স্টক এক্সচেঞ্জ মেক্সিকান বোলসা আইপিসি সূচক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪০ হাজার ৮০৮ পয়েন্টে এবং মেক্সিকান স্টক এক্সচেঞ্জ আইএনএমইএক্স সূচক ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে ডাউ-জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ মূল্যসূচক ১২০ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮২২ পয়েন্ট, এস অ্যান্ড পি ৫০০ ইনডেক্স ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে, নাসডাক কম্পোজিট সূচক ৪০ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯২৫ পয়েন্ট এবং নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৭৫৯ পয়েন্টে, সান্টিয়াগো স্টক এক্সচেঞ্জে ৩১ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে সূচক ২১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শেরপুরে মেধাবী মুখ আঙ্গুরার চমক!






Thu 19 Jul 2012 11:50 AM BdST
rtnn

শেরপুর, ১৯ জুলাই:মাধ্যমিকে (এসএসসি) গোল্ডেন জিপিএ-৫।
অভাবী সংসারে খরচ যোগানের শঙ্কায় পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম। কতিপয় মানুষের সহায়তায় ফের কলেজমুখী, উচ্চ মাধ্যমিকে (এইচএসসি) আবারও গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে চমক! গল্প নয়, বাস্তবের এই প্রতিচ্ছবি শেরপুরে দিনমজুর আব্দুল আজিজের মেয়ে আঙ্গুরার।

আঙ্গুরা এবার শেরপুর মডেল গার্লস কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে অভাবনীয় এই সাফল্য অর্জন করেছে। তাদের বাড়ি শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ঘেষা রামনগরের চতল গ্রামে। আঙ্গুরার বাবা আব্দুল আজিজ দিনমজুর, মা আমেনা গৃহিনী।আঙ্গুরার বাবা অন্যের জমিতে দিনচুক্তি কাজ করে চালান চার ভাই-বোনের সংসার। ছনের ঘরে কুপি বাতিতে পড়ালেখা করে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল আঙ্গুরা।  অভাবের কাছে হার মেনে পড়াশোনা বাদ দিয়ে মেয়েকে ঘরে বসিয়ে রাখেন বাবা আব্দুল আজিজ




জেলার বিভিন্ন কলেজে ভর্তির সময় শেষ হয়ে যায়। দরিদ্রতার কারণে ভর্তি হতে পারে না আঙ্গুরা। তবে মেধাবী আঙ্গুরার খবর পেয়ে জেলার কয়েকজন সাংবাদিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তারা মেয়েটিকে জেলা শহরের মডেল গার্লস কলেজে ভর্তি করে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ আঙ্গুরার ফলাফল ও পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেন। একই সাথে তিনি তার সার্বিক দায়িত্ব নেন। দুই মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলেও বাড়ি পাঠাতে পারেননি অধ্যক্ষ আতাউর রহমান। বাড়িতে অভুক্ত থাকবে জেনে অধ্যক্ষ নিজ তত্ত্বাবধানে কলেজ হোস্টেলেই রেখে দিয়েছেন।

কলেজের সহযোগিতা আর নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে আঙ্গুরা এবার এইচএসসিতেও মানবিক শাখা থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এমন ফলাফলের পরেও আঙ্গুরার চিন্তার শেষ নেই। দারিদ্রতা তার সোনালী ভবিষ্যতকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।

কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জানিয়েছেন, ‘দরিদ্র এই মেয়েটি সুযোগ পেলে দেশের অহঙ্কার হবে। তার মেধা ও মনন ঐশ্বরিক। তাকে সহায়তায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’

দরিদ্র পিতা আব্দুল আজিজ মেয়ে কি ফল করেছে তা বুঝতে না পারলেও ভালো যে করেছে- তা মানুষের মুখে মুখে শুনে বুঝতে পারছেন। তবে তার মনেও শঙ্কা মেয়ে নিয়ে তিনি কি করবেন? তিনি বলেন, ‘মেয়েটিকে তিনি ওই কলেজেই রেখে পড়ালেখা করাবেন।’

কলেজটিতে যে উচ্চ মাধ্যমিকের বেশি পড়ালেখা করা যায় না- অক্ষরজ্ঞানহীন সহজ-সরল এই মানুষটি জানেন না। তাকে বিষয়টি স্মরণ করে দেওয়া হলে যেন আকাশ ভেঙে তার মাথায় পড়ার অবস্থা। শুধু একটি শব্দই উচ্চারণ করেন- ‘তাহলে আমার আঙ্গুরা মায়ের কি হবে?’
রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম

Friday, July 20, 2012

চারটি ককটেলের বিষ্ফোরণ-জড়িত রয়েছেন বগুড়া সদর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সম্ভু:জেলা যুবদল সভাপতি

বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় পরপর চারটি ককটেলের বিষ্ফোরণ হয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।  জেলা যুবদল সভাপতি সিফার আল বখতিয়ার অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সদর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান সম্ভু।  তিনি বলেন, “এর আগে ককটেল বানানোর সময় বিষ্ফোরণে সম্ভুর একটি হাত নষ্ট হয়ে গেছে। তার নেতৃত্বে যুবদলের মিছিলে হামলা করা হয়েছিল।”  এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করে আতাউর রহমান সম্ভুকে পাওয়া যায়নি।  

 সিফার আল বখতিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেয়জেলা যুবদল। এরপরই এ বিস্ফোরণ হয়। 

সংবর্ধনা চলাকালে এ বিস্ফোরণ হলে অনেক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হতে পারত বলে তিনি দাবি করেন।  বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক মাহমুদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর শোক



 ঢাকা, জুলাই ২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক, বিশিষ্ট নাট্যকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক হুমাযুন আহমেদের মৃত্যুতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় বলেন মেধাবী ছাত্র হুমায়ুন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার গন্ডি পেরিয়ে বাংলা সাহিত্যে একজন জনপ্রিয় লেখকের স্থান দখল করেছেন। তিনি স্বাবলীল বিচরণ করেছেন নাট্য ও চলচ্চিত্র জগতে। তাঁর বহুমূখী সৃজনশীল সৃষ্টি কালজয়ী হয়ে থাকবে। তাঁর অকাল মৃত্যু বাংলা সাহিত্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

(সুবোধ চন্দ্র ঢালী)
সিনিয়র তথ্য অফিসার





Thursday, July 19, 2012

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেহাবশেষ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত৻


