tag:blogger.com,1999:blog-4266135681728645282024-03-13T16:18:56.065-07:00 অন্যদৃষ্টি ONNODRISHTY sumi khan's Blogসমাজ প্রগতির সংগ্রামে নিবেদিত প্রতিটি মানুষের প্রতি এ অন্ধ মৃত সমাজের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা-অন্ধকারের শক্তির মুখোশ উন্মোচন করে দৃষ্টির ভেতরে বাইরে প্রতিটি সর্বনাশ ঠেকানোর মানবিক প্রয়াস মাত্র!Unknownnoreply@blogger.comBlogger671125tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-40623510352413988202022-12-29T19:23:00.118-08:002022-12-29T20:30:57.069-08:00ফুটবল সম্রাট পেলে চিরনিদ্রায়-সুমি খান<p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী </span><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">ফুটবল সম্রাট</span></span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> ব্রাজিলের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী পেলে ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন।</span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="background-color: white; font-size: 20px;">১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ তিনি ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। ’</span></span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার পেলে মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন । </span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">৮২ বছর বয়সে এ ফুটবল সম্রাট চলে গেলেন সকলকে ছেড়ে। </span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif;">পেলে ১৯৭৭ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ব্রাজিলের রাজনীতিতে অংশ নেন দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজেকে নিবেদন করেন। আমৃত্যু ব্রাজিল তথা সারা বিশ্বের মানবতার সেবায় কাজ করেছেন। বিভিন্ন কোম্পানীর ব্র্যান্ড ছিলেন </span>পেলে ৷</span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif;">১৯৫৮ সালে ব্রাজিল প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে পেলের নেতৃত্বে। </span><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif;">পর পর চারটি বিশ্বকাপে খেলে তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পেলের নেতৃত্বে ব্রাজিল। বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের এ কৃতিত্ব নেই। </span></span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif; font-size: medium;"><span style="font-size: 20px;"> সর্বাধিক ৫৪১ টি গোল৷ আর সব রেকর্ড মেলালে ১২৯৭ গোল করেন তিনি৷</span></span><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif; font-size: medium;"><span style="font-size: 20px;">এক মরশুমে সর্বাধিক ৭৭ টি গোল করার পর </span></span>ব্রাজিলে পেলেকে জাতীয় নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হতো।</span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif; font-size: medium;"><span style="font-size: 20px;">স্যান্টোসের কোচকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পায়ের যাদুতে মুগ্ধ করেছিলেন পেলে৷ সেই থেকে স্যান্টোস এফসিতে তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের শুরু৷ ১৯৫৬ সালে নিজের কন্ট্র্যাক্ট সাইন করেন তিনি৷ তারপরেই তিনি নিজেদের পেশাদার অভিষেক ঘটান৷ নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল করেন ।</span></span>ব্রাজিলিয়ান লীগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন৷ </span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">পেলে খেলবেন বলে নাইজেরিয়ান সিভিল ওয়ারের দুটি দল ৪৮ ঘণ্টা ১৯৬৯ সালে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল৷ পেলে এরপর ১৯৭৪ সালে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলেন৷ কিন্তু ইন্টারমিলান এবং রিয়েল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের জন্য খেলেন৷</span></span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">১৯৯২ সালে পেলে ইউনেসকো চ্যাম্পিয়ন্স ফর স্পোর্টসে পিছিয়ে থাকা অর্থনীতির শিশুদের খেলার বিকাশের জন্য নিযুক্ত হন৷ কিন্তু ২০০১ সালে এক বিশাল আর্থিক দুর্নীতিতে তাঁকে ৭ লক্ষ ডলার তছরূপের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।</span></span></p><p><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপে তাঁর যোগদান৷ যাদুকরী খেলার গুণে </span><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার পান। কিন্তু সব প্রত্যাখ্যান করে তিনি স্যান্টোসের সঙ্গেই ছিলেন৷ তাঁর দল ১৯৬২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টল কাপ এবং ১৯৬৩ সালে কোপা লিবারেটোডরেস জেতেন ।</span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">পেলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল।মৃত্যুকালে ১০০ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রেখে গেলেন ফুটবল সম্রাট ।</span></span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">তাঁর মার্কেটিং কোম্পানি পেলে স্পোর্টস অ্যান্ড মার্কেটিং ইউনিসেফের থেকে টাকা ধার করেছিলেন একটি প্রীতি ম্যাচের জন্য, যা কখনও খেলা হয়নি৷ পেলে অডিট করে নিজের পার্টনারের বিরুদ্ধে ৪ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেন,তবে তা প্রমাণ করা যায় নি।</span></span></p><p><span style="font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">পুমা-র (Puma) সহ অনেকের ব্র্যান্ড পেলে অ</span><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="font-size: 20px;">বসর নেবার এক যুগ পরও দশ লক্ষ ডলার করে রোজগার করতেন এনডর্সমেন্টের সুবাদে৷ </span></span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">ফুটবলের যাদুকর মারাদোনা ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে হঠাৎ প্রয়াত হন । এবার পেলে ও চলে গেলেন। দু’বছরের মধ্যে বিশ্ব </span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">হারাল সারাবিশ্বে কোটি ফুটবল অনুরক্ত দর্শকের হৃদয়ের রাজা দুই কিংবদন্তী ফুটবল যাদুকরকে।।</span></p><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7GSVL8v39HjiLQ1pDmLADTQzDiHMkRQrIsNglaEWhjOVg5_JES_CAt4eEy5vg4FiO2fCVah_ZLq7R_Q1nOArz5uH6F6Tr24PAuFMs4_9fslf8ZHGyv63gL5C4NGFplTGXbdfnQJWQ3taxrnzmKCLU7zmBcFBKNuwAx_eJwgijagLMMLnKLu1KmdHTcg/s900/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%20%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="600" data-original-width="900" height="426" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7GSVL8v39HjiLQ1pDmLADTQzDiHMkRQrIsNglaEWhjOVg5_JES_CAt4eEy5vg4FiO2fCVah_ZLq7R_Q1nOArz5uH6F6Tr24PAuFMs4_9fslf8ZHGyv63gL5C4NGFplTGXbdfnQJWQ3taxrnzmKCLU7zmBcFBKNuwAx_eJwgijagLMMLnKLu1KmdHTcg/w640-h426/%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%20%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2.jpg" width="640" /></a></div><br /><p><br /></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">১৯৭৭ সালে তিনি অবসরে যান। </span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট দিয়েগো মারাদোনার পক্ষে ছিল। ফিফা </span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">দু’জনকেই</span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> যুগ্ম ভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে ।</span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর </span> <span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">পেলের জন্ম</span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">। </span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে।</span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> পেলে নামে চেনে বিশ্ব তাঁকে; মায়ের দেয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো নামে দুনিয়া তাকে চেনে না। </span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বাড়ি ফেরা হয়নি। বড়দিন হাসপাতালেই কাটিয়েছেন। বিছানায় অসুস্থ বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছবি গণমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তাঁর কন্যা কেলি।</span><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> গত শনিবার হাসপাতালে পৌঁছেন ছেলে এডিসন। </span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;">পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে তাঁর পাশে থেকেও শেষ রক্ষা হল না। চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারলেন না ফুটবল সম্রাটকে।</span></p><p><span style="background-color: white; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px;"> চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন পেলে।</span></p><p><span style="font-family: Noto Serif Bengali, serif;"><span style="background-color: white; font-size: 20px;">৩০ ডিসেম্বর,২০২২</span></span></p><div id="para-two" style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 14px; margin: 0px; padding: 0px;"></div><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px; line-height: 34px; margin: 0px; padding: 16px 0px 0px;"><br /></p><div id="para-three" style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 14px; margin: 0px; padding: 0px;"></div><p style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "Noto Serif Bengali", serif; font-size: 20px; line-height: 34px; margin: 0px; padding: 16px 0px 0px;"><br /></p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-5931455918018566322022-02-25T08:08:00.002-08:002022-02-25T08:08:13.699-08:00৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব-৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া<p> 'ঠান্ডা যুদ্ধ'-র প্রায় ৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব। একে অনেকেই 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ'র আগের মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করছেন। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhhlShn45rzArRqWkKf8FZpuIJ9XJsq5HQwrZV1J0R9Aqu58jW19l75FyaSRq5MTdG_2liFdXtOzr253ZRPm7W9yy_LjCGlE0nu0V29Z_W7oNHYgky9l5p1ekhUVYX1euahyP3qT5mUyyePksT4qejUHKOGR_fiHaaAVg9J7_wb26eSpC3mIg_lW9sMRg=s1360" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="765" data-original-width="1360" height="360" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhhlShn45rzArRqWkKf8FZpuIJ9XJsq5HQwrZV1J0R9Aqu58jW19l75FyaSRq5MTdG_2liFdXtOzr253ZRPm7W9yy_LjCGlE0nu0V29Z_W7oNHYgky9l5p1ekhUVYX1euahyP3qT5mUyyePksT4qejUHKOGR_fiHaaAVg9J7_wb26eSpC3mIg_lW9sMRg=w640-h360" width="640" /></a></div><br /><p><br /></p><p>অবশেষে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া। বিদেশমন্ত্রী লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন অস্ত্র রেখে দিলে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি মস্কো। পাল্টা প্রতিরোধ করা চলবে না। চিনা সরকারের আধিকারিকের দাবি, ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে পুতিনের।</p><p>আমেরিকা ও ন্যাটোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে দুদিন ধরে ‘সামরিক অভিযান’ (Russia-Ukraine War) জারি রেখেছে রাশিয়া। হঠাৎ করে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। চেনা ইউক্রেন রাতারাতি পাল্টে গেছে।যুদ্ধ ঘোষণা করেই একসঙ্গে ইউক্রেনের ১১ টি শহরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ সহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা হয়েছে।ইউক্রেনের একশ’র বেশি সেনা নিহত । </p><p> রাশিয়ার চিরশত্রু ইউক্রেনের পাশে আমেরিকা;রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিন। আফগানিস্তানের তালিবান শাসক কায়েম হওয়ার পর সুরক্ষার স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়াকেই সমর্থন করবে। আজারবাইজান এবং মধ্য প্রাচ্যের ইরানকেও পাশে পাবে মস্কো। এছাড়া পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে উত্তর কোরিয়ারও সমর্থন পাবে রাশিয়া।</p><p>ন্যাটো (NATO) অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয় দেশগুলোকে পাশে পাবে ইউক্রেন। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্য়ান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, ব্রিটেন এবং আমেরিকার সমর্থন পাবে ইউক্রেন। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াও ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণা। </p><p>চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আর্জি জানিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন। </p><p>আগেই চিন জানিয়ে দিয়েছে যে এই লড়াইয়ে রাশিয়ার পাশে রয়েছে তাঁরা। এছাড়া একসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কর্গিস্তান, তাজিকিস্তান এবং বেলারুসের সমর্থন পাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। </p><p><br /></p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-7431888330755252302021-12-28T01:00:00.003-08:002021-12-28T01:00:42.242-08:00একটা ছোট্ট ট্রিক- বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ<p> মেসেজিং অ্য়াপ বলতে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) -যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করছেন, তাঁরা সবুজ রঙের লোগো দেখতেই অভ্যস্ত- একটা পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করলে মুহূর্তে বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) লোগোর রঙ।</p><p>যদি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ বদলাতে চান, মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলো-</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEgtwRq0aKXBZ5ZoBOmaOpI0Q9bTv_G5F5zuRwkOQwQCM6u7QId0g97umrn72uFaL-MW-OGWmOirk-orMPUHs3UfIfKs8kaN1LDa7rkauWgR-c8uE_pXtmHMMztU-vz3wHbOmYrDYQuKYEq5ce4CbxwU_NkxjrIkt9KgkqKwA41vo2fLDM1uDuARGc3SPg=s700" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="700" height="183" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEgtwRq0aKXBZ5ZoBOmaOpI0Q9bTv_G5F5zuRwkOQwQCM6u7QId0g97umrn72uFaL-MW-OGWmOirk-orMPUHs3UfIfKs8kaN1LDa7rkauWgR-c8uE_pXtmHMMztU-vz3wHbOmYrDYQuKYEq5ce4CbxwU_NkxjrIkt9KgkqKwA41vo2fLDM1uDuARGc3SPg=s320" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p>আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করুন 'Nova Launcher' নামে একটি অ্যাপ। ডাউনলোড হয়ে গেলে এবার সেখানে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) আইকন সিলেক্ট করুন।গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ আইকনটি ডাউনলোড করুন। এরপর হোমস্ক্রিনে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপটি অনেকক্ষণ প্রেস করে থাকুন বা চেপে ধরে থাকুন। </p><p>এরপর স্ক্রিনের উপর একটা 'এডিট পেনসিল' দেখতে পাবেন। ওটাতে ক্লিক করে ফোন গ্যালারিতে গিয়ে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ লোগোটি সিলেক্ট করুন। দেখবেন মুহূর্তে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ লোগো সবুজ থেকে সোনালী হয়ে যাবে।Zee News</p><p><br /></p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-945883489594153682021-12-28T00:35:00.002-08:002021-12-28T00:45:59.326-08:00২৭ ডিসেম্বর সমুদ্রযাত্রা তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে লহমায় বদলে দিল সৃষ্টিতত্ত্ব-যোগ্যতমরাই বেঁচে থাকে- সুমি খান <p> ২৭ ডিসেম্বর একটি সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন ডারউইন -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিবর্তনতত্ত্ব একটি বই লিখেছিলেন।বই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে পুরনো ধ্যানধারণা সব লহমায় বদলে দিয়েছিল।জীববিজ্ঞানেই শুধু নয়, সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের পৃথিবীতেই একটা 'প্যারাডাইম শিফট' ঘটে গেল। </p><p>ধাক্কা খেয়েছিল সৃষ্টিতত্ত্ব! বিশ্ব জুড়ে জ্ঞানবুভুক্ষু মানুষ চেটেপুটে পড়তে লাগলেন পৃথিবীর জীবজগতের নিয়ম। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব তো শুধু বিজ্ঞান নয়, দার্শনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বিপুল সাড়া ফেলেছিল। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg7eB1SZcCSl_18PSVjtE9g_Hvyv-_PqqeTdYKa7PkHv26trwFy_zMT_TFBzHv6NIy4c0BHspvbP446waRCWfq2IUbHF8JvJOjomOpFG9LYVtJOmT2cJYQUm7LKqRMvLaxHhqq1kkjuQJfJBqzGGvf-hd3UakWiam8Lp1CC9JS7IaTXcCdrE54cUlmUaQ=s700" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="700" height="267" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEg7eB1SZcCSl_18PSVjtE9g_Hvyv-_PqqeTdYKa7PkHv26trwFy_zMT_TFBzHv6NIy4c0BHspvbP446waRCWfq2IUbHF8JvJOjomOpFG9LYVtJOmT2cJYQUm7LKqRMvLaxHhqq1kkjuQJfJBqzGGvf-hd3UakWiam8Lp1CC9JS7IaTXcCdrE54cUlmUaQ=w466-h267" width="466" /></a></div><br /><p>বিগল নামের জাহাজটির ক্যাপ্টেন রবার্ট ফিটজয় -এই ক্যাপ্টেনের সাদর আমন্ত্রণেই তরুণ জীববিদ্যাবিদ চার্লস ডারউইন চেপে বসতে পেরেছিলেন সেই জাহাজে এবং পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন গ্যালাপোগোস দ্বীপে। শুরু করেন তাঁর অনন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ডারউইনের বাবা চাননি, ছেলে এই সমুদ্রভ্রমণে যাক। বাবার অমতেই ডারউইন নেমে পড়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করতে। সমুদ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর। চার্লস ডারউইন সেই সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন।</p><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEi-Q9EynUjLo2broihxLVtGxpSYfow1aXviJ1nV0AaZC3cOZnM47XhzrX-_m4UqAfipyuKkvm7bs8GlgHNaEyeRi_Vs4L-qce8ct8yAhncxr4hRVo1J4oX4ZefWQYDusKGZyi4g5zMYCRnC2gtr30VFyUtTV41CRr7dAd0JakSixMeiIHCRWyaJhl6q_g=s700" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="700" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEi-Q9EynUjLo2broihxLVtGxpSYfow1aXviJ1nV0AaZC3cOZnM47XhzrX-_m4UqAfipyuKkvm7bs8GlgHNaEyeRi_Vs4L-qce8ct8yAhncxr4hRVo1J4oX4ZefWQYDusKGZyi4g5zMYCRnC2gtr30VFyUtTV41CRr7dAd0JakSixMeiIHCRWyaJhl6q_g=w420-h240" width="420" /></a></div><p></p><p>১৮৫৯ সালের ২৪ নভেম্বরে লন্ডন থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবনসংগ্রামে আনুকূল্যপ্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে বইটি বেরিয়েছিল। নাম-- 'অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস'। বইটির পুরো নাম দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস বাই মিনস অফ ন্যাচারাল সিলেকশন, অর দ্য প্রিজারভেশন অফ ফেভারড রেসেস ইন দ্য স্ট্রাগল ফর লাইফ'! বছরতেরো পরে অবশ্য বইটির নাম ছোট করে দেওয়া হয়-- 'দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস'।</p><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEj1jAecI4F-pGnoVuKf035GvF1L3Uaq6aWhkt3EmSitUhHc3j5bkMFC-oozOcefpGxTDtuI44Ezqjue7VgMhQKVNVrqd1WfJG8RJGFWFbardE8m3PuRPj05Q_UwiS8LqSx2Sit4WaZ83woIKD7Sk_K-8DGEZRs1xzW35RjM3ol15R5xR2HZejFbzn04VQ=s700" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="700" height="183" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEj1jAecI4F-pGnoVuKf035GvF1L3Uaq6aWhkt3EmSitUhHc3j5bkMFC-oozOcefpGxTDtuI44Ezqjue7VgMhQKVNVrqd1WfJG8RJGFWFbardE8m3PuRPj05Q_UwiS8LqSx2Sit4WaZ83woIKD7Sk_K-8DGEZRs1xzW35RjM3ol15R5xR2HZejFbzn04VQ=s320" width="320" /></a></div><br /><p></p><p>সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাই ওই বই। সেই বইয়ের ভূমিকায় ডারউইন আর্মাডিলো, রিয়া নামের এক উড্ডীন-অক্ষম পাখি, কয়েকটি বিলুপ্ত প্রজাতির ঘোড়া এবং অধুনালুপ্ত স্লথের জীবাশ্মের কথা উল্লেখ করেন।</p><p> গ্যালাপোগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদদের দেখেই তিনি বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে প্রথম চিন্তাভাবনা শুরু করেন। সেই চিন্তাভাবনা ক্রমে মহীরুহের আকার নেয়। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjy3Adr1dmMBzastB6PUPERmWmrmN671C22XK7VNzhPT44ogAL7N5s5OxBQa0Pnu8wLxvg0-8thpg9WphC-V2IOHU_FSskzuOd80lzTAGeQP7IBoZvz_0ao25zf4NS3L0yLjD8zKdcd_dTfxB5RgX3m2z2g5g9uNKxhxwd8ZGnLC0G_pw-FRzds4EmLqw=s700" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="700" height="246" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjy3Adr1dmMBzastB6PUPERmWmrmN671C22XK7VNzhPT44ogAL7N5s5OxBQa0Pnu8wLxvg0-8thpg9WphC-V2IOHU_FSskzuOd80lzTAGeQP7IBoZvz_0ao25zf4NS3L0yLjD8zKdcd_dTfxB5RgX3m2z2g5g9uNKxhxwd8ZGnLC0G_pw-FRzds4EmLqw=w430-h246" width="430" /></a></div><br /><p>হঠাৎ ডারউইন কেন ভাবতে গেলেন এই সব? তাঁর প্রেরণা ছিলেন লামার্ক। তিনিই প্রথম বলেছিলেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মগ্রহণ করে প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মদাতার থেকে একটু আলাদা হয়ে যায় জীব। এবং এই ভাবে চলতে-চলতেই দীর্ঘ সময় পরে বড় ধরনের বদল, বা 'বিবর্তন' ঘটে। এই ভাবনাই ডারউইনকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল। </p><p>ডারউইন গুরুর চেয়ে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে গেলেন। দেখালেন, বিবর্তন শুধু পরিবর্তন নয়; এ হল পরিবর্তনের এমন এক ধারা যা অতীতকে সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে ভেসে চলে। এই পরিবর্তনের ভেসে চলার গতিপথ 'অতি সরল' থেকে 'সরল', 'সরল' থেকে 'জটিল' আবার 'জটিল' থেকে 'জটিলতর' কিংবা 'অনুন্নত' থেকে 'উন্নত', 'উন্নত' থেকে 'উন্নততরে'র দিকে। </p><p>এই জার্নিতে জীবকে পরিবেশের সঙ্গে লড়তে হয়, খাপ খাওয়াতে হয়। খাপ খাওয়ানোর এইসব কাজ করতে-করতে জীব নানা বৈচিত্র্য অর্জন করে এবং যোগ্যতমেরাই বেঁচে থাকে।</p><p> এর সঙ্গেই অন্বিত 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'। এই পথেই নতুন এবং উন্নততর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আরশোলা একই অবয়বে সুদীর্ঘকাল টিকে থাকল পৃথিবীতে। </p><p>আরশোলা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে বলেই এটা পারল।ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল; খাপ খাওয়াতে পারল না। অর্থাৎ, এখানে প্রাকৃতিক নির্বাচনই আসল খেলাটা খেলছে বলে মত ডারউইনের। Source Zee</p><div><br /></div>Unknownnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-17381524421494892942021-07-30T12:32:00.001-07:002022-04-11T09:44:56.592-07:00বাংলাদেশে নাশকতা-পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক মাযহার খান-সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
বাংলাদেশে নাশকতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাকিস্তান দূতাবাসের এক কূটনীতিক। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাযহার খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ও অর্থায়ন করেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর অন্যতম সংগঠকও এই পাকিস্তানি। পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম এবং জামায়াত-শিবিরকে।
মাযহার খান নামে ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশবিরোধী ভয়ঙ্কর সব তৎপরতার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার সন্দেহও করছেন কেউ কেউ। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, জঙ্গি তৎপরতাই শুধু নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রাবাজার ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন তিনি। এ জন্য পরিচালনা করেন ভারতীয় জাল রুপির এক বিশাল নেটওয়ার্ক। ধরাও পড়েছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। কিন্তু কূটনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয় ঢাকার পাকিস্তান দূতাবাস। বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় জড়িত এই কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে গোপনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানে। দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি দূতাবাস কর্মকর্তার সহযোগী মজিবুর রহমান নামে বাংলাদেশি একজন নাগরিক গ্রেফতার হওয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরেই বেরিয়ে এসেছে জঙ্গি তৎপরতা ও জাল রুপি নেটওয়ার্কে থাকা ব্যক্তিদের কার্যক্রমের ক্রমধারা ও রূপরেখা। পাওয়া গেছে তাদের তালিকা ও কথোপকথনের সারাংশ। ওই প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে কড়া ভাষায় পাকিস্তান হাইকমিশনের শিষ্টাচারবহির্ভূত কার্যক্রমের নিন্দা জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার ও পাকিস্তান হতে বাংলাদেশের আসা ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজরদারির সুপারিশ করা হয়েছে। <br />
<br /> &lt;a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=a35ce767' target='_blank'&gt;&lt;img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=782&amp;amp;n=a35ce767' border='0' alt='' /&gt;&lt;/a&gt; <br />
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাশকতার সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দীর্ঘ অনুসন্ধান চালায় বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মাযহার খান জাল নোট (রুপি) তৈরি ও সংগ্রহ করে কতিপয় বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে ভারতে পাচার করেন। এতে তিনি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে আরও নিশ্চিত হন যে, মাযহার খানের সঙ্গে জলিল আখতার ও মো. মজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের লোকজনের যোগাযোগ রয়েছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বিশেষ করে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, যশোর, বেনাপোল এলাকার বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন গত ১২ জানুয়ারি রাতে বনানীর মৈত্রী মার্কেট এলাকায় মজিবুর রহমান ও পাকিস্তান দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানকে গোপন বৈঠকের সময় আটক করে। ওই সময় মাযহার তার সঙ্গে থাকা বেশ কিছু কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। ছিঁড়ে ফেলা কাগজ সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা কিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর পান। ওই পাসপোর্টের সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে, পাসপোর্টধারীদের এমন তিন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের নাম বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুত করা হিযবুত তাহরীরের তালিকায় আছে। এরপরই গোয়েন্দারা মজিবুর ও মাযহারকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বনানী থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেদিনই রাত ১০টার দিকে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রথম সচিব সামিনা মাহতাব বনানী থানায় উপস্থিত হয়ে মাযহার খানকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান। অন্যদিকে, মজিবুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। <br />
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত আট থেকে ১০ বছরে ২২ বার পাকিস্তানে ১১ বার ভারত ও ২২ বার থাইল্যান্ডে যাওয়া মজিবুর রহমানের সঙ্গে মাযহার খানের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মাযহার খানের পূর্বসূরি সহকারী ভিসা কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে মজিবুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দতে জানান, মাযহার খান এক লাখ ৮০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি চালানোর জন্য তাকে দেন। একইভাবে মাযহার আরও ভারতীয় জাল রুপি জাহিদ, ইমরান ও আরও কয়েকজনকে দিয়ে বাজারে ছাড়িয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মাযহার খান পাকিস্তান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেন। এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করা হয়। মূলত বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যা এখনো ধারাবাহিকভাবে চলছে। <br />
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রের তথ্যমতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইমরানকে আশি লাখ জাল রুপিসহ আটক করা হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। ইমরানের পাসপোর্টের ভিসাও ছিল জাল। আগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ইমরানেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। <br />
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের মন্তব্য অংশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান হাইকমিশনে ২ বছর দায়িত্ব পালনের বাইরে মোহাম্মদ মাযহার খান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ড, পৃষ্টপোষকতা, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মুদ্রাবাজার ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিশাল জাল রুপির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। এই নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য মুজিবুর রহমান জঙ্গিসংগঠনগুলোর জন্য অর্থ পাচার কাজে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এ জন্যই তিনি ঘন ঘন ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে আসা-যাওয়া করেছেন। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভিসা প্রদান না করায় জাল ভিসার সংখ্যা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অতি জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয় বলে জানা গেছে।</div>
০২/০৪/২০১৫Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-30213305295922004392021-07-17T10:18:00.000-07:002021-07-17T10:18:23.520-07:00ভাষাসৈনিক ,মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন খান স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানhttps://youtu.be/wlXY2wwm2voUnknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-19080786904990065502021-04-18T06:37:00.002-07:002021-04-18T06:37:24.815-07:00আফগানিস্তানে তারাবির নামাজ পড়ার সময় মসজিদে গুলি চালিয়ে এক পরিবারের আট ব্যক্তিকে হত্যাআফগানিস্তানে তারাবির নামাজ পড়ার সময় মসজিদে গুলি চালিয়ে এক পরিবারের আট ব্যক্তিকে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা।
স্থানীয় এক পুলিশ আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘তারাবির নামাজের সময় মসজিদে ঢুকে গুলি চালানো হয়। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে এটি টার্গেটেড হামলা।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির পূর্ব নানঘর প্রদেশে শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের এই প্রদেশে আইএস জঙ্গিদের ঘাঁটি আছে। তাদের কারণেই সাধারণ মানুষের হাতে হাতে অস্ত্র চলে গেছে।
<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRGwfXL2VksIz4sX10-XwQQcOrS_yD8XGfGGhfnXevW3y9kVRhh3T03VVVVofP2EF98MYPww1VN9Od1lDXmo3fbACAHAEWn657w-pqMY9XlHJFn9KnxhAooLM7ORv9L4_DPm97iWv12m4Y/s704/8+killed+during+Tarabi+Namaz+in+East+Nanghar.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" width="600" data-original-height="403" data-original-width="704" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRGwfXL2VksIz4sX10-XwQQcOrS_yD8XGfGGhfnXevW3y9kVRhh3T03VVVVofP2EF98MYPww1VN9Od1lDXmo3fbACAHAEWn657w-pqMY9XlHJFn9KnxhAooLM7ORv9L4_DPm97iWv12m4Y/s600/8+killed+during+Tarabi+Namaz+in+East+Nanghar.jpg"/></a></div>
পুলিশ বলছে, জালালাবাদের ওই এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়। আটজনের মধ্যে পাঁচজন এক মায়ের সন্তান, বাকি তিনজন তাদের চাচাতো ভাই।
আফগানিস্তানে জমি সংক্রান্ত বিরোধ প্রায়ই দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে।
গত এপ্রিলে ছয়জন উপজাতিকে এভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আহত হন ২০ জন।-অন্যদৃষ্টি ব্রেকিং
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><iframe class="BLOG_video_class" allowfullscreen="" youtube-src-id="UlghnIHjZ60" width="320" height="266" src="https://www.youtube.com/embed/UlghnIHjZ60"></iframe></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-45197671363165049222021-02-04T12:16:00.000-08:002021-02-04T12:16:05.536-08:00তৃষাতুর ঘাতক-সুমি খান
(বিকেল ৫টা, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫)
বাতাসে লাশের গন্ধ-
২৫ মার্চ ১৯৭১-
ইয়াহিয়ার দাবি ছিল অতি 'সামান্য'
বাংলাদেশের মাটি-
সে মাটি লুটে নিতে
লুটেছে তোমার আমার সব-
লুটেছে রবীন্দ্র নজরুল
কেড়েছে তিরিশ লাখ প্রাণ
লুটেছে তিন লাখ নারীর সম্ভ্রম-
বাড়ি-ঘর
মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-প্যাগোডা
আজো সেই প্রেতাত্মার রক্তবীজ
রক্তপিপাসু লালায়িত -
চলছে রক্তের হোলিখেলা-
তুমি আমি নির্বাক-
প্রশ্নের ঝোড়ো হাওয়া লুটে নেয় রক্তপ্রাণ
প্রশ্নচিহ্ন আছে বটে-
তবে সেটা
শুধু শ্লীল অশ্লীলতার কি?
