ঢাকা, জুলাই ১৮ - যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন
আহমেদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)
আছেন।তার দেহে একটি ভাইরাস সংক্রমণ ঘটছে, যা সনাক্ত
করা যাচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদকে দেখে আসার পর জাতিসংঘে
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এম এ মোমেন
বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“তিনি (হুমায়ূন)সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন। তার ফুসফুসে
পানি জমেছে। তবে তার মস্তিষ্ক কাজ করছে বলে
জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।“তার শরীরে একটি ভাইরাসের
সংক্রমণ হয়েছে। ভাইরাসটি সনাক্ত করতে না পারায়
চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা আমাকে
জানিয়েছেন।”নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন হুমায়ূনকে দেখতে জাতিসংঘে
বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা ড. মোমেন মঙ্গলবার
হাসপাতালে যান।
বন্ধু হুমায়ূন আহমেদকে দেখতে আমেরিকায় অবস্থানরত অভিনেতা
ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “সামান্য হলেও উনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
তবে উনি যেহেতু আইসিইউতে আছেন,বুঝতেই পারছেন।
আমরা উদ্বিগ্ন।” বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় আসাদুজ্জামান নূর
হাসপাতালেই ছিলেন।
বৃহদান্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর গত সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্য
নিউ ইয়র্কে যান হুমায়ূন আহমেদ। সেখানে মেমোরিয়াল
স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন
তিনি। দুই পর্বে ১২টি কেমো থেরাপি নেওয়ার পর গত মাসে
বেলভ্যু হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের প্রধান
ডা. জেইন এবং ক্যান্সার সার্জন জজ মিলারের
নেতৃত্বে হুমায়ূন আহমেদের দেহে অস্ত্রোপচার হয়।
হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ও স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।
১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি
শুরু করে সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ধীরে ধীরে দেশের
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকে পরিণত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের
এই শিক্ষক। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর অধ্যাপনা ছেড়ে দেন তিনি।
টিভিতে নাটক লিখে ও নিদের্শনা দেওয়ার পর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন। এ জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম |
|
No comments:
Post a Comment