দেহাবশেষ ভারত দেবে বাংলাদেশকে



’৭১-এ যুদ্ধ চলাকালীন নিহত মুক্তি বাহিনীর দুই হাজারেরও বেশি সদস্যকে ভারতের অর্ধে বা ‘নো ম্যানস ল্যাণ্ডে’ কবর দেওয়া হয়েছিলো৻
সেই যোদ্ধাদের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তা দেওয়া হবে বাংলাদেশের হাতে৻
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেছেন, গত জুন মাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ভারতে আসে৻
সেই সময়ে এই মর্মে একটি তালিকাও দিল্লির হাতে তুলে দেয় ঢাকা৻
বিবিসি বাংলার হাতে আসা এই তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ‘ডিএনএ পরীক্ষা’ করা হতে পারে বলে জানান সৈয়দ আকবরউদ্দিন৻
অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে মি: আকবরউদ্দিন বলেন, কবরে শায়িত মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হতে পারে৻
মোট ২৪১৬ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা বলা হয়েছে তালিকায়৻
কি আছে তালিকায় ?
শহীদ অধ্যাপক ওয়াহাব তালুকদার: অধ্যাপক ওয়াহাব তালুকদারের কবরটি রয়েছে ভারতের কুচবিহার জেলার কলামতী গ্রামে৻ গ্রামটি জয়মনিরহাটের কুড়িগ্রামের লাগোয়া৻ জয়মনিরহাটের কাছে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ‘পিলার নম্বর ৯৫৪’ সংলগ্ন অঞ্চলে তিনি শহীদ হয়েছিলেন৻ তাঁর মুক্তিফৌজ নম্বর ছিলো এস এইচ এ ০০৩৯৭৬৻
শহীদ তৌহিদুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার আগে শহীদ তৌহিদুল ইসলাম পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশে কাজ করতেন৻ তাঁর কবরটি রয়েছে শিখরপুর স্কুলে৻ স্কুলটি ভারতীয় সীমান্তের লালগোলা বর্ডার আউটপোস্টের কাছে৻ ১৯৭১ সালে ২১শে আগস্ট রাজশাহী-চাপাই নবাবগঞ্জ রোডে ‘অভয়া সেতুর‘ লড়াই-এ শহীদ হয়েছিলেন তৌহিদুল ইসলাম৻ তাঁর দেহ লালগোলার মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো৻ আর সেইখানে শিবিরের কাছেই শায়িত আছেন শহীদ তৌহিদুল ইসলাম৻
শহীদ দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট ইমদাদুল হক, বীর উত্তম: শহীদ দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট ইমদাদুল হকের কবর রয়েছে ভারতীয় সীমান্তের আট কিলোমিটার ভিতরে কদমতলার চল্লিশধন বলে এক জায়গায়৻ আরও নির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে জায়গার নাম কুকিতাল৻ কবরটি একটি মসজিদের আছে এবং জমির মালিক মসজিদের ইমাম৻ ১৯৭১ সালের ৭ই নভেম্বর ধামাই-এর চা বাগান সংলগ্ন অঞ্চলে পাকিস্তানি ফৌজের উপরে হামলা চালান ইমদাদুল হক৻ সেই সময়ে তিনি ৮ নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন৻ তিনি শহীদ হ্ওয়ার পরে অভিযান বন্ধ করে দিতে হয়৻ ইমদাদুল হকের সঙ্গীসাথীরা তাঁর দেহ ভারতে নিয়ে যান৻
"কাজটি সহজ নয়, কিন্তু কাজটি করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
সৈয়দ আকবরউদ্দিন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক মুখপাত্র
এই ভাবে তালিকায় ২৪১৬ জনের কথা বলা হয়েছে৻ তবে নাম দেওয়া হয়েছে মোট ২৪ জনের৻
বাকিদের নাম না থাকলেও, ঠিকানা কিন্তু রয়েছে৻ যেমন, তালিকার ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রায় ২০০০ স্বাধীনতা সংগ্রামীর কবর রয়েছে আমপাতি গ্রামে৻ গ্রামটি মেঘালয়ের পশ্চিম-গারো পর্বতের কাছে৻’
তবে ‘শহীদ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভারতে কবরের তালিকা’ শীর্ষক তিন পাতার তথ্যসমৃদ্ধ তালিকাটির কয়েকটি জায়গায় নির্দিষ্টতার অভাব রয়েছে৻
যেমন, ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে ৩৫ জন ‘অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামী’র প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে যে তাঁদের কবর রয়েছে ‘নো ম্যানস ল্যাণ্ডে’, সিলেট সীমান্তের তামাবিল চেকপোস্টের কাছে৻
‌এই যাবতীয় কবরের সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেহাবশেষ খুঁজে বার করা যে সহজ কাজ নয় তা স্বীকার করছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক৻
মুখপাত্র সৈয়দ আকবারউদ্দিনের বক্তব্য
“কাজটি সহজ নয়, কিন্তু কাজটি করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন৻
আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে মি: আকবরউদ্দিন বলেন, “গত মাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা যখন ভারতে এসেছিলেন তখন তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো পূর্ব সীমান্তে৻ তাঁরা গিয়েছিলেন আগরতলা, শিলং, গৌহাটি এবং কলকাতায়৻ প্রতিটি জায়গায় রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন৻ একটি নোডাল অফিসারের পদ তৈরি করা হয়৻ এই অফিসাররা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কবরের স্থান চিহ্নিতকরণের কাজ করবেন৻”
এই বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানান মি: আকবরউদ্দিন৻
"প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছিলো৻ সেই সহমতকে এখন বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মাত্র৻"
সৈয়দ আকবরউদ্দিন, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রক মুখপাত্র
“প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছিলো৻ সেই সহমতকে এখন বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মাত্র৻”
আর এই কারণেই ভারতের তিন প্রধান মন্ত্রক - প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকেও সক্রিয় করতে মাঠে নেমেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর৻
তিস্তা বা সীমান্ত চিহ্নিতকরনের ক্ষেত্রে চুক্তি সই করেও কিছুটা পিছিয়ে যেতে হয়েছে ভারত সরকারকে৻ এ ক্ষেত্রে অবশ্য তাই কোনও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে গোড়া থেকেই সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়েছে ভারত৻
তবে সমস্যা বা প্রশ্ন একটা থাকছে.স্বাধীনতার চল্লিশ বছর বাদে কিভাবে বোঝা যাবে তালিকায় যাঁর নাম রয়েছে তাঁর কবরই খুঁড়ে তোলা হলো ?
“প্রথমে চিহ্নিতকরণ এবং পরে তা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া…এমনটাই কিছুদিন আগে করা হয়েছিলো বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ক্ষেত্রে৻ নানান ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছিলো৻ যেমন তাঁর জানাজায় যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিলো৻ স্থানীয় মানুষের সাহায্য নেওয়া হয়েছিলো৻ এই ধরনের পদক্ষেপ এ ক্ষেত্রেও গ্রহণ করা হতে পারে৻ এবং প্রয়োজনে ডি এন এ পরীক্ষার সম্ভাবনাও থাকছে,” বললেন সৈয়দ আকবরউদ্দিন৻
তবে যেহেতু কাজটি জটিল ও বিস্তৃত, ফলে ঠিক কতো দিনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হবে তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রক

হুমায়ূন আহমেদ আর নেই....



হুমায়ূন আহমেদ, ২০১১


হুমায়ূন আহমেদ
 (১৩ নভেম্বর১৯৪৮ — ১৯ জুলাই২০১২) বিংশ শতাব্দীর বাঙ্গালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং নাট্যকার। বলা হয়, বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। ২০১১ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অতুলনীয় জনপ্রিয়তা সত্বেও তিনি অন্তরাল জীবন-যাপন করেন এবং লেখলেখি ও চিত্রনির্মাণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। ২০১১-এর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দেহে আন্ত্রীয় ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে টিউমার বাইরে ছড়িয়ে না-পড়ায় সহজে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন।[২] হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশ দূতাবাসে সিনিয়র স্পেশাল অ্যাডভাইজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার  কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে তৎকালীনপূর্ব পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন[৬] তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের_মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরমহকুমার এসডিপিও[৭] হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। তাঁর বাবা লেখালিখি করতেন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে[৮]তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট।
ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল ছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তাঁর পিতা স্বীয় নাম ফয়জুর রহমানের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে তিনি নিজেই নাম পরিবর্তন করে ‌‌‌হুমায়ূন আহমেদ রাখেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তাঁর পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন। তাঁর ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল শেফালি।[৯]
হুমায়ূন আহমেদের প্রথমা স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদ। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। এই দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। অন্য আরেকটি ছেলে অকালে মারা যায়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যভাগ থেকে শীলার বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে। এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানকল্পে ২০০৫-এ গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ঐ বছরই শাওনকে বিয়ে করেন। এ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যাটি মারা যায়। ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন। ২০১১-এর সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসার সময় তাঁর আন্ত্রীয় ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।[১০]

[সম্পাদনা]শিক্ষা এবং কর্মজীবন

তাঁর বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হনএবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে লেখালেখি, নাটক নির্মাণ এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন।


সাহিত্যকৃতি

স্বগৃহে বৈঠকী আড্ডায় হুমায়ূন আহমেদ
ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যজীবনের শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটির নাম নন্দিত নরকে। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত বাঙলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। 
শঙ্খনীল কারাগার তাঁর ২য় গ্রন্থ। এ পর্যন্ত (২০০৯) তিনি দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশনা করেছেন। তাঁর রচনার প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো 'গল্প-সমৃদ্ধি'। এছাড়া তিনি অনায়াসে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অতিবাস্তব ঘটনাবলীর অবতারণা করেন যাকে একরূপ যাদু বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা যায়। তাঁর গল্প ও উপন্যাস সংলাপপ্রধান। তাঁর বর্ণনা পরিমিত এবং সামান্য পরিসরে কয়েকটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে চরিত্র চিত্রণের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিভা তাঁর রয়েছে। যদিও সমাজসচেতনতার অভাব নেই তবু লক্ষ্যণীয় যে তাঁর রচনায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিত। সকল রচনাতেই একটি প্রগাঢ় শুভবোধ ক্রিয়াশীল থাকে; ফলে 'ভিলেইন' চরিত্রও তাঁর লেখনীতে লাভ করে দরদী রূপায়ণ।[১১] অনেক রচনার মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধির প্রচ্ছাপ লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস মধ্যাহ্ন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিগণিত। এছাড়া জোছনা ও জননীর গল্প আরেকটি বড় মাপের রচনা যা কি-না ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধ অবলম্বন করে রচিত। তবে সাধারণত তিনি সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে লিখে থাকেন।