বিষয়টা ভাবনার
গভীর থেকে গভীরতর-
যেন গভীরখাদ..
উবু হয়ে দেখতে হবে।
পেছনে প্রস্তুত ঘাতকের সারি!
যাদের দায়িত্ব সামান্যই-
তুমি উবু হতেই
খুব হাল্কা হাতে
তোমার মাথার ঠিক পেছনটায়
একটা চাটি-
তলিয়ে যাবে তুমি-
খাদের একেবারে তলানিতে!!
তবু জেগে আছি আমি তুমি
পিতৃপুরুষের ঋণে
তিরিশ লাখ প্রাণের প্রতিশোধের দাবি নিয়ে-
জেনে যাক্ ঘাতকের দল-
যতোই বড়ো হোক্ ঘাতকের সারি-
আমাদের মিছিলের সারি আজ তার চেয়ে অনেক বড়ো-
জেগে আছি আমি তুমি
লাশ কাটা ঘর নয়
লাল সবুজের সবীজ মাতৃভূমির বুকে-
ধানসিঁড়িটির তীরে-
শঙ্খচিল শালিকের ভিড়ে-
কর্ণফুলীর তীরে
মাস্টার'দা প্রীতিলতার রক্তবীজ বেয়ে-
ঘাতকের শান দেয়া ছুরির মুখে
আমি আছি
আছো তুমি বন্ধু চিরঞ্জীব!
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-73582772168307745602021-02-04T00:07:00.006-08:002021-02-04T00:07:56.388-08:00না চিনিতেই ভালোবেসে কেনা দীর্ঘশ্বাস- সুমি খান ০১
দাম দর করতে শিখি নি-
শিখিনি যাচাই আর পরখ বিচার
এ জীবনে হলো না কিছুই বুঝি আর
দানের মহিমা বুঝেছে কবে কে!
০২
কিছু পুরুষ বলে
তারা নাকি নারীর সবটুকু চায়!
কিছু দুর্বোধ নারী থাকে
যাদের না পাওয়াতেই সুখ
যারা ভাবে-
ভালোবাসলে ’অদেয় কিছুই থাকে না’!
ঈশ্বর মুখ টিপে হাসেন তখন-
নারীশ্বর থাকতো যদি কেউ
রক্ষক হয়ে আগলে রাখতো এসব দুর্বোধ নারীদের!
হৃৎপিণ্ড থেকে
বাঁচবার কথা ভুলে
নিঃশ্বাস টুকুও উজাড় করে দেবার পর
দমটুকু গারদে ভরে দিলে তোমরা-
শ্বাসটুকু দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকলো!
শ্বাস ও দীর্ঘ হয়-
মেয়েটি জানলো-
ধীরে ধীরে!
সবটা দিলেও
দীর্ঘশ্বাসগুলো আর কাউকে
দিলো না মেয়েটি -
ভালোবাসার বিনিময় হয় না যে!
নিজের বলে এ জীবনে ওইটুকুই রয়ে গেলো মেয়েটির!
দীর্ঘশ্বাস জমতে থাকে-
সম্পদ বাড়তে থাকে
মেয়েটি বেশ সম্পদশালী হয়ে গেলো তিলে তিলে!
সকাল ৮টা ২০ মি.
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, পাথরঘাটা, চট্টগ্রাম
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-78217177698867425172020-12-18T11:53:00.057-08:002020-12-18T12:25:06.770-08:00আমাদের সুপারম্যান বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য শত বছরের বীরযোদ্ধা বাঘা যতীনের আবক্ষ মূর্তি সারা দেশে হোক-সুমি খান বাঘা যতীনের আবক্ষ মূর্তি ভেঙ্গে বাঙালীর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় যারা কলঙ্কিত করতে চায়,তাদের চরম সাজা দিতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো প্রতিটা স্বাধীনতা সংগ্রামীর আদর্শ বাঘা যতীন। আমাদের কোন কল্পিত সুপারম্যান নেই আক্ষরিক সুপারম্যান যাঁরা,তাঁদের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ,তাঁর পূর্বসুরী বাঘা যতীন, মাস্টার’দা, বীরকন্যা প্রীতিলতা,কল্পনা দত্ত অন্যতম। যারা এই বীর যোদ্ধাদের বারবার অসম্মান করছে, রাষ্ট্র যেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজার ব্যবস্থা করে। কোন আপোষকামীতাআমাদের অন্ধকারের চোরাবালিতে ডুবিয়ে দেবে। আমরা যেন এই ক্ষমাহীন অপরাধেল বিরুদ্ধে একাত্ম হই।
বাবা মায়ের আদর্শে লালিত জাতপাত প্রথাবিরোধী বাঘা যতীন শৈশব থেকেই কুষ্টিয়ার মুসলিম অসহায় এক বৃদ্ধাকে তাঁর নিজের খাবার গুলো দিয়ে দিতেন। বড়ো হয়ে ও তাঁকে মাসোহারা দিতে ভুলতেন না। সেই একশ’বছর আগের এই মানবতাবাদী বিপ্লবীর অসম্মান আমাদের সারা জাতির অসম্মান!
<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPTrgLdhLQpB1unSrUvFoG8UW0KaaircCWFT2X9LVE9qFAOcctPo0_H63YvZ5AVwx22mRDI9zpoLGE6JHPffuCghGVaaXvikNK0WzKGMRksmS__OpTWnBjumQYDLHtTQCwg8Sw5GF11Huc/s648/Bagha+Jatin+Sculpture+Vandalized+in+Kushtia.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" width="600" data-original-height="364" data-original-width="648" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPTrgLdhLQpB1unSrUvFoG8UW0KaaircCWFT2X9LVE9qFAOcctPo0_H63YvZ5AVwx22mRDI9zpoLGE6JHPffuCghGVaaXvikNK0WzKGMRksmS__OpTWnBjumQYDLHtTQCwg8Sw5GF11Huc/s600/Bagha+Jatin+Sculpture+Vandalized+in+Kushtia.jpg"/></a></div>
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (৭ ডিসেম্বর ১৮৭৯ – ১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৫) ছিলেন বাঙলার বীর যোদ্ধা, ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী নেতা।বাঘা যতীন নামেই সমধিক পরিচিত এই বিপ্লবী যোদ্ধার অবদান চিরস্মরণীয় । বাংলার ঘরে ঘরে তাঁর আবক্ষ মূর্তি এ দেশের সন্তান দের সাহসী বীর যোদ্ধা হবার অনুপ্রেণা দেবে। জানি না এ সত্য কবে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা বুঝবেন।
ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। বাঘা যতীন ছিলেন বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের প্রধান নেতা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে কলকাতায় জার্মান যুবরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে তিনি জার্মানি থেকে অস্ত্র ও রসদের প্রতিশ্রুতি অর্জন করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জার্মান প্লট তারই মস্তিস্কপ্রসূত। পরে মার্কিন- ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রে দেশীয় বিশ্বাসঘাতকদের সহযোগিতায় জার্মান জাহাজ ভর্তি গোলা বারুদ ধরা পড়ে যায়।
১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ মিলিটারির সাথে সশস্ত্র সংগ্রামের এক পর্যায়ে সম্মুখ যুদ্ধে উড়িষ্যার বালেশ্বরে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বালেশ্বর হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাস করার পর তিনি সাঁটলিপি ও টাইপ শেখেন এবং পরবর্তী সময়ে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের স্ট্যানোগ্রাফার হিসেবে নিযুক্ত হন। যতীন ছিলেন শক্ত-সমর্থ ও নির্ভীক চিত্তধারী এক যুবক। অচিরেই তিনি একজন আন্তরিক, সৎ, অনুগত এবং পরিশ্রমী কর্মচারী হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন। একই সঙ্গে তার মধ্যে দৃঢ় আত্মমর্যাদা ও জাতীয়তাবোধ জন্মায়।
বাঘা যতীনের জন্ম হয় কুষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে। তার পিতার নাম উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং মাতার নাম শরৎশশী। ঝিনাইদহ জেলায় পৈতৃক বাড়িতে তার ছেলেবেলা কাটে। ৫ বছর বয়সে তার পিতার মৃত্যু হয়। মা এবং বড় বোন বিনোদবালার সাথে তিনি মাতামহের বাড়ি কয়াগ্রামে চলে যান। যতীন শৈশব থেকেই শারীরিক শক্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। শুধুমাত্র একটি ছোরা নিয়ে তিনি চিতা বাঘের সাথে লড়াই করে বাঘকে হত্যা করেন।বাঘের বিষাক্ত নখের আঘাতে গুরুতর আহত হন।চিকিৎসকের নিরলস সেবায় সেরে উঠেন তিনি। সেই থেকে তাঁর নাম হয় বাঘা যতীন।রাষ্ট্রীয় পদক ও পান। ১৯৭০ সালে তাঁর নামে ভারত সরকার ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
যতীনের মা বিধবা শরৎশশী দেবী ছিলেন স্বভাবকবি। সমসাময়িক বাঙালি চিন্তাবিদদের রচনাবলীর পাঠিকারূপে তিনি অবগত ছিলেন দেশের মঙ্গলের পথ এবং সেইমতো তিনি লালন করতেন তার সন্তান দু'টিকে। পরোপকার, সত্যনিষ্ঠা, নির্ভীক চিন্তায় ও কর্মে অভ্যস্ত যতীন পড়াশোনা ও খেলাধুলার পাশাপাশি কৌতুকপ্রিয়তার জন্যও সমাদৃত ছিলেন। পৌরাণিক নাটক মঞ্চস্থ ও অভিনয় করতে তিনি ভালোবাসতেন এবং বেছে নিতেন হনুমান, রাজা হরিশচন্দ্র, ধ্রুব, প্রহ্লাদ প্রভৃতি চরিত্র।
যতীনের বড় মামা বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায় (বিপ্লবী হরিপদ চট্টোপাধ্যায়ের পিতা) ছিলেন কৃষ্ণনগরের আইনজীবি এবং আইনের অধ্যাপক। তার পরামর্শ নিতেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - পার্শ্ববর্তী শিলাইদহে তার জমিদারী সংক্রান্ত নানা প্রয়োজনে। কৈশোর থেকে রবীন্দ্রনাথ যে অনুরাগ নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছিলেন ব্রিটিশ শাসনে ভারতীয়দের প্রতি অবজ্ঞা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে, তারই প্রেরণায় শরৎশশী উদ্বুদ্ধ করেছিলেন যতীনকে। রবীন্দ্রনাথের ভাইপো সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ইতিহাস-ভক্ত। যতীনের চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে তিনি হাজির হতেন যতীনের ফুটবল ক্লাবে; সেখানে দামাল ছেলেগুলির সামনে সুরেন তুলে ধরতেন দেশপ্রেমের আদর্শ। গীতাপাঠের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দিতেন নিষ্কাম কর্মের উপযোগিতা। যতীন কৃষ্ণনগর শহরে এংলো ভার্নাকুলার (এ ভি) বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
১৮৯৫ সালে এন্ট্রান্স পাস করে তিনি কলকাতা সেন্ট্রাল কলেজে (বর্তমানের ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজ) ভর্তি হন। কলেজের পাশেই স্বামী বিবেকানন্দ বাস করতেন। বিবেকানন্দের সংস্পর্শে এসে যতীন দেশের স্বাধীনতার জন্য আধ্যাত্মিক বিকাশের কথা ভাবতে শুরু করেন। এসময়ে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বিবেকানন্দের আহবানে যতীন তার বন্ধুদের দল নিয়ে এই রোগে আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত হন।স্বামী বিবেকানন্দের পরামর্শে যতীন শরীরচর্চার জন্য অম্বু গুহের কুস্তির আখড়ায় যোগ দেন। সেখানে তার সাথে সেসময়ের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের দেখা হয়। এদের একজন শচীন বন্দোপাধ্যায়ের সাথে পরিচয়ের সূত্রে তিনি শচীনের পিতা যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণের সাক্ষাৎ পান। যোগেন্দ্রনাথ তখনকার ইউরোপের মাৎসিনি, গারিবল্ডি প্রমুখ ইতালীয় বিপ্লবীদের জীবনের আলেখ্য রচনা করেছিলেন।
কলেজ পাঠের সঙ্গে সঙ্গে যতীন অ্যাটকিনসন সাহেবের স্টেনো টাইপিংয়ের ক্লাসে ভর্তি হন। সদ্য প্রচলিত টাইপরাইটার ব্যবহার করার এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মোটা মাইনের চাকুরি পাওয়া সম্ভব ছিলো। ঔপনিবেশিক মনোবৃত্তিতে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠে ইস্তফা দিয়ে যতীন ১৮৯৯ সালে মজঃফরপুর চলে যান। সেখানে তিনি ব্যারিস্টার কেনেডীর সেক্রেটারি হিসাবে কাজে যোগ দেন। ভারতের জন্য মজুদ অর্থ দিয়ে ইংরেজ সরকার সৈন্যবাহিনী মোতায়েন করছে সাম্রাজ্য রক্ষার স্বার্থে, তার বিরুদ্ধে কেনেডি কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে বক্তৃতা মারফৎ এবং তার সম্পাদিত ত্রিহুত কুরিয়ার পত্রিকায় প্রচারণা চালাতেন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তিভোগী এই ভারত প্রেমিক ব্যারিস্টার কেনেডি ছিলেন মোগল সাম্রাজ্যের উপরে মৌলিক গবেষণার জন্য বিখ্যাত। দুর্ভাগ্যক্রমে কেনেডি'র স্ত্রী ও কন্যার জীবননাশ ঘটে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর বোমায়। কেনেডির উৎসাহে মজঃফরপুরের তরুণদের জন্য যতীন ফুটবল ও অ্যাথলেটিক ক্লাব গড়ে তুলেন।
জননী শরৎশশীর অসুস্থতার সংবাদে যতীন কয়াগ্রামে এসে দেখেন এক কলেরা রোগীর সেবা করতে করতে তার সংক্রমণে যতীনের মা মৃত্যুবরণ করেছেন। দিদি বিনোদবালার কাছে যতীন জানতে পারেন, তার প্রয়াত মা কুমারখালীর উমাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে ইন্দুবালার সাথে যতীনের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন। ১৯০০ সালে যতীন ইন্দুবালাকে বিয়ে করেন। তাদের ৪টি সন্তান হয় - অতীন্দ্র (১৯০৩-০৬), আশালতা (১৯০৭-৭৬), তেজেন্দ্র (১৯০৯-৮৯) এবং বীরেন্দ্র (১৯১৩-৯১)।
যতীন মজঃফরপুরে আর ফিরবেন না - এই খবর পেয়ে কেনেডি একটি সুপারিশ দেন তার বন্ধু হেনরি হুইলারের নামে, যিনি তখন বাংলা সরকারের অর্থসচিব। যতীনকে হুইলার নিজের স্ট্যানোগ্রাফার হিসাবে নিয়োগ করেন। যতীনের পেশাগত নৈপুণ্যের সঙ্গে তার আত্মসম্মানবোধ ও দেশপ্রেম মুগ্ধ করে হুইলারকে।
ভারতীয় প্রজাদের উপরে ইংরেজ অফিসারদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে তখন বিপিন চন্দ্র পাল নিউ ইন্ডিয়া (New India) পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপছেন; তারই প্রতিধ্বনি তুলে বংগদর্শনের পৃষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ লিখছেন মুষ্টিযোগের উপযোগিতা বিষয়ে - ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্ত ইংরেজের পক্ষ নিয়ে সরকার যেভাবে তার বদলা নেয়, সে বিষয়ে হুঁশিয়ার করে রবীন্দ্রনাথ ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভারতীয়দের সংঘবদ্ধ হতে। এর পিছনে প্রচ্ছন্ন আছে বিপ্লবীদের গুপ্ত সমিতি গঠনের পরিকল্পনা।১৯০৩ সালে যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণের বাড়িতে শ্রী অরবিন্দের সাথে পরিচিত হয়ে যতীন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। সরকারী নথিপত্রে যতীন পরিচিত হন শ্রী অরবিন্দের দক্ষিণহস্ত হিসাবে।অরবিন্দ ঘোষের সংস্পর্শে এসে যতীন শরীর গঠন আখড়ায় গাছে চড়া, সাঁতার কাটা ও বন্দুক ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যুগান্তর দলে কাজ করার সময় নরেনের (এম.এন রায়) সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং একে-অপরের আস্থাভাজন হন।
১৯০০ সাল থেকে মূল অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জেলায় জেলায় যতীন পত্তন করেন এই গুপ্তসমিতির শাখা। পথে-ঘাটে ভারতীয় নাগরিকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সদা প্রস্তুত যতীনের এই দেশাত্মবোধ গুণগ্রাহী হুইলারের মনে কৌতুক জাগাত।
১৯০৫ সালে যুবরাজের ভারত সফরকালে কলকাতায় বিরাট শোভাযাত্রা উপলক্ষে যতীন স্থির করলেন এদেশে ইংরেজদের আচরণ প্রত্যক্ষ করাবেন যুবরাজকে।
একটি ঘোড়াগাড়ির ছাদে একদল সৈনিক বসে মজা লুটছে, তাদের বুটসমেত পা দুলছে গাড়ীর যাত্রী, কয়েকজন দেশী মহিলার নাকের সামনে। যুবরাজ নিকটবর্তী হওয়ামাত্র যতীন অনুরোধ করলেন গোরাদের নেমে আসতে। অশালীন রসিকতায় মুখর গোরাদের হতভম্ব করে একছুটে যতীন গাড়ীর ছাদে ওঠা মাত্র একজোটে গোরারা তাঁকে আক্রমণ করে। ইতিমধ্যে নিছক বাঙ্গালী থাপ্পড় মারতে মারতে যতীন তাদের ধরাশায়ী করছেন দেখে যুবরাজ তার গাড়ী থামাতে বলেন।
যতীন জানতেন, নিয়মিত লণ্ডনে ভারত-সচিব মর্লি'র দফতরে অভিযোগ পুঞ্জীভূত হয় এইসব দুষ্কৃতকারী ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যুবরাজ দেশে ফিরে গিয়ে ১৯০৬ সালে ১০ মে দীর্ঘ আলোচনা করেন মর্লি'র সংগে এর প্রতিকার চেয়ে। ব্রিটিশ যুবরাজ মানবিক মানুষ ছিলেন। ব্রিটিশ দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর সহযোগিতা ও সমর্থন পেলেন যতীন।
অতীন্দ্রের অকাল মৃত্যুর শোকে মুহ্যমান যতীন দিদি বিনোদবালা আর স্ত্রী ইন্দুবালাকে নিয়ে তীর্থভ্রমণে বের হন। হরিদ্বারে তারা স্বামী ভোলানন্দ গিরি'র কাছে দীক্ষা নিয়ে অন্তরের শান্তি ফিরে পেলেন। গিরিজি জানতে পারেন যতীনের দেশসেবার কথা এবং পূর্ণ সম্মতি জানান এই পন্থায় অগ্রসর হবার সপক্ষে।
১৯০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সপরিবারে যতীন দেওঘরে বাস করতে থাকেন, বারীণ ঘোষের সঙ্গে একটি বোমা কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। এই কারখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে অবিলম্বে কলকাতার মানিকতলায় বারীণ আরো বড় করে কারখানা খোলেন। যতীন চাইতেন প্রথমে একদল একক শহীদ এসে দেশের লোকের চেতনায় নাড়া দেবে;দ্বিতীয়ত ক্ষেপে আসবে ছোট ছোট দল বেঁধে ইতস্তত খণ্ডযুদ্ধ; তৃতীয় পর্বে দেশব্যাপী এক সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণআন্দোলন। বারীণ চাইতেন আচমকা সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে হাউইয়ের মতো জ্বলে উঠে ফুরিয়ে যেতে। সংগঠনের দিক থেকে বারীণ তার একচ্ছত্র নেতৃত্বে বিশ্বাস করতেন। যতীন চাইতেন জেলায় জেলায় আঞ্চলিক নেতাদের অধীনে গুপ্তসমিতি শক্তিশালী হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা করবে। আপাতদৃষ্ট স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে বন্যাত্রাণে, কুন্তিমেলায়, অধোদয়যোগে, শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসবে মিলিত হয়ে দলের ঐক্য ও শক্তি পরীক্ষার সুযোগ পেতেন তারা।
<div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsB3CGvPaBr4iklCAEHjyN26F2uzqu2gXoJKfzcOFLpdO3minIJH7boSNzyuxiR4qtnk_ekdWW0j1Mx2HKxfOl4ObaK7MeCt8FP980TcZVzNmwCdkz6T8WrpadVXe2sm8GdgjOX1nMj6xY/s240/Bagha+Jatin+on+Stamp+of+India+1970.jpg" style="display: block; padding: 1em 0; text-align: center; "><img alt="" border="0" width="600" data-original-height="137" data-original-width="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsB3CGvPaBr4iklCAEHjyN26F2uzqu2gXoJKfzcOFLpdO3minIJH7boSNzyuxiR4qtnk_ekdWW0j1Mx2HKxfOl4ObaK7MeCt8FP980TcZVzNmwCdkz6T8WrpadVXe2sm8GdgjOX1nMj6xY/s600/Bagha+Jatin+on+Stamp+of+India+1970.jpg"/></a></div>
১৯০৭ সালে বিশেষ কর্ম-দায়িত্ব নিয়ে হুইলারের সচিবদের সংগে যতীন সপরিবারে দার্জিলিংয়ে স্থানান্তরিত হলেন। সমস্ত উত্তর বাংলার মতো এখানেও যতীন "অনুশীলন"-এর সক্রিয় শাখা স্থাপন করেছিলেন। ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্যাপ্টেন মার্ফি ও লেফটেন্যান্ট সমারভিল প্রমুখ চারজন সামরিক অফিসারের সঙ্গে যতীনের মারপিট হয় শিলিগুড়ি স্টেশনে। চারজনের চোয়াল ভেঙ্গে ধরাশায়ী করে দেবার অপরাধে যতীনের নামে মামলা রুজ্জু হলে সারাদেশে বিপুল হর্ষ জাগে-কাগজে কাগজে এই নিয়ে লেখালেখির বহর দেখে সরকার চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে। ঠাট বজায় রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট যতীনকে শাসিয়ে দেন, “এমনটি আর যেন না ঘটে!” দর্পভরে যতীন জবাব দেন “নিজের সম্মান বা দেশবাসীর সম্মান বাঁচাতে যদি প্রয়োজন হয়, এমনটি যে আবার করব না, এ শপথ আমি করতে অপারগ।”
