রক্ত নষ্ট
ভক্ত নষ্ট
নষ্ট সময়
ইতিহাসের -
মাতাল নাচন
কালো রাতের-
ঠাঁই হয়ে যায়
ল্যাজের ডগায়-
দিনলিপিকার রাজাকারের -
মাতায় ফাগুন
লাগায় আগুন
দিগ্বিদিকে !
কলম জ্বলে
দাবানলে
চোখের কোণে
লাল লেলিহান-
আগুন জ্বলে!
ওগো পিতা
কোথায় জাগো ?
আবার এসো
জাগাও তোমার ঘুমপুরীর এই
ঘুমে বেঘোর সন্তানদের!
পিতা মোদের
একটু এসো
মাদুর পেতে
দাওয়ায় বোসো!
হিমেল হাওয়ায়
দোলা দিয়ে
হাঁক দিয়ে যা্ও -
যার যা আছে
ঝাঁপিয়ে পড়ার!
ওগো পিতা -
পিতা মোদের
একটিবারের জন্যে এসো-
দৃষ্টি মলিন
মগজ ঘোলা-
উঠোন জুড়ে শকুনীরা-
জড়ো হয়ে
রক্ত নিয়ে
হোলিখেলা
করবে বলে
পাকসেনাদের ভ্রষ্ট বীজে
মাতৃভূমির পবিত্রতা
নষ্ট করে!
রক্তে ধোয়া অহর্নিশি প্রহরগুলো
সব ভুলেছে!
একাত্তরের
২৫শে মার্চ রাতের থেকে
১৪ ডিসেম্বরের কালো রাত্তিরেতে-
নষ্ট ভ্রষ্ট বীজের হাতে
গ্রামের পরে গ্রাম জ্বেলেছে
কালো হাতে মশাল দিয়ে
চাঁন তারা তে মুখ ভরিয়ে
তোমার আমার ঘর পুড়েছে-
স্বেচ্ছাবন্দি মগজগুলো-
রক্তখেকো শকুন গুলো
মুখোশ প'রে-
ভূমির সারি দখল করে
মুঠো মুঠো টাকা নিয়ে পকেট ভরে-
ভূমির সারি দখল করে
মুঠো মুঠো টাকা নিয়ে পকেট ভরে-
তোমার নামে 'জয়ধ্বনি'র
মাতন তোলে !
এই আমিটা ক্ষুদ্র হলেও
মুঠো তুলে
পরান খুলে
বজ্রশপথ তোমার নামে
আকাশ পানে
চোখটি মেলি
তোমায় দেখি-
পিতা আমার -
পরানের গহীন ভিতর
যেমন জাগো নিত্যপ্রহর
হাঁক দিয়ে যাও তাই-
‘জাগো বাহে ...................কুন্ঠে সবাই’!
রাত ২টা ১০ মিনিট, ১১ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর