Wednesday, October 18, 2017

শুভ জন্মদিন ভাইয়া- সুমি খান

".....ছিলাম রে, কতোই আশা লইয়া, ভাই না আইলো , আমার পরান গেলো জ্বইলা ..."
.বাবার অবর্তমানে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পরিবারের প্রধান। বাবার বর্তমানে ও অামার বড় ভাই পরিবারের সবকিছুতে সব দায়িত্ব অাগ বাড়িয়ে নিয়েছে। অসীম স্নেহ ভালোবাসায় অাগলে রেখেছে পরিবারের সকলকে। নিজের কর্মপরিসর, পরিবারের দায়িত্বের বাইরেও মায়ের প্রতিটি কাজ, সামাজিকতা, মানবসেবার নেপথ্যে যাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রধান ভূমিকা রাখছে, তারা অামার দু'টি ভাই। পরিবারের বড়ো সন্তান হিসেবে ভাইয়া তার কর্মজীবনের শুরুতে, একেবারে অল্প বয়সেই অবলীলায় অামার অনেক দায়িত্ব তার মাথায় নিয়েছিলো। তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে অামার অনেক অাদরের ছোট ভাইটি ও। ভাবতে ভীষণ ভালো লাগে, অামার দু'টি ভাই কর্মসূত্রে যতো দূরেই থাকুক, এতোটাই বড়ো মন নিয়ে প্রতিটি সমস্যা, সংকটে, অানন্দে পরিবারের ভেতরের বাইরের প্রতিটি সদস্যদের পাশে থাকে, যার কোন তুলনা কোথাও নেই। তাই মনে মরে স্মৃতিচারণ করি অাশৈশব বেড়ে ওঠার কথকতা.....সেসব অারেকদিন লিখবো।অাজ বলি, বিয়ের পর অনেক দিন দেখিনি তোমাকে। খুব মিস করতাম ভাইয়া তোমাকে, এখনো অনেক মিস করি তোমাদের!। তখন সন্ধ্যার অাকাশের চাঁদের দিকে তাকালেই বাপের বাড়ির জন্য মন কেমন করতো! ভাইদের জন্যে খুব প্রাণ কাঁদতো। বাঙালী বোনদের মনের কথার গীতিকার মীরা দেব বর্মনের কালজয়ী গানটা গাইতাম, " কে যাস রে, ভাটি গাঙ বাইয়া, অামার ভাইধনরে কইও নাইওর নিত বইলা.... সুজন মাঝি রে, ভাইরে কইও গিয়া, না অাসিলে স্বপনেতে দেখা দিত বইলা.....! " ভাইয়া, অাজ তোমার জন্মদিন, শুভ হোক এই দিন। অনেক ভালো থেকো !  কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি -যেমন দিয়ে যাচ্ছো তোমার নীরব সেবা, শতায়ু হয়ে তার শতগুণ যেন তোমার জন্যে ফিরে পাও!