হুইলার একদিন ঠাট্টা করে যতীনকে জিজ্ঞাসা করেন, “আচ্ছা, একা হাতে ক'টা লোককে আপনি শায়েস্তা করতে পারেন?” হেসে যতীন বলেন, “ভাল মানুষ হয় যদি, একটাও নয়; দুর্বৃত্ত হলে যতগুলি খুশি সামলাতে পারব।”
দৃঢ়চেতা মনোভাবী ও সমাজ সংস্কারক বাঘা যতীন
১৯০৬ সাল থেকে স্যার ডেনিয়েল হ্যামিলটনের সহযোগিতায় যতীন একাধিক মেধাবী ছাত্রকে বৃত্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শুরু হয় তারকনাথ দাসকে দিয়ে; পরপর তার পিছু পিছু রওনা হন গুরনদিৎ কুমার, শ্রীশ সেন, অধর লস্কর, সত্যেন সেন, জিতেন লাহিড়ি, শৈলেন ঘোষ। ...... এদের কাছে নির্দেশ ছিল, উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক লড়াইয়ের কায়দা ও বিস্ফোরক প্রস্তুতের তালিম নিয়ে আসতে এবং বিদেশের সর্বত্র ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে। ১৯০৮ সালে বারীণ ঘোষের প্রথম প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে, তখন গোপনে শ্রী অরবিন্দের ঘনিষ্ঠ দুই প্রধান বিপ্লবী কানে কানে রটিয়ে দিলেন: "ওরে, হতাশ হস্নে! যতীন মুখার্জি হাল ধরে আছে!" এই দু'জনের নাম অন্নদা কবিরাজ ও মুন্সেফ অবিনাশ চক্রবর্তী। বাস্তবিক সভা-সমিতি যখন বেআইনি, সারাদেশ যখন ধড়-পাকড়ের আতঙ্কে বিহ্বল, যতীন তখন স্যার ডেনিয়েলের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে গোসাবা অঞ্চলে পত্তন করলেন Young Bengal Zamindari Cooperative : পলাতক কর্মীদের গ্রাসাচ্ছাদনের সংগে তিনি সোদপুরের শশীভূষণ রায় চৌধুরী'র দৃষ্টান্ত অনুযায়ী শুরু করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়, ছোট ছোট কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠান, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। গ্রামাঞ্চলের সংগে বিপ্লবীদের এই প্রথম প্রত্যক্ষ পরিচয় অত্যন্ত সুফল আসলো।
বিপ্লবীদেরকে অস্ত্র শিক্ষা ও ইংরেজ সরকার
জেলার সুবিদিত অস্ত্র-ব্যবসায়ী নূর খাঁ'র কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কিনে যতীন নিয়মিত বাদা অঞ্চলে গিয়ে নির্বাচিত কর্মীদের তালিম দিতেন। আলিপুর বোমা মামলার অভিযুক্ত বিপ্লবীদের ব্যয়ভার বহন, অস্ত্র সংগ্রহ ইত্যাদির জন্য অর্থের প্রয়োজন মেটানো ছাড়াও যতীন এইবার গণ-চেতনায় প্রত্যয় জাগানোর জন্য দুর্ধর্ষ কিছু স্বদেশী ডাকাতির আয়োজন করলেন। ১৯০৮ সালের ২ জুন থেকে ধাপে ধাপে এই অভিযান হয়ে উঠল ইংরেজ সরকারের বিভীষিকা। এই পর্যায়ের তুংগস্থান এসে পড়ল ১৯০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউটর আশু বিশ্বাসের হত্যা এবং ১৯১০ সালের ২৪ জানুয়ারি ডেপুটি কমিশনার শামসুল আলমের হত্যাঃ এঁরা দু'জনে সোনায় সোহাগার মতো যথেচ্ছভাবে আলিপুর বোমার আসামীদের ঠেলে দিচ্ছিলেন মর্মান্তিক পরিণামের দিকে; মূল অভিসন্ধি ছিল শ্রীঅরবিন্দকে চরম দণ্ড দেওয়া। ২৫ জানুয়ারি প্রকাশ্য সভায় বড়লাট মিন্টো ঘোষণা করলেন: "অভিনব এক মানসিকতা আজ দেখা দিয়েছে ........ যা চায় ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করতে।
একটিমাত্র অপরাধী
২৭ জানুয়ারি, ১৯১০ তারিখে যতীনকে গ্রেপ্তার করা হল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে। শুরু হল হাওড়া ষড়যন্ত্র মামলা। দশম জাঠ বাহিনীকেই বিপ্লবীদের সংগে সহযোগিতার অপরাধে ভেঙ্গে দেওয়ার আগে প্রধান অফিসারদের ফাঁসিতে ঝোলানো হল। এক বছর ধরে এই মামলা চলতে দেখে নতুন বড়লাট হার্ডিঞ্জ অসহিষ্ণু হয়ে দাবি করলেন "একটিমাত্র অপরাধী"কে দণ্ড দিয়ে বাকি আসামীদেরকে রেহাই দেবার। "একটিমাত্র অপরাধী" হিসেবে যতীন কারাগারে বসেই খবর পেলেন যে অদূর ভবিষ্যতে জার্মানির সঙ্গে ইংল্যান্ডের লড়াই বাঁধবে।
"দুই বাংলাতেই আজ শাসনব্যবস্থা বিফল", মরিয়া হার্ডিঞ্জ অনুযোগ করে ক্ষান্ত নন; কারামুক্ত যতীনকে গৃহবন্দী রেখে সরকার তৎপর হল শাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। পুলিশী রিপোর্টে নিক্সন সাহেব লিখেছেন যে, মহাযুদ্ধ বেঁধে গেলে স্বাধীনতা-লাভের পথ প্রশস্ত হবে, এটা সম্যক উপলব্ধী করেন যতীন মুখার্জি। জার্মান যুবরাজ কলকাতায় সফর করতে এলে যতীন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং যুবরাজের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পান-সশস্ত্র অভ্যুত্থানের জন্য জার্মানি থেকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য পাওয়া যাবে।সমস্ত সন্ত্রাসমূলক কাজ স্থগিত রেখে যতীন পরামর্শ দিলেন জেলায় জেলায়, কেন্দ্রে কেন্দ্রে শক্তি সংহরণে নিবিষ্ট হতে। আকস্মিক এই সন্ত্রাস-বিরতি দিয়ে যতীন প্রমাণ করলেন যে, সুনিয়ন্ত্রিত পথেই তিনি হিংসাত্মক কর্মে নেমেছিলেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার প্রয়োজনে, যেটা টোরিটোরার সময়ে গান্ধীজির হাত ফসকে শোচনীয় আকার নেয়।
পুলিশের চোখে ধুলো দিলেন যতীন
কলকাতার পুরো দায়িত্ব অতুলকৃষ্ণ ঘোষের হাতে অর্পণ করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে যতীন উপস্থিত হলেন তার পৈতৃক ভিটা ঝিনাইদহে। সেখানে ঠিকাদারের ব্যবসা শুরু করলেন তিনি যশোর-ঝিনাইদহ রেলপথ নির্মাণ উপলক্ষে। ব্যবসার সুবাদে তিনি সাইকেলে অথবা ঘোড়ার পিঠে চড়ে জেলায় জেলায় অবিশ্রাম ঘুরে গুপ্তসমিতির শাখাগুলিকে সন্নিহিত করে তুললেন।
১৯১৩ সালে বাংলা এবং বাংলার বাইরের বিভিন্ন শাখার কর্মী ও নেতারা মিলিত হলেন বর্ধমানে বন্যাত্রাণ উপলক্ষে। উত্তর ভারত থেকে রাসবিহারী বসু এসে যতীনের সংগে আলোচনা করে নূতন প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হলেন-
অমরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে যতীনের সংগে একাধিক বৈঠকে রাসবিহারী সিদ্ধান্ত নিলেন ফোর্ট উইলিয়ামের সৈন্য-বহরের পরিচালকদের সহযোগিতায় কলকাতা থেকে পেশোয়ার অবধি বিদ্রোহের আগুন জ্বলবে ১৮৫৭ সালের দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে।
‘ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্র’ অভিযোগে অভিযুক্ত
১৯১৪ সালের নভেম্বর মাসে সানফ্রান্সিসকো থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন গাদ্দার নেতা সত্যেন সেন; সংগে এলেন বিষ্ণুগণেশ পিংলে, কর্তারসিং সরাংগা ও বিরাট একদল ত্যাগী কর্মী।
সত্যেন জানালেন যে, বার্লিনে বীরেন চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত বিপ্লবীরা খোদ কাইজারের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন ভারতে অস্ত্রশস্ত্র ও অর্থ পৌঁছে দেবে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাঠানো কয়েকটি জাহাজ; এর দায়িত্ব নিয়েছেন ওয়াশিংটনে জার্মান রাষ্ট্রদূত ব্যার্নস্টর্ফ ও তার মিলিটারী আতাশে ফন্পাপেন। কাইজারের সনদ নিয়ে একটি বিপ্লবী মিশন রওনা হচ্ছে কাবুল অভিমুখে; পথে তারা জার্মানির হাতে বন্দী ব্রিটিশ সৈন্যবহরের ভারতীয় জওয়ানদের নিয়ে গড়ে তোলা বাহিনী নিয়ে কাবুল থেকে কুচকাওয়াজ করে হাজির হবে দিল্লীতে, যোগ দেবে সশস্ত্র অভ্যুত্থানে। বার্মা সীমান্তেও সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত থাকছে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দখল করে বিদ্রোহ ঘোষণা করবে বলে। দূরপ্রাচ্যে বিভিন্ন জার্মান দূতাবাস ও কনস্যুলেট সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
যতীনের চিঠি নিয়ে পিংলে ও কর্তারসিং গেলেন রাসবিহারী'র সঙ্গে দেখা করতে।
ব্রিটিশ টেগার্টের রিপোর্টে দেখা যায়, এই সময়ে সত্যেন সেনকে নিয়ে যতীন কলকাতার বিভিন্ন রেজিমেন্টের অফিসারদের সংগে আলোচনায় ব্যস্ত। ভারতের এই যজ্ঞ-অনলে ইন্ধন দেবার জন্য সাজসাজ পড়ে গেল দূরপ্রাচ্যে আমেরিকায়, ইউরোপে, মধ্যপ্রাচ্যে। ভূপতি মজুমদার স্পষ্ট লিখে গিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক এই সহযোগিতার উদ্ভাবন করেন স্বয়ং যতীন মুখার্জি। ইতিহাসে একে অভিহিত করা হয় "ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্র" নামে।
সমাগত ত্যাগী কর্মীরা কাজে নামতে চান, জার্মান অস্ত্র আসার জন্য তাঁদের তর সইছে না। যতীনের সঙ্গে পরামর্শ করে রাসবিহারী দিন ধার্য্য করলেন ২১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের জন্য। মিঞাসির (মহীসুর), লাহোর, ফিরোজপুর, রাওয়ালপিণ্ডি, জব্বলপুর, বেনারস-সর্বত্র তেরংগা ঝাণ্ডা উড়িয়ে দেওয়া হব-ঃ নীল হবে মুসলমান কর্মীদের প্রতীক; হলদে শিখ; লাল হিন্দু। কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দখল করে সমস্ত রেলপথ উড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে করে সরকার পক্ষ প্রত্যুত্তরের জন্য সৈন্যবাহিনী না আনাতে পারে।
ইতিমধ্যে ২৬ আগস্ট ১৯১৪ সালে কলকাতার রডা কোম্পানী থেকে বিপ্লবীরা যথেষ্ট শক্তিশালী মাউজার পিস্তল সংগ্রহ করেছেন, প্রয়োজনমতো যা দূরপাল্লার রাইফেলের মতো ব্যবহার করা চলে।
রাসবিহারী'র অনুরোধে অর্থ সংগ্রহ করতে যতীন নতুন একপ্রস্থ আক্রমণের পরিকল্পনা করণে।
মোটরচালিত ট্যাক্সির সাহায্যে অভিনব এই ডাকাতির পদ্ধতি অবিলম্বে ফ্রান্সে দেখা যাবে প্রখ্যাত নৈরাজ্যবাদী সর্দার "বোনো"র পরিচালনায়।
পরিশীলিত, শৃংখলাবদ্ধ দুঃসাহসিক এই কীর্তির সামনে মুগ্ধ আতঙ্কে ইংরেজ সরকার হতবুদ্ধি হয়ে রইল। আর পুলকে মুগ্ধ দেশবাসী প্রত্যয় ফিরে পেল বিপ্লবীদের কর্মক্ষমতায়। ১২/২/১৯১৫, ২২/২/১৯১৫ - দুই দু'টো চোখ ধাঁধানো ডাকাতির সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে। ২৪/২/১৯১৫ যতীন এক গুপ্ত বৈঠকে কর্মসূচী নির্ধারণ করছেন, এমন সময়ে এক সরকারী গোয়েন্দা সেখানে উপস্থিত দেখে নেতার ইংগিতক্রমে চিত্তপ্রিয় তাকে গুলি করেন। গুপ্তচরটি তখনো মরেনি। মরার আগে সে যতীনকে তার ঘাতক’বলে সনাক্ত করে।
থরহরিকম্পা পুলিশ রিপোর্টে অসহায় টেলিগ্রাম দেখা যায় "চড়া ইনাম ঘোষণা করেও যতীনের হদিশ মিলছে না। এখনো তিনি ছদ্মবেশে কলকাতায় বহাল তবিয়তে যাতায়াত করছেন, কিন্তু তাঁর মতো উগ্র চরিত্রের নাগাল পাবার যোগ্য চর পাওয়া দুর্লভ, বিশেষত সর্বদাই তিনি সশস্ত্র থাকেন"।
যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায় তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন,"কলকাতায় Flying Squad, Armoured Car-এর সশস্ত্র পাহাড়ার ব্যবস্থা হল। বড় রাস্তাগুলিতে ড্রপ-গেট করা হল - রেললাইন বন্ধ করার যেরূপ লোহার পাল্লা খাড়া রাখা হয়, ঠিক তেমনি। থানায় সাইরেন বসানো হল। কলকাতা থেকে উত্তর ও পূর্বদিকে খাল পার হবার যত পোল আছে - চিৎপুর, টালা, বেলগেছে, মানিকতলা, নারকেলডাংগা ও হাওড়ার পোলে সশস্ত্র প্রহরী দেওয়া হল। যাকে-তাকে এবং যে-কোনও গাড়ীকে ধরে তল্লাশ করা হতে লাগল।
কৃপাল সিং- বিশ্বাসঘাতক 'গদর' কর্মী
কোন মহৎ সাধনার পথে যতীন নেমেছেন, তা স্মরণে রেখে পুলিশের দেশী কর্মচারীরা পর্যন্ত মনেপ্রাণে যতীনের অনুরাগী হয়ে উঠলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর সুরেশ মুখার্জি। তিনি বিপ্লবীদের জব্দ করতে বদ্ধপরিকর। বারেবারে সুরেশের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে একদিন যতীন বললেন, "যতক্ষণ না সুরেশকে সরানো হচ্ছে, ততক্ষণ আমি জলস্পর্শ করব না"।
২৮/২/১৯১৫ তারিখে ভোরবেলা সুরেশ সদলবলে টহলে বেরিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়লাট যাবেন-তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা পাকা করতে। নিপুণহাতে সুরেশকে নিধন করে যতীনের সহকারীরা গা ঢাকা দিলেন। এদেঁর কর্মতৎপরতায় এমনকি টেগার্টও মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীকালে স্বীকৃতি জানিয়েছেন যে, বাঙ্গালী এই বিপ্লবীদের চরিত্রের সমতুল জগতে আর কোথাও পাওয়া বিরল। এদেঁর আত্মবিশ্বাস ও দেশের কাজের জন্য সর্বস্বত্যাগের ব্রত টেগার্টকে মনে করিয়ে দিয়েছে গাঁন্ধীর কথা।
জটিল এই পরিস্থিতিতে যতীনের আর কলকাতা থাকা সমীচীন নয়, বিবেচনা করে তার শিষ্য ও সহকারীরা খুঁজে পেলেন বালেশ্বর (বালাসোর)-এর আশ্রয়।
ওখানকার উপকূলেই জার্মান অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রধান জাহাজটি আসার কথা। তার প্রতীক্ষায় যতীন ওখানে চার-পাঁচজন কর্মীকে নিয়ে আস্তানা গাড়লেন। স্থানীয় অভিভাবকরূপে রইলেন মনীন্দ্র চক্রবর্তী। দীর্ঘ ছ'মাস তিনি বুকের পাঁজরের মতো আগলে থেকেছেন মহানায়কের এই অজ্ঞাতবাসের আস্তানা। যতীনকে বালেশ্বরে নিরাপদ দেখে নরেন ভট্টাচার্য (এম.এন. রায়) রওনা হলেন বাটাভিয়া অভিমুখে, বীরেন চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশমাফিক; সেখানে হেলফেরিষ্ ভ্রাতাদের কাছে বিশদ অবগত হলেন জার্মান অস্ত্র নিয়ে জাহাজ আসার পাকা খবর; ফিরে এসে নাটকীয়ভাবে গুরুর চরণে একথলে মোহর ঢেলে দিয়ে প্রণাম করে জানালেন, জার্মান সহযোগিতার দরুন প্রাপ্য অর্থের এটি প্রথম কিস্তি। মনীন্দ্র সবই দেখেছেন। সবই জানতেন। বিশাল ঝুঁকি নিয়ে তবু তিনি এঁদের আশ্রয় দিয়েছেন। মুগ্ধ হয়ে এঁদের সান্নিধ্য উপভোগ করেছেন।
ইতিমধ্যে রাসবিহারী'র প্রচেষ্টা যেমন উত্তরাঞ্চলে ভেস্তে যায় কৃপাল সিং নামে বিশ্বাসঘাতক 'গাদ্দার' কর্মীর জন্য, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চেকোস্লোভাকিয়া থেকে সমাগত বিপ্লবীরা ইন্দো-জার্মান সহযোগিতার সংবাদ ফাঁস করে দেয় মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারের দপ্তরে-প্রতিদানে নিজেদের সংগ্রামের অনুকূল সহানুভূতি পাবার প্রত্যাশায়। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের উদ্যোগে জার্মান সরকারের সংগে জার্মান বিভিন্ন দূতাবাসের পত্র ও তারবার্তা হস্তগত করে ব্যাপক এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের মূল উপড়ে ফেলতে উদ্যত হল সমবেত ব্রিটিশ ও মার্কিন সুরক্ষা বিভাগ।
পেনাং'এর একটি সংবাদপত্রের কাটিং থেকে যতীন খবর পেলেন যে, অস্ত্রশস্ত্রসমেত জাহাজ ধরা পড়ে গিয়েছে। মারাত্মক এই নিরাশায় তিনি ভেঙ্গে পড়বেন ভয় ছিল সহকারীদের। পরিবর্তে তিনি হেসে উঠলেন, যেন কিছুই তেমন ঘটেনি. "দেশের সুরাহা বাইরে থেকে নয়, তা আসবে অভ্যন্তর থেকে!" রোজ বিকেলে বনভূমির নীরব আশ্রয়ে যতীন গীতার ক্লাস নিতেন। শিষ্য নলিনীকান্ত কর তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, "মনে হত যেন গৌতম মুনির কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে বেদমন্ত্র"। ক্লাসের শেষে অস্তসূর্যের আলোকে একাকী যতীন কিছুক্ষণ ধ্যান করতেন। একদিন মনীন্দ্রও বসে রইলেন। হঠাৎ যতীন অদূরবর্তী মনীন্দ্রের হাত ছুঁয়ে বলে উঠলেন: "ওই দ্যাখ! কৃষ্ণ আমাদের দিকে হাসিমুখে চেয়ে আছেন!" মনীন্দ্র সেই দৃষ্টির অভাবে প্রত্যক্ষ করলেন-যতীনের স্পর্শে এক তীব্র পুলকের স্রোত।
বুড়ি বালামের তীরে খণ্ডযুদ্ধ ও যতীনের আত্মদান
কলকাতা থেকে খবর এল, একের পর এক বিপ্লবীদের কেন্দ্রগুলিতে তল্লাস চালাচ্ছে পুলিশ। বালেশ্বরের সন্ধান পেতে দেরী নেই। দুর্গম ডুভিগর পর্বতশ্রেণী দিয়ে গা ঢাকা দেবার উপযোগিতা নিয়ে কেউ কেউ যখন জল্পনা-কল্পনা করছেন, যতীন দৃঢ়স্বরে জানালেন, "আর পালানো নয়। যুদ্ধ করে আমরা মরব। তাতেই দেশ জাগবে।"
৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাত্রে যতীন নিজের সাময়িক আস্তানা মহলডিহাতে ফিরে এলেন। সঙ্গে চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, জ্যোতিষচন্দ্র পাল, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। ৮ সেপ্টেম্বর সারাদিন কেটে গেল গভীর জঙ্গলে। সারারাত পায়ে হেঁটে ৯ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা পৌঁছলেন বালেশ্বরের নদী বুড়ি বালামের উপকণ্ঠে। সাঁতার কেটে নদীর ওপারে গিয়ে যুদ্ধের পক্ষে মোটামুটি উপযুক্ত শুকনো এক ডোবার মধ্যে আশ্রয় নিলেন। বিপরীতপক্ষে চার্লস টেগার্ট, কমান্ডার রাদারফোর্ড, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিলভি অসংখ্য সশস্ত্র পুলিস ও সামরিক বাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিখার আড়ালে বাঘা যতীনের নেতৃত্বে মোট পাঁচজন, হাতে মাউজার পিস্তল।
যুদ্ধ শুরু হলে পুলিসের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী।এই যুদ্ধের এমন নজির ইতঃপূর্বে দেখেননি বলে মেনে নিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ইংরেজ কুশীলবেরা। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯১৫ সালে সূর্যাস্তের সংগে অবসান হল এই যুদ্ধের। পরদিন বালেশ্বর সরকারি হাসপাতালে যতীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তখনো রক্তবমি হচ্ছে। হেসে বললেন:"এত রক্ত ছিল শরীরে? ভাগ্যক্রমে, প্রতিটি বিন্দু অর্পণ করে গেলাম দেশমাতার চরণে।"
কয়েকটি পত্র
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কয়েকটি পত্রঃ-
[১৯১০ সালের ৪ঠা এপ্রিল তারিখে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে দিদি বিনোদবালা দেবীকে লেখা]
“
শ্রীশ্রীচরণকমলেষু-
দিদি, আমার অসংখ্য প্রণাম জানিবেন। আপনার স্নেহাশীর্বাদী পত্র পাইয়া সমস্ত অবগত হইলাম।-আপনারা সকলে ভাল আছে জানিয়া সুখী হইলাম। আপনি আমার অসুখের সংবাদে ব্যস্ত হইয়াছেন, ব্যস্ত হইবেন না। আমি এক্ষণে সুস্থ হইয়াছি, তবে অসুখটা একটু বেশি হইয়াছিল তাই দুর্বল হইয়া পড়িয়াছিলাম, আবার শ্রীগুরুর কৃপায় আস্তে আস্তে সবল হইতেছি। যাহা হউক, ভগবানে আত্মসমর্পণ করিয়া তাঁহারই চরণে আমাকে নিবেদন করিয়া রাখুন, তিনি যেমন আমাকে শৈশব হইতে নানা বিপদে রক্ষা করিয়া আসিতেছেন, এস্থলেও তিনিই একমাত্র ভরসা। তিনি যাহাকে যত বেশি ভালবাসেন তাহাকে তত বেশি পরীক্ষা করেন এবং সেইজন্যই নানা বিপদের মুখে নিপাতিত করিয়া তাঁহারই অস্তিত্ব বুঝাইয়া দেন।- তিনি যাহা করিবেন তাহার উপর মানুষের বিন্দুমাত্র হাত নাই; মানুষ কেবল তাঁহাতে নির্ভর করিয়া পুরুষকার করিতে পারে; ফলাফল তাঁহারই হাতে। যাহা হউক আমার জন্য কোন চিন্তা করিবেন না। তাঁহার প্রতি চাহিয়া বুক বাঁধিয়া সংসারে অবস্থান করুন। আমাপেক্ষাও ভগবানের অধিক স্নেহ আপনার প্রতি, তাই আপনার পরীক্ষা আমাপেক্ষা অধিক ও কঠিনতর। যাহা হউক, তাঁহার দয়া ভুলিবেন না। অথবা তাঁহাকে অবিশ্বাস করিবেন না। ইন্দুকে ও অপর সকলকে এই পত্রই দেখাইবেন। মেজমামাকে আর একবার সাক্ষাৎ করিতে বলিবেন।-তাঁহারা সকলে কেমন আছেন?
