ব্রাত্যজনের কাব্য-১
নামেই বিধাতা তুমি
মানো না জন্মের অধিকার !
মানো না মাতৃত্বের অধিকার !
মানো শুধু প্রবঞ্চকের
শঠতার জয়-
তাই বুঝি কেড়ে নিতে হয় ?
নিষ্প্রাণ দেহের
নিঃশেষিত প্রাণবায়ু
ভেসে বেড়ায় অনন্ত আকাশে!
তার পূর্বকালেই
সব কেড়ে নিতে পারো-
নীরবে নিঃশেষে!
শঠতার হঠকারী
অথবা নীরবতার তীব্রতা
জানা নেই তোমার যেমন!
অনন্তলোকের প্রতীক্ষা কি
পলে পলে ফুরায় এমন!
নাড়িছেঁড়া ধন আর
মায়ের মমতা যতো
সবই তুমি কেড়ে নিতে পারো?
বলো নি তো দুঃস্বপ্নেও!
এতোটা ধৃষ্টতা যেন
তুমিই দেখাতে পারো-
জেনে রাখো তবু দিনশেষে
আমরা নারীরা লিখি
মায়েদের হাত দিয়ে
বোনেদের প্রাণ দিয়ে
আমার ই গভীর দীর্ঘশ্বাস
ভাসে তোমার বাতাসে!!
সত্য কঠিন মেনে-
কঠিনেরে ভালোবেসে-
অষ্টপ্রহর বেনোজলে ভেসেছি
নিজেকে চিতায় পুড়েছি !
চিতার ছাইভস্ম থেকে
ফিনিক্স পাখির মতো
জেগে উঠে
চিরউদ্বাস্তু সীতা !
ভালোবেসে দিনশেষে
যুগ থেকে যুগান্তর
স্তব্ধতা ভাঙ্গবার
স্পর্ধিত ভালোবাসা
ব্রাত্যজনের প্রাণে
স্পর্শে নিরন্তর!
(২০১৮ ছেড়ে ২০১৯ এ পদার্পন -)
০১০১১৯ সকাল ৮.১৫