Tuesday, December 28, 2021

একটা ছোট্ট ট্রিক- বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ

 মেসেজিং অ্য়াপ বলতে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) -যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করছেন, তাঁরা সবুজ রঙের লোগো দেখতেই অভ্যস্ত- একটা পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করলে মুহূর্তে বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) লোগোর রঙ।

যদি  নিজের হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ বদলাতে চান, মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলো-



আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করুন 'Nova Launcher' নামে একটি অ্যাপ। ডাউনলোড হয়ে গেলে এবার সেখানে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) আইকন সিলেক্ট করুন।গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ আইকনটি ডাউনলোড করুন। এরপর হোমস্ক্রিনে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপটি অনেকক্ষণ প্রেস করে থাকুন বা চেপে ধরে থাকুন। 

এরপর স্ক্রিনের উপর একটা 'এডিট পেনসিল' দেখতে পাবেন। ওটাতে ক্লিক করে ফোন গ্যালারিতে গিয়ে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ লোগোটি সিলেক্ট করুন। দেখবেন মুহূর্তে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ লোগো সবুজ থেকে সোনালী হয়ে যাবে।Zee News


২৭ ডিসেম্বর সমুদ্রযাত্রা তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে লহমায় বদলে দিল সৃষ্টিতত্ত্ব-যোগ্যতমরাই বেঁচে থাকে- সুমি খান

 ২৭ ডিসেম্বর একটি সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন ডারউইন  -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে  বিবর্তনতত্ত্ব একটি বই লিখেছিলেন।বই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে পুরনো ধ্যানধারণা সব লহমায় বদলে দিয়েছিল।জীববিজ্ঞানেই শুধু নয়, সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের পৃথিবীতেই একটা 'প্যারাডাইম শিফট' ঘটে গেল।  

ধাক্কা খেয়েছিল সৃষ্টিতত্ত্ব! বিশ্ব জুড়ে জ্ঞানবুভুক্ষু মানুষ চেটেপুটে পড়তে লাগলেন পৃথিবীর জীবজগতের নিয়ম। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব তো শুধু বিজ্ঞান নয়, দার্শনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বিপুল সাড়া ফেলেছিল। 


বিগল নামের জাহাজটির ক্যাপ্টেন রবার্ট ফিটজয় -এই  ক্যাপ্টেনের সাদর আমন্ত্রণেই তরুণ জীববিদ্যাবিদ চার্লস ডারউইন চেপে বসতে পেরেছিলেন সেই জাহাজে এবং পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন গ্যালাপোগোস দ্বীপে। শুরু করেন তাঁর অনন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ডারউইনের বাবা চাননি, ছেলে এই সমুদ্রভ্রমণে যাক। বাবার অমতেই ডারউইন নেমে পড়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করতে। সমুদ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর। চার্লস ডারউইন সেই সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন।

১৮৫৯ সালের ২৪ নভেম্বরে লন্ডন থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবনসংগ্রামে আনুকূল্যপ্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে বইটি বেরিয়েছিল। নাম-- 'অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস'। বইটির পুরো নাম দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস বাই মিনস অফ ন্যাচারাল সিলেকশন, অর দ্য প্রিজারভেশন অফ ফেভারড রেসেস ইন দ্য স্ট্রাগল ফর লাইফ'! বছরতেরো পরে অবশ্য বইটির নাম ছোট করে দেওয়া হয়-- 'দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস'।


সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাই ওই বই। সেই বইয়ের ভূমিকায় ডারউইন আর্মাডিলো, রিয়া নামের এক উড্ডীন-অক্ষম পাখি, কয়েকটি বিলুপ্ত প্রজাতির ঘোড়া এবং অধুনালুপ্ত স্লথের জীবাশ্মের কথা উল্লেখ করেন।

 গ্যালাপোগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদদের দেখেই তিনি বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে প্রথম চিন্তাভাবনা শুরু করেন। সেই চিন্তাভাবনা ক্রমে মহীরুহের আকার নেয়। 