শ্রীচরণে নিবেদনমিতি
প্রণত সেবক
জ্যোতি
”
২০ অগাস্ট, ১৯১০-এর পত্র
[১৯১০ সালের ২০শে অগাস্ট জেল থেকে দিদিকে এই পত্রটি লেখা]
“শ্রীশ্রীচরণকমলেষু-
দিদি, আমার অসংখ্য প্রণাম জানিবেন। আপনার স্নেহাশীর্বাদী পত্র পাইয়া সমস্ত অবগত হইলাম এবং সকলেই শারীরিক কুশলে আছেন জানিয়া সুখী হইলাম।-খোকাদের লইয়া সর্বদা সাবধানে থাকিবেন। আমি আর সে বিষয়ে আপনাকে কি লিখিব?-আমার জন্য বিশেষ কোন চিন্তা করিবেন না-আমি শারীরিক ভাল আছি। মেজমামাকে মধ্যে মধ্যে পত্র লিখিব: তিনিই আপনদিগকে আমার সংবাদ লিখিবেন। কতদিনে মোকদ্দমা উঠিবে এখনও জানিতে পারি নাই।-যাহা হউক সেই সর্বমংগলময় পরম পিতার চরণের দিকে চাহিয়া আছি।-তিনি যে বিধান করেন, তাহাই তাঁহার আশীষ বলিয়া গ্রহণ করিব। তিনি আমাদের অমংগলের জন্য কখনই কিছু করেন না। আপাত দৃষ্টিতে যাহাকে অমংগল বলিয়া বোধ হয়, তাহারো পশ্চাতে কোন মহদুদ্দেশ্য নিহিত থাকে, যাহা ভ্রান্ত আমরা বুঝিতে পারি না। তাঁহার উপরে সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিয়া প্রাণে বল ধরিয়া সময় প্রতীক্ষা করুন-অবশ্য নির্দোষীকে তিনি বিপন্মুক্ত করিবেন। যথাযোগ্য স্থানে আমার প্রণাম ও আশীষ দিবেন।
ইতি-প্রণত সেবক জ্যোতি”
১৯১৫ সালের মে মাসের পত্র
[১৯১৫ সালের মে মাসে বালেশ্বরের অজ্ঞাতবাস থেকে এই চিঠিটি দিদি বিনোদবালাকে লেখা]
“শ্রীশ্রীচরণকমলেষু-
দিদি আমার অসংখ্য প্রণাম জানিবেন। আমি বেশ ভাল স্থানে সর্বাংগীণ কুশলে আছি। আমার জন্য কোন চিন্তা করিবেন না। কর্মের নিমিত্ত বাহির হইয়াছি, ভবিষ্যতে সাক্ষাতাদি কর্মের উপরই নির্ভর করিতেছে। শীঘ্রও হইতে পারে, কিছু বিলম্বও হইতে পারে। তবে নিরাশ হইবার বা ভয়ের কোন কারণ দেখি না। সর্বদা স্মরণ রাখিবেন "ন হি কল্যাণকৃৎ কশ্চিৎ দুর্গতিং তাত গচ্ছতি"।-মার আশীর্বাদে সমস্ত বিপদ হইতে উদ্ধার হইয়াছি-তিনি সমস্ত কর্মে সর্বদা যেমন সাহায্য করিয়াছেন, এ বর্তমান অবস্থায়ও তেমনি সাহায্য করিবেন সন্দেহ নাই-তাঁহারই প্রেরণায় এ কর্ম-সমুদ্রে ঝাঁপাইয়াছি, তিনি কূলে লইবেন। আপনি যে মার সন্তান তাঁহার হৃদয়ের কথা স্মরণ করিয়া আপন হৃদয়ে বল রাখিয়া যে সকল রত্নগুলি আপনার নিকট আছে তাহাদের যাহাতে উদ্দেশ্যানুযায়ী কর্মের উপযোগী করিয়া ভবিষ্যতে মায়ের পূজায় অর্পণ করিতে পারেন, সেই চেষ্টা করিবেন। আপনি ব্যস্ত হইলে ইন্দুদের নিকট কি আশা করেন? আপনি ব্যস্ত হইবেন না। সমস্তই বুঝেন। সংসারে সমস্তই যে কত অস্থায়ী তাহা আপনি অনেক প্রকারে দেখিয়াছেন এবং বুঝিয়াছেন। এই অস্থায়ী সংসারে অস্থায়ী জীবন যে ধর্মার্থে বিসর্জন করিতে অবকাশ পায় সে ত ভাগ্যবান এবং তাহার সমস্ত শুভাকাংক্ষী আত্মীয়-স্বজন, বিশেষত তাহার মাতৃস্থানীয়া সহোদরা যদি স্থিরভাবে চিন্তা করিয়া দেখেন তাহা হইলে নিজেদের বংশের সৌভাগ্যের কথা বেশ উপলদ্ধি করিতে পারেন এবং ধর্মার্থে বহির্গত ব্যক্তির সাধনায় সিদ্ধির পূর্বে তাহার গৃহে প্রত্যাবর্তন কখনই বাঞ্ছনীয় মনে করেন না, বরং তাহার মন্ত্রের সাধন পথের সহায়তার নিমিত্ত তাহার অবর্তমানে গৃহে বুক বাঁধিয়া ভগবানে নির্ভরতা সহকারে পরস্পরের রক্ষণাবেক্ষণ ও শান্তিদান করাই তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় এবং এই শ্রেণীর ব্যক্তিরাই জগতে ধন্য এবং সার্থক মাতৃস্তন্য পান করিয়াছেন।
হা-হুতাশ ত' সকলেই করিয়া থাকে, আপনি আমিও যদি তাহাই করি তবে আমরা আমাদের স্বর্গীয়া মাতৃদেবী শরৎশশীর গর্ভে জন্মিয়াছিলাম কেন? আমরা ত সাধারণের ন্যায় দুর্বল হৃদয় অবিশ্বাসী সামান্য মায়ের সন্তান নই-আমাদের মা জীবন ভরিয়া কি সকল ব্যাপার হাসিতে হাসিতে সহ্য করিয়া গিয়াছেন একবার ভাবিয়া দেখুন তা আর আজ তিনি জীবিত থাকিলে তিনি স্বয়ং আমাকে আমার কর্মে বরণ করিয়া লইতেন সন্দেহ নাই।
তাঁহার অবর্তমানে যাহার হাতে আমাকে তিনি রাখিয়া গিয়াছিলেন, আমার সেই মাতৃস্বরূপিণী সহোদরা ও গুরুভগ্নীর কি করা কর্তব্য একটু ভাবিয়া দেখিবেন। আপনি ইতিপূর্বে একসময়ে কোন বিপদের সময় আমাকে লিখিয়াছেন, "আমাদের অপেক্ষা যিনি তোমাকে বেশি ভালবাসেন তিনিই সর্বদা তোমার কথা ভাবিতেছেন, আমরা তোমার নিমিত্ত চিন্তা করিয়া কি করিব।"-আপনার অবস্থা এতদিনে আরও উন্নত হওয়ার কথা। হৃদয়ের বল এখন আরও অধিক হইয়াছে আশা করা যায়। আপনি অনুগ্রহ করিয়া মন শান্ত করিয়া সসন্তান ইন্দুকে রক্ষা করিবেন। সন্তানগুলি যাহাতে মানুষ হয় তাহার চেষ্টার যেন কোন ত্রুটি না হয়।
কখন কোন বিষয়ের প্রয়োজন হইলে ভাইদের কাহাকেও স্মরণ করিবেন এবং আমার মত জ্ঞান করিয়া প্রয়োজন জানাইবেন, অভাব থাকিবে না। কোথায় আছি জানিয়া প্রয়োজন নাই-পত্র পাইলেন তাহাও কাহাকে বলিবার প্রয়োজন নাই। প্রেরিত লোকের নিকট বক্তব্য যদি কিছু থাকে জানাইবেন। সমস্ত গুরুজনদিগকে প্রণাম ও আশীর্বাদভাজনগণকে স্নেহাশীষ দিবেন। স্মরণ রাখিবেন বিপদের সময় স্থৈর্য্য সহকারে বুদ্ধির আশ্রয় গ্রহণ করাই বিধেয়। পরমারাধ্য শ্রীগুরুদেবের চরণে সদা মতি রাখিবেন। তাঁহাকে পত্রাদি লিখিবেন।
শ্রীচরণে নিবেদন ইতি
প্রণত সেবক-
(অস্পষ্ট)
”১৯১৫ সালের মে মাসে অজ্ঞাতবাস থেকে লেখা
[১৯১৫ সালের মে মাসে বালেশ্বরের অজ্ঞাতবাস থেকে যতীন্দ্রনাথ এই পত্রটি লেখেন ইন্দুবালা দেবীকে; স্ত্রীকে লেখা এটি তার একমাত্র পত্র যা রক্ষা করা গিয়েছে পুলিশের আক্রমণ থেকে। বছরে একবার অন্তত পুলিশে এসে খানাতল্লাস ক'রে যেত তার দিদি ও স্ত্রীর কাছে যদি দৈবাৎ আপত্তিজনক কিছু পাওয়া যায়-এই প্রত্যাশা নিয়ে। তাদেঁর মৃত্যুর আগে জ্যেষ্ঠা পুত্রবধু ঊষারাণী দেবীর হাতে তারা এই অমূল্য পত্রগুলি গচ্ছিত রেখে যান।]
“পরমকল্যাণবরাসু-
ইন্দু, আমার স্নেহাশীষ লও। তোমাকে আর পৃথক কি লিখিব, দিদিকে যে পত্র আমি লিখিলাম উহা পড় ও মর্ম অবগত হও। ভগবদিচ্ছায় আজ ১৫/১৬ বৎসর আমার সহিত মিলিত হইয়াছ। এই দীর্ঘকাল যখন সময় পাইয়াছি তখনই বহুপ্রকারে বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছি প্রকৃত মনুষ্যত্ব কোথায়। অদ্য যে অবস্থা আসিয়াছে এ অবস্থা যে এক সময় আসিবেই এ সম্বন্ধে নানাপ্রকার তোমাকে বুঝাইয়াছি এবং প্রস্তুত থাকিতেও বলিয়াছি। আশা করি তোমার মত ক্ষেত্রে আমার সকল শিক্ষার বীজ আশানুরূপ ফল প্রসব করিয়াছে। বহু বহু সহস্রের মধ্যে একজনের নিকট যেরূপ শক্তি, ধৈর্য ও কর্তব্যজ্ঞানের বিশেষ বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায় তোমার নিকট প্রকৃতই তাহাই আশা করি। সন্তানগুলি যাহাতে ভবিষ্যতে মানুষের সন্তান বলিয়া পরিচিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখিতে ভুলিও না। ক্ষণিক দুর্বলতা সকলেরই আসিতে পারে; সেরূপ অবস্থায় দিদিকে সাহায্য করিও ও তাঁহার সাহায্য গ্রহণ করিও। সর্বদা মনে রাখিও যে প্রকৃতি লইয়াই পুরুষ পূর্ণ-যত দূরেই থাকি না কেন, তোমার প্রসন্নতা ও শুভেচ্ছাস্বরূপ শক্তির সাহায্য যেন সদা পাই। সর্বদা শ্রীগুরুদেব ও ভগবৎ চরণে তোমার স্বামীর সিদ্ধির নিমিত্ত প্রার্থনা করিও এবং হৃদয়ে বল রাখিও।
ইতি- ”
কাব্যে
বাঘা যতীন ও তার সাথীদের অসমসাহসী যুদ্ধের কথা বাংলা কবিতায় প্রতিভাত হয়েছে দুই বিখ্যাত কবি দ্বারা। কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের 'নব ভারতের হলদিঘাট' তাদের লড়াইকে স্মরণ করে রচিত। ১৯৩০ এর ডিসেম্বরে প্রলয় শিখা বইয়ের বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ আনে সরকার। চারণ কবি বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের 'বুড়িবালামের তীরে' তার বই ’সব হারানোর গান' এ স্থান পেয়েছে।
চলচ্চিত্র
বাঘা যতীনের জীবনকাহিনী নিয়ে বাংলা সিনেমা 'বাঘা যতীন' প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে। অভিনয় করেন ধীরাজ ভট্টাচার্য, নিমু ভৌমিক, ছায়া দেবী প্রমুখ।
সুমি খান, ১৮ ডিসেম্বর , ২০২০Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-40132865432423070062020-11-22T09:17:00.005-08:002020-11-22T09:17:53.375-08:00মুজিবের পরিবারকে আশ্রয় দানে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতবিরোধিতা- খুশবন্ত সিংকে জিয়া<p> প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক, লেখক খুশবন্ত সিং ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। </p><p>জিয়ার কাছে আমার শেষ প্রশ্ন ছিল তার দেশে ক্রমবর্ধমান ভারতবিরোধী মনোভাব সম্পর্কে।</p><p> অনেক দেয়ালের ওপর স্লোগান লেখা -‘ভারতীয় কুকুর, হঠে যাও’, ‘বাংলাদেশের ওপর থেকে হাত গুটিয়ে নাও’। </p><p> আমি জিয়ার কাছে জানতে চাই যে, তিনি তার দেশে ভারতীয় হস্তক্ষেপের কোনো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করতে পারেন কিনা। </p><p> তিনি যা বললেন, তা হলো ভারত সরকার কর্তৃক বাঘা সিদ্দিকী ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQXb2w-_5A-KjYX2hKW65VLP4I7lnm8zLYv-gHsKpw4q7Cm0xIUA_7lF6i-dFpZut2A475glcNNEO_XRcVrYW2s3HWBvHOtQaNzYpvdLmUkcCAZIA4afKx167L-aBap6RV8LtwhGxX-8hq/s1067/IMG_20201122_231054.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="883" data-original-width="1067" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjQXb2w-_5A-KjYX2hKW65VLP4I7lnm8zLYv-gHsKpw4q7Cm0xIUA_7lF6i-dFpZut2A475glcNNEO_XRcVrYW2s3HWBvHOtQaNzYpvdLmUkcCAZIA4afKx167L-aBap6RV8LtwhGxX-8hq/s320/IMG_20201122_231054.jpg" width="320" /></a></div><p>আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য দায়ী একজনকেও কেন গ্রেফতার করা বা শাস্তি প্রদান করা হয়নি?</p><p> আমার প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করলেন না; বরং অধৈর্যের মতো তার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। আমি জানতাম, সাক্ষাৎকারের সময় শেষ হয়েছে।</p><p>সেই সন্ধ্যায় আমিই ছিলাম জিয়ার শেষ দর্শনার্থী।</p><p>জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়ার বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য উল্লেখ করেছেন খুশবন্ত সিং।</p><p> তিনি যখন জানতে চান বঙ্গবন্ধুর কোনো ঘাতককে কেন গ্রেফতার করা বা শাস্তির বিধান করা হয়নি, তাঁর এ প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য না করে জিয়া অস্থিরভাবে হাতঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন বলে লিখেছেন খুশবন্ত সিং।</p><p>শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দু'জনের সঙ্গেই আমার অনেকবার সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার জানামতে শুধু বাঙালি মুসলিম হওয়া ছাড়া তাদের উভয়ের মধ্যে আর কোনো বিষয়ে মিল ছিল না। </p><p>মুজিবের উচ্চতা ছিল একজন বাঙালির গড় উচ্চতার চেয়ে বেশি, তাঁর ছিল শরীর মাংসল এবং পরনে থাকত ঢিলেঢালা পোশাক। জিয়া আকৃতিতে খাটো, তার শরীর হালকা-পাতলা হলেও গঠন চাবুকের মতো শক্ত। একবার তার দেহরক্ষী আমাকে বলেছিলেন, ‘তাঁর এক মুষ্টাঘাত কোনো মানুষকে বেহুঁশ করে ফেলতে পারে।’ </p><p>মুজিব অত্যন্ত আন্তরিক, উষ্ণ-হৃদয়ের, বহির্মুখী এবং কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন; জিয়া সুদূরের, গম্ভীর এবং অল্প কথা বলেন। </p><p>মুজিবের দফতর মুঘল আমলের প্রাচ্যদেশীয় দরবারের মতো : কয়েক ডজন মানুষ কার্পেটের ওপর, সোফা ও চেয়ারের ওপর ছড়িয়ে বসে থাকে, দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাক্ষণ একটির পর একটি টেলিফোন বাজে; তিনি ফোনে কথা বলার পাশাপাশি উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে যিনিই তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন তার সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাঁর সামনে টেবিলে রাখা কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। পুরো বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ।</p><p> জিয়ার অফিস তার মতোই শীতল। ওয়েটিং রুমে তাঁর সচিব ও নিরাপত্তা কর্মীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে আপনাকে মার্জিত কথাবার্তার মধ্যে ব্যস্ত রাখেন এবং তাদের সতর্ক দৃষ্টি খুঁজে ফিরে আপনার কাছে কোনো গোপন অস্ত্র আছে কিনা। </p><p> একসঙ্গে একজনের বেশি দর্শনার্থীকে তিনি স্বাগত জানান না এবং সময় মেনে চলেন স্টপওয়াচের মতো। </p><p> জিয়ার রুমে হুট করে অঘোষিতভাবে প্রবেশ করার সাহস কারও নেই। </p><p> কোনো টেলিফোনও বাজে না।</p><p> আপনার প্রশ্নগুলো বাতাসে জমে থাকবে; </p><p> জিয়াউর রহমানের নির্দিষ্ট-পরিমিত উত্তর আপনার জমাট প্রশ্নগুলোকে গলাতে পারবে না।</p><p> মুজিব আপনাকে আলিঙ্গন করবেন এবং দ্বিতীয় সাক্ষাতে আপনার তাঁর ‘পুরনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করবেন। </p><p> জিয়া তার শীতল হাতে আপনার সঙ্গে হাত মেলাবেন এবং চিনতে পারার স্বীকৃতি হিসেবে অস্পষ্ট, ম্লান হাসবেন। </p><p> মুজিব নিজের সম্পর্কে স্বয়ং তৃতীয় পুরুষে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন’, এবং আপনার কাছেও অনুরূপ সম্বোধন আশা করবেন। </p><p>জিয়া কখনো তার মুখ খোলেন না, অথবা তার সঙ্গে কাউকে খুব ঘনিষ্ঠ হতে দেন না।</p><p> তিনি সবসময় ‘মিস্টার’, ‘প্রেসিডেন্ট,’ ‘স্যার’ ছিলেন।</p><p>জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার দুই বছর পর তার সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়।</p><p> সামরিক একনায়কদের ব্যাপারে আমার আপত্তি ও নেতিবাচক মনোভাব ছিল এবং এমন একজনের প্রতি ভিন্ন ধরনের বিতৃষ্ণা ছিল, যিনি মুজিবের ঘাতকদের শাস্তি বিধান করার পরিবর্তে তাদের কূটনৈতিক দায়িত্বে ন্যস্ত করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছিলেন। </p><p> তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে অতিবাহিত করা সপ্তাহে ঢাকার পরিবেশের যতটুকু দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি।</p><p> মাত্র কয়েক বছর আগেও যে এলোমেলো নগরীতে বিরাজ করছিল চরম বিশৃঙ্খলা, সেখানে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গড়ে ওঠা শপিং সেন্টার ও মার্কেটগুলো দেখে সমৃদ্ধির সুস্পষ্ট লক্ষণ বোঝা যায়। </p><p> দেশটিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঢাকার বাইরে পল্লীগুলোকে আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন এবং আমি আগে যেমন দেখেছি তার চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী মনে হয়েছে।</p><p> আমি জিয়াকে একথা বলার পর তাকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট মনে হয় এবং তিনি তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকারের সময় প্রলম্বিত করেন। </p><p> করিডোর দিয়ে আমার কয়েক গজ সামনে বিশালদেহী দু'জন দেহরক্ষীর অবস্থানের মাঝখান দিয়ে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। </p><p> তখনই আমি লক্ষ্য করলাম যে আকৃতিতে তিনি কতটা খাটো ছিলেন- পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি। জিয়া হাই-হিল জুতা পরতেন।</p><p>(খুশবন্ত সিং এর ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য রিডিকুলাস’ থেকে)</p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-77514119875652259032020-11-16T12:31:00.003-08:002020-11-16T12:31:31.307-08:00 সৎসাহস আপনাকে বাঁচাবে; ঘাতকের কাছে আত্মসমর্পন কখনো নয়-সুমি খান<p><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><b>ঘাতক কখনো ক্ষমার ভাষা বোঝেনা,সেই বোধবুদ্ধি তার লুপ্ত- মনে রাখবেন, বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান!</b></span></p><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="an61j-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="an61j-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="an61j-0-0" style="font-family: inherit;"><b>’বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান’-সেই বিজ্ঞাপনের গানটা আমি সবসময় গুণ গুণ করে গাই।আমার ভালো লাগে। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="an61j-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="an61j-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b>আপনি তো সারা বিশ্বের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রিয় খেলোয়াড়। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b>যে কোন ধর্মের যে কেউ ভালোবেসে আপনাকে তাদের পাশে চাইতে পারে । </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b>আস্তিক হোক্ বা নাস্তিক হোক। নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ বা সমাজের চোখে অস্পৃশ্য ’মেথর’ বা ‘মুচি’।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b>তারা যে প্রাণের গভীর থেকে ভালোবাসে তাদের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানকে। তাদের গভীর ভালোবাসার প্রগাঢ় । কী করে কষ্ট দেবেন সেই নিরীহ নিরপরাধ অনুরাগীদের। তাদের মন যে আপনি আপনার বিশ্বসেরা খেলার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। আপনার মতো সৌভাগ্য কজনের হয়!</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fd9m4-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="fd9m4-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সকলেই তো আল্লাহর সৃষ্টি! কে কোন্ ধর্মে বা কোন্ গোত্রে জন্মেছে-সে তো আপনি আমি ঠিক করি নি। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="bsqvq-0-0" style="font-family: inherit;"><b>কিছু মানুষ এখনো নিজেদের কূয়োর ব্যাঙের মতো অন্ধকার গর্তের কোণে লুকিয়ে রেখে আপনাকে তাদের সমগোত্রীয় করে রাখতে চায় ।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="bsqvq-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="bsqvq-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সেটা কেন হতে দেবেন ?</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="bsqvq-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bsqvq-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="bsqvq-0-0" style="font-family: inherit;"><b>আপনি তো অন্ধকারের কোণায় পড়ে থাকা অলস মস্তিষ্ক নন। আপনি যে সাকিব আল হাসান!!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="ekqd2-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ekqd2-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="ekqd2-0-0" style="font-family: inherit;"><b>গর্জে উঠুক আপনার কন্ঠ , লাখো সহস্র অনুরাগীর প্রাণের আকুলতা আপনাকে গুরুত্ব দিতেই হবে। </b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="36iat-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="36iat-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="36iat-0-0" style="font-family: inherit;"><b>বিশ্বসভায় আপনার গুরুত্ব আজ আপনাকে যে উচ্চসাথানে অধিষ্ঠিত করেছে-তার সম্মান আপনাকে রক্ষা করতেই হবে।</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="6q93o-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="6q93o-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="6q93o-0-0" style="font-family: inherit;"><b> সাকিব আল হাসান, পূজার উদ্বোধন আর করবেন না ’সচেতন মুসলিম’ হিসাবে? </b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="8lm81-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8lm81-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="8lm81-0-0" style="font-family: inherit;"><b>তাহলে কি কোলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অসচেতন মুসলিম? নাকি তিনি মুসলিম ই নন?</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="ftln3-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ftln3-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="ftln3-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br data-text="true" /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="dautv-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dautv-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="dautv-0-0" style="font-family: inherit;"><b>আপনাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করলো- চাপাতি দেখিয়েে টুকরো টুকরো করে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিলো ফেসবুক লাইভে-তার কাছে কখনো নত হবেন না, প্লীজ!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="55t1v-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="55t1v-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="55t1v-0-0" style="font-family: inherit;"><b>ক’দিন আগে আপনার শিশুকন্যাটি এসব নষ্ট লোকের কুৎসিত মন্তব্যের শিকার হয়েছে, ভুলে যাবেন না। </b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="7um-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7um-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="7um-0-0" style="font-family: inherit;"><b> সাকিব আল হাসান, আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ- অন্ধকারের অপশক্তি কোন ধর্মের জন্যই মঙ্গল নয়!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="s0di-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="s0di-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="s0di-0-0" style="font-family: inherit;"><b>তারা বিপজ্জনক মানবতার জন্যে, মানুষের জন্যে এবং যে কোন ধর্মের জন্যে! </b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="2ohim-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2ohim-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="2ohim-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সুতরাং মানবতা রক্ষায় এবং যে কোন ধর্মের সুরক্ষায় আপনাকে সৎসাহসে গর্জে উঠতে হবে। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="2ohim-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="2ohim-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="cud8k-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cud8k-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="cud8k-0-0" style="font-family: inherit;"><b>কাপুরুষের দল বারবার মরে ; আপনি তো অসম সাহসী এক লড়াকু খেলোয়াড়! কাপুরুষদের কোবভাবেই সুযোগ দেবেন না, তারা লেজ গুটিয়ে পালাবে। যেমন করে এখন পালিয়েছে সিলেটের মহসিন। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cud8k-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="cud8k-0-0" style="font-family: inherit;"><b>অথর্ব কাপুরুষের দল মিথ্যার লাড়াইতে অক্ষম হুমকি দেয়। সে হুমকি তারা বাস্তবায়ন করতে পারে কখনো কখনো, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আমরা হারিয়েছি বটে!</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cud8k-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="cud8k-0-0" style="font-family: inherit;"><b>তবে তাঁদের সাহসী বাণী ,তাঁদের অর্জন আমাদের যুগ যুগান্তরের শত সহস্র বছরের পাথেয়। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cud8k-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="cud8k-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সাকিব আল হাসান, আপনি তো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার !</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="1apll-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1apll-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="1apll-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সারা বিশ্ব স্যালুট জানায় আপনার ক্রিকেট কৃতিত্বকে। সেই কুতিত্ব ধুলায় লুটিয়ে যাবে যদি অন্ধকারের অপশক্তির হুমকিতে আপনি নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেন। আপনাকে আরো অনেক দূর যেতে হবে। আপনার সাফল্য বাংরাদেশের সাফল্য। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1apll-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="1apll-0-0" style="font-family: inherit;"><b>দেশমাতৃকার সেবায় ব্রতী আপনি।মানুষের জয় আপনার পাথেয় , সেটা কখনো ভুলে যাবেন না, প্লীজ!</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1apll-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="1apll-0-0" style="font-family: inherit;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>বিজ্ঞান প্রমাণ দেয় সভ্যতার বিবর্তনের। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>২০২০ সাল এখন। </b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>বিজ্ঞান এগিয়ে নিয়েছে এ সমাজ ; মানুষ জয় করেছে তার অর্জন ।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সমাজ,সভ্যতা এগিয়ে চলেছে অনেক দূর।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>গ্রহ নক্ষত্রের ফের খেুঁজতে গেলে মহাকাশ জয় করা হতো না মানুষের ।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b> প্রযুক্তির শীর্ষে মানুষ।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b> করোনা মহামারী তে ব্যাপক প্রাণহানী হয়েছে।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b> আরো হবে।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>কিন্তু করোনা পারে নি মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে। শত সহস্র মাইল দূরে থেকে ও মানুষ কাছে আসছে। মানুষের দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তি । যা ব্যবহার করে অন্ধকারের শক্তি আপনাকে , সকল শুভশক্তিকে হুমকি দেখাচ্ছে । তারা যে বিশ্বমানবতার হুমকি-সেটা ভুলে গেলে দেশ এবং সমাজের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। কোনভাবে এই অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না!!</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br /></b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>মানুষ তার মেধার বিকাশ ঘটিয়ে প্রযুক্তির কল্যাণে জয় করেছে শত সহস্র প্রতিকুলতা।</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5cs3i-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সত্যের আলোর বিচ্ছুরণে </b></span><b style="font-family: inherit;">অন্ধকারের শক্তির পরাজয় অবধারিত।</b></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><b style="font-family: inherit;"><br /></b></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5cs3i-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><b style="font-family: inherit;">শুধু মনে সাহস রাখতে হবে- কঠোর ভাবে অপশক্তি দমনে একাত্ম হতে হবে আমাদের সকলকে।</b></div></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="38k5a-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="38k5a-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="38k5a-0-0" style="font-family: inherit;"><b>কিন্তু অন্ধকারের অপশক্তির কাছে নত হলে , আপনার সেই বীরত্বের সম্মান যে ভূলুন্ঠিত হবে, সেটা ভুলে যাবেন না, প্লীজ!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="5osao-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5osao-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="5osao-0-0" style="font-family: inherit;"><b><br data-text="true" /></b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="9i9rf-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9i9rf-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="9i9rf-0-0" style="font-family: inherit;"><b>সাকিব আল হাসান আপনি বাংলাদেশ ,আপনি হেরে গেলে যে বাংলাদেশ হেরে যাবে!!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="98vvt-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="98vvt-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="98vvt-0-0" style="font-family: inherit;"><b>অন্ধকারের অপশক্তির কাছে দেশমাতৃকাকে কখনো হারতে দেবেন না ,প্লীজ।মানবতার অবমাননা হতে দেবেন না কখনো ,প্লীজ!!</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="64bdl-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="64bdl-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><br /></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="cn5s1-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cn5s1-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="cn5s1-0-0" style="font-family: inherit;"><b>জয় হোক্ আপনার মেধাবী ক্রিকেট শক্তির!!</b></span></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cn5s1-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><b>আলোর বিচ্ছুরণে হঠিয়ে দিন অন্ধকারের অপশক্তি!!