Wednesday, July 18, 2012

জীবন সঙ্কটে হুমায়ূন আহমেদ: ফুসফুসে পানি



লেখক হুমায়ূন আহমেদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

ঢাকা, জুলাই ১৮ - যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন 
আহমেদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) 
আছেন।তার দেহে একটি ভাইরাস সংক্রমণ ঘটছে, যা সনাক্ত 
করা যাচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদকে দেখে আসার পর জাতিসংঘে
 বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এম এ মোমেন
 বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
 “তিনি (হুমায়ূন)সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন। তার ফুসফুসে 
পানি জমেছে। তবে তার মস্তিষ্ক কাজ করছে বলে
 জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।“তার শরীরে একটি ভাইরাসের
 সংক্রমণ হয়েছে।  ভাইরাসটি সনাক্ত করতে না পারায় 
চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা আমাকে
 জানিয়েছেন।”নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে বেলভ্যু হাসপাতালে
 চিকিৎসাধীন হুমায়ূনকে দেখতে জাতিসংঘে
  বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা ড. মোমেন মঙ্গলবার 
 হাসপাতালে যান।

বন্ধু হুমায়ূন আহমেদকে দেখতে আমেরিকায় অবস্থানরত অভিনেতা
 ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
 বলেন, “সামান্য হলেও উনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
 তবে উনি যেহেতু আইসিইউতে আছেন,বুঝতেই পারছেন।
আমরা উদ্বিগ্ন।” বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিডিনিউজ
 টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় আসাদুজ্জামান নূর
 হাসপাতালেই ছিলেন।

বৃহদান্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর গত সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্য
 নিউ ইয়র্কে যান হুমায়ূন আহমেদ। সেখানে মেমোরিয়াল
 স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন
 তিনি।  দুই পর্বে ১২টি কেমো থেরাপি নেওয়ার পর গত মাসে
 বেলভ্যু হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের প্রধান 
ডা. জেইন এবং ক্যান্সার সার্জন জজ মিলারের
নেতৃত্বে হুমায়ূন আহমেদের দেহে অস্ত্রোপচার হয়।

 হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল
 স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন   নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।

১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি
শুরু করে সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ধীরে ধীরে দেশের
 জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকে পরিণত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের
এই শিক্ষক। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।

টিভিতে নাটক লিখে ও নিদের্শনা দেওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে
 আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন। এ জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।  
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

পদ্মা সেতু এবং অন্যান্য: দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত প্রতিরোধ করতে হবে




দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ
পদ্মা সেতু এবং অন্যান্য: দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত প্রতিরোধ করতে হবে
সুমি খান
বাঙ্গালী জন্মেছেই টিকে থাকার লড়াই , এক অর্থে অস্তিত্বের লড়াই করার জন্যে।মায়ের ভাষায় কথা বলার লড়াই, পায়ের নীচের মাটি টুকু রক্ষার লড়াই, বিশ্বমানচিত্রে একটি লাল-সবুজ পতাকা উড়ানোর লড়াই।  এই লড়াকু বাঙ্গালীর দুর্ভাগ্য এতো রক্ত , এতো আত্মদানের বিনিময়ে যে অর্জন, তার সুফল ভোগী পাকিস্তানসেবী কুলাঙ্গার দের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে নিজের ঘরেই অনেক বড়ো লড়াই  করতে হচ্ছে।বিশাল অংকের টাকার কাছে বিবেক বেচে দিয়ে হিটলারী মিথ্যাচার আর নির্লজ্জতায়  আকন্ঠ ডুবে আছে বাংলাদেশের ‘সুশীল সমাজ’ এর একটি অংশ। উটপাখির মতো বালিতে মুখ বুজে আছেন হয়তো তারা। একাত্তরের পরাজিত পাকি-গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে আত্মঘাতী যে প্রোপাগান্ডা তারা চালাচ্ছেন, তাতে ‘সমাজের উচ্চশ্রেনীর সুবিধাপ্রাপ্ত অংশ মোটিভেটেড হতে পারে সহজেই । ধৃষ্টতা র জন্যে ক্ষমা চাইছি, তাদের  সার্বিক বিবেচনা বোধ  কতোটা গণমুখী, কতোটা বাস্তবভিত্তিক  সেটা নিয়ে  আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ, তাদের  জীবনবোধ এবং বাস্তবতা উর্ধ্বমুখী। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে  তারা অক্ষম। সেই সুযোগ তাদের নেই। তাই তারা প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন সরকার বিরোধীতার নামে মহাজোট সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ‘কতোটা খারাপ’ তা প্রতিষ্ঠা করার।
১৯ জুন পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নাকি স্পষ্ট করবে বিএনপি। কে বলে কার কথা!! হাস্যকর এ ঘোষনা তরিকুল ইসলামের। তার নিজের দুর্নীতি স্পষ্ট করার সৎ সাহস আশা করা বোকামী। তবে একটি ভালো কথা বলেছেন তিনি । জয়নাল আবদীন ফারুক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, রোজার পর পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।  একটি গণতান্ত্রিক দেশে শক্তিশালী এবং গঠনমূলক বিরোধী দলের অস্তিত্ব কতোটা গুরুত্বপূর্ণ , তা বোঝার সাধ্য এদের নেই। ধ্বংসাত্মক ব্যক্তিদেও কাছে সৃষ্টিশীলতা আশা করা বোকামী বটে।
 জামাত-বিএনপি জোট সরকারের সময়ে মস্তিষ্ক বিকানো যে বুদ্ধিজীবি, সম্পাদক অথবা নেতা নেত্রীরা একা অথবা সপরিবারে হাওয়া ভবনের ‘খয়রাত খোর’ হয়ে তারেকের পিছু পিছু ঘুরেছেন ,তাদের দায়িত্ব তারা এখন বেশ ভালোভাবেই পালন করছেন। লন্ডনে বসে তারেক রহমান খুব তৃপ্ত।ভাবছেন তার জন্যে বাংলার মসনদ সাজিয়ে রাখছেন এই ব্যক্তিরা। কর্ণেল তাহের, খালেদ মোশাররফ সহ অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের একের পর এক ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার বহির্ভুত ভাবে হত্যা  করে স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে রাজাকার  গোলাম আযম,শাহ আজিজুর রহমান সহ একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসনের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা কারী পাকিস্তানসেবী জেনারেল জিয়াউর রহমান এর যোগ্য পুত্র তারেক মসনদে বসে আবার রাজাকার বাহিনীকে বাংলাদেশের  রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাবেন। বাংলাদেশ বিরোধী এই কালোশক্তির  হাতে জাতীয় পতাকা তুলে তিরিশ লাখ শহীদের আত্মদানের প্রতি অশ্রদ্ধা আর কালিমা লেপনের কলঙ্কজনক দায়িত্ব পালন করবেন আবার এই স্বপ্নের মদিরতায় বিভোর হয়ে আছেন অনেকে। বলা যায় না, হয়তো সেই কালোস্বপ্নের বাড়া ভাতে ছাই দেবে এদেশের সাধারণ মানুষ। সেই মানসিক দৃঢ়তা এবং মনোবল তাদের আছে। প্রয়োজন শুধু বিচ্ছিন্নতা ভুলে  সকল শুভশক্তির আবার একাত্ম হওয়া।
রাজাকার কুল শিরোমনি গোলাম আজম  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাজত এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের প্রিজন সেলে বাড়ি থেকে পাঠানো ১৫/২০ পদের চর্ব চোষ্য লেহ্য পেয় খাচ্ছেন চেটে পুটে। সাথে তার যোগ্য সাগরেদ মীর কাশেম, নিজামী, মুজাহিদ সাইদী , সাকাচৌ, কাদের মোল্লা। ব্যারিষ্টার রাজ্জাক , মিজানুল, তাজুল বাহিনী তো আছেনই  দেশে-বিদেশে লবিং করে এই কুখ্যাত বর্বর খুনিদের  বাঁচানোর প্রচেষ্টায়।
 মার্কিন আইনী সহায়তা কারী সংস্থা ক্যাসেডি এসোসিয়েটস কে জামায়াতীরা এখন  ‘মালাউন’ , ‘বিধর্মী’ ‘ইহুদী’ ‘নাসারা ’ বলছে না। সাড়ে সাতশো কোটি টাকায়  এদের লবিষ্ট নিয়োগেও দ্বিধা নেই ।  এখন ‘জান বাঁচাতে তাদের লাগবে। কাজ শেষ হলে পাছায় লাথি দিয়ে বলবে,“ যাশ্ধসঢ়; শালা মালাউনের বাচ্চা!!”
একাত্তরের মতো  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভেতরে বাইরে  এভাবেই মিথ্যাচার করে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এটাই যে তাদের নীতি।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল সহ  এ জাতির কিছু কুসন্তান  জামায়াত রক্ষা মিশনে যে নির্লজ্জভাবে নেমেছেন, এদেশকে যারা ভালোবাসেন, লাখো  শহীদের প্রতি যাদের ন্যুনতম দায়িত্ববোধ এবং শ্রদ্ধা আছে, তাদের একাত্ম হয়ে নব্য রাজাকার-আলবদর বাহিনী ঠেকানো জরুরী। এ পবিত্র মাটিতে  থেকে মায়ের রক্তের সাথে বেইমানী করে আর কতো মিথ্যাচার আর চাপাবাজি করবেন এরা?

