ওয়াশিংটন, ১৭ জুলাই: বাংলাদেশ, মেক্সিকো, সৌদি আরব, ইরান, সুদান, বার্মা ও উত্তর কোরিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এইচএসবিসি ‘পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ’ ছাড়াই লেনদেন করছে, যেই প্রতিষ্ঠানগুলো ‘সন্দেহভাজন’ ও সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন করে। আমেরিকার আইনপ্রণেতারা অভিযোগ এনেছেন সন্ত্রাসী, মাদক পাচারকারী ও মুদ্রা পাচারকারীদের জন্য আমেরিকার আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয় সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন করার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকার পর ও বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (সাবেক ‘সোসাল ইসলামি ব্যাংক’) আমেরিকার ডলার সরবরাহ করেছে এইচএসবিসি; আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সরকারি বিষয়াদি সংক্রান্ত সিনেট কমিটির আনা এমন অভিযোগের জবাবদিহি করতে মঙ্গলবার সিনেটে হাজির হবে এইচএসবিসি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয় সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন করার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ থাকার পর ও বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (সাবেক ‘সোসাল ইসলামি ব্যাংক’) আমেরিকার ডলার সরবরাহ করেছে এইচএসবিসি; আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সরকারি বিষয়াদি সংক্রান্ত সিনেট কমিটির আনা এমন অভিযোগের জবাবদিহি করতে মঙ্গলবার সিনেটে হাজির হবে এইচএসবিসি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ
দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ উল্লেখ করে বলা হয় মুদ্রা পাচারের এমন উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দেশটির দুটি ব্যাংকের সঙ্গে এইচএসবিসি লেনদেন করেছে মুদ্রা পাচার বিরোধী কোনো ধরণের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়াই।
আমেরিকার সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে’র অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সরকারি বিষয়াদি সংক্রান্ত কমিটি’র তদন্ত বিষয়ক স্থায়ী উপকমিটি প্রণীত এই প্রতিবেদন বিষয়ে মঙ্গলবার সিনেটে হাজির হয়ে ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে নিশ্চয়তা দেবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ব্যাংকটি জানিয়েছে ভবিষ্যতে যাতে এমনটি না হয় সে লক্ষ্যে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে ব্যাংকের উদ্যোগের বাজেট দ্বিগুন করা হবে।
৩৩৫ পৃষ্ঠার বিশাল প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশ সামান্যই। দুটি বেসরকারি ব্যাংক- ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোসাল ইসলামি ব্যাংকের সঙ্গে এইচএসবিসি’র লেনদেনে আপত্তি তুলেছে আমেরিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচএসবিসি’র আমেরিকান ব্যাংক এইচবিইউএস-এ যখন ‘‘২০০৭ সালে যখন ইসলামি ব্যাংক একটি হিসাব খোলার আবেদন করে তখন এইচবিইউএস-এর মুদ্রা পাচার বিরোধী বিভাগ থেকেই খোদ আপত্তি তোলা হয়, আপত্তির কারণ শুধুই এই নয় যে এইচবিসির হিসাবেই ব্যাংকটি এমন এক দেশে অবস্থিত যেখানে মুদ্রা পাচারের ‘উচ্চ ঝুঁকি আছে, কিংবা এটি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে বিশ্বে সর্বোচ্চ মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি, বরং একইসঙ্গে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানার শতকরা ৩৭ ভাগের অধিকারী হচ্ছেন আল-রাজি গ্রুপের মালিকরা।’’
প