</b></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cn5s1-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><b>নিরন্তর শুভকামনা। </b></div><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cn5s1-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><br /></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="1a26-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1a26-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="1a26-0-0" style="font-family: inherit;"><b>রাত ২টা</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="86t1a-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><div class="_1mf _1mj" data-offset-key="86t1a-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;"><span data-offset-key="86t1a-0-0" style="font-family: inherit;"><b>১৭ নভেম্বর, ২০২০</b></span></div></div><div class="" data-block="true" data-editor="8fjg0" data-offset-key="b1u93-0-0" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"></div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-5382378393944615942020-09-18T00:23:00.000-07:002020-09-18T00:23:47.093-07:00উদ্বাস্তু : অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত<div class="blog-posts hfeed" style="background-color: white; color: #5b5b5b; font-size: 14.4px;"><div class="date-outer" style="margin: 0px; padding: 10px;"><div class="date-posts"><div class="post-outer" style="margin: 0px; padding: 0px;"><div class="post hentry uncustomized-post-template" itemscope="itemscope" itemtype="http://schema.org/BlogPosting" style="margin: 0px; min-height: 0px; position: relative;"><div class="post-body entry-content" id="post-body-5216476879961739353" itemprop="articleBody" style="font-size: 15.84px; line-height: 1.3; position: relative; width: 340px;"><div dir="ltr" trbidi="on"><div class="MsoNormal"><span style="font-family: helvetica;"><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">চল</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তাড়াতাড়ি কর</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আর দেরি নয়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বেরিয়ে পড় বেরিয়ে পড় এখুনি।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ভোররাতের স্বপ্নভরা আদুরে ঘুমটুকু নিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আর পাশে ফিরতে হবে না।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">উঠে পড় গা ঝাড়া দিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সময় নেই-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">এমন সুযোগ আর আসবে না কোন দিন।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বাছবাছাই না ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে হাতের কাছে যা পাস</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তাই দিয়ে পোঁটলাপুঁটলি বেঁধে নে হুট ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বেড়িয়ে পড়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দেরী করলেই পস্তাতে হবে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বেরিয়ে পড়-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ভূষণ পাল গোটা পরিবারটাকে ঝড়ের মতো নাড়া দিলে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কত দূর দিগন্তের পথ-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">এখান থেকে নৌকা ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে ষ্টিমার ঘাট</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সেখান থেকে রেলষ্টেশন-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কী মজা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আজ প্রথম ট্রেনে চাপাবি</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ট্রেন ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে চেকপোষ্ট</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সেখান থেকে পায়ে হেঁটে-পায়ে হেঁটে-পায়ে হেঁটে-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ছোট ছোলেটা ঘুমমোছা চোখে জিঞ্জেস করলে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সেখান থেকে কোথায় বাবা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কোথায় আবার! আমাদের নিজের দেশে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ছায়াঢাকা ডোবার ধারে হিজল গাছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ঘুমভাঙা পাখিরা চেনা গলায় কিচিরমিচির করে উঠল।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">জানালা দিয়ে বাইরে একবার তাকাল সেই ছোট ছেলে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দেখলে তার কাটা ঘুড়িটা এখনো গাছের মগডালে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">লটকে আছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">হাওয়ায় ঠোক্কর খাচ্ছে তবুও কিছুতেই ছিঁড়ে পড়ছে না।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ঘাটের শান চ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">টে গিয়ে যেখানে শ্যাওলা জমেছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সেও করুণ চোখে চেয়ে জিজ্ঞেস করছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কোথায় যাবে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">হিজল গাছের ফুল টুপ টুপ ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে এখনো পড়ছে জলের উপর</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বলছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যাবে কোথায়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তারপর একটু দূরেই মাঠে কালো মেঘের মত ধান হয়েছে-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">লক্ষীবিলাস ধান-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সোনা রঙ ধরবে ব</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">লে। তারও এক প্রশ্ন- যাবে কোথায়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আরো দূরে ছলছলাৎ পাগলী নদীর ঢেউ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তার উপর চলেছে ভেসে পালতোলা ডিঙি ময়ূরপঙ্খি</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বলছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আমাদের ফেলে কোথায় যাবে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আমারা কি তোমার গত জন্মের বন্ধু</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">এ জন্মের কেউ নই</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">? </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">স্বজন নই</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তাড়াতাড়ি কর- তাড়াতাড়ি কর-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ঝিকিমিকি রোদ উঠে পড়ল যে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আঙিনায় গোবরছড়া দিতে হবে না</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">লেপতে হবে না পৈঁঠে-পিঁড়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">গরু দুইতে হবে না</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">খেতে দিতে হবে না</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">মাঠে গিয়ে বেঁধে রাখতে হবে না।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দরজা খুলে দাও</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যেখানে খুশি চলে যা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ক আমাদের মত।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আমাদের মত! কিন্তু আমরা যাচ্ছি কোথায়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তা জানিনা। যেখানে যাচ্ছি সেখানে আছে কী</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সব আছে। অনেক আছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">অঢেল আছে-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কত আশা কত বাসা কত হাসি কত গান</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কত জন কত জায়গা কত জেল্লা কত জমক।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সেখানকার নদী কি এমনি মধুমতী</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">মাটি কি এমনি মমতামাখানো</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ধান কি এমনি বৈকুন্ঠবিলাস</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সোনার মত ধান আর রুপোর মতো চাল</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বাতাস কি এমনি হিজলফুলের গন্ধভরা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বুনো-বুনো মৃদু মৃদু</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">মানুষ কি সেখানে কম নিষ্ঠুর কম ফন্দিবাজ কম সুবিধাখোর</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তাড়াতাড়ি করো</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তাড়াতাড়ি করো-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ভূষণ এবার স্ত্রী সুবালার উপর ধমকে উঠল:</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কী কত বাছাবাছি বাঁধাবাঁধি করছ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সব ফেলে ছড়িয়ে টুকরো-টুকরো ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে এপাশে-ওপাশে বিলিয়ে দিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">জোর কদমে এগিয়ে চলো</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">শেষ পর্যন্ত চলুক থামুক ট্রেনে গিয়ে সোয়ার হও</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সোয়ার হতে পারলেই নিশ্চিন্তি।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">চারধারে কী দেখছিস</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">? </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ছেলেকে ঠেলা দিল ভূষণ-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">জলা-জংলার দেশ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দেখবার আছে কী!</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">একটা কানা পুকুর</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">একটা ছেঁচা বাঁশের ভাঙা ঘর</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">একটা একফসলী মাঠ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">একটা ঘাসী নৌকো-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আসল জিনিস দেখবি তো চল ওপারে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আমাদের নিজের দেশে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">নতুন দেশে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">নতুন দেশের নতুন জিনিষ-মানুষ নয়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">জিনিস-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সে জিনিসের নাম কী</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">নতুন জিনিসের নতুন নাম-উদ্বাস্তু।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ওরা কারা চলেছে আমাদের আগে-আগে-ওরা কারা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ওরাও উদ্বাস্তু।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কত ওরা জেল খেটেছে তকলি কেটেছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">হত্যে দিয়েছে সত্যের দুয়ারে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কত ওরা মারের পাহাড় ডিঙিয়ে গিয়েছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পেরিয়ে গিয়েছে কত কষ্টক্লেশের সমুদ্র</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তারপর পথে-পথে কত ওরা মিছিল করেছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সকলের সমান হয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পায়ে-পায়ে রক্ত ঝরিয়ে-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কিন্তু ক্লান্ত যাত্রার শেষ পরিচ্ছেদে এসে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ছেঁড়াখোঁড়া খুবলে-নেওয়া মানচিত্রে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যেন হঠাৎ দেখতে পেল আলো-ঝলমল ইন্দ্রপুরীর ইশারা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ছুটল দিশেহারা হয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">এত দিনের পরিশ্রমের বেতন নিতে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">মসনদে গদীয়ান হয়ে বসতে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ঠেস দিতে বিস্ফারিত উপশমের তাকিয়ায়।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পথের কুশকন্টককে যারা একদিন গ্রাহ্যের মধ্যেও আনেনি</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আজ দেখছে সে-পথে লাল শালু পাতা হয়েছে কিনা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ড্রয়িংরুমে পা রাখবার জন্যে আছে কিনা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">বিঘৎ-পুরু ভেলভেটের কার্পেট।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ত্যাগব্রতের যাবজ্জীবন উদাহরণ হয়ে থাকবে ব</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">লে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যারা এত দিন ট্রেনের থার্ড ক্লাসে চড়েছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সাধারণ মানুষের দুঃখদৈন্যের শরিক হয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তারাই চলেছে এখন রকমারি তাকমার চোপদার সাজানো</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দশঘোড়ার গাড়ি হাঁকিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পথচারীদের হটিয়ে দিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তফাৎ ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে দিয়ে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">সমস্ত সামনেওয়ালাকে পিছনে ফেলে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পর-ঘর বিদেশী বানিয়ে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">হ্যাঁ</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ওরাও উদ্বাস্তু।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কেউ উৎখাত ভিটেমাটি থেকে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কেউ উৎখাত আদর্শ থেকে।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আরো আগে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ইতিহাসেরও আগে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">, </span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ওরা কারা</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">?<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ঐ ইন্দ্রপুরী-ইন্দ্রপ্রস্থ থেকেই বেরিয়ে যাচ্ছে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">হিমালয়ের দিকে-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">মহাভারতের মহাপ্রস্থানের পঞ্চনায়ক ও তাদের সঙ্গিনী</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">স্ব- স্বরূপ- অনুরূপা-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যুদ্ধ জয় ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রেও যারা সিংহাসনে গিয়ে বসল না</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কর্ম উদযাপন ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রেও যারা লোলুপ হাতে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">কর্মফল বন্টন করল না নিজেদের মধ্যে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">ফলত্যাগ করে কর্মের আদর্শকে রেখে গেল উঁচু ক</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">’</span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">,<br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">দেখিয়ে গেল প্রথমেই পতন হল দ্রৌপদীর-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পক্ষপাতিতার।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">তারপর একে একে পড়ল আর সব অহঙ্কার</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">রূপের বিদ্যার বলের লোভের-আগ্রাসের-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">আরো দেখাল। দেখাল-</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">শুধু যুধিষ্ঠিরই পৌছয়</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">যে হেতু সে ঘৃণ্য বলে পশু বলে</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"><br /></span><span lang="AR-SA" style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;">পথের সহচর কুকুরকেও ছাড়ে না।</span><span style="font-size: 14pt; line-height: 21.4667px;"></span></span></div></div><div style="clear: both;"></div></div><div class="post-footer" style="background-color: #ececec; border-bottom: 1px solid rgb(236, 236, 236); line-height: 1.6; margin: 20px -2px 0px; padding: 5px 10px;"><div class="post-footer-line post-footer-line-1" style="margin: 10px 0px;"><span style="font-family: helvetica;"><span class="post-author vcard" style="margin-left: 0px; margin-right: 1em;"></span><span class="post-timestamp" style="margin-left: -1em; margin-right: 1em;"></span><span class="post-comment-link" style="margin-right: 0px;"></span></span></div><div class="post-footer-line post-footer-line-2" style="margin: 10px 0px;"></div></div></div><div class="comments" id="comments" style="clear: both; margin-bottom: 0px; margin-top: 10px; min-height: 0px; position: relative;"><span style="font-family: helvetica;"><a name="comments"></a></span></div></div></div></div></div><div class="blog-pager" id="blog-pager" style="background: none center top no-repeat scroll rgb(255, 255, 255); color: #5b5b5b; font-size: 14.4px; margin: 10px 0px 0px; overflow: hidden; padding: 10px; text-align: center;"><div class="mobile-link-button" id="blog-pager-newer-link" style="background-color: #7dac1f; border-radius: 2px; float: left; font-size: 12px; height: 20px; margin-left: 5px; padding: 3px 6px; width: 30px;"></div></div>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-57185483485324716662020-09-11T23:13:00.007-07:002020-09-12T19:00:10.875-07:00ছাত্র ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী নেতৃত্বের অপসারণ চাই- সুমি খান<p><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></p><div class="kvgmc6g5 cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ কমিউনিষ্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকাকে কলঙ্কিত করার কোন অধিকার বর্তমান প্রজন্মের নেই। এই পার্টির লাল পতাকা হাতে কমরেড পূর্নেন্দু কানুনগো ( আমার সেলিম চাচ্চু) , কমরেড অনঙ্গ সেন,কমরেড হেনা দাস, বারীন দাস (আমাদের সালাম চাচ্চু), আমার ছোটমামা ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী, কমরেড অশোক সাহা কে দেখেছি তাঁদের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছেন পার্টির জন্যে। মনোরমা বসু মাসীমা সহ লাখো কোটি মানুষ তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন! </span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">তাঁদের মহান আত্মদানের সম্মান না করেন, অবমাননা করার কোন অধিকার কোন প্রজন্মের কারো নেই! আপনারা ঠগবাজ,মিথ্যুক আর ক্রীমলোভীদের লালন করেন নিজেদের স্বার্থে। </span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">কিন্তু আমাদের রক্তক্ষরণ হয় প্রাণে</span><span style="color: #2b00fe;">র</span><span style="color: #2b00fe; font-family: inherit;"> সংগঠনকে এভাবে কলংকিত করলে!!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe; font-family: inherit;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe; font-family: inherit;">বুকে যে এখনো বাজে-আমরা তাজুলের সহযোদ্ধা, শাহাদাত আমাদের ভাই!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe; font-family: inherit;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এই মোর্শেদ যে তাজুল শাহাদাতের ঘাতকদের সহযোগী শক্তি, সেটা কি বর্তমান প্রজন্ম জানে না? ইতিহাস কথা বলে! রক্তের সাথে কতো আর বেঈমানী করবেন? কতোদিন??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"> কমিউনিস্ট পার্টি বর্তমান নেতৃত্ব যদি ছাত্র ইউনিয়নের বর্তমান সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করে, এই সিদ্ধান্তে একমত হয়, তবে তাদের ও আমি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নেতৃত্ব বলেই মনে করি এবং সংশ্লিষ্ট দের অপসারণ দাবি করছি!! </span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">আমার বাবা সাইফুদ্দিন খান সেই গেরিলা বাহিনীর বীর যোদ্ধা। তিনি একজন রাজাকারকে নিজের হাতে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার দাদা বরউঠানের জমিদার এবং সাবেক গভর্ণমেন্ট প্লীডার (জিপি)ফজলুর রহমান খান ১০০ পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কর্মী এবং তাঁদের পরিবার ছিলেন ৯৫%। বাবা এবং বড়ো চাচা ডা. কামাল এ খানের খোঁজে পাকিস্তানী সেনা রা আমাদের বাড়ি আক্রমন করে, লুঠতরাজ চালায়। আমার বড়ো ভাইদের বেয়নেটের খোঁচায় রক্তাক্ত করেছে পাকি সেনারা। আমার দাদা তখন মৃত্যুশয্যায়। তিনি তাঁর প্রাণপ্রিয় সন্তান কামাল কে আর দেখতে পান নি। আমাদের বাপ্পু ডা. কামাল এ খান ও তাঁর পিতাকে শেষ দেখা দেখতে পান নি! আমার মা নূরজাহান খান তাঁর জীবন কমিউনিস্ট পার্টি, মহিলা পরিষদ আর ছাত্র ইউনিয়নের জন্যে উৎসর্গ করেছেন, এখনো পার্টির যে কোন সংকটে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। তার সাক্ষী কেন্দ্রীয় নেতা দের অনেকেই, যদিও জানি, তাঁদের কেউ কেউ স্বীকার না ও করতে পারেন। তিনি এই পোস্ট পড়লে আমাকে তিরস্কার করবেন, তাঁর আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করছি বলে।এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস যে আমি ধারণ করি! আর তাই গর্বের সাথে উল্লেখ করি, যেন পরবর্তী প্রজন্ম কখনো ভুলে না যায় এমন নিঃস্বার্থ ত্যাগী মানুষদের অবদান যেন ধুলায় না লুটাই!</span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"> দেশের আরো অনেক পরিবারের মতো আমাদের পরিবারের ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে মাতৃভূমি এবং প্রিয় কমিউনিস্ট পার্টির জন্যে।</span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"> তাই বলে এই পরিবারের কেউ কখনো পার্টি থেকে ন্যূনতম সুবিধা নিয়েছে- এমন কখনো হয় নি। শুধু সেবা দিয়ে গেছেন প্রত্যেকে। নীরবে, গোপনে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাঁরা। </span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"> আর তাই পার্টির মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং ক্ষতিকর অবস্থানের বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই বলার আছে! সেই সৎসাহস আমি ধারণ করি!</span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">তার জ্বলন্ত সাক্ষী মতিয়া চৌধুরী, কমরেড তপন দত্ত, কমরেড অশোক সাহা, কমরেড আহসানউল্লাহ চৌধুরী নিজে এবং তাঁর লেখা।যে লেখায় কমরেড আহসানউল্লাহ চৌধুরী সাইফুদ্দিন খানকে ষাটের দশকের কমিউনিস্ট পার্টির বৃহত্তর চট্টগ্রামের 'পিলার ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাবা। তাঁর কৈশোর থেকে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত সেই বীরোচিত আত্মত্যাগের গৌরব এবং নির্যাতনের ক্ষত তিনি বহন করে গেছেন। এসব তুলে ধরার কারণ, ইতিহাসের যারা জ্বলন্ত সাক্ষী তাঁদের দ্বারস্থ হওয়া এবং ইতিহাস যেন কখনো বিকৃত না হয়, সে ব্যাপারে বাম নেতৃত্ব কে সতর্ক করা।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এই ইতিহাস বিকৃতকারীদের নেতা জিয়া কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কর্মীর আরাধ্য পুরুষ, আমার বাবা মা'র কন্ঠে উচ্চারিত 'বড়োভাই' কমরেড মণি সিংহকে বঙ্গবন্ধুর দেয়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছিলো। এই ইতিহাস উল্লেখ করেছিলেন কমরেড শেখর দত্ত তাঁর একটি কলামে।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">কখনো যেন না ভুলে যাই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে সাইফুদ্দিন খান, গোলাম আরিফ টিপুর মতো লাখো কোটি দেশপ্রেমিক মানুষের রক্তে এবং আত্মদানে আমরা পেয়েছি জাতীয় পতাকা এবং স্বাধীন মাতৃভূমি।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">লাখো নেতা কর্মীর আত্মদানের গৌরবে ৬০ বছরের বেশি পথ এগিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন! তাঁদের প্রতি ও এই বিবৃতি চরম অবমাননা।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">আওয়ামী লীগের সমর্থন বা বিরোধিতা ভিন্ন বিষয়। তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে মেলানো হবে কেন?? সেটা কোন সুস্থ রাজনীতি বা কোন রাজনৈতিক দর্শন হতে পারে না- এটুকু বোধ কি বর্তমান নেতৃত্বের নেই??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ঢাবি শিক্ষক বিএনপি নেতা- একাত্তরের ঘাতক মওলানা মান্নানের পত্রিকা ইনকিলাব এবং জামাতের পত্রিকা নয়াদিগন্তে প্রকাশিত লেখাতে বিএনপি নেতা মোরশেদ তার নেতা জিয়াকে 'মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে 'সপরিবারে ভারতে পলায়নকারী ' হিসাবে উল্লেখ করেছেন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত এবং যায় যায় দিন পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে 'জিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে মিথ্যের চাষের অংশ হিসেবে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে ভয়াবহ ইতিহাস বিকৃতি করেছেন মোর্শেদ হাসান খান।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">২০১৮ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ নিবন্ধে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান লেখেন, 'আওয়ামী নেতাদের বেশিরভাগই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের পরিবার-পরিজনসহ ভারতে(?) চলে গেলেন এ দেশবাসীকে মৃত্যুফাঁদে ফেলে দিয়ে নেতৃত্বহীন অবস্থায়। যাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখত সেই শেখ মুজিবুর রহমানও(?)। জাতির এ সংকটকালীন মুহূর্তে 'ত্রাতারূপে'(?) আবির্ভূত হন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। "দেশপ্রেমের মহানমন্ত্রে উজ্জীবিত"(??) এই টগবগে যুবকের কণ্ঠে ২৬ মার্চ রাতে বজ্রের মতো গর্জে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা। স্বাধীনতার ডাক এসেছিল শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তার আগে নয়। আমার জানা মতে, তিনি কোনো স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। "</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">স্বাধীনতার পরের বর্ণনা দিতে গিয়ে মোর্শেদ হাসান লেখেন, 'দেশবাসী দেখলো শেখ মুজিব একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা চালু করে নিজেই যেন দাঁড়িয়ে গেলেন নিজের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৭২ থেকে '৭৫-এর ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দেশে 'বাক-স্বাধীনতা' বলতে কিছুই ছিল না। '</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">একইভাবে ২০১৬ সালের ৩০ মে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘স্মৃতিময় জিয়া’ শিরোনামে এক লেখায়ও মোর্শেদ হাসান খান একই ধরনের বক্তব্য লিখেন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">তার বক্তব্য কি মিথ্যার বেসাতি নয়?? ষড়যন্ত্র মূলক নয়??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিল ছাত্রলীগ।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">কিন্তু আমার প্রশ্ন,ছাত্রলীগ একা কেন প্রতিবাদ করবে?</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এই দাবি কি প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালীর নয়?</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অন্যায়, অপরাধ কখনো সমর্থনযোগ্য নয়।