 তাই এখনো বাংলাদেশের কিছু মানুষ অস্তিত্বের সংগ্রাম করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানী জান্তা জেনারেল নিয়াজি সফল হয়েছে তার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায়।
সিপিবি  সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম লিখেছেন, পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে  একসময়ে যমুনা সেতু ছিল তাদের অতি আদরের স্বপ্ন কন্যা। পূর্ব বাংলার পাট বিক্রি সহ অন্যান্য আয়ের টাকা দিয়ে  পশ্চিম পাকিস্তানে নতুন রাজধানী নির্মান, বড় বড় স্থাপনা এবং ব্যয়বহুল ‘তারবেলা বাঁধ ’নির্মান করে। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালে ৮২ হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করে পাকিস্তানের ইন্দাস নদীর উপর ৮ হাজার ৯শ’৯৯ ফুট দৈর্ঘ্য পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ  ‘তারবেলা’ তৈরি করার কাজ শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে ১ হাজার ৪শ’৯৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারে নির্মান শুরু হয় , শেষ হয় ১৯৭৪ সালে । সেলিম ভাই  লিখলেন, তাদের বক্তৃতায়  পাকিস্তান সরকারের শোষণ বৈষম্যের অন্যতম জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হিসেবে যমুনা সেতু  নির্মানে পাকিস্তান সরকারের অনিচ্ছা বড় রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। সাধারণের বোধগম্য ভাষায় বক্তৃতায় তারা উদাহরণ দিতেন“তার বেলায় টাকার অভাব হয়না, আমার বেলায়  শুধু ‘টাকা নেই, টাকা নেই’ ?”
 ১৯৭০ সালে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল যমুনা সেতুর বাস্তবায়ন।১৯৭২-৭৩ সালের বাজেটে যমুনা সেতু বাস্তবায়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং জাইকাকে আমন্ত্রন জানানো হয় এ প্রকল্পটিতে অর্থায়নে সম্পৃক্ত হবার জন্যে। স্বাধীনতার পর যমুনা ব্রীজের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। স্বাধীন দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন এ দেশ কখনো মার্কিন তাবেদারী করবেনা। সেটা তিনি কাজেও প্রমাণ করেছিলেন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, “ঘাস খেয়ে থাকবো , তবু শর্তযুক্ত ঋণ নেবো না।  এ  কঠোর নীতির কারণে স্বাধীনতার পরবর্তী কয়েকটি বছর বিশ্বব্যাংক এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে মুক্ত থেকে প্রবল আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্ব সভায় দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। এ আত্মমর্যাদা সবাই সইতে পারেনা। পুঁজিবাদী সা¤্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের ¯্রােত ভাসিয়ে নিয়ে যায় এই আত্ম মর্যাদা।এদেশে বিরাষ্ট্রীয়করণ, ব্যক্তিখাতের একচ্ছত্র প্রাধান্য  প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা বিশ্বব্যাংক জুটিয়ে নেয় উচ্ছিষ্ট ভোগী লোভী আত্মঘাতী পিতৃঘাতী বাঙ্গালী লুটেরাদের। পুঁজিবাদী সা¤্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর লালিত এই দল সহজে বিকিয়ে দেয় দেশ এবং নিজের মাটি।পিতার রক্তে রাঙ্গিয়ে নেয় নিজেদের।
 একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় বন্দী করে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যা জেলহত্যার মধ্যে দিয়ে এদেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়  মার্কিন-পাকিস্তান সেবী কালো শক্তি।এ জাতিকে মেধা , মনন সবদিকে নিঃস্ব করতে বদ্ধপরিকর অন্ধকারের  এই শক্তি।
উইকিলিকস এর তথ্যমতে পরবর্তীতে যমুনা বহুমুখী সেতু বাস্তবায়ন  কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে ১৯৮৫ সালের মে মাসে  এরশাদ কাজ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়া ভিত্তিপ্রস্তর দেন।১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা প্রথম বার ক্ষমতায় এসে যমুনা সেতুর কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করে যান চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করে দেন। ৬শ’ ৯৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় যমুনা সেতু নির্মানে।এডিবি,আইডিএ, ওইসিডি প্রত্যেকে ২শ’ মিলিয়ন করে   ১% সুদে ঋণ দেয়।এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, দৃশ্যত:১% এই সুদ অবশ্য ২৫% এ গিয়ে দাঁড়ায়। সা¤্রাজ্যবাদী এই দাতাসংস্থা গুলো শুভংকরের ফাঁকি দিয়েই আমাদের মতো উন্নয়নশীল (তাদের ভাষায় ‘গরীব’) দেশ গুলো থেকে সব লুটেপুটে নেয়।বাকি ৯৬ মিলিয়ন ডলার এদেশের মানুষ দিয়েছে। সেই সময় থেকেই পদ্মা নদীতে সেতু নির্মানের দাবি জোরালো ভাবে উঠে আসে।
 মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এর ভাষায় শুরু থেকেই পদ্মা সেতু জাতির ‘স্বপ্ন কন্যা’ হিসেবেই সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং নির্ভেজাল জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিতে দেখেছে।  আর এজন্যেই জাতির এ স্বপ্ন কন্যার জন্যে হাত বাড়িয়েছে সবাই। ভুল বললাম সমাজের ছোট্ট সেই অংশ  ছাড়া। দীন দুঃখিনী মায়ের দেয়া মোটা কাপড় পরার চেয়ে বিদেশী প্রভুর কাছে মা কে বিক্রি করে পা চাটা কুকুরের মতো  বিষাক্ত‘পার্সেন্টেজ’ ভোগ করে বিলাসী কাপড় পরার সাধ যাদের।দেশের বৃহত্তম পাটকল আদমজী, চট্টগ্রাম ষ্টীল মিল, রেলওয়ে, টিসিবি সহ আরো অনেক কিছু আমরা হারিয়েছি বিশ্বব্যাংকের ফাঁদে পা দিয়ে।
 বিদেশী অর্থায়ন না হলে এই নষ্ট মস্তিষ্কের লোকেদের পার্সেন্টেজের ভাগ টা খুব কম হয়ে যায়। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক তার নানান শর্তের বেড়াজালে বন্দী করে পুরো টাকাটাই নয়, তার চেয়ে বেশী ই হাতিয়ে নেয়। সেটা জেনে বুঝেও অন্ধের মতো সবাই তার জন্যে মায়াকান্না করার মূর্খতা আর কতোদিন?
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতোটা দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমরা নিজেরা তৈরি করবো পদ্মা সেতু; তার অর্থমন্ত্রীর সুর যেন উল্টো। বিশ্বব্যাংকের সাথে তার পুরনো প্রেম আমৃত্যু টেনে নেবেন হয়তো। তা নেন, সমস্যা নেই। তবে সারা জাতিকে এই প্রেমের ‘কাবাব মে হাড্ডি ’ বানানোর চেষ্টায় যেন তিনি ক্ষ্যান্ত দেন।অত্যন্ত মেধাবী এই ব্যক্তিটি বারবার সাধারণ মানুষের অন্তরে  ঘা দিচ্ছেন । এলাকায় গিয়ে সম্প্রতি আগামী বার নির্বাচনের প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়ে এসেছেন। তিনি ভুলে গেছেন, বাঙ্গালী বড়ো আত্মভোলা জাতি। ভালো কাজ বিশেষ মনে রাখেনা। তবে খারাপ যা করেছেন, তা কখনো ভুলে না।আগামীতে প্রার্থীতা করতে হলে ক্ষমতার শেষ সময়টি তাকে দাতাদের পা চাটা ভুলে যেতে হবে।
 অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশে ৫ থেকে ৮ লাখ কালো টাকা আছে, তা বাজেয়াপ্ত করলে ২০ থেকে ৩০ টি পদ্মা সেতু হবে। আহা!! এতো বড়ো সুন্দর কথা ! কালো টাকার মালিক তো হাতে গোণা। তাদের ভোট কি আপনার জন্যে খুব জরুরী, মাননীয় অর্থমন্ত্রী? আপনি সেই উদ্যোগ ই নেন না কেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী ? একই সাথে মাগুড়ছড়া ট্যাংরাটিলা গ্যাস বিষ্ফোরণের ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। তারেক-কোকো-মামুনের পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার ই বা কি হলো মাননীয় অর্থমন্ত্রী? এর সবটাই জনগণের টাকা।এই মহান দায়িত্ব কঠিন হলেও , এতে আপনি সফল হলে  দেশের সাধারণ মানুষ আপনার প্রতি এবং এই সরকারের প্রতি আরো অনেক আস্থাশীল হবেন।
মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃঢ়প্রত্যয়ী  ভূমিকা  উদ্বিগ্ন করেছে বিশ্বব্যাংক কে। হঠাত সুর পাল্টেছে তারা। তাই বলে এই ফাঁদে পা দেয়া যাবেনা । বিশ্বব্যাংক চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বেও ধনী দেশ গুলোর অঙ্গুলি হেলনে।তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলে বন্দী করে, মিথ্যা দুর্নাম দিয়ে আক্রমণ না করলে, যুদ্ধবিধ্বস্ত না হলে ,অস্থিতিশীল না থাকলে  অথবা এদেশের মানুষগুলোর হাতে ভিক্ষার থালা না দেখলে তারা  শান্তি পায়না। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের বিপর্যয় আরো সংকটগ্রস্থ কওে তুলেছে আমাদের বাস্তবতাকে। তবু সাধারণ মানুষ অনেক আশায় বুক বেঁধেছে। তারা বিশ্বসভায় বুক ফুলিয়ে বলবে, “আমরাই পারি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাসী আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ জনগণ। এর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রমাণ করবে আমরাও পারি।   যে দেশের নারী শ্রমিকেরা মাত্র ৫০ পয়সা করে জমিয়ে  সোনার বালা গড়িয়ে রাষ্ট্রপ্রধান কে দিতে পারে, সে দেশের ভয় কি?  এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে মিশে আমার আত্মবিশ্বাস প্রবল। আমরা পারবো। প্রাগের ঐতিহাসিক ন্যাশনাল থিয়েটার  সাধারণ মানুষের টাকায় তৈরি । ১৮৬৮ সালের ২৮ একর জমির উপর এর ১৬  মে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।  কথায় বলে, দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। নিজেদের আর কতো খাটো করবো আমরা? বিশ্বব্যাংকের যতো অপকর্ম প্রকাশিত হবে একদিন। তাদের ফাঁদে আর পা দেয়া নয়।
