Tuesday, September 25, 2012

হিনা রব্বানি খার- বিলাওয়াল ‘আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি।’


প্রেমে বাদ সাধায় দলের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে চেয়েছেন এক প্রেমিক। ঘটনাটি প্রতিদিন নানা ঘটনার জন্ম দেওয়া পাকিস্তানের। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার এবং দেশটির ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া চলছে। এখন তাঁরা ঘর বাঁধতে চান। তা-ও আবার সুদূর সুইজারল্যান্ডে। আর এতে বাদ সেধেছেন বিলাওয়ালের বাবা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তবে সাহসী প্রেমিক বিলাওয়াল বাবাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে পিপিপির প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন তিনি।
প্রেমের ক্ষেত্রে বয়সকে হার মানিয়েছেন হিনা-বিলাওয়াল। বিলাওয়ালের চেয়ে ১১ বছরের বড় হিনা। তবুও বয়সের এই ব্যবধান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়নি।
হিনার অনন্যা ও দিনা নামের দুটি সন্তান আছে। এই প্রেমের জন্য কোটিপতি ব্যবসায়ী স্বামী ফিরোজ গুলজারকে তালাক দেওয়ারও চিন্তা করছেন হিনা। বিয়ের পর দুই সন্তানকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডেই থাকতে চান বিলাওয়াল।
জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। এর পরই প্রেমের ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যায়। আসিফ আলী জারদারি নানাভাবে এ দুজনকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা মানার পাত্র নন।
বিলাওয়ালের জন্মদিনে হিনা একটি বার্তাসহ কার্ড পাঠান। কার্ডে হিনা নিজ হাতে লেখেন ‘আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি।’

‘২০২১ নাগাদ সংসদে ও নেতৃত্বের সব পর্যায়ে নারীদের প্রতিনিধিত্বের হার পুরুষের সমান দাঁড়াবে’ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


নিউইয়র্ক, সেপ্টেম্বর ২৫- ২০২১ সাল নাগাদ প্রশাসন, চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্বের হার পুরুষের সমান দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সংসদে ও নেতৃত্বের সব পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ব্যাপারে অঙ্গীকার করছি।”

এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মোট জনশক্তির অর্ধেক হবে নারী এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও গৃহে নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্কের ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলে হোটেলে সোমবার ‘সমঅংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, “যদিও সা¤প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপি নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে, কিন্তু এখনো তা যথেষ্ট নয়।”

বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নারীরা বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক। তাদের সমঅংশীদারিত্ব বিশ্বে কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে।”

নারী উন্নয়ন নীতিমালায় উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে মেয়েদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে বই বিতরণের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে তার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন পর্যায়ে ১২ হাজার ৮৩৮ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে নারীরা উচ্চ পদে আছেন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি চাকুরির ৩০ ভাগ নারীদের জন্য সংরক্ষিত।

গ্রামীণ নারীদের জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ সার্ভিস চার্জসহ সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই নারীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। এর বাইরে বর্তমানে ৩০ লাখ নারী তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত আছেন এবং অনেকে বিদেশে কাজ করছে ও বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন।

২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সরকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় মানব পাচার বিরোধী আইন এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।