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে সকল প্রগতিশীল শক্তি মাঠে নামবেন না কেন?</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">জ্যোতির্ময় জিয়া' শিরোনামের কলামে ইতিহাসবিকৃতির দায়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ছাত্র ইউনিয়ন কেন মোর্শেদের লেখার প্রতিবাদ করে নি??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা লেখায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ঢাবি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দল। তাদের সাথে একাত্ম ছাত্র ইউনিয়ন ও!!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">আজ ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সেই সংগঠনের বিবৃতি প্রথম আলো, এনটিভি অনলাইন সহ অনেক মিডিয়া ছাপালো!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ভয়ঙ্কর এই ইতিহাস বিকৃতিকারীকে চাকরিতে পুনর্নিয়োগের দাবি করছে আমার তিন প্রজন্মের দায়িত্বশীল ভুমিকায় সমৃদ্ধ প্রাণের সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন ??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">হায় রে রাজনীতির দুরাচার!!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">কেন বাম নেতা কর্মীরা একাত্তরের ঘাতক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রাষ্ট্রক্ষমতায় পুনর্বাসনকারী ঘাতক জিয়ার রাজনীতি লালন করবে??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এই রাজনীতি কখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তো নয়ই, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সমর্থনে লালিত।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ছাত্র ইউনিয়নের এই বিবৃতি দেশমাতৃকার প্রতি কতো বড়ো অসম্মান - সেই বোধ ও কি তাদের বিলুপ্ত??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ধিক্কার জানাই এমন বিএনপিপ্রেমী নেতৃত্বকে!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;"><br /></span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">একে কখনো মুক্তচিন্তা বা freedom of speech বলে না। তাহলে তো পৃথিবীকে কোন অপরাধই নেই!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">অপরাধীকে সমর্থন freedom of Speech?? হতে পারে না কখনো!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ইতিহাস বিকৃতিকারীকে সমর্থন করে ইতিহাস বিকৃতিকে সমর্থন করলো ছাত্র ইউনিয়ন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক স্বৈরশাসক এবং ঘাতক জিয়া বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যা করেছে খালেদ মোশাররফ সহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে! সেসব ভয়াবহ ইতিহাস কি একক ভাবে শুধু আওয়ামী লীগ তুলে ধরবে?</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">সেসব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব কি বাম দলগুলোর নয়??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">জিয়ার ষড়যন্ত্রে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা যদি তর্কের খাতিরে বাদ ও দিই, জিয়ার ষড়যন্ত্রে অন্ধকার কারাগারে জিয়ার পেটোয়া সেনাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বর্বরভাবে নিহত জাতীয় চার নেতা, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের অসহায় পরিবার গুলোর হিসাব কখনো নিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">খালেদার শাসনামলে জামাত বিএনপির বর্বর নির্যাতনে নিহতদের কতোটা খবর নেন তারা? কখনো প্রতিবাদ করেছেন??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">বরং জিয়াকে মহান মুক্তিযুদ্ধের 'মহানায়ক' সাজানোর ষড়যন্ত্র কে সমর্থন দিচ্ছে!!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">বলিহারি এসব নষ্ট রাজনীতির!! দেশকে ভালোবেসে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরুন আপনারা। গঠনমূলক প্রতিবাদে গর্জে উঠুন।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ইতিহাস বিকৃতকারীর প্রচলিত আইনে সাজা দাবি না করে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে পুনর্বহালের মাধ্যমে মিথ্যা এবং বিকৃত ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করবেন কেন?? কোন্ উদ্দেশ্যে??</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এই ছাত্র ইউনিয়নের জন্য আমার ছাত্রজীবন আমি উৎসর্গ করি নি।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">এবং এই ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃত্বকে আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বলে মনে করি না!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">ধিক্কার জানাই কোন 'প্রগতিশীল শক্তি'র এমন সিদ্ধান্তের!!</span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; font-family: "segoe ui historic", "segoe ui", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">একই সাথে এমন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নেতৃত্বের অপসারণ দাবি করছি!!</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="color: #2b00fe;">সুমি খান, সকাল ১১টা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০</span></div></div><p><span style="color: #2b00fe;"><img border="0" data-original-height="2400" data-original-width="1080" height="421" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiD552UQHoAw5uGyYa2XlSDFkK6zSRw9W-TdZeTmcDBvkqySU0em-u7pGPfKbiWJU8T0GZXhfWpQVUemgmrMYVTSOmWwYPWCrZzHgia22ZrBd45XFzdjLLdBcayZ3Q6jqr485s1Mnp1Gkwt/w473-h421/Screenshot_2020-09-12-10-48-27-47.jpg" width="473" /></span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> আওয়ামী লীগের সমর্থন বা বিরোধিতা ভিন্ন বিষয়। তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে মেলানো হবে কেন?? সেটা কোন সুস্থ রাজনীতি বা কোন রাজনৈতিক দর্শন হতে পারে না- এটুকু বোধ কি বর্তমান নেতৃত্বের নেই??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> ঢাবি শিক্ষক বিএনপি নেতা- একাত্তরের ঘাতক মওলানা মান্নানের পত্রিকা ইনকিলাব এবং জামাতের পত্রিকা নয়াদিগন্তে প্রকাশিত লেখাতে বিএনপি নেতা মোরশেদ তার নেতা জিয়াকে 'মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে 'সপরিবারে ভারতে পলায়নকারী ' হিসাবে উল্লেখ করেছেন।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত এবং যায় যায় দিন পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে 'জিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে মিথ্যের চাষের অংশ হিসেবে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে ভয়াবহ ইতিহাস বিকৃতি করেছেন মোর্শেদ হাসান খান। </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">২০১৮ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ নিবন্ধে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান লেখেন, 'আওয়ামী নেতাদের বেশিরভাগই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের পরিবার-পরিজনসহ ভারতে(?) চলে গেলেন এ দেশবাসীকে মৃত্যুফাঁদে ফেলে দিয়ে নেতৃত্বহীন অবস্থায়। যাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখত সেই শেখ মুজিবুর রহমানও(?)। জাতির এ সংকটকালীন মুহূর্তে 'ত্রাতারূপে'(?) আবির্ভূত হন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। "দেশপ্রেমের মহানমন্ত্রে উজ্জীবিত"(??) এই টগবগে যুবকের কণ্ঠে ২৬ মার্চ রাতে বজ্রের মতো গর্জে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা। স্বাধীনতার ডাক এসেছিল শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তার আগে নয়। আমার জানা মতে, তিনি কোনো স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। "</span></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiv80Vh_K8AvszJZFEzSGCO_9Ebn0647sGyBknHZ5Ox0EswopJIGZfCL0TdmQbKC8ACoS-G6x9tBcZwzkikDt1gFU8EpRa6eccyxHWLBROdzfZyzIIUpfjToK9w2Ky78ChKevolEXJj-OTs/s962/DU+teacher+Morshed+terminated+.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="color: #2b00fe;"><img border="0" data-original-height="923" data-original-width="962" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiv80Vh_K8AvszJZFEzSGCO_9Ebn0647sGyBknHZ5Ox0EswopJIGZfCL0TdmQbKC8ACoS-G6x9tBcZwzkikDt1gFU8EpRa6eccyxHWLBROdzfZyzIIUpfjToK9w2Ky78ChKevolEXJj-OTs/s320/DU+teacher+Morshed+terminated+.jpg" width="320" /></span></a></div><p><span style="color: #2b00fe;">স্বাধীনতার পরের বর্ণনা দিতে গিয়ে মোর্শেদ হাসান লেখেন, 'দেশবাসী দেখলো শেখ মুজিব একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা চালু করে নিজেই যেন দাঁড়িয়ে গেলেন নিজের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ১৯৭২ থেকে '৭৫-এর ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দেশে 'বাক-স্বাধীনতা' বলতে কিছুই ছিল না। '</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">একইভাবে ২০১৬ সালের ৩০ মে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘স্মৃতিময় জিয়া’ শিরোনামে এক লেখায়ও মোর্শেদ হাসান খান একই ধরনের বক্তব্য লিখেন।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">তার বক্তব্য কি মিথ্যার বেসাতি নয়?? ষড়যন্ত্র মূলক নয়??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিল ছাত্রলীগ।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">কিন্তু আমার প্রশ্ন,ছাত্রলীগ একা কেন প্রতিবাদ করবে?</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> এই দাবি কি প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালীর নয়?</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অন্যায়, অপরাধ কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে সকল প্রগতিশীল শক্তি মাঠে নামবেন না কেন?</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">জ্যোতির্ময় জিয়া' শিরোনামের কলামে ইতিহাসবিকৃতির দায়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ছাত্র ইউনিয়ন কেন মোর্শেদের লেখার প্রতিবাদ করে নি??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা লেখায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছে।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ঢাবি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দল। তাদের সাথে একাত্ম ছাত্র ইউনিয়ন ও!!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">আজ ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সেই সংগঠনের বিবৃতি প্রথম আলো, এনটিভি অনলাইন সহ অনেক মিডিয়া ছাপালো! </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ভয়ঙ্কর এই ইতিহাস বিকৃতিকারীকে চাকরিতে পুনর্নিয়োগের দাবি করছে আমার তিন প্রজন্মের দায়িত্বশীল ভুমিকায় সমৃদ্ধ প্রাণের সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন ??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">হায় রে রাজনীতির দুরাচার!! </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">কেন বাম নেতা কর্মীরা একাত্তরের ঘাতক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রাষ্ট্রক্ষমতায় পুনর্বাসনকারী ঘাতক জিয়ার রাজনীতি লালন করবে??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">এই রাজনীতি কখনো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তো নয়ই, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সমর্থনে লালিত।</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> ছাত্র ইউনিয়নের এই বিবৃতি দেশমাতৃকার প্রতি কতো বড়ো অসম্মান - সেই বোধ ও কি তাদের বিলুপ্ত??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ধিক্কার জানাই এমন বিএনপিপ্রেমী নেতৃত্বকে!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> একে কখনো মুক্তচিন্তা বা freedom of speech বলে না। তাহলে তো পৃথিবীকে কোন অপরাধই নেই! </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">অপরাধীকে সমর্থন freedom of Speech?? হতে পারে না কখনো!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ইতিহাস বিকৃতিকারীকে সমর্থন করে ইতিহাস বিকৃতিকে সমর্থন করলো ছাত্র ইউনিয়ন। </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">রাতের অন্ধকারে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক স্বৈরশাসক এবং ঘাতক জিয়া বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যা করেছে খালেদ মোশাররফ সহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে! সেসব ভয়াবহ ইতিহাস কি একক ভাবে শুধু আওয়ামী লীগ তুলে ধরবে? </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">সেসব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব কি বাম দলগুলোর নয়??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> জিয়ার ষড়যন্ত্রে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা যদি তর্কের খাতিরে বাদ ও দিই, জিয়ার ষড়যন্ত্রে অন্ধকার কারাগারে জিয়ার পেটোয়া সেনাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে বর্বরভাবে নিহত জাতীয় চার নেতা, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্য এবং তাদের অসহায় পরিবার গুলোর হিসাব কখনো নিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;">খালেদার শাসনামলে জামাত বিএনপির বর্বর নির্যাতনে নিহতদের কতোটা খবর নেন তারা? কখনো প্রতিবাদ করেছেন??</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> বরং জিয়াকে মহান মুক্তিযুদ্ধের 'মহানায়ক' সাজানোর ষড়যন্ত্র কে সমর্থন দিচ্ছে!! </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">বলিহারি এসব নষ্ট রাজনীতির!! দেশকে ভালোবেসে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরুন আপনারা। গঠনমূলক প্রতিবাদে গর্জে উঠুন। </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">ইতিহাস বিকৃতকারীর প্রচলিত আইনে সাজা দাবি না করে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে পুনর্বহালের মাধ্যমে মিথ্যা এবং বিকৃত ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করবেন কেন?? কোন্ উদ্দেশ্যে?? </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">এই ছাত্র ইউনিয়নের জন্য আমার ছাত্রজীবন আমি উৎসর্গ করি নি। </span></p><p><span style="color: #2b00fe;">এবং এই ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃত্বকে আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি বলে মনে করি না!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> ধিক্কার জানাই কোন 'প্রগতিশীল শক্তি'র এমন সিদ্ধান্তের!!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> একই সাথে এমন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নেতৃত্বের অপসারণ দাবি করছি!!</span></p><p><span style="color: #2b00fe;"> সুমি খান, সকাল ১১টা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ </span></p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-40573677450652765922020-09-04T09:04:00.000-07:002020-09-04T09:04:31.361-07:00রান্নার সিক্রেট ০০১ <p>০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ </p><p># গরম মশলা গুঁড়ো প্রায় সব রান্নাতেই ব্যবহার করি আমরা।গুঁড়ো না দিয়ে গোটা মশলা কিনে বাড়িতে পিষে নিলে রান্নার স্বাদ সবচেয়ে ভাল হয়। তবে বড় এলাচের পরিমাণ কম হলেই ভাল। এর স্বাদ তীব্র হওয়ায় তা বাকি মশলার গন্ধকে ঢেকে দেয়।</p><p># ডাল বা ঝোলে যদি নুন বেশি পড়ে যায়- আটা মেখে ছোট লেচি কেটে তা ডাল বা ঝোলে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরে আটার লেচি গুলো তুলে ফেলে দিন। এতে অতিরিক্ত নোনতা ভাব কেটে যাবে।</p><p>#সর্ষের মধ্যে সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম বেশি পরিমাণে থাকায় হাঁপানি, আর্থ্রাইটিস ও হাই কোলেস্টেরলের রোগীদের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।পাটায় পেষা সর্ষের স্বাদই আলাদা। তবে ব্লেন্ডারে সর্ষে বাটতে হলে আগে সামান্য বরফজলে সরষে ভিজিয়ে তারপর বেটে নিন। এতে স্বাদ বাড়বে।</p><p># বেগুন ভাজার সময়ে তেল টেনে নেয় অতিরিক্ত। কিন্তু নুন, হলুদ,মরিচ বা অন্যান্য মশলার সঙ্গে যদি সামান্য আটা ছড়িয়ে বেগুনে মিশিয়ে নেন, তা হলে তেল টানবে কম।</p><p># রান্না করার সময়ে হঠাৎ হলুদ গুঁড়ো বেশি পড়ে গেলে - মশলার কাঁচা গন্ধ লাগে। এমন হলে লোহার একটা খুন্তি গ্যাসের আগুনে গরম করে নিন। এর পরে সেই খুন্তি দিয়ে রান্না নেড়ে নিলে অতিরিক্ত হলুদ লোহার খুন্তি শুষে নেয়। </p><p>#পটল ভাজতে গেলে তেল কালো হয়ে যায় যদি- তেলে পটল ছেড়ে কড়াই বা প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাজতে হবে। এতে তেল কালো হবে না আর।</p><p>#অনেক সময়েই কুমড়ো, লাউ, চালকুমড়োর খোসা আমরা ফেলে দিই। কিন্তু সামান্য ঘি গরম করে কালোজিরে, আদা, কাঁচা মরিচের ফোড়ন দিয়ে খোসা ভেজে নিতে পারেন। রুটি, এমনকী মুড়ির সঙ্গেও এই খোসা ভাজা খেতে লাগে অপূর্ব।</p><p>অন্যদৃষ্টি</p>Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-32746061616484049622020-03-14T18:52:00.000-07:002020-03-14T18:52:04.298-07:00সাংবাদিক অারিফের মুক্তি চাই- কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানার শাস্তি চাই - সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে জনবান্ধব, মানবিক, দেশপ্রেমিক এবং নারীবান্ধব রাষ্ট্রনায়ক অার কখনো অাসে নি কেউ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই নারীর ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। এদেশে নারীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল পদ পাচ্ছেন - অনেকেই মানতে পারেন নি।দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই তিনি স্রোতের বিপরীতে প্রভূত কাজ করে গেছেন, এখনো করছেন। এই প্রজন্মের অনেক নারী তাদের গ্রামে প্রথম শিক্ষিত নারী। জেলা প্রশাসক বা ডিসি যে কোন জেলার জন্য ক্ষমতাবান ব্যক্তি। সেই ক্ষমতার অসদ্ব্যবহার যারা করছেন,তার সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু সীমাহীন অসততা অার ক্ষমতার অপব্যবহার যে কারো পতন ডেকে অানে। নারীও তার উর্ধে নয়,সেটা হয়তো ভুলে গেছেন কুড়িগ্রামের ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীন। ৪০ বছরের প্রাচীন পুকুর সংস্কার কাজ শুরু করেই নিজের নামে নামকরণ করলেন!<br />
এ ধরণের যারা ক্ষমতায়ন বা পদ্য়নের সুযোগ পেয়ে তার অপব্যবহার করছেন,তাদের চরম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।অামলা বলে নিশ্চয়ই তারা অাইনের অপব্যবহার করতে পারেন না;তারা নিজেরা ও নিশ্চয়ই কোনভাবেই অাইনের উর্ধে নন!-একের পর এক অন্যায় করে যাবেন, সংবাদকর্মীরা তাদের দায়িত্বপালন করবেন না? দায়িত্ব পালন করলেই তাকে একের পর এক হুমকি দিতে হবে? সন্ত্রাসী অার জেলা প্রশাসকের মধ্যে তফাত থাকলো কোথায়? <br />
পুলিশ, অামলা বা কোন সরকারী কর্মকর্তা কর্মসূত্রে কোন পদে থাকলে, তার নামে পার্ক, পুকুর করতে হবে? ধিক্কার জানাই এ ধরণের নিন্দনীয় অাত্মপ্রচারকারী জেলাপ্রশাসক বা অামলাদের।এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরণের গর্হিত কাজ থামানো যাবে না। তারামণ বিবি বা অগ্নিযুগের কোন বিপ্লবী বা দেশের সমাজের কৃতি ব্যক্তিদের নামে করা হোক সেই সরোবরের নামকরণ।<br />
পুকুরের নাম নিজের নামে করা যায়, সেই খবর ছাপানোর অপরাধে'(?) মধ্য রাতে সাংবাদিককে মারতে মারতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ড্রাগের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মোবাইল কোর্টে এক বছরের জেল দেয়া হলো কেন?<br />
সাংবাদিক আরিফের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। সাংবাদিকের দায়বদ্ধতা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কি 'অপরাধ'? সাংবাদিক অারিফ, তার স্ত্রী এবং শিশু সন্তান দের যে মানসিক চাপ তৈরি করা হলো,তার দায় ডিসি সুলতানা এবং তার ঠ্যাঙারে বাহিনীকে নিতে হবে।তাদের প্রত্যেকের শাস্তি দাবি করছি।<br />
<br />
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কুড়িগ্রাম শহরে সরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের অনুদানে পুকুর সংস্কার করে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের নাম অনুসারে ‘সুলতানা সরোবর’ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বইছে সমালোচনার ঝড়। জেলার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সরকারি অর্থ ব্যয়ে পুকুর সংস্কার করে জেলা প্রশাসকের নাম কেন দেওয়া হবে?<br />
<br />
কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্প থেকে এই পুকুর সংস্কারের জন্য চাল ও সোলার স্ট্রিট লাইট বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খন্দকার মো. মিজানুর রহমান।<br />
<br />
কুড়িগ্রাম শহরের ‘নিউ টাউন পার্ক’ নামে পরিচিত এই পুকুরটি ৪০ বছরের পুরনো। সংবাদে প্রকাশ, ১৯৭৮ সালে কুড়িগ্রাম শহরে এই পুকুর খনন করা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘নিউ টাউন পার্ক’। পুকুরটিতে মাছ চাষ করা হতো। পাশাপাশি এর পাড়ে গড়ে ওঠে নার্সারি। সাবেক জেলা প্রশাসকের পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন পুকুরটি সংস্কার করে এর পাড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয়। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন পুকুরটির সংস্কার করেন। পুকুরটি পুনঃখনন করে চারপাশে ওয়াকওয়ে তৈরি করে স্থাপন করা হয় সোলার স্ট্রিট ল্যাম্প।<br />হঠাৎ ১৪ মে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার ছবিসহ পুকুরের নতুন নাম দেন সুলতানা সরোবর। সেই পোস্ট দেখার পর জেলাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।<br />
মো. মাইদুল ইসলাম মাহিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘জনগণের টাকায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিজের নামে পুকুরের নাম দিয়েছেন, অথচ ডিসি কোয়ার্টারের পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী কছিম উদ্দীনের জমি অধিগ্রহণ করে তাকে ভূমিহীন করা হয়েছে। পুকুরটি কছিম উদ্দীনের নামে বা সৈয়দ শামসুল হকের নামে কিংবা তারামন বিবির নামে হতে পারতো। এতে ডিসির সুনাম বাড়তো।’<br />
<br />
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দশম সংসদের কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার অনুকূলে টিআর কাবিখা’র বরাদ্দ অর্থ থেকে পুকুরটি সংস্কার কাজ করা হয়। এতে প্রায় ১০৪ দশমিক ৫৫৫ মেট্রিক টন চাল এবং ২৫টি সোলার স্ট্রিট ল্যাম্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া অন্য স্থান থেকে ৩১টি সোলার স্ট্রিট ল্যাম্পের বরাদ্দ কেটে এই পুকুর পাড়ে স্থাপন করা হয়। এছাড়াও জেলার কিছু ব্যক্তি অনুদানও দেন।<br />
<br />
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদ দুলাল বোস বলেন, ‘রাষ্ট্রের টাকায় কোনও সংস্কার কাজ করে জেলা প্রশাসক নিজের নামে নামকরণ করতে পারেন না। তিনি সরকারি দায়িত্ব পালন করতে জেলায় এসেছেন।’<br />
<br />
রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। জনগণের টাকায় পুকুর সংস্কার হওয়ায় জেলার কোনও কৃতী সন্তানের নামেই এটির নামকরণ করা উচিত।’<br />
<br />
খুব স্বাভাবিক ভাবেই এমন অন্যায় মানতে পারেন নি স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ।তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছেন। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদী তরুণেরা।অভিবাদন তাদের।জয় হোক তারুণ্যের! <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_200315_073711_018.sdoc--><br />
ন্যায় বিচার চাই অামরা৷ সাংবাদিক অারিফুল ইসলামের মুক্তি চাই, ডিসি সুলতানা এবং তার ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর শাস্তি চাই।<br />
sumikhan29bdj@gmail. com </div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-59829551483263394492019-10-10T02:54:00.000-07:002020-04-17T08:54:18.121-07:00আবরারদের কেউ হনন করে কেউ হননকারী - জ শ তিমির<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলে যাওয়া কথাগুলি নিয়ে ভাবছিলাম 'দেশ মানুষের সৃষ্টি। দেশ মৃন্ময় নয়, দেশ চিন্ময়। মানুষ যদি প্রকাশমান হয়, তবেই দেশ প্রকাশিত। সুজলা, সুফলা মলয়শীতলা ভূমির কথা যতই উচ্চকণ্ঠে রটান ততই জবাবদিহির দায় বাড়বে, প্রশ্ন উঠবে প্রাকৃতিক দেশ তো উপাদানমাত্র, তা নিয়ে মানবিক সম্পদ কতটুকু গড়ে তোলা হল। মানুষের হাতে দেশের জল যদি শুকিয়ে যায়, ফল যদি যায় মরে, মলয়জ যদি বিষিয়ে ওঠে মরিবীজে, শস্যের জমি যদি হয় বন্ধ্যা, তবে কাব্য-কথায় দেশের লজ্জা চাপা পড়বে না। দেশ মাটিতে তৈরী নয়, দেশ মানুষে তৈরী’' ।<br />
<br />
বাংলাদেশ তথা রাজধানীর শ্রেষ্ঠ মানুষ গড়ার অন্যতম কেন্দ্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ বুয়েটে একটি টর্চার সেল আছে, এই টর্চার সেলে কিভাবে আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল সেটির বিবরণী পত্রিকাতে পড়তে পড়তে খুন হয়ে যাওয়া ছেলেটির ফেসবুক আইডিতে গেলাম - আবরার সেপ্টেম্বর মাসে ইন্ট্রো অর্থাৎ নিজের সম্পর্কে ভূমিকাতে লিখেছিলো - 'অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা অসীম মহাকাশের অন্তে ''।<br />
<br />
কয়েকটি সংবাদপত্রে এসেছে আবরারের পড়ার টেবিলে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাওয়া গেছে, কয়েকটি স্ট্যাটাস নজরে পড়লো, একাত্তরে বিরূপ পরিবেশের মধ্যেও কিন্তু বিবিসি মুক্তিবাহিনীর খবর প্রচার করে গেছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় বাহিনীর অপপ্রচার আর তাদের মিডিয়াতে শান্ত কাশ্মীরের যে খবর প্রচার করছে একাত্তরে পাকমিডিয়াও একই কাজ করেছিল'আর কয়েকটি পোস্টে দেখা গেলো ভারতকে পানি, গ্যাস ও সমুদ্রবন্দর দেয়ার চুক্তির বিরোধিতা করে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, নিজস্ব মতামত।<br />
<br />
আমাদের সাথে তার সে মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি নাও মিলতে পারে, আবার মিলতেও পারে ।<br />
কারো মতামত কারো সাথে না মিললে তাকে হত্যা বা নির্যাতন করার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা ছাত্রলীগ বা কাউকেই কেউ দেয়নি। কথিত, যে, নিহত ফাহাদের ফেসবুক একাউন্ট ও ইনবক্স ঘেঁটে তার সঙ্গে ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া গেছে বলে মনে করেছিল ফাহাদ হত্যার সাথে জড়িত বলে সন্দেহভাজনরা ।<br />
জামাত শিবির বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়নি, জামাত শিবিরের অনেক নেতা কর্মী সদস্যরা বর্তমান সরকারি দলটিতে যোগদান করেছে, এমন খবর পত্রিকাতে প্রচুর পাওয়া যাবে, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী দণ্ডিত অপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে নিবাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, এই বাস্তবের প্রেক্ষাপটে কোন স্পর্ধাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অত্যাচার করে একজন ছাত্রকে হত্যা করলো আরো কয়েকজন ছাত্র ?<br />
<br />
এই ছাত্র রাজনীতি আমাদের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৮ এর শিক্ষানীতি, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধ, নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলন - একের পর এক মাইল ফলক দিয়েছে স্বর্ণালী ইতিহাসের নেতৃত্বদানকারী নেতা নেত্রী, উত্তরাধিকার নেয়ার সন্তান সন্ততি কেউ কি কোথাও নেই ?<br />
<br />
পাকিস্তান আমলে ভারত বিদ্বেষী রাজনীতির সমর্থনে ছিল এদেশের ২০ শতাংশ মানুষ, বর্তমান বাংলাদেশে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ শতাংশ, ভারত ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক আজ সেখানে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী তথা মুসলিমদের নানা ভাবে নিগৃহীত করা হচ্ছে, তবে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর এখনো পাল্লা ভারী। <br />
<br />
বাংলাদেশে এখন ভারতবিদ্বেষী রাজনীতির সমর্থকের পাল্লা ভারী, বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে মানুষ যদি হত্যা করতে হয় তাহলে তো বর্তমান বাংলাদেশের আশি ভাগ জনসংখ্যা হাপিশ করার মতো গণ হত্যা যজ্ঞে নামতে হবে, সেটা কি সভ্য বা সুস্থ কোনো চিন্তা চেতনা ? এই চিন্তা বা কর্ম একটি মারাত্মক অপরাধ !<br />
<br />
তবে, বিচারহীনতা আমাদের সমাজকে বেপরোয়া করে দিয়েছে, আমরা মানুষের জীবন দিতে পারিনা, মানুষকে দুবেলা খেতে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা ভাবিনা, মানুষের দায়িত্ব নেয়ার কথা ভাবিনা, মানুষের উপকার করার কথা ভাবিনা, কিন্তু স্বার্থে লাগলে খুন করতে, জীবন কেড়ে নিতে, পিছপা হয়না, প্রয়োজনে জোট বাঁধি ।<br />