ছোটকালে পীর খানজাহান আলীর আত্মজীবনী মূলক গল্প পড়েছিলাম, ‘যে কুপথে চলে, সে কূয়ায় পড়ে।’ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন এ কথাটির প্রতিফলন দেখতে পাই আমি। পাকিস্তান নিজের নাক কেটে অন্যেও যাত্রা ভঙ্গ করতে চেয়ে আজ নিজেরাই রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। এদেশে এখনো গ্লোব্যাল ক্যাপিটালিজমের ধামাধারী যারা , তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে একদিন।  আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে প্রত্যেকের মাঝে।
বুঝতে হবে এ প্রকল্পের  ব্যয় দিনে দিনে বেড়েই যাচ্ছে। প্রথম ব্যয় ছিল ১৪০ কোটি ডলার। ২০০৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদেও নির্বাহী কমিটি একনেকে ১৪৭ কোটি ২৭ লাখ ডলারে  প্রথম প্রকল্পটি অনুমোদন করে।২০০৯ সালে ততকালীন যোগাযোগমন্ত্রী  সৈয়দ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন ১৯০ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে  পদ্মা সেতুর অর্তায়ন বিষয়ক আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন  পদ্মা সেতু নির্মানে ব্যয় হবে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার।  এখন এই ব্যয় ২৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মনে রাখতে হবে বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি করলে তাদের হুকুমে চলতে হবে। তাদের পছন্দে বিশেষজ্ঞ  নিয়োগ করতে হবে নির্ধারিত বেতনে  নিয়োগ দিতে হবে।এটি সমাজহিতৈষি কোন সংস্থা নয়, মুনাফালোভী
অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত বলেছেন  বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ থেকে পদ্মা সেতুর মতো তিনটি সেতু নির্মান সম্ভব।তিনি বলেছেন , অপ্রদর্শিত অর্থ, কালো টাকা এবং অন্যান্য উতস থেকে এই অর্থ সংগ্রহ সম্ভব হতে পারে।দেশের বীমা কোম্পানীগুলোর লাইফফান্ডের অলস পড়ে থাকা ১১ হাজার কোটি টাকা এই সেতু নির্মানে বিনিয়োগ করা যেতে পারে বলেছে বিআইএ (বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন)। বেসরকারী ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি (বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস) এই প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ অনেক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন দেশে বিশেষজ্ঞ আছেন, তবে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং অর্থেও ঘাটতি রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ, স্থপতি এবং প্রকৌশলীদের দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। যাতে তাদের ত্যাগ এবং দূরদর্শী  চিন্তার প্রতিফলন ঘটবে।
 পরিশেষে আবারো সিপিবি সাধারণ সম্পাদক  মেধাবী  ছাত্র, মেধাবী রাজনীতিক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সাথে একমত আমি। পদ্মা সেতু কোন ‘আওয়ামী প্রোজেক্ট’ নয়,এটি  একটি জাতীয় প্রকল্প। জাতির সমস্ত শক্তি এবং সম্মতিকে এ কাজে সমবেত করতে হবে।মহাজোট সরকারের মাত্র ১৬ মাস মেয়াদ আছে। সামনে কারা সরকার গঠন করবে কেউ জানেনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের পথে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। একটি সর্বদলীয় জাতীয় পরামর্শ সভা ডাকা প্রয়োজন। দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। দেশে অনেক মেধাবী, সৎ মানুষ আছে। যাদের নিয়ে গ্রহণযোগ্য তদারকী কমিটি করা প্রয়োজন।নিঃস্বার্র্থভাবে তারা মনিটর করবেন যাতে কোন দুর্নীতি অথবা কাজে গাফিলতি না হয়। দেশের সেনাবাহিনীকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা যায়, সুদক্ষ সেনাদল আছে যারা এ কাজে পরীক্ষিত।
এখানে সেলিম ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন ,আপনি বলেছেন পদ্মা সেতু নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে একটি বড়ো শিক্ষা দেশ পরিচালনার চলতি নীতি-দর্শনের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে  মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে সূচিত মুজিব-তাজউদ্দিনের মতো স্বনির্ভরতার পথ গ্রহণ করতে হবে।বিএনপি তা করবেনা, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।দল এবং দলীয় আধিপত্য এড়িয়ে লুটেরা ধনিক শ্রেণী ও বিশ্বব্যাংকের সা¤্রাজ্যবাদের বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার মতো নাটকীয় পদক্ষেপ নেয়া আওয়ামীলীগের পক্ষেও সম্ভব না। শুধুমাত্র বামদলগুলোর পক্ষেই সম্ভব এমন দাবী মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের। আজন্ম বামপরিবাওে বেড়ে ওঠার সুবাদে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় দঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি তার এ আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ। সেলিম ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি,কমরেড মণি সিংহ বা কমরেড ফরহাদ এর মতো ত্যাগী নেতৃত্বের শূন্যতা প্রতি মুহুর্তে উপলব্ধি করছে জাতি। বাম নেতাদের আত্মকেন্দ্রিকতা এবং কিছু কিছু নেতার দুর্নীতি এবং আত্মম্ভরীতা  বুর্জোয়া দল গুলোর চেয়ে কোন অংশে কম নয়। মাঠপর্যায়ে  আপনাদের যেসব নেতা কর্মী অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্থ, কেন্দ্র থেকে বিপুল উৎসাহে তাদের পিঠ চাপড়ানো হয়। অসৎ সংগঠককে ধওে রাখার জন্যে প্রয়োজনে দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অপমান জনক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। যার পরিণতি বাম সংগঠন গুলোর এই সংকটজনক পরিস্থিতি। আত্মসমালোচনা এবং আত্মবিশ্লেষণের জায়গা থেকে বাম সংগঠন গুলো অনেক দূরে। আত্মশ্লাঘা বৃথা। প্রসঙ্গত: বলি,দুর্জনেরা বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময়ে জেনারেল মাসুদ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে বসানোর জন্যে। ড. মুহাম্মদ ইউনুস নাকি বলেছিলেন তাকে ২০ বছরের জন্যে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে, তবেই তিনি রাজী। এতে ভয় পেয়ে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে মইন উ আহমেদের কাছে আবার  ছুটে গিয়েছিলেন জেনারেল মাসুদ। বলেছিলেন , আমরাই কতোদিন ক্ষমতায় থাকি তার ঠিক নেই, ২০ বছরের নিশ্চয়তা কী করে দেই ওনাকে?
  তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের অনাচার অনিয়ম দূর করার জন্যে  ৫ বছর যথেষ্ট সময় নয় । এর উপর যদি আগের ৫ বছরের যতো ভালো কাজ , যতো জনহিতকর কাজ মমতার ভাষায় ‘সিপিএম এর ষড়যন্ত্র’ বা ‘আওয়ামী হঠাও’ ম্যানিয়া থেকে পরবর্তী ৫ বছর সব ধ্বংস করে ফেলা বা স্থগিত করা হয়, তাহলে এদেশের দুর্ভাগ্য কোনদিন ই কাটবে না।মিথ্যে অহমিকা ভুলে  মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে একসাথে কাজ করতে হবে।জনগণ ই  নির্ধারণ করবে তাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। আস্থা রাখতে হবে জনগণের উপর। তাদের সুখে- দুঃখে যাকে পাবে তাকেই ব্যালটের মাধ্যমে বুকে টেনে নেবে জনগণ। মহাজোট সরকারের জন্যে আগামী নির্বাচনে পদ্মা সেতু নির্মান কাজ শুরু করা  এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার  নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যে এই দু’টি  বড়ো চ্যালেঞ্জ ।তার  প্রতি জনগণের আস্থা আছে। তার মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা রা যদি শেষ সময়ে অন্তত নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারেন, তবেই এর সুফল পাবেন তারা এবং দেশের জনগণ।