হঠাৎ ডারউইন কেন ভাবতে গেলেন এই সব? তাঁর প্রেরণা ছিলেন লামার্ক। তিনিই প্রথম বলেছিলেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মগ্রহণ করে প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মদাতার থেকে একটু আলাদা হয়ে যায় জীব। এবং এই ভাবে চলতে-চলতেই দীর্ঘ সময় পরে বড় ধরনের বদল, বা 'বিবর্তন' ঘটে। এই ভাবনাই ডারউইনকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল।   

ডারউইন গুরুর চেয়ে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে গেলেন। দেখালেন, বিবর্তন শুধু পরিবর্তন নয়; এ হল পরিবর্তনের এমন এক ধারা যা অতীতকে সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে ভেসে চলে। এই পরিবর্তনের ভেসে চলার গতিপথ 'অতি সরল' থেকে 'সরল', 'সরল' থেকে 'জটিল' আবার 'জটিল' থেকে 'জটিলতর' কিংবা 'অনুন্নত' থেকে 'উন্নত', 'উন্নত' থেকে 'উন্নততরে'র দিকে। 

এই জার্নিতে জীবকে পরিবেশের সঙ্গে লড়তে হয়, খাপ খাওয়াতে হয়। খাপ খাওয়ানোর এইসব কাজ করতে-করতে জীব নানা বৈচিত্র্য অর্জন করে এবং যোগ্যতমেরাই বেঁচে থাকে।

 এর সঙ্গেই অন্বিত 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'। এই পথেই নতুন এবং উন্নততর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আরশোলা একই অবয়বে সুদীর্ঘকাল টিকে থাকল পৃথিবীতে। 

আরশোলা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে বলেই এটা পারল।ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল; খাপ খাওয়াতে পারল না। অর্থাৎ, এখানে প্রাকৃতিক নির্বাচনই আসল খেলাটা খেলছে বলে মত ডারউইনের। Source Zee


Friday, July 30, 2021

বাংলাদেশে নাশকতা-পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক মাযহার খান-সুমি খান

বাংলাদেশে নাশকতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাকিস্তান দূতাবাসের এক কূটনীতিক। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাযহার খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ও অর্থায়ন করেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর অন্যতম সংগঠকও এই পাকিস্তানি। পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম এবং জামায়াত-শিবিরকে। মাযহার খান নামে ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশবিরোধী ভয়ঙ্কর সব তৎপরতার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার সন্দেহও করছেন কেউ কেউ। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, জঙ্গি তৎপরতাই শুধু নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজার ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন তিনি। এ জন্য পরিচালনা করেন ভারতীয় জাল রুপির এক বিশাল নেটওয়ার্ক। ধরাও পড়েছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। কিন্তু কূটনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয় ঢাকার পাকিস্তান দূতাবাস। বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় জড়িত এই কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে গোপনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানে। দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি দূতাবাস কর্মকর্তার সহযোগী মজিবুর রহমান নামে বাংলাদেশি একজন নাগরিক গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরেই বেরিয়ে এসেছে জঙ্গি তৎপরতা ও জাল রুপি নেটওয়ার্কে থাকা ব্যক্তিদের কার্যক্রমের ক্রমধারা ও রূপরেখা। পাওয়া গেছে তাদের তালিকা ও কথোপকথনের সারাংশ। ওই প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে কড়া ভাষায় পাকিস্তান হাইকমিশনের শিষ্টাচারবহির্ভূত কার্যক্রমের নিন্দা জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার ও পাকিস্তান হতে বাংলাদেশের আসা ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজরদারির সুপারিশ করা হয়েছে।  