<br />
ভিন্ন মতের মানুষ হত্যা বাংলাদেশে খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে , দেশের মানুষ ভিন্ন মতের মানুষ হত্যা কখন স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে অথবা কখন যে পারেনা, সেটা কি বোঝা সহজ !একটু ফ্ল্যাশব্যাক -<br />
<br />
১৯৭৭ সালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্র শিবির নামে জামাত ই ইসলামীর ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। হাতুড়ি, রড, ইট, মুগুর দিয়ে হাড় গুঁড়ো করে দেয়া, রিকশার স্পোক কানের ভেতর ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মগজ বের করে আনা, হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া, চোখ উপড়ে ফেলা, মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলা, কব্জি কেটে নেয়া, কিরিচ, ছোরা, কুড়াল ব্যবহার করে হত্যা করার মতো নৃশংসতা এদেশের ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে কেবল শিবিরের নামের সাথেই যুক্ত ছিল । ৮০ র দশকে ভিন্ন মতের ছাত্র ও তরুণ প্রজন্ম হত্যার কাফেলা শুরু করে শিবির, মাত্র কয়েকটি উদাহরণ -<br />
<br />
১৯৮১: শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ ক্যাম্পাসেই কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ১৯৮৪: চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরেরকর্মী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে। ১৯৮৬ :শিবির ডান হাতের কবজি কেটে নেয় জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পরবর্তীতে ঐ কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে। ১৯৮৮: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মেইন হোস্টেলের সামনে, কলেজের প্রিন্সিপাল ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, ও শত শত শিক্ষাথীদের সামনে ছাত্রমৈত্রী নেতা ডাক্তার জামিল আক্তার রতনকে কুপিয়ে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে শিবিরের ক্যাডাররা। ১৯৮৮: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদ নেতা জালালকে তার নিজ বাড়ীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। <br />
<br />
১৯৮৮: সিলেটে শিবির ক্যাডাররা মুনীর, জুয়েল ও তপনকে বর্বরভাবে হত্যা করে। ২২ ডিসেম্বর, ১৯৯০: ছাত্রমৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারম্নককে শিবিরের ক্যাডাররা জবাই করে। ১৯৯২ : শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে হরতাল কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জাসদের মিছিল চলাকালে শিবিরের সশস্ত্র হামলায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জাসদ নেতা মুকিম মারাত্মক আহত হন এবং ২৪ জুন তিনি মারা যান। ১৯৯৩: বহিরাগত সশস্ত্র শিবির কমীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শেরেবাংলা হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রমৈত্রী নেতা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের মেধাবী ক্রিকেটার জুবায়েদ চৌধুরী রিমুকে হাত-পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। ১৯৯৩: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ, সাধারণ ছাত্র নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।<br />
<br />
১৯৯৪: পরীক্ষা দিতে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় ছাত্রমৈত্রী নেতা প্রদুৎ রুদ্র চৈতীর হাতের কব্জি কেটে নেয় শিবির কমীরা।১৯৯৫ : শিবির কমীরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল-সন্ধ্যা বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য রূপমকে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে বর্বর শিবির ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে নেয়।১৯৯৬ : জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং<br />
<br />
১৯৯৭: চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।<br />
১৯৯৮: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী সঞ্জয় তলাপত্রকে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। ২০০০: চট্টগ্রামের বদ্দরহাটে শিবির ক্যাডাররা মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ১৯৯৯: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকমীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।২০০৪: অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে ফজরের নামাজ পড়তে যাবার সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে।<br />
<br />
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।২০০৪: বরিশালের বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শামীম আহমেদকে শিবির ক্যাডাররা হত্যা করে।২০০৬ : বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতকিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে। ২০১০: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে রাখে শিবিরের ক্যাডাররা।<br />
<br />
বাংলাদেশে প্রথম বড় রকমের বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপি আমলে ১৯৯৯ সালের ৭ই মার্চ৷ যশোরে উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে চালানো বোমা হামলায় সেদিন ১০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন ৷ সে বছরেরই ৮ই অক্টোবরে খুলনার নিরালা আবাসিক এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সাত জনকে, আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০ জন৷ তারপর ২০০১ সালে রমনা বটমূলে নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন, এখনো শরীরে হামলার ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন শতাধিক মানুষ ৷ ২০০৫ সালে দেশের ৬৩টি জেলার পাঁচশ'রও বেশি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ৷<br />
<br />
৮০ র দশকে ভিন্ন মতের ছাত্র ও তরুণ প্রজন্ম হত্যার কাফেলা শুরু করে ইসলামী ছাত্র শিবির, পরবর্তীতে শুধু কওমি মাদ্রাসাগুলোই নয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও জঙ্গিবাদের কারখানা হিসাবে চিহ্নত হতে থাকে, আনসারুল্লাহ, হিজবুত তাহেরি ও হেফাজতি ইসলামী সহ নানা নামে নানা তরিকতে ইসলামী উগ্রপন্থী ও জঙ্গিরা ভিন্ন মতের ভিন্ন ধর্মের মানুষ কোপানো ও হত্যালীলা শুরু করে ফতোয়া দিয়ে তালিকা পাঠিয়ে ৷<br />
<br />
২০১৩ সালে রাজীব হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।অভিজিৎ রায়কে হত্যার এক মাসেরও কম সময়ের মাথায় ২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে ঢাকার তেজগাঁও এলাকার একটি সড়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।২০১৫ সালের ১২ মে ঢাকার বাইরে সিলেটে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী অনন্ত বিজয় দাশ, সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ প্রকাশ্যে রাস্তায় খুন হওয়ার পর তিন মাস না পেরোতেই ঢাকায় আরেক ব্লগার নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ।<br />
<br />
২০১৫ সালের ৩১ অক্টেবর রাজধানীর লালমাটিয়ায় ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ দুই জনকে কুপিয়ে আহত করা হয় । এর চার ঘণ্টার মাথায় শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট সাভারে ব্লগার আশরাফুল আলমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে হত্যা করা হয়। ২০১৬ ২৬ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে স্লোগান দিতে দিতে দিনের আলোয় পৰ ছেড়ে বেরিয়ে যায় হত্যাকারীর দল ।<br />
<br />
এর দুই দিন আগে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে একইভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১ ৬ তে, এই ফেসবুকে লেখার জন্যেই, রাজধানীতে খুন হয়েছিলেন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমউদ্দিন সামাদ, হত্যা করা হয়েছে শাহজাহান বাচ্চুকে । প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডেই নিহতদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, অথবা মোটর সাইকেল যোগে দিনের আলোয় এসে হত্যা করা হয় এবং এখনো কোনোটার বিচার শুরু অথবা শেষ হয়নি ।<br />
<br />
বেশ ক বছর হলো আওয়ামী লীগ পুশব্যাক দেখছি বুক ফুলিয়ে মুসলিম আওয়ামী লীগের দিকে ৷ কারণ তারা দেখেছে, ধর্ম দিয়ে রাজনীতি খেতো ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় উপমহাদেশ, খেয়েছে পাকিস্তান, স্বাধীন বাংলাদেশের পঁচাত্তর পরবর্তী ফর্মুলা গেছে জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার হাত ধরে ৷<br />
<br />
আর তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাহাত্তরের সংবিধান এবং কওমি দোয়া নিয়ে ইসলামিক বাংলাদেশের সোজা পথে আগে বেড়েছে বর্তমান ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দল ৷<br />
<br />
অথচ, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশা ছিল সাংস্কৃতিক আন্দোলন যা মৌলবাদ-কূপমণ্ডুকতা থেকে উত্তরণের উৎকৃষ্ট উপায়, আর প্রগতিশীল এবং বামপন্থি নামধারী গোষ্ঠী শুয়োরের মতো ঘোৎ ঘোৎ আওয়াজ তোলার শক্তি নিঃশেষ করে ফেলেছে বিধায় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সমাজের সর্বস্তরে ধর্মান্ধতা আর ধর্মীয় উগ্রতা প্রতিষ্ঠিত করতে কারো কোনো বেগ পেতে হয়নি ৷ ক্ষমতাসীন দলে জায়গা হয়েছে জামাত শিবির বিএনপি মাহে কলেমা দিব্যি করে পেশা ছেড়ে দেয়া জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের ৷<br />
<br />
একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনি ও পরিকল্পনাদাতা নেতৃবৃন্দ পার পাননি, ২১ শে আগস্টের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ৷ আবার হাজারো রাজনৈতিক গুম খুন জোড়া খুন, ধর্ষণ, সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার এখনো হয়নি ৷ দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী তারেক রহমানের হাওয়া ভবনও টেঁসে গেছে, তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের বহু কোটিপতি নেতা পাতি নেতাদের ভবন ৷ রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে অবৈধ ব্যবসা, দুর্নীতি, হত্যা, জুলুম আর জবরদখলে বঙ্গবন্ধুর সেই চাটার দল এখন কোটি গুনে স্ফীত আর শক্তিশালী ৷<br />
<br />
জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস, যে ভুলেছে সে ডুবেছে, আর জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠী হলো তরুণ প্রজন্ম যাদেরকে হত্যার লক্ষ্য ও হত্যাকারী হিসাবে নয়, আমাদের জীয়ন কাঠি হিসাবে আগলে রাখতে হবে আমাদের সামনের দিনের জন্যে নাহলে আলো জ্বালাবার কেউ থাকবে না !<br />
১০ অক্টো, ২০১৯ </div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-79379731158836948122019-10-02T01:18:00.002-07:002019-10-02T01:18:58.719-07:00মা দিবসে অামার মা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
মা অামার অকপট, অকৃত্রিম অশেষ ভালোবাসা, মানবতার সেবা আর প্রাণ খোলা হাসির প্রাণপ্রাচুর্যে ভরিয়ে রাখেন চারপাশের জগৎ সংসার! অথচ নিজে কখনো জানতেই পারলেন না ‘মায়ের কোল’ কাকে বলে-;মায়ের অাদর ‘ কাকে বলে, জানলেন না। মায়ের ছোঁয়া ই পেলেন না কখনো আমার মা ! অাম্মুর জন্মের তিন দিনের দিনই অাম্মুর জন্মদাত্রী মা জাহান অারা বেগম টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রয়াত হন।জন্মানোর পর পর ই আমার মা নূরজাহান খান মা হারানোর গভীরতম শূন্যতায় ডুবে গেলেও যেন অন্য কাউকে সেই বেদনা পেতে না হয়, সেই প্রচেষ্টা করে যান চিরকাল। যে কারণে আম্মুর অাশে পাশে নানান জাতি, বর্ণ গোত্রের অনেক মানুষ তাঁর অাদরে স্নেহে ধন্য শত শত সন্তান -আকুল হয়ে তাঁকে ‘মা’ বলেই ডাকেন ! অামি অাম্মুর অযোগ্য কন্যা! অাজ মা দিবসে অাম্মু অামাকে প্রাণ ভরে অাশীর্বাদ করে বললেন, "তুমি অামার মা, অামি যেমন তোমার মা...অনেক ভালো থেকো.."! অাম্মু, এতো ভালো কেন, তৃমি? অামি যেন তোমার সত্যিকার মায়ের দায়িত্ব পালন করতে পারি।তুমি শতায়ু হয়ে এমন করেই পূর্ণতায় ভরিয়ে রাখো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে!</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-88697887646888843162019-10-02T01:09:00.001-07:002020-03-22T20:41:40.430-07:00আমার গহনের মাতৃত্বের পূর্ণতার ২০ বছর <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
মাতৃত্বের পূর্ণতা হয়তো একেই বলে। মায়েদের খুব বেশি কিছু অথবা কিছুই চাওয়ার থাকে না। অনেক কষ্টের অশ্রুধারায় অনেক দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আমার গহন আজ ২০ বছর পূর্ণ করলো। Full Scholarship নিয়ে IUB তে ভর্তি হবে। ১৯৮৭ সাল থেকে লেখালিখি করি। 'নারী' হবার দোষে সংবাদপত্রে চাকরি হলোনা। ফ্রিল্যান্স কাজ করে অনেক কাভার স্টোরি করলাম। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলাম। ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রামের সাড়া জাগানো ইংরেজী মাধ্যম স্কুল CGS য়ে যখন চাকরি শুরু করি purely breastfeeder baby গহন তখন ৭ মাস বয়স। সেই সাতসকাল থেকে দুপুর, মা ছেলে দু'জনেরই অনেক কষ্ট হতো। ওর জন্য ছুটে অাসতে হতো। চাকরি ছেড়েই দিলাম একদিন। বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে ভালো রাখতে সর্বোচ্চ ত্যাগে এতোটুকু দ্বিধা করিনি কখনো। ১৯৯৭ য়ের ৩০ নভেম্বর থেকে ১৯৯৯ য়ের ডিসেম্বর এক রাত ও ঘুমাইনি। ২ বছর যতো কষ্টই হোক, অামার সন্তানদের কখনো ফ্যাশান বা বিলাসিতা দেখাতে বা নিজের ঘুম নিশ্চিন্ত করার জন্যে বেবিকট য়ে রাখিনি, ফিডার ( Feeder) দেইনি। অামাদের অভিভাবক অামাদের বাপ্পু ডাক্তার কামাল এ খান অামাদের শৈশব থেকেই বাচ্চাদের ওয়াকারে হাঁটানো শিখানো বিপদ্জজনক বলে মানা করেছিলেন অামার মা'কে। মা তাই অামাদের ওয়াকারে হাঁটানো শেখান নি। শিশুর কোমরের হাড়ে চাপ পড়ে বলে অামিও চারপাশের মানুষের মতো 'দেখানোপনা' র স্রোতে ভেসে ওয়াকার (Walker) দিয়ে বাচ্চাদের হাঁটা শিখাইনি।বিছানার পাশ ধরে দাঁড় করাতাম, খেলনা দিচ্ছি দেখিয়ে বিছানার দুইপাশে হাঁটাতাম। বাড়ির বড়োদের হাত ধরে একটু একটু হাঁটতো। রাতে বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছি। কখনো কোন কৃত্রিমতায় অামার বাচ্চাদের বড়ো করিনি। গহনকে নিয়ে একবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেছি একলাই। অামার কোলে গহনকে দেখে কার্ডিওলজিস্ট এসসি ধর বললেন, " নিশ্চয়ই ব্রেস্টফিডার বাচ্চা? বাচ্চার মুখ দেখলেই বোঝা যায়। তুমি ওর শারীরিক অার মানসিক ভিত গড়ে দিলে। খুব মেধাবী হবে এই বাচ্চা। অারে, গরুর দুধ তো গরুর বাচ্চার জন্যে, মানুষের বাচ্চা তো মায়ের দুধ খাবে।" ধীমান 'দা (ডা. ধীমান চৌধুরী) সতর্ক করেছিলেন ৫বছর বয়সের নীচে চিপস, কোক ফান্টা দিলে ব্রেনে এফেক্ট হতে পারে, যা পরে প্রভাব পড়বে। তাই বাচ্চাদের ৮/৯ বছর বয়স পর্যন্ত কোক ফান্টা বা চিপস খেতে দেইনি। এর পর মেহমান দের দেখে কোক ফান্টা খেতে চাইতো গহন, তাই একটু পানি মিশিয়ে দিতাম। কয়দিন অাগে পর্যন্তও গহন পানি মিশিয়ে কোল্ড ড্রিঙ্কস খেতো। কতো স্মৃতি মনে পড়ছে অাজ! অনেক না বলা রইলো, কিছু বলি অাজ।<br />
জ্যেষ্ঠ সন্তান অতুলনকে কাজীর দেউড়ি বাসা থেকে রিক্সায় করে ফুলকিতে অানা নেয়ার সময়ে ছোট্ট গহন অামার বুকে ঘুমাতো। ফুলকির দরজায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের ভেতরে ঢুকাতেন বীরেন'দা। কয়েক বছর পর গহন হাঁটছে, বড়ো হচ্ছে দেখলেন। একদিন বললেন, "এই বাচ্চাটা একদম অাপনার বুকের মাঝেই বড়ো হয়েছে। দেখবেন দিদি, ও কখনো অাপনাকে ছেড়ে যাবেনা। " অতুলনকে ৪ বছর বয়সে বৃটিশ কাউন্সিলে ভর্তি করলাম YLC course য়ে। ১৯৯৮ সালে ২/ ৩/৪ মাসের গহন কে বৃটিশ কাউন্সিলের তক্তপোষে শুইয়ে রাখতাম। অতুলনকে শেলফ থেকে বই নামিয়ে চেয়ারে বসে পড়াতাম। তখন ইঞ্জিনীয়ার্স ইইন্সটিটিউট ভবনে বৃটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরী। মাতৃভূমি, মানবতা, পেশাদারীত্ব অার সন্তান সমান্তরাল রেখে এই সংসার সমরাঙ্গনে ঠকেছি অার ঠেকেছি বারবার। তবু তো মাতৃত্ব সবার উপরে। সন্তান প্রতিপালনে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে চায় একজন মা। ২০০৪ সালে জামাত বিএনপি'র সন্ত্রাসীরা হামলা করলো, ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে বাচ্চারা খুব কষ্ট পেলো। অতুলন খুব কাঁদতো, মুখের সামনে অাসতে পারতো না। গহন ওর মাটির টেরাকোটার ছোট্ট পুতুল গুলো এনে দিতো অামি যেন বিছানায় শুয়ে খেলতে পারি, অামার মমন যেন ভালো থাকে। জামাত বিএনপি সসরকারের পুলিশ গ্রেফতার করলো যেদিন, গহনের প্রচন্ড জ্বর সেদিন। ছোট্ট গহন তার মায়ের জন্যে কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের জীপের পেছন পেছন ছোট্ট ছোট্ট পায়ে অাস্তে অাস্তে হেঁটে চলে গিয়েছিলো অনেক দূর। প্রতিবেশী হরিজন পললীর লোকেরা গহনকে নিয়ে পৌছে দিয়েছিলো বাসায়। প্রতিটি সংকটে অামার সন্তানেরা অামার বুকের মাঝে, অামার পাশে থেকেছে। অামি ইটিভিতে যোগ দেবার পর ২০০৭ সালের শুরু থেকে সেই ৯ বছর বয়স থেকে মায়ের সান্নিধ্য থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত থেকে সপ্তাহশেষে শুক্রবার অামি চট্টগ্রামে এলে মায়ের উমে নাক ডুবিয়েছে। ইটিভি তে যোগ দেবার সময়ে অামার চট্টগ্রামে কাজ করবার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষ সেই কথা অার রাখেন নি। দুস্তর বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে যেন চোখ মেলে দেখছি অামার সকল সুখদুঃখে র সাথী অামার নাড়িছেঁড়া ধন অামার গহন। যখন অামার বুকে মাথা রাখে অামার কনিষ্ঠ সন্তান গহন, জগতের সকল সুখ যেন অামায় ঘিরে রাখে। মানবতায় উৎসর্গিত হোক তোমার জীবন, বাবাধন! এদেশের মাটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষ কোটি মানুষের পবিত্র রক্তে স্নাত মনে রেখেই নিজেকে সুকঠিন দায়িত্ব পালনে নিবেদিত রেখো সেই প্রতিদান পরবর্তী প্রজন্মে ফিরিয়ে দিতে। ব্রিটিশ শাসকদের শোষণ নির্যাতন, পাকিস্তানী শাসক শোষকদের নিপীড়ন নির্যাতন সয়ে মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন যাঁরা, তাঁদের মহান অাত্মদানের ইতিহাস পৌঁছে দিও প্রজন্মান্তরে তৃণমূ্ল থেকে বিশ্বসভায়। জ্ঞানে, মেধায় অনেক বড়ো হবে,কঠোর পরিশ্রম অার সততায় জিনে নিও বিশ্ব। Celebrating 20th Birthday of My lovely younger Son Writban. </div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-18312568957173829862019-09-01T03:38:00.003-07:002019-09-01T03:39:45.322-07:00রূপবতী- সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
যুগ থেকে যুগান্তরে অামার চাক্ষুষ করা ব্যস্ত নগর এবং অজ পাড়া গাঁয়ের কয়েকটি ঘটনা, যার সঙ্গে বর্তমানের খুব বদল নেই। তার ভিত্তিতে রচিত অামার লেখা প্রথম ঝুরোগল্প! অাধমরাদের ঘা দিয়ে বাঁচায় যদি এ গল্প!<br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1Bt0PkilE46LEIKoY1yLawDYSvTJUP1lwbRt65LM3LSw8lYLqc4b6lOF6qlWMiCH9XNPWau5YMHiuzemEn18KZEIOjI0qD_2_p2ySmH7_Uc4P9WhN4mwi6dhqnDw-wqvbMreKFQ8pjOt4/s1600/FB_IMG_1567334205183.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="688" data-original-width="640" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh1Bt0PkilE46LEIKoY1yLawDYSvTJUP1lwbRt65LM3LSw8lYLqc4b6lOF6qlWMiCH9XNPWau5YMHiuzemEn18KZEIOjI0qD_2_p2ySmH7_Uc4P9WhN4mwi6dhqnDw-wqvbMreKFQ8pjOt4/s320/FB_IMG_1567334205183.jpg" width="297" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">ছবি- অালমগীর হক স্বপন </td></tr>
</tbody></table>
<br />
<br />
রূপবতী। অাজন্ম 'পাগল' ডেকে যাকে সমাজ বঞ্চিত করলো তার ন্যূনতম মানবিক অধিকার থেকেও। জন্মদাতা পিতা সমাজের প্রথম সারির ব্যক্তি হলেও কন্যা যে অাজন্ম সমাজে অবাঞ্ছিত! কৈশোরেই পিতৃহীন রূপবতী তার পরিবারে,সমাজে অবাঞ্ছিত। অার সমাজ ' রক্ষা' র নামে তাকে 'পাত্রস্থ' করতে মরিয়া সমাজপতিরা। একদিন বিয়ের ঢাক বেজে উঠলো।স্বজন মহলে সাজ সাজ রব! ভুড়িভোজ অার পানাহারে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললো সকলে। বিশাল রাজত্ব অার রাজকন্যা পেলো বর।......তার পর??<br />
হঠাৎ এক সূর্যোদয়েের ভোরে নিরাভরণ হলো রূপবতী! ধীরে ধীরে নিরাবরণ করে ফেললো নিজেকে রূপবতী। নিমেষে ছুঁড়ে ফেলে দিলো গায়ের কাপড়ের ক্ষুদ্র চিহ্ণটুকুও। চেয়ে দেখলো না কোনদিকে; এমনকি নিজের দিকে ও না!ভোরের অালোয় ঝিকমিকিয়ে উঠছে রূপবতীর বাহুতে পরা রূপোয় গড়া হীরের বাজুবন্ধ!ঝলসে উঠলো রূপবতীর ডান হাতের ধারালো চাকুর ফলা!!<br />
ব্যস্ত রাজপথ!<br />
কুঁচবরণ কন্যার মেঘছায়া এলো চুল ঢেকে দিলো তার দীর্ঘ কপাল।তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থির সম্মুখে!<br />
সটান নিটোল বক্ষ, নিদাগ, অপরূপ দেহ ছুটছে দিগ্বিদিক.....তবে জ্ঞানশূন্য নয়! পিনপতন নীরবতা ভেঙ্গে ছুটছে রূপবতী। ব্যস্ত রাজপথে কর্মব্যস্ত পথচারীরা হঠাৎ স্তব্ধ!<br />
দৃষ্টিহারার চোখে হঠাৎ অালোর ঝলকানি....... নিষ্প্রাণ ফিরে পেতে চায় প্রাণ..পাগলপ্রায় উন্মত্ত দেহজীবির দল..... হৃত যৌবন নবতিপর, নবযৌবন ধর্মজীবী, হর্ম্যজীবি,ঘর্মজীবি,ছুটছে রাজপথের মোহনার দিকে ..... নগ্ননারীর নিরাবরণ রূপ দেখবার লোভে.... নগরজুড়ে সাইরেন.... মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ওয়্যারলেসে বার্তা যায়- "পাকড়াও করো উন্মাদিনীকে...."<br />
হঠাৎ একটা নীল চাদরে ঢেকে গেলো রূপবতীর নগ্ন দেহ! পিছন থেকে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরলো তাকে জন্মদাত্রী মা! চাদরের ভেতর থেকে রক্তে ভেজা ডান হাত শূণ্যে উঁচিয়ে ধরে চারপাশের লালায়িত চোখগুলোতে একে একে চোখ রাখে রূপবতী.... এতোক্ষণ যে চোখগুলোতে ধর্ষণের লোভে লালায়িত ছিল, অাকস্মিক নীল চাদরের পর্দায় ঢাকা রূপবতীর শরীরের একমাত্র নগ্ন অংশ দক্ষিণ হস্তের পানে তাদের চকিত নজর।<br />
বিষ্ফারিত নেত্রে সবাই চেয়ে দেখে রূপবতীর হাতে পূর্ব পশ্চিমে পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে রক্তাক্ত একটি লম্বাটে মাংসপিন্ড! টপ্....টপ্....টপ......রক্ত ঝরছে.....!!<br />
<br />
এতোক্ষণ নিষ্পলক পুঙ্গবের দল সঙ্গে সঙ্গে বুঁজে ফেললো তাদের চোখ! সাথে সাথে তাদের নগ্ন লালায়িত হাত চলে যায় নিজেদেরই দু' পায়ের মাঝখানে!!<br />
চারিদিক থেকে রায়ট ভ্যান অার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দাঙ্গা পুলিশের বীর সন্তানেরা ভীড় সরাতে ব্যস্ত হয়ে যায়!<br />
সুমি খান। বেলা ১২টা পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭, চট্টগ্রাম<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<br /></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-20160246546624985672019-08-18T05:11:00.000-07:002019-08-18T05:13:46.145-07:00মানবিকতার জয়গান গেয়েছেন সাবিত্রী রায়- জন্মশতবর্ষ পেরিয়েও আজ বিস্মৃত তিনি-বিপ্লব আর দেশভাগ জীবন্ত তাঁর কলমে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<b>তাঁর উপন্যাস নিষিদ্ধ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু কলমকে থামাতে পারেনি। সাম্যবাদী রাজনীতির প্রতি আজীবন শ্রদ্ধা রেখেই একের পর এক উপন্যাসে মানবিকতার জয়গান গেয়েছেন সাবিত্রী রায়। জন্মশতবর্ষ পেরিয়েও আজ বিস্মৃত তিনি।</b><br />
<br />
<b>শিশির রায় </b><br />
কলকাতা| ,১৮ অগস্ট, ২০১৯, ০০:০২:০০<br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyorqX7fES3rtNlmAnd3DlLFfyWpmjl5gjsYb4VAamA59YrO9hykfFh-up7lX_Pq4dfbHDmQcZq1nLITd6gWKV4s9WtQdcAxU9ifkB6BAMdeM8TutzzQbHuB5Vgj4BN27XNktv950fI30V/s1600/SABITRI+ROY+WRITER.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="260" data-original-width="390" height="213" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyorqX7fES3rtNlmAnd3DlLFfyWpmjl5gjsYb4VAamA59YrO9hykfFh-up7lX_Pq4dfbHDmQcZq1nLITd6gWKV4s9WtQdcAxU9ifkB6BAMdeM8TutzzQbHuB5Vgj4BN27XNktv950fI30V/s320/SABITRI+ROY+WRITER.jpg" width="320" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">শতবর্ষে বিস্মৃত লেখিবা বিপ্লবী সাবিত্রী রায়</td></tr>
</tbody></table>
<b>মিঠিসোনা, তুমি যখন বড় হ’য়ে স্কুলে পড়বে, ঐ ভিখিরী শিশুদের চাইতে নিজেকে বড় মনে করো না। যারা বাড়ীর আবর্জনা থেকে ছেঁড়া পুরানো কাগজ কুড়িয়ে নিচ্ছে একাগ্রমনে, কেউবা বনে বাদাড়ে ঘুরে ঘুরে শুকনো ডালপালা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে, শীতের রাতে ওদের শীর্ণ কঙ্কাল হাতগুলি গরম করবে বলে, আর ওদের মায়েরা রুটি সেঁকবে সে ধোঁয়াটে আগুনে তিন ইটের উনুনে খোলা প্ল্যাটফর্মের এক কোণে।...এমন দিন যদি কখনও আসে, ওদের সঙ্গে মানবতার প্রতিযোগিতায় (যার নাম প্রগতি) নামতে হয়েছে তোমাকে পৃথিবীর ময়দানে, হয়তো দেখবে, তুমি পিছিয়ে আছ অনেক পিছনে। ওদের চোখে জয়ের স্নিগ্ধ হাসি।’</b><br />
<br />
আদরের নাতিকে চিঠি লিখেছিলেন সাবিত্রী রায়। ‘নীল চিঠির ঝাঁপি’ নামের সেই চিঠির বইয়ের পাতায় পাতায় স্নেহময়ী দিদিমার মনের কথা, কবিতার টুকরো, রোজনামচা। আছে ভবিষ্যতের প্রতি দিক্নির্দেশ, নিজে যে বিক্ষুব্ধ রক্তাক্ত অতীত পেরিয়ে এসেছেন তার ইঙ্গিতও— শিশুমনের যতটুকু প্রয়োজন। ইতিহাসে কিছু মানুষ শুধু জমি তৈরি করে আর তার ফসল তোলে আর একটি প্রজন্ম, এই সারসত্য মনে রাখার আর মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটুকু জীবনসায়াহ্নেও ভোলেননি ‘স্বরলিপি’, ‘পাকা ধানের গান’, ‘মেঘনা পদ্মা’ উপন্যাসের লেখিকা।<br />
<br />
কিন্তু কে চেনে আজ তাঁকে? যে দলের মতাদর্শের প্রতি তাঁর আজীবন প্রতীতি, সেই কমিউনিস্ট পার্টিই তো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তাঁর লেখা থেকে! ‘স্বরলিপি’ উপন্যাসে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরকার দ্বন্দ্ব থেকে একটু উপরের তলার নেতাদের দ্বিচারিতা— সোজাসাপটা লিখেছিলেন তিনি। সেই বই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তার পাঠ। নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার ‘আদেশ’, স্বামী শান্তিময় রায়কে পার্টি থেকে বহিষ্কার, কোনও কিছুই সাবিত্রীকে দমাতে পারেনি। থামাতে পারেনি তাঁর কলমও।<br />
<br />
‘স্বরলিপি’ প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে। সেটা তাঁর তৃতীয় উপন্যাস। তার পরেই তিনি লিখেছেন তাঁর দুই ম্যাগনাম ওপাস— তিন খণ্ডে ‘পাকা ধানের গান’, দু’খণ্ডে ‘মেঘনা পদ্মা’ (তার তৃতীয় খণ্ড আবার ‘সমুদ্রের ঢেউ’ নামে আলাদা উপন্যাস হিসেবে)। চল্লিশের দশকের জটিল ও রক্তাক্ত রাজনীতি— বিয়াল্লিশের অগস্ট আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, হাজং বিদ্রোহ, দেশভাগ, দাঙ্গা, উদ্বাস্তু সমস্যা— তাঁর উপন্যাসে শুধু উঠে এসেছে বলাটা ভুল, সমসময় ও সাহিত্য সেখানে একে অন্যের আয়না। এই সমস্তই তিনি দেখছেন, লিখছেন— কমিউনিস্ট মতাদর্শের প্রতি অটল কিন্তু নির্মোহ থেকে। লেখক তো দ্রষ্টা, ব্যক্তিগত দেখাটাও তাঁকে করে তুলতে হয় নৈর্ব্যক্তিক। কিন্তু দল তা মানবে কেন? সে তো বোঝে কেবল ‘পার্টি লাইন’, দাবি করে মনোযোগ আর আনুগত্যের সবটুকু। সমালোচনা দূরস্থান, মতামতে যে মতের পাশাপাশি অমতও থাকতে পারে, ‘পার্টি’ তা বুঝেও বোঝে না। এই সিদ্ধান্তটা ভুল হচ্ছে, ওই কাজটা করা উচিত নয়— বললে নেমে আসে ‘সংস্কারবাদী’ তকমা, বহিষ্কারের ফতোয়া, একঘরে করার হুমকি। সাবিত্রীর নিজের জীবন আর তাঁর গল্প-উপন্যাসের চরিত্রদের জীবন তাই দিনশেষে এক ও অকৃত্রিম হয়ে ধরা দেয়।<br />
<br />
১৯১৮-র ২৮ এপ্রিল ঢাকায় জন্ম সাবিত্রীর। শৈশব কেটেছে ফরিদপুরের গ্রামে। পিতার পদবি সেন। বাবা-মা ছাড়াও দশের কাজে এগিয়ে-আসা পিসির প্রভাব পড়েছিল তাঁর জীবনে। বেথুন কলেজ থেকে বিএ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটি পাশ করা মেয়েটি নিজের বিপ্লবী দাদার বন্ধু শান্তিময় রায়কে বেছে নিয়েছিল জীবনসঙ্গী হিসেবে। ১৯৪০-এ বিয়ে, বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই স্বামীর কারাবাস। স্কুলে পড়ানোর কাজ নিয়েছিলেন সাবিত্রী, চাকরি করতে গিয়ে শিশুকন্যার দেখাশোনায় সমস্যা হচ্ছে দেখে ছেড়ে দেন সে কাজ। শিক্ষিতা মেয়ে অথচ নিজে উপার্জনক্ষম নন, এই আক্ষেপ ছিল তাঁর মনে। লেখালিখিকে আঁকড়ে ধরায় সেই খেদ দূর হয়েছিল। সংসারের নানা কাজের মধ্যেই সময় বার করে লিখেছেন ন’টা উপন্যাস, কিছু ছোটগল্প, এমনকি শিশু-কিশোরপাঠ্য বইও। শেষ উপন্যাস ‘বদ্বীপ’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে, শেষ বই ‘নীল চিঠির ঝাঁপি’ ১৯৮০-তে। মারা গিয়েছেন ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর। ক্যালেন্ডারের হিসেবে এই তো সে দিন, ত্রিশ বছরের কিছু বেশি। অথচ পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের মধ্যে লেখা সাবিত্রী রায়ের বইগুলো আজ কলেজ স্ট্রিটের বইবাজারে পাওয়া যায় না— একমাত্র ‘সাবিত্রী রায়ের নির্বাচিত রচনা-সংকলন’ নামে তাঁর ছোটগল্প-সংগ্রহটি ছাড়া।<br />
<br />