Tuesday, July 17, 2012

যুক্তরাষ্ট্রের এইচএসবিসি শাখা, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের এমন কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়েছে যারা আল কায়েদা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আর্থিক সহযোগিতা করার সঙ্গে জড়িত



  যুক্তরাষ্ট্রের এইচএসবিসি শাখা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সন্দেহজনক ব্যাংকের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের একটি উপকমিটি এ অভিযোগ করেছে। 
মেক্সিকোর মাদক ব্যবসার অবৈধ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত সিনেটের ওই উপকমিটি সোমবার একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করেছে।
  যুক্তরাষ্ট্রের এইচএসবিসি শাখা,  সৌদি আরব ও বাংলাদেশের এমন কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়েছে যারা আল কায়েদা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আর্থিক সহযোগিতা করার সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে সন্দেহ করা হয়।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক এ প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনো শাখার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) সম্পন্ন হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালনাকারী শাখা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। 
সিনেটে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। 
যুক্তরাষ্ট্রে এইচএসবিসির শাখাকে ব্যবহার করে মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীরা তাদের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছে বলে দাবি করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে। এছাড়া সিরিয়া, কেইম্যান আইল্যান্ড, ইরান এবং সৌদি আরবের কালো টাকাও ব্যাংকটির কোনো কোনো শাখার মাধ্যমে পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে। 
সোমবার এ সংক্রান্ত সিনেট উপকমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর কার্ল লেভিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যাংকটি তাদের যুক্তরাষ্ট্র শাখা ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের শাখাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক কার্যক্রমে প্রবেশের দরজা হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র এইচএসবিসি মেক্সিকোর মাদক ব্যবসায় অর্জিত অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সহায়তা করেছে বলেও জানান তিনি। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর মাদক চক্রগুলো  ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে ব্যবহার করে ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময়েতাদের অবৈধ অর্থ পাচার করে।
সিনেটর লেভিন ব্যাংকটির যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমকে তদারকির জন্য নিয়োজিত ফেডারেল কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ‘কম্পট্রোলার অব দি কারেন্সি’ কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি এইচএসবিসির মানি লন্ডারিংয়ের কার্যক্রমে নজরদারির দুর্বলতা জানা থাকলেও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।”
এছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের জন্য ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষের শিথিল নজরদারিকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কর্তৃপক্ষের শিথিল নজরদারির কারণে ব্যাংকটি বিশ্বজুড়ে কালো টাকা পাচারের অন্যতম বাহনে পরিণত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘কম্পট্রোলার অব দ্য কারেন্সি’ কর্তৃপক্ষের প্রধান থমাস কারিও মঙ্গলবারের শুনানির সময় সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংক থেকে এ ব্যাপারে আসা অভিযোগের ব্যাপারে এইচএসবিসির সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা কর্ণপাত না করায় এ সমস্যা দীর্ঘ আট বছর বজায় থাকতে পেরেছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
 ব্যাংকটির কোনো কোনো শাখা ইরান ও অন্যান্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত ছিলো বলেও দাবি করা হয়েছে। 
তবে এ সব অভিযোগের ব্যাপারে এইচএসবিসি এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তাদের নির্বাহীরা শুনানির সময় সংঘটিত ভুলগুলোর ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুনানির সময় ব্যাংকের কার্যক্রমে সংঘটিত ভুলগুলোর ব্যাপারে তাদের গৃহীত ব্যবস্থার ওপর পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপন করা হবে। পাশাপাশি ভুলগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করা হয় ওই বিবৃতিতে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকটি তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে গত বছর পরিবর্তন করেছে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, তারা এইচএসবিসির মাধ্যমে সংঘটিত ‘মানি লন্ডারিং’ কার্যক্রমের ওপর একটি তদন্ত পরিচালনা করছে।

এ প্রসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত তদন্ত পরিচালনার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই এইচএসবিসির সঙ্গে কথা বলেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস বিভাগের মুখপাত্র আলিসা ফিনেলি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তবে সম্ভাব্য কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

জঙ্গিদের অর্থদাতা ইসলামী ব্যাংক-এসআইবিএল: এইচএসবিসির লেনদেন


 জঙ্গিদের অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডকে (এসআইবিএল) অর্থ দিয়েছে হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। গুরুতর এ অভিযোগ করেছে মার্কিন সিনেটের একটি উপ-কমিটি । মেক্সিকোর মাদক ব্যবসার অবৈধ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত সিনেটের ওই উপ-কমিটি সোমবার একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করেছে। মার্কিন সিনেট কমিটির এ ধরনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এইচএসবিসি শাখা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের এমন কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়েছে, যারা আল কায়েদা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আর্থিক সহযোগিতা করার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক এ প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনো শাখার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) সম্পন্ন হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকটির কার্যক্রম পরিচালনাকারী শাখা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।  মঙ্গলবার সিনেটে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এইচএসবিসির শাখাকে ব্যবহার করে মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীরা তাদের অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছে বলে দাবি করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে। এছাড়া সিরিয়া, কাইম্যান আইল্যান্ড, ইরান এবং সৌদি আরবের কালো টাকাও ব্যাংকটির কোনো কোনো শাখার মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।এছাড়া অন্যান্য ব্যাংক থেকে এ ব্যাপারে আসা অভিযোগের ব্যাপারে এইচএসবিসির সংশ্লিষ্ট নির্বাহীরা কর্ণপাত না করায় এ সমস্যা দীর্ঘ আট বছর ধরে চলে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। 
 ব্যাংকটির কোনো কোনো শাখা ইরান ও অন্যান্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত ছিলো বলে দাবি করা হয়েছে। এ সব অভিযোগের ব্যাপারে এইচএসবিসি এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তাদের নির্বাহীরা শুনানির সময় সংঘটিত ভুলগুলোর ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকটি তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে গত বছর পরিবর্তন করেছে বলে জানানো হয়েছে।  মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, তারা এইচএসবিসির মাধ্যমে সংঘটিত ‘মানি লন্ডারিং’ কার্যক্রমের ওপর একটি তদন্ত পরিচালনা করছে।
এ প্রসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত তদন্ত পরিচালনার উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে এইচএসবিসির সঙ্গে কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস বিভাগের মুখপাত্র অ্যালিসা ফিনেলি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। ###