 <a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=a35ce767' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=782&n=a35ce767' border='0' alt='' /></a> 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাশকতার সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দীর্ঘ অনুসন্ধান চালায় বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মাযহার খান জাল নোট (রুপি) তৈরি ও সংগ্রহ করে কতিপয় বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে ভারতে পাচার করেন। এতে তিনি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে আরও নিশ্চিত হন যে, মাযহার খানের সঙ্গে জলিল   আখতার ও মো. মজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের লোকজনের যোগাযোগ    রয়েছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বিশেষ করে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, যশোর, বেনাপোল এলাকার বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন গত ১২ জানুয়ারি রাতে বনানীর মৈত্রী মার্কেট এলাকায় মজিবুর রহমান ও পাকিস্তান দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানকে গোপন বৈঠকের সময় আটক করে। ওই সময় মাযহার তার সঙ্গে থাকা বেশ কিছু কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। ছিঁড়ে ফেলা কাগজ সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা কিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর পান। ওই পাসপোর্টের সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে, পাসপোর্টধারীদের এমন তিন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের নাম বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুত করা হিযবুত তাহরীরের তালিকায় আছে। এরপরই গোয়েন্দারা মজিবুর ও মাযহারকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বনানী থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেদিনই রাত ১০টার দিকে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রথম সচিব সামিনা মাহতাব বনানী থানায় উপস্থিত হয়ে মাযহার খানকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান। অন্যদিকে, মজিবুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত আট থেকে ১০ বছরে ২২ বার পাকিস্তানে ১১ বার ভারত ও ২২ বার থাইল্যান্ডে যাওয়া মজিবুর রহমানের সঙ্গে মাযহার খানের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মাযহার খানের পূর্বসূরি সহকারী ভিসা কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে মজিবুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দতে জানান, মাযহার খান এক লাখ ৮০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি চালানোর জন্য তাকে দেন। একইভাবে মাযহার আরও ভারতীয় জাল রুপি জাহিদ, ইমরান ও আরও কয়েকজনকে দিয়ে বাজারে ছাড়িয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মাযহার খান পাকিস্তান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেন। এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করা হয়। মূলত বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যা এখনো ধারাবাহিকভাবে চলছে।  
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রের তথ্যমতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইমরানকে আশি লাখ জাল রুপিসহ আটক করা হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। ইমরানের পাসপোর্টের ভিসাও ছিল জাল। আগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ইমরানেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। 
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের মন্তব্য অংশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান হাইকমিশনে ২ বছর দায়িত্ব পালনের বাইরে মোহাম্মদ মাযহার খান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ড, পৃষ্টপোষকতা, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মুদ্রাবাজার ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিশাল জাল রুপির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। এই নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য মুজিবুর রহমান জঙ্গিসংগঠনগুলোর জন্য অর্থ পাচার কাজে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এ জন্যই তিনি ঘন ঘন ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে আসা-যাওয়া করেছেন। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভিসা প্রদান না করায় জাল ভিসার সংখ্যা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অতি জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয় বলে জানা গেছে।
০২/০৪/২০১৫

Sunday, April 18, 2021

আফগানিস্তানে তারাবির নামাজ পড়ার সময় মসজিদে গুলি চালিয়ে এক পরিবারের আট ব্যক্তিকে হত্যা

আফগানিস্তানে তারাবির নামাজ পড়ার সময় মসজিদে গুলি চালিয়ে এক পরিবারের আট ব্যক্তিকে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা। স্থানীয় এক পুলিশ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘তারাবির নামাজের সময় মসজিদে ঢুকে গুলি চালানো হয়। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে এটি টার্গেটেড হামলা।’ আল-জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির পূর্ব নানঘর প্রদেশে শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের এই প্রদেশে আইএস জঙ্গিদের ঘাঁটি আছে। তাদের কারণেই সাধারণ মানুষের হাতে হাতে অস্ত্র চলে গেছে।
পুলিশ বলছে, জালালাবাদের ওই এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়। আটজনের মধ্যে পাঁচজন এক মায়ের সন্তান, বাকি তিনজন তাদের চাচাতো ভাই। আফগানিস্তানে জমি সংক্রান্ত বিরোধ প্রায়ই দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে। গত এপ্রিলে ছয়জন উপজাতিকে এভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আহত হন ২০ জন।-অন্যদৃষ্টি ব্রেকিং

Thursday, February 4, 2021

তৃষাতুর ঘাতক-সুমি খান

(বিকেল ৫টা, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫) বাতাসে লাশের গন্ধ- ২৫ মার্চ ১৯৭১- ইয়াহিয়ার দাবি ছিল অতি 'সামান্য' বাংলাদেশের মাটি- সে মাটি লুটে নিতে লুটেছে তোমার আমার সব- লুটেছে রবীন্দ্র নজরুল কেড়েছে তিরিশ লাখ প্রাণ লুটেছে তিন লাখ নারীর সম্ভ্রম- বাড়ি-ঘর মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-প্যাগোডা আজো সেই প্রেতাত্মার রক্তবীজ রক্তপিপাসু লালায়িত - চলছে রক্তের হোলিখেলা- তুমি আমি নির্বাক- প্রশ্নের ঝোড়ো হাওয়া লুটে নেয় রক্তপ্রাণ প্রশ্নচিহ্ন আছে বটে- তবে সেটা শুধু শ্লীল অশ্লীলতার কি? বিষয়টা ভাবনার গভীর থেকে গভীরতর- যেন গভীরখাদ.. উবু হয়ে দেখতে হবে। পেছনে প্রস্তুত ঘাতকের সারি! যাদের দায়িত্ব সামান্যই- তুমি উবু হতেই খুব হাল্কা হাতে তোমার মাথার ঠিক পেছনটায় একটা চাটি- তলিয়ে যাবে তুমি- খাদের একেবারে তলানিতে!! তবু জেগে আছি আমি তুমি পিতৃপুরুষের ঋণে তিরিশ লাখ প্রাণের প্রতিশোধের দাবি নিয়ে- জেনে যাক্ ঘাতকের দল- যতোই বড়ো হোক্ ঘাতকের সারি- আমাদের মিছিলের সারি আজ তার চেয়ে অনেক বড়ো- জেগে আছি আমি তুমি লাশ কাটা ঘর নয় লাল সবুজের সবীজ মাতৃভূমির বুকে- ধানসিঁড়িটির তীরে- শঙ্খচিল শালিকের ভিড়ে- কর্ণফুলীর তীরে মাস্টার'দা প্রীতিলতার রক্তবীজ বেয়ে- ঘাতকের শান দেয়া ছুরির মুখে আমি আছি আছো তুমি বন্ধু চিরঞ্জীব!

না চিনিতেই ভালোবেসে কেনা দীর্ঘশ্বাস- সুমি খান

০১ দাম দর করতে শিখি নি- শিখিনি যাচাই আর পরখ বিচার এ জীবনে হলো না কিছুই বুঝি আর দানের মহিমা বুঝেছে কবে কে! ০২ কিছু পুরুষ বলে তারা নাকি নারীর সবটুকু চায়! কিছু দুর্বোধ নারী থাকে যাদের না পাওয়াতেই সুখ যারা ভাবে- ভালোবাসলে ’অদেয় কিছুই থাকে না’! ঈশ্বর মুখ টিপে হাসেন তখন- নারীশ্বর থাকতো যদি কেউ রক্ষক হয়ে আগলে রাখতো এসব দুর্বোধ নারীদের! হৃৎপিণ্ড থেকে বাঁচবার কথা ভুলে নিঃশ্বাস টুকুও উজাড় করে দেবার পর দমটুকু গারদে ভরে দিলে তোমরা- শ্বাসটুকু দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকলো! শ্বাস ও দীর্ঘ হয়- মেয়েটি জানলো- ধীরে ধীরে! সবটা দিলেও দীর্ঘশ্বাসগুলো আর কাউকে দিলো না মেয়েটি - ভালোবাসার বিনিময় হয় না যে! নিজের বলে এ জীবনে ওইটুকুই রয়ে গেলো মেয়েটির! দীর্ঘশ্বাস জমতে থাকে- সম্পদ বাড়তে থাকে মেয়েটি বেশ সম্পদশালী হয়ে গেলো তিলে তিলে! সকাল ৮টা ২০ মি. ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, পাথরঘাটা, চট্টগ্রাম