এ আমাদের দুর্ভাগ্য। সাবিত্রীর বই, বিশেষত উপন্যাসগুলি না পড়া মানে, একটা খুব জরুরি আর জটিল সময়কে শুধু সাম্যবাদী মতবাদের দিক দিয়ে বলে নয়, মানবিক জীবনবোধ দিয়ে বুঝতে অস্বীকার করছি আমরা। ভুলে থাকছি একটা বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের যাত্রাপথের মাইলফলক আর খানাখন্দ, উভয়কেই। এই বিস্মৃতি কেবল দুর্ভাগ্যজনক নয়, ভয়ঙ্করও; কারণ আজকের রাজনীতিতেও চোখে পড়ে সেই উত্তরণ ও স্খলন, সাবিত্রী যা পঞ্চাশ বছর আগে লিখে গিয়েছেন।<br />
<br />
তাঁর ‘স্বরলিপি’ উপন্যাসে পৃথ্বী, রথী, ফল্গু, শীতা, সাগরীর মতো নিবেদিতপ্রাণ পার্টিকর্মীর গায়ে গায়েই ঘোরাফেরা করে নন্দলাল, ব্যোমকেশ, মধু মুখার্জির মতো স্বার্থান্বেষী নেতারা। শীতাংশু নামের তরুণ কর্মীটি স্তম্ভিত হয়ে দেখে, সারা দিন না-খাওয়া কৃষক কর্মীদের একটু অর্থসাহায্যের আবেদন নস্যাৎ করে ব্যোমকেশ তাকে নিয়ে ‘একটু চা খাওয়া যাক’ বলে রেস্তরাঁয় ঢোকে, ডবল কাপ চা আর পুরু অমলেট অর্ডার দেয়। ব্যোমকেশের বাড়িতে শৌখিন আসবাব, নরম গালিচা, বিলিতি কাপে সুগন্ধি চায়ের সঙ্গে সাম্যবাদী নেতার বিপ্লবের বুলিকে মেলাতে পারে না সে। প্রতিবাদ করে পৃথ্বী আর রথী দু’জনেই ‘বুর্জোয়া সংস্কারবাদী’ ছাপ্পায় দল থেকে বহিষ্কৃত, নেতা নন্দলাল কৌশলে রথীর স্ত্রী সাগরীকেও টেনে আনে নিজের কমিউনে, সাগরীকে চাপ দেয় রথীকে ডিভোর্স দিতে। আসলে হিংস্র পুরুষের কামুক নজর পড়েছে বিপ্লবের স্বপ্ন-দেখা মেয়ের উপরে, নন্দলালের স্যাঙাত এক দিন সাগরীকে জানিয়েই দেয়, ‘নন্দলাল is waiting for you...’ এই ঘিনঘিনে নীচতার আবর্তে সাম্যবাদ কোথায়! দল আর মতাদর্শের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে যে পুরুষতন্ত্রের রাক্ষস, সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে দাঁতনখ নিয়ে— রাজনীতি-সচেতন নারী তার কবল থেকে বাঁচে কী করে— লিখে যান সাবিত্রী।<br />
<br />
শুধু নেতা আর কর্মী নয়, জোতদার আর কৃষক নয়, পুরুষ আর নারী নয়। সবার উপরে তো জেগে থাকে মানুষ। বিপ্লব, বিদ্রোহ, দেশভাগ, দাঙ্গা পেরিয়ে রোজকার জীবনটা টেনে-হিঁচড়ে বয়ে নিয়ে যেতে হয় তাকে। ভাত খেতে হয়, ভাতের সন্ধানে বেরোতে হয়। এই নিরাবরণ নিরাভরণ মানুষকে সাবিত্রী দেখেন দরদ দিয়ে। ‘পাকা ধানের গান’-এর মূল চরিত্র পার্থ যখন হাজংদের নিয়ে কৃষক আন্দোলনে মিলিটারির গুলিতে প্রাণ দেয়, সাবিত্রীর কলম সে বর্ণনায় দৃঢ়। জমিদারের ধামাধরা জগাই বাড়ুজ্জের বিরুদ্ধে পাহাড়পুরের সাধারণ মানুষের সংগঠিত প্রতিরোধের ছবি আঁকেন অনমনীয় ঋজুতায়। সেই কলমই যেন ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে ছোটগল্পে— যেখানে মন্বন্তরের পরের কলকাতায় বিরাট অভিজাত বাড়ির নর্দমা দিয়ে গড়িয়ে আসা ফ্যান আর তার সঙ্গে মিশে থাকা কয়েকটা ভাতের জন্য কামড়াকামড়ি করে ক্ষুধার্ত মানুষ। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা— কাজের মেয়ে গোলাপি যে ক’টা ভাত পায় নিজেই খেয়ে ফেলে, স্বামীকেও দেয় না। আবার ‘পাকিস্তান’ থেকে চলে আসা অন্ধ ভিখিরি শহরের রাস্তায় ‘ময়ূরপঙ্খি নৌকা আমার মেঘনা চরে বাড়ি’ গান গেয়ে যত না ভিক্ষে চায়, তারও বেশি চায় বাউলের, শিল্পীর যথোচিত সম্মানটুকু। পুব বাংলার গ্রামের সম্পন্ন বাড়িতে সারা জীবন সেবা-দেওয়া বুড়ি পরিচারিকাকে রেখেই ‘ইন্ডিয়া’ রওনা দেয় সবাই। যে ছেড়ে যায় আর যাকে ছেড়ে যাওয়া হয়, এই দুই অসহায় মানুষের জন্যই ভালবাসা টলটল করে সাবিত্রীর কলমে।<br />
<br />
এক ক্রান্তিকালের কথাকার হয়েও বাংলার ‘মূলস্রোতের’ সাহিত্যিকদের আলোচনায় উঠে আসে না সাবিত্রী রায়ের লিখন। বিয়াল্লিশের অগস্ট আন্দোলন বলতেই যেমন অমোঘ ভাবে ভেসে ওঠে সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘জাগরী’, তেভাগা আন্দোলন-দেশভাগ-দাঙ্গার সূত্রে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ যেমন প্রগাঢ় ভাবে মনে পড়ে, পঞ্চাশের মন্বন্তর বলতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (নাকি সত্যজিৎ রায়ের?) ‘অশনি সংকেত’, অমলেন্দু চক্রবর্তীর গল্পটা মনে না রেখেও যে ভাবে মৃণাল সেনের ছবির জন্য মনে রাখি ‘আকালের সন্ধানে’, তেমন করে তো সাবিত্রী রায় আর তাঁর লেখালিখিকেও মনে রাখা উচিত ছিল! এই অতল বিস্মৃতি প্রাপ্য ছিল না সাবিত্রীর। গণ্ডিবদ্ধ সাংসারিকতা থেকে বাঙালি মেয়েকে উত্তরণের হদিশ দেওয়া আশাপূর্ণা দেবী, বা জল-জঙ্গল-মাটির সংগ্রামের হয়ে কলম ধরা মহাশ্বেতা দেবী যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছেন, সাবিত্রী রায় তা পাননি। তিনি রয়ে গিয়েছেন তাঁরই গল্পের চরিত্র শকুন্তলা দেবীর মতোই নিভৃতে, পানের পিক আর সর্দি-বসা পাকা কফ লাগা দেওয়াল পেরিয়ে সরু গলির মধ্যে স্যাঁতসেঁতে বাড়ি যার ঠিকানা; জ্বরার্ত শিশুর পরিচর্যা, রান্না, দেবর-শাশুড়ির বিদ্রুপ আর স্বামীর উদাসীনতা সয়েও যিনি লিখে যান। গত বছর জন্মশতবর্ষ পেরিয়েছে সাবিত্রী রায়ের, বাঙালি প্রকাশনাগুলো তাঁর বই পাঠকের হাতে ফের তুলে দেওয়ার ভার নিলে তাঁর লেখক-সম্মানটুকু বাঁচে। আনন্দবাজার<br />
<br />
<br />
<br /></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-84074763096496034322019-06-16T04:50:00.000-07:002019-08-18T05:14:21.461-07:00চিরনির্ভর, চিরশান্তি - আমার বাবা সাইফুদ্দিন খান <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কন্যাসন্তানের নামের সাথে 'কল্যাণীয়া' শব্দ বসাতে খুব ভালোবাসতেন অামার বাবা অাকৈশোর সংগ্রামী এক অনন্য মানবতাবাদী মানুষ সাইফুদ্দিন খান।বাবার কোলে করে বেড়ানোর স্মৃতি এখনো অমলিন।বাসা থেকে বেরুলেই হেঁটে কোর্ট বিল্ডিংয়ের মুখের দোকান থেকে নানান স্বাদের নাবিস্কো চকলেট কিনে দিতো অামাদের তিন ভাইবোন কে। কন্যাসন্তানের ও জীবন অাছে, তার ইচ্ছেমতো চলার স্বাধীনতা অাছে - একথা বাবাই প্রথম অামাকে বুঝতে শেখান। অাজ বাবা নেই বলে গভীর শূণ্যতায় ডুবে যাই বারবার!<br />
অামার যতো অনুযোগ, অনুরোধ,অভিমান প্রকাশের একচ্ছত্র অাধিপত্য ছিল যার ওপর,অামার অাব্বু কে খুব মিস করছি। অাজ বাবা দিবসে বাবাকে কাছে পেলে স্বর্গীয় সুখ পেতাম নিশ্চয়!<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPZU36nk9GsmBFL3iuFp47jflK9BptXqAhZnL4hXsps6gw5_c47yP_uZ_oRWB_8R9gQhotUTHdim0Bxgzy2pk8MfBGUyhScIx6s-xWE5m9m3a0ixyqUh42s4jUccmlkflG8KnF2Rlz5d6w/s1600/20190616_115158.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1200" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPZU36nk9GsmBFL3iuFp47jflK9BptXqAhZnL4hXsps6gw5_c47yP_uZ_oRWB_8R9gQhotUTHdim0Bxgzy2pk8MfBGUyhScIx6s-xWE5m9m3a0ixyqUh42s4jUccmlkflG8KnF2Rlz5d6w/s320/20190616_115158.jpg" width="240" /></a></div>
বাবাকে এভাবে না হারালে ও তো পারতাম!<br />
সময় কতো বদলে যায়, সন্তানদের কাছে বাবার মতো অাব্দার করা না গেলে ও সন্তানদের বাবা বলে ডাকি।সন্তানদের গুরুত্ব, তাদের অাব্দার, মান অভিমান অামাদের কাছে অনেক গুরুত্ব রাখে। অার তাই তাদের বয়স এবং সময়ের কাছে ছেড়ে দিতে হয় তাদের বোধগম্যতা।অামার অাব্বু, তুমি যেখানেই থাকো- তোমার অসমাপ্ত কাজ অামার কর্মযজ্ঞের অংশ,জানো তুমি। তোমার স্পর্শ প্রতিমুহূর্তে অামি অনুভব করি,অাব্বু অামার! বাবা দিবসে অামার চিরবন্ধু চিরনির্ভর চিরশান্তি বাবা সাইফুদ্দিন খানকে অন্তরের অন্তঃস্থলে অনুভব করছি, যিনি অামার সবকিছুতে অামার সঙ্গে অাছেন বলে অামি অনুভব করি প্রতি মুহূর্তে!<br />
বেলা ১১টা<br />
১৬ জুন ডাবলিন,অায়ারল্যান্ড<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-41466716566588749232019-04-29T21:02:00.000-07:002019-04-29T22:05:52.515-07:00এবার ফিরাও মোরে- কোথায় আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান?-সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="" data-block="true" data-editor="fotrl" data-offset-key="e3134-0-0" style="background-color: white; color: #1c1e21; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; white-space: pre-wrap;">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e3134-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;">
<div class="" data-block="true" data-editor="fotrl" data-offset-key="e3134-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e3134-0-0" style="direction: ltr; font-family: inherit; position: relative;">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: justify;">প্যাগোডা গীর্জা </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">মসজিদ মন্দির </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কোথায় আল্লাহ-তুমি অবতার?</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কোথায যে ভগবান?</span><span style="font-family: inherit; text-align: left;"> </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কোথায় কৃষ্ঞ যিশু?</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কাঁদছে নারী </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কাঁদছে পুরুষ</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">আবাল বৃদ্ধ শিশু!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"><br /></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">পবিত্রতায় নিস্তরঙ্গ </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">করুণায় থরোথর!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">বিপন্ন আজ তোমার মানুষ</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কান্নার সরোবর!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_Uc9KqWRy5AlaBq2N_3_v2WX8wqXahEJ91T3NVEWmqWZe4MLSIc4MJzqLA2lg8alpbKyvMqkAA-U13qmnoCapBD3W4lo1DIwp5N1bl-wBJwV6m0RkDDzrjZGuwfZXmGBF_RW0oQHv5s2U/s1600/Blast+Jisus+Back.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="801" data-original-width="1200" height="266" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_Uc9KqWRy5AlaBq2N_3_v2WX8wqXahEJ91T3NVEWmqWZe4MLSIc4MJzqLA2lg8alpbKyvMqkAA-U13qmnoCapBD3W4lo1DIwp5N1bl-wBJwV6m0RkDDzrjZGuwfZXmGBF_RW0oQHv5s2U/s400/Blast+Jisus+Back.jpg" width="400" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">রক্তের নদী বয়ে যায়</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">সিনাগগ,গীর্জায়!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">মসজিদ -মন্দির ভাসে শুধু </span><span style="font-family: inherit; text-align: left;">রক্তের বন্যায়!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"><br /></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তথাগত কতো শান্তির বাণী দিলো- </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">মন্দিরে দেবী খন্ডিত-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">ভেঙ্গে চুরে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"> আর আগুনে পুড়ে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">রামুর যতো বুদ্ধমূর্তি</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">সব একাকার লুন্ঠিত!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"><br /></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span data-offset-key="1jabt-0-0" style="font-family: inherit; text-align: left;">কেন তবু তুমি </span><span style="color: #1d2129; font-family: inherit; text-align: left;">নির্বিকার-</span><span style="font-family: inherit; text-align: left;">নীরব ? </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">বিশ্বজুড়ে যখন তারা সরব !</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তাদের হাতেই খোলা তরবারি -</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তাদের মাথায় কৃপা যে তোমারি!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">যাদের হাতের খড়গ কৃপাণ</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কেড়ে নিলো কোটি নিরীহ প্রাণ!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"><br /></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">খড়গ হাতে গুজরাট জুড়ে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">ছুটেছে কৃপাণ আসানসোলে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">নিরীহ কিশোর সিবঘাতুল্লাহ</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">প্রাণ হারিয়েছে যাদের হাতে!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তাদেরও কপালে জ্বল জ্বল করে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"> ভগবান পদচিহ্ণ !</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তারা শুধু ছুটে চলেছে অসীমে-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">সভ্যতা নিশ্চিহ্ণ!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"><br /></span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span data-offset-key="ffa1t-0-0" style="font-family: inherit; text-align: left;">খোলা তরবারী </span><span style="font-family: inherit; text-align: left;">পতাকায়</span><span data-offset-key="ffa1t-0-0" style="font-family: inherit; text-align: left;"> </span><span data-offset-key="ffa1t-1-0" style="font-family: inherit; text-align: left;"></span><span data-offset-key="ffa1t-2-0" style="font-family: inherit; text-align: left;">আঁকা </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">কলেমা তৈয়ব লেখা -</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">উড়িয়ে সে ধ্বজা </span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">হেসে হেসে খুন করে গেলো তারা</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">নিরীহ শিশু যতো -</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">দ্যাখোনি কি তুমি</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">জায়াানের মা- ’হায় খোদা ‘বলে</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তোমায় ডেকেছে কতো?</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">তবু যে তোমার আরশ কাঁপে না-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">শিয়রে তাদের মৃত্যু হাসে না</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">আসে না তো যম-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">আসে না তো আজরাইল!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">আসে না তো কোন দৈববাণী</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">শান্তির দূত হয়ে-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">এবার ফিরাও মোরে!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;"> হে বিধাতা মোর-</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">এবার ফিরাও মোরে!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">------------------------</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">০০২</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">----------------</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">লক্ষ্মীপেঁচা জেগেছিলো কাল</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">বলে গেছে অমানিশা</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">ঘিরেছে পৃথিবী -</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="font-family: inherit; text-align: left;">হারিয়েছে যেন দিশা!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span data-offset-key="ck2q5-0-0" style="font-family: inherit; text-align: justify;">সকাল ৮টা ২৪ মিনিট, ৩০ এপ্রিল,২০১৯, </span><span style="font-family: inherit;">বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা</span></div>
</div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="fotrl" data-offset-key="7h919-0-0">
</div>
</div>
</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-68655137395251991842019-04-06T06:26:00.000-07:002019-04-06T06:26:18.018-07:00৮০% দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী রাফি বাঁচতে চায়- নারী নেত্রীরা একাত্ম হবেন কি আজ?-সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
০৬ এপ্রিল, ২০১৯<br />
শরীরের ৮০% দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি (১৮) কে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ডা. সামন্ত লাল সেন স্যার। রাফি শুধু একটি শব্দ বলেছে, ”আমাকে বাঁচান ।”<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh2JNjPO_Q_i-M_Tu5QF5sz28w27yR4I8OMpwTfNTYoYThT3Ep0pxWRNnFZ3KtU6TYupDN0zQDAR_EqhK2pHeb8g7usAxxFB1HAVwOTU-Q3lwRLWwwywO-OcIDZ462T0GXitkw96kX8X0yR/s1600/Feni+Female+Student+Burned+in+Madrasa+060419.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="421" data-original-width="700" height="192" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh2JNjPO_Q_i-M_Tu5QF5sz28w27yR4I8OMpwTfNTYoYThT3Ep0pxWRNnFZ3KtU6TYupDN0zQDAR_EqhK2pHeb8g7usAxxFB1HAVwOTU-Q3lwRLWwwywO-OcIDZ462T0GXitkw96kX8X0yR/s320/Feni+Female+Student+Burned+in+Madrasa+060419.jpg" width="320" /></a></div>
রাফিকে বাঁচানোর চেষ্টার পাশাপাশি জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে রাফির গায়ে আগুন দিয়ে যারা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা এবং তার পেটোয়া বাহিনীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে।<br />
রাফির অপরাধ গত ১৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলা তার কক্ষে রাফীকে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। সেই অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার অনুগত ছাত্ররা তার মুক্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ।<br />
ফেনী জেলার সোনাগাজীতে আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রে নুসরাত জাহান রাফি (১৮) র গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার সহপাঠিরা। রাফির শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে তার ভাই। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।<br />
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের জানান,দগ্ধ ছাত্রীর শরীরের ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ রাফীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।<br />
নুসরাত জাহান রাফির ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,শনিবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যায়।তখন অধ্যক্ষ সিরাজ্উদ্দৌলার নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে ফুসলিয়ে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা নুসরাত জাহান রাফিকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান। সেখানে ডা. সামন্তলাল সেনের তত্বাবধানে রাফির চিকিৎসা শুরু হয়েছে।<br />
ডা. সামন্তলাল সেন এই প্রতিবেদককে জানান, নুসরাত জাহান রাফির অবস্থা ভালো নয়, তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। নুসরাত জাহান রাফি ডা. সামন্ত লাল সেনকে শুধু একটি কথাই বলেছে, “আমাকে বাঁচান।!” ডা. সামন্তলাল সেন এই প্রতিবেদককে জানান, তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন রাফিকে বাঁচানোর জন্যে। এদেশে বার্ণ ইউনিটের অনেক রোগীর জন্যে ডা.সামন্তলাল সেন ’ফেরেশতা’ বা ’দেবদূত’। তাঁর সাধ্যাতীত চেষ্টাতে সেরে উঠেছেন অনেকেই। আমরা রাফির সুস্থতার জন্যে প্রার্থনা করছি।<br />
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একজন নেত্রীকে ফোন করে জানালাম রাফির শারীরিক অবস্থা । তিনি জানালেন , ”আজ আর সময় নেই।” আরো বললেন. কাল ভেবে দেখবেন কাউকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো যায় কিনা। বিস্ময়ে হতবাক হতে ভুলে গেছি আমি।<br />
নুসরাত জাহান রাফির জন্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অথবা মাদ্রাসার শিক্ষক সমাজ বা ওলামা সমাজ কারো কি কোন দায়িত্ব নেই? নুসরাত জাহান রাফি আজ একটি প্রতীকি নাম ।<br />
নুসরাত জাহান রাফি তার উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ‘দায়ে’ পরীক্ষার হলে জীবন্ত দগ্ধ হলো তার মাদ্রাসার ছাদে।<br />
২০১৯ সালে এসে এ কোন মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হতে হলো রাফিকে। আমার দু’চোখে নীরব অশ্রুধারা। রাফি মাদ্রাসা ছাত্রী । ধর্ম কর্ম তো শতভাগ মেনেই চলেছিলো মেয়েটি। তাহলে কোন্ অপরাধে তাকে আজকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করালো তারই সহপাঠীবৃন্দ, যারা ইসলাম ধর্মের শিক্ষার্থী ? তাদের কি ধর্ম অধর্ম জ্ঞান আদৌ শেখানো হয়? কোন মানবিক শিক্ষা তাদের দেয়া হয় কিনা যথেষ্ট প্রশ্ন আছে।<br />
সরকার মাদ্রাসার জন্যে দু’হাত তুলে সহযোগিতা করছেন। আজকের দিনে আবারো প্রমাণিত হলো তাদের সুশিক্ষা, মানবিক শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে সবার আগে।<br />
রাফির সাথে যে বর্বরতা হয়েছে তার প্রতিবাদে কি মুখর হবেন না কেউ?<br />
ফেণীতে যৌন নিপীড়নকারী অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন আর মিছিল যারা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক্ । আশা করি প্রতিবাদী নারী সমাজ মাঠে নামুক রাফির উপর বর্বরতার দায়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে।<br />
<div data-block="true" data-editor="2vmrv" data-offset-key="3tgac-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3tgac-0-0">
<span data-offset-key="3tgac-0-0">সম্পাদক, সূর্যবার্তানিউজডটকম </span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3tgac-0-0">
<span style="font-size: 1.0625rem;">সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট, শনিবার।</span></div>
</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-426613568172864528.post-6574492749033817142019-04-01T06:49:00.001-07:002019-04-01T07:11:59.257-07:00নারীর আপন ভাগ্য জয় করবার অধিকার কতো দূরে? -সুমি খান<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
নারীর জীবন-০০১<br />
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="8efn" data-offset-key="apfol-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="apfol-0-0">
<span data-offset-key="apfol-0-0">আমাদের দেশে এখনো নারীর সম্মান এবং আত্মসম্মান যেন খোলামকুচি। কৈশোর পেরুতে না পেরুতেই যখন বিয়ে হয়ে যায়, সেটা প্রেমের বিয়ে হোক্ আর পরিবারের সিদ্ধান্তেই হোক্- সেই বিয়ে তার জীবনে যদি শান্তি এনে না দেয়, তখন পরিবারকে নিশ্চয়ই দায়িত্ব নিতে হবে মেয়েটির জীবনে কিছুটা অন্তত শান্তি আনার। তার জীবনে যদি অশান্তি ই অবধারিত সত্য হয়,সেই বিয়ে তার জীবনকে অশান্ত করে তুললে তাকে যে কোন অজুহাতে কেন বাধ্য করা হবে অস্থিতিশীল কোন বৈবাহিক সম্পর্কে জীবনভর বন্দী থাকতে? সন্তানদের সুস্থতার জন্যেই এখন বিশ্বের উন্নত দেশে ’সিঙ্গেল মাদার’ দের জন্যে রাষ্ট্র অনেক সুযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের দেশেও সে ব্যাপারে ভাবতে হবে । বিয়ে এবং বৈবাহিক সম্পর্কের দায়িত্বশীলতা নিয়ে অনেকের মাঝে যে অজ্ঞতা এবং সংস্কার রয়ে গেছে, তার শিকার হয়ে অকালে হারিয়ে যাবে অনেক সম্ভাবনাময় জীবন। তালাকের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তালাককে এখন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।তালাকেরযৌক্তিক কারণ না থাকলে সাধারণতঃ একজন নারী তালাকের আবেদন করেন না।</span><br />
<span data-offset-key="apfol-0-0"><br /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="8efn" data-offset-key="2sgn2-0-0">
</div>
জেন্ডার সেন্সেটাইজেশানের যুগে বৈবাহিক সম্পর্ক নারী পুরুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই আর। সমাজ বাস্তবতা অনেক আদি সংস্কারের শৃঙ্খল ভেঙ্গে দিয়েছে। নারীর সাথে নারীর এবং পুরুষের সাথে পুরুষ বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। প্রকৃতিগতভাবে তারা ভিন্ন জেন্ডারের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হতে অক্ষম। সেই বাস্তবতায় একজন নারী তার বৈবাহিক সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মানজনক অবস্থানে না থাকলে সেই নারীর মা -বাবা এবং পরিবারের আন্তরিক ভূমিকা মেয়েটির মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে নিঃসন্দেহে। যা খুব কমই দেখা যায়। এ কারণে পরিবারের দায়িত্বশীল ভূমিকার অভাবে অনেক সম্পর্কই ভেঙ্গে যায়।<br />
<br />
সন্তানের কারণে অনেক সম্পর্কের ভাঙ্গন সাময়িক ভাবে ঠেকে থাকলেও নারীর দায়িত্বশীল ভূমিকাকে দিনের পর দিন দুর্বলতা মনে করে,যে পুরুষ, তার সাথে ‘জন্ম জন্মান্তরের বন্ধন’ মনে করার মতো অবাস্তব জগতে নারী রা অবস্থান করে না। নজরুলের ভাষায় বলতে হয়, “সে যুগ হয়েছে বাসী-যে যুগে পুরুষ দাস ছিল নাকো নারীরা আছিলো দাসী!” তাই নারীরা এখন দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবার স্পর্ধা দেখাতে পারছে। পরিবার এবং অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবু যে সম্পর্ক রাখতে হলে নারীকে তার আত্মসম্মান হারাতে হয়, সেই সম্পর্ক ঘুচাতে বাধ্য হয় আজকের নারী। আর এ সমাজে তালাকপ্রাপ্তা নারীর প্রতি তার পরিবারের করুণা আর বঞ্চনা যে কতোটা দুঃসহ জীবন যাপনে তাকে বাধ্য করে , তা অনেক নারীই জানেন। তবু মানুষের মতো করে বাঁচবার প্রত্যয়ে বঞ্চিত অপমানিত জীবন থেকে মুক্তি চায় আজকের নারী।<br />
<br />
আর এ কারণে ঢাকা শহরে এখন প্রতি ঘন্টায় একজন তালাক দিচ্ছে ( প্রথম আলো-২৭ আগষ্ট, ২০১৮) এ বাস্তবতায় অনেকেই ডিভোর্স কে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেন না। সেটা তাদের সমস্যা। সমাজ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। আমাদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ষাটের দশকেই পারিবারিক বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে ।তবু আমাদের পরিবার গুলোতে এখনো ডিভোর্স বা তালাকের ঘটনা সহজভাবে নিতে পারেন না অনেকে। কিন্তু কেন? পারিবারিক সংকটেে যদি পারস্পরিক সম্পর্ক সুরক্ষার চেষ্টা না থাকে, সেই পরিবারের মূল্য কী? সেসব পরিবারে সন্তানদের জীবনেও অনেক অনিশ্চয়তা থাকে। এ কারণেই সম্পর্ক ভাঙ্গে, দিনের পর দিন শূণ্যতায় ডুবে যায় নিঃসঙ্গ একাকী নারী।<br />
<br />
এক দিন সেই শূণ্য জীবনে যদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় তার সঙ্কটে একাত্ম হয়ে কোন বন্ধু , সেটা যে কোন নারীর জীবনে পরম পাওয়া। তার পরিবারের জন্যেও তা পরম পাওয়া। গভীর সঙকট থেকে উত্তরণের পথে এই সুন্দর ক্ষণ খুব কম নারীর জীবনেই আসে। যে কোন পরিবারের জন্যেই বন্ধুর মতো প্রিয়জন পাওয়া অনেক বড়ো পাওয়া।এ নিয়ে কথা হচ্ছিলো আমার মিতা এবং প্রিয় বন্ধু শাহনাজ সুমি, প্রিয় বন্ধু সঙ্গীতা নন্দী, প্রিয় মানুষ চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক শামীম আখতার এবং আমার শ্রদ্ধাভাজন রুমানা নাহিদ সোবহান, নাজনীন পাপ্পু এবং আমার মাসীমা কোলকাতার বালিগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হেডমিস্ট্রেস মমতা ঘোষ এর সঙ্গে।<br />
<br />
এঁদের সকলের বক্তব্য, নারীকে তার আপন ভাগ্য জয় করবার অধিকার থেকে চিরদিন বঞ্চিত রাখতে পারে না কোন সমাজ। মানসিক বা শারীরিক নিপীড়ন জীবনভর টেনে নিলে সেই নারী বড়ো লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে- সেই যুগ বাসী হয়ে গেছে। যদিও তালাক বা ডিভোর্সাস চাইলে নারীকে এখনো অনেক পরিবারে হেনস্থা হতে হয়; তবু নারী বেরিয়ে আসছে তার আপন ভাগ্য জয় করবার মানসে। আমার মাসীমা মমতা ঘোষ কোলকাতার বালিগঞ্জ থাকেন। তিনি বললেন, ”কোলকাতায় এখন ডিভোর্স এবং পুনর্বিবাহ খুবই পরিচিত ঘটনা। আমার ছোট ভাইয়ের ক্যান্সার। এই অসুস্থ শরীরেই তার ছেলের সাথে ডিভোর্স হওয়া মেয়েকে সেই মেয়ে( প্রাক্তন পুত্রবধু)র পছন্দের ছেলের সাথে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছে।”<br />
<br />
ঢাকাতেও এমন চিত্র সচরাচর দেখা যায় না বলা যায় না।তবে ঢাকার বাইরে এখনো ‘বিয়ে’ কে শান্তিপূর্ণ রাখতে কেউ পাশে না থাকলে ও বিয়েকে ‘জন্মজন্মান্তরের বন্ধন’ হিসাবে মানতে অনেক মেয়েকে বাধ্য করা হয়। সেই সংস্কার থেকে যতোদিন বেরিয়ে আসবে না, আমাদের সমাজ ততোদিন অন্ধকারেই রয়ে যাবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পারিবারিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠা হবে না।<br />
বিকেল ৫টা, পয়লা এপ্রিল, ২০১৯ সাল, বসুন্ধরা, ঢাকা।<br />
লেখক-সম্পাদক - সূর্যবার্তানিউজ.কম</div>
Unknownnoreply@blogger.com0