Padma Bridge-World Bank Question-Answer


cÙv †mZz cÖKí evwZj msKvªšÍ cÖkœ-DËi
wek¦ e¨vsK wK Z`‡šÍi djvdj miKvi‡K Rvwb‡q‡Q?
Avgv‡`i wbR¯^ bxwZ Abymv‡i wek¦ e¨vsK 2011 mv‡ji †m‡Þ¤^i gv‡m Ges 2012 mv‡ji GwcÖj gv‡m cÖavbgš¿x, A_©gš¿x Ges
evsjv‡`k `yb©xwZ `gb Kwgk‡bi †Pqvig¨v‡bi Kv‡Q `ywU Z`‡šÍi Z_¨ cÖgvY cÖ`vb K‡i‡Q| Avgiv evsjv‡`k KZ©„cÿ‡K
welqwUi c~Y© Z`šÍ Ki‡Z Ges h_vh_ we‡ewPZ n‡j `ybx©wZi Rb¨ `vqx e¨w³‡`i kvw¯Í †`qvi AvnŸvb Rvwb‡qwQjvg|
wek¦ e¨vs‡Ki miKv‡ii Kv‡Q ‡`Iqv †idv‡ij wi‡cv‡U© wK wQ‡jv?
miKv‡ii Kv‡Q mycvwikg~jK wi‡cvU© cÖ`v‡bi jÿ¨ wQj h_vh_ RvZxq ms¯’vi gva¨‡g `yb©xwZi wek¦vm‡hvM¨ cÖgvY m¤ú‡K©
GKwU †Rviv‡jv Z`šÍ ïiæ Kiv| wek¦ e¨vs‡Ki ¯^vaxb Bw›UwMÖwU fvBm †cÖwm‡W›Uwm `ywb©wZi Awf‡hvM AbymÜvb K‡i †`‡L †h 
e¨vs‡Ki `yb©xwZ we‡ivax w`Kwb‡`©kbv jswNZ n‡q‡Q wKbv Ges RvZxq KZ©…c‡ÿi gva¨‡g Z`šÍ Kivi Rb¨ h‡_ó wek¦vm‡hvM¨
cÖgvY i‡q‡Q wKbv| wek¦ e¨vsK wb‡R †Kvb Aciva Z`šÍ K‡i bv ev cieZ©x Kibxq wba©vib K‡i bv | GwU m¤ú~b©i~‡c
evsjv‡`kx AvBb Abyhvqx evsjv‡`k miKv‡ii we‡eP¨||
 
wek¦ e¨vsK miKvi‡K †`Iqv GB wi‡cvU©¸‡jv †Kb cÖKvk Ki‡Q bv?
wek¦ e¨vsK 2011 mv‡ji †m‡Þ¤^i gv‡m I 2012 mv‡ji GwcÖj gv‡m evsjv‡`k miKv‡ii Kv‡Q cÙv †mZz cÖK‡í `yb©xwZi
cÖgvY †ck K‡i‡Q| Gme mycvwikg~jK wi‡cv‡U©i †MvcbxqZv eRvq ivLvi e¨vcv‡i evsjv‡`k miKvimn cÖ‡Z¨K m`m¨ †`‡ki
Kv‡Q wek¦ e¨vs‡Ki `vqe×Zv i‡q‡Q| Z‡e, evsjv‡`k miKvi GB mKj wi‡cvU© I wPwVmg~n PvB‡j cÖKvk Ki‡Z cv‡i|
Avcbviv miKvi‡K ¯^”QZvi iÿvi ¯^v‡_© cÖKv‡ki Rb¨ Aby‡iva Ki‡Z cv‡ib |
wek¦ e¨vsK wK wK cÖ¯Íve w`‡qwQ‡jv? miKviwU Gi †KvbwU m¤§Z n‡qwQ‡jv?
wek¦ e¨vsK civgk© w`‡qwQj †h miKvi PviwU c`‡ÿc wb‡Z cv‡i| wKš‘ miKvi PviwUi g‡a¨ `ywU Ki‡Z cv‡iwb| cÖ_gZ
`yb©xwZ `gb Kwgkb‡K GKwU we‡kl †h_ Z`šÍ I wePvwiK wUg MV‡bi cÖ¯Íve †`qv n‡qwQj, hv‡Z `y`K m¤§wZ w`‡qwQ‡jv| 
wØZxqZ: miKvi GKwU weKí cÖKí ev¯Íevqb e¨e¯’vq m¤§Z n‡qwQj †hLv‡b mn‡hvMx A_©vqbKvix‡`i Rb¨ µq cÖwµqvq
AwaKZi Z`viKxi my‡hvM wQj| Z…ZxqZ: `y`K‡K wek¦ e¨vs‡Ki ZZ¡veav‡b GKwU evB‡ii c¨v‡b‡ji Kv‡Q Z_¨ †`qvi Ges
c¨v‡bj‡K Z`šÍ cÖwµqvi ch©vßZv g~j¨vq‡bi my‡hvM †`qvi cÖ¯Íve †`qv n‡qwQj| †kl ch©šÍ `y`K evB‡ii c¨v‡b‡ji m‡½ Z_¨
wewbgq Kivi †Kvb AvbyôvwbK m¤úK© ivLvi welqwU †g‡b †bqwb| me‡k‡l, miKvi evsjv‡`kx AvB‡bi AvIZvq _vKv m‡Z¡I
Z`šÍ PjvKv‡j miKvix `vwqZ¡ cvjb †_‡K miKvix e¨w³ eM© (Avgjv I ivRbwZKfv‡e wb‡qvMcÖvß) QzwU w`‡Z ivRx nbwb|
PviwU e¨e¯’vi g‡a¨ `yÕwU wel‡q HK¨g‡Z †cuQz‡Z e¨_© nIqvi d‡j wek¦ e¨vs‡Ki †mZzi Rb¨  mnvqZv evwZj Kiv Qvov Avi
†Kvb weKí wQj bv|
wek¦ e¨vs‡Ki cÖ¯Íve¸‡jv wK evsjv‡`‡ki AvB‡bi mv‡_ mvgÄm¨c~b©?
wek¦ e¨vs‡Ki Aby‡ivaK…Z mKj c`‡ÿc Ges `~bx©wZi Awf‡hvM m¤ú~b©iƒ‡c evsjv‡`kx AvBb I ixwZ bxwZi I wewa-weav‡bi
m‡½ mvgÄm¨c~b©|‡Kv_vI †Kv_vI miKvix Kg©KZ©v‡`i wee„wZ‡Z Awf‡hvM Kiv n‡q‡Q cÖvK-‡hvM¨Zv evQvB-Gi mgq wek¦ e¨vsK GKwU  Pxbv
cÖwZôvb‡K cÿcvZ Kivq miKv‡ii mv‡_ m¤ú‡K©i AebwZ N‡U hvi d‡j cÖKíwU evwZj nq|
GwU G‡Kev‡iB mZ¨ bq| wek¦ e¨vsK †Kvb cÖwZôvb‡KB we‡kl AvbyK~j¨ cÖ`k©Y K‡ibv| wek¦ e¨vs‡Ki A_©vq‡b Avgiv hLb
µq cÖwµqv Z`viK Kwi, ZLb GwU miKv‡ii `vwqZ¦ _v‡K †h cÖwZôvb wbev©P‡bi mgq †mwU mÿg wKbv Avi Kviv mÿg bv 
Zv g~j¨vq‡bi bvh¨Zv cÖ`vb Kiv| we‡kl K‡i cÙv †mZzi gZ wewjqY Wjvi Qvwo‡q hvIqv cÖK‡íi ‡ÿ‡Î¨, †Kb cÖwZwU dvg©
weW Kivi †hvM¨ A_ev Zv‡`i cÖ‡qvRbxq †hvM¨Zvi Afve i‡q‡Q wKbv †m e¨vcv‡i my¯úó I my`„p e¨vL¨v cÖ`vb Kiv  we‡klfv‡e ¸iæZ¡c~b©|  G †ÿ‡Î †mZz wefvM Pvqbv †ijI‡q Kb÷ªvKkb K‡cv‡ikb‡K h‡_ó Z_¨vw` QvovB cÖvK‡hvM¨Zv
†_‡K ev` w`‡qwQ‡jv|  wek¦e¨vsK ev` †`qvi Rb¨ ‡mZz KZ…©cÿ‡K Av‡iv Z_¨ PvB‡Z I cÖ‡qvRbxq h_v©_`v cÖ`v‡b I  Aby‡iva K‡i |
 hLb GB Z_¨ †`qv n‡q‡Q, ZLb wek¦ e¨vsK GB cÖwZôvb‡K ev` w`‡Z miKv‡ii wm×v‡šÍi m‡½ m¤§Z n‡q‡Q| GB  wel‡q wek¦ e¨vsK I miKv‡ii †Kvb wØgZ †bB Ges wek¦ e¨vsK eiveiB wbi‡cÿ †_‡K‡Q|
wek¦ e¨vsK †Kb Pzw³i Kvh©Ki nevi †gqv` GKgvm evKx _vK‡ZB cÖKíwU evwZ‡ji wm×všÍ wbj?
wek¦ e¨vsK cÖvq GK eQi a‡i miKv‡ii mv‡_ Av‡jvPbv K‡i‡Q Ges miKv‡ii KvQ †_‡K `~bx©wZi cÖgvb‡K m‡¤^v‡avb Kivi  e¨cv‡i  BwZevPK mvov cvIqvi Rb¨ A‡cÿv K‡i‡Q| `y:LRbK †h miKvi cÖvq bq gv‡mI †Kvb c`‡ÿc †bqwb | cÙv
†mZyi m¤¢vebv Ges RbRxe‡b Gi ¸i‡Z¡i K_v we‡ePbv K‡i wek¦ e¨vsK cÖKíwU euvPv‡Z †kl ch©šÍ †Pôv Pvwj‡q †M‡Q| Riæix  wfwˇZ wek¦ e¨vsK GKwU Dcvq †ei Kievi Rb¨ XvKvq GKwU D”P ch©v‡qi `j cvwV‡qwQj| K‡qKw`‡bi Av‡jvPbvi ci, 4wU cÖ¯Ív‡ei 2 wUi e¨vcv‡i miKv‡ii w`K n‡Z Kiv m¤¢e bq Rvbv‡bvi ci  wek¦ e¨vsK FY evwZ‡ji KwVb wm×všÍwU wb‡Z eva¨ nq|
D”P ch©v‡qi GKRb miKvix Kg©KZ©v Bw½Z w`‡q‡Qb †h cÖKíwU wek¦ e¨vs‡Ki we`vqx †cÖwm‡W‡›Ui †kl Kvh©w`e‡m evwZj n‡q‡Q Ges wek¦ e¨vs‡Ki †`Iqv wee„wZwU cÖwZôv‡b bq eis Zvi e¨w³MZ gZvg‡Zi cÖwZdjb|
wek¦ e¨vs‡Ki mKj wm×všÍB cÖvwZôvwbK, †KvbUvB e¨w³‡Kw›`ªK bq| GwU wek¦ e¨vsK g¨v‡bR‡g‡›Ui me©Rbm¤§Z wm×všÍ wQ‡jv, KviI GKK wm×všÍ bq| Ges miKv‡ii `ybx©wZ †gvKvwejv Kivi mw`”Qvi Afve GB wm×všÍ‡K cÖfvweZ K‡i‡Q| GB wm×všÍ
evsjv‡`‡ki RbM‡bi Rb¨ †hgb `y:LRbK †Zgwb `y:LRbK wek¦ e¨vs‡Ki Rb¨I, we‡kl K‡i evsjv‡`‡ki mv‡_ e¨vs‡Ki `xN© m¤ú‡K©i Avw½‡K, ‡h Askx`vwiZ¡ evsjv‡`‡ki cÖvq R‡b¥i ci n‡ZB Pjgvb| cÙv †mZzi g‡Zv ¸iæZ¡c~b© cÖK‡í m¤ú„³ bv _vKv wek¦ e¨vs‡Ki Rb¨I mgvb `y:L¨RbK|
evsjv‡`‡k wek¦ e¨vs‡Ki cÖ‡`q F‡Yi my` KZ?
evsjv‡`k wek¦ e¨vs‡Ki A½ms¯’v B›Uvib¨vkbvj †W‡fjc‡g›U G‡RÝx (AvBwWG) n‡Z  my` gy³ FY MÖnb K‡i|  cÖvß my`-gy³ F†Yi †gqv` 10 eQ‡ii †iqvZmn 40 eQi Ges mvwf©m PvR© 0.75% cÖ‡hvR¨| 11 Zg n‡Z  20 Zg eQ‡ii g‡a¨ cÖwZ eQi FYK…Z cwigv‡bi kZKiv 2 fvM †kva Ki‡Z nq| Ges evKx 20 eQ‡i cÖwZ eQi Avm‡ji kZKiv 4 fvM †kva Ki‡Z nq|
GKB ai‡Yi NUbvq evsjv‡`k‡K wK Ab¨ †`k n‡Z wfbœ cwiw¯’wZi m¤§Lxb n‡Z n‡”Q?
bv| GB ai‡bi NUbv †h †Kvb †`‡k n‡jB GKB ai‡bi cwibvg n‡Zv|
cÖKí evwZj wK wek¦ e¨vs‡Ki Pjgvb Kvh©µg‡K e¨nZ Ki‡e?
c`¥v †mZz cÖK‡íi F‡Yi wel‡q wm×všÍ evsjv‡`‡ki Rb¨ mnvqZv cÖ`v‡bi ‡ÿ‡Î wek¦ e¨vs‡Ki e¨vcK Kg©m~wPi Ici †Kvb mivmwi cÖfve ivL‡e bv Ges evsjv‡`‡ki miKvi I ¯’vbxq Rbmvavi‡bi mv‡_ RbRxe‡bi Dbœq‡b Avgiv Nwbófv‡e KvR
Ki‡e|
 

 eZ©gv‡b wek¦ e¨vs‡Ki 4.4 gvwK©b Wjv‡ii 30wUi †ekx cÖKí Pjgvb i‡q‡Q hv evsjv‡`‡ki Dbœq‡b f~wgKv ivL‡Q| wek¦ e¨vsK MZ K‡qK `k‡K evsjv‡`‡k `ªæZ cÖe„w× AR©b, mvgvwRK Kj¨vY mvab, Ges `vwi`ª¨ we‡gvPb Lv‡Z D‡jøL‡hvM¨ Ae`vb ivL‡Z ‡c‡i LyeB Mwe©Z| Avgv‡`i Avw_©K I KvwiMwi mnvqZv •Zix †cvlvK wkí Lv‡Z me©vwaK Kg©ms¯’vb m„wói j‡ÿ¨ ißvbx evRvi D`vixKiY, `wi`ª cwiev‡ii †g‡q‡`i gva¨wgK ¯z‡j cvVv‡bvi wbwðZ Kivi Rb¨ e„wË cÖ`vb Ges evsjv‡`‡ki cÖZ¨šÍ A‡j Rxeb I RxweKvq cwieZ©b NUv‡Z MÖvg¸‡jv‡Z †mi we`y¨r e¨e¯’v Pvjy Ki‡Z Ae`vb †i‡L‡Q| MZ A_© eQ‡i hv Ryb 2012 †kl n‡q‡Q wek¦ e¨vs‡Ki 860 gvwK©b Wjv‡ii ‡ekx FY mvnvh¨  K‡i‡Q|
evwZj wm×všÍ c~b©we‡ePbvi †Kvb AeKvk wK Av‡Q?
Ab¨vb¨ †`‡k evwZjK…Z FY cybivq Pvjy Kivi †ÿ‡Î wek¦ e¨vs‡Ki gvÎ K‡qKwU bwRi i‡q‡Q| ZvB, GwU Am¤¢e bq|
Z‡e  GB  †ÿ‡Î wm×všÍ cyb:we‡ePbvi  Lye  mxwgZ my‡hvM  i‡q‡Q| KviY, cª¯ÍvweZ PviwUi g‡a¨ `ywU c`‡ÿ‡c  cÙv †mZz cÖK‡íi `yb©xwZi cÖgvY m¤ú‡K© `v‡bi e¨vc‡i m‡½ e¨vcK Av‡jvPbvi ciI  miKvi BwZevPK mvov w`‡Z cv‡ibwb|
GwU GKwU `ytLRbK NUbv| GB †mZzwU evsjv‡`‡ki `wÿYcwðgvÂj I mviv †`‡ki cÖe„w× †Rvi`vi I Rxeb hvÎvi cwieZ‡©bi Rb¨ we‡kl m¤¢vebvgq wQ‡jv| | wek¦ e¨vsK evsjv‡`k‡K mnvqZv w`‡Z Ges `vwi`ª¨ KvwU‡q IV‡Z Ges mykvm‡Yi
wfwËi Ici GKwU mg„× RvwZ wn‡m‡e M‡o IVvi ¯^cœ c~i‡Y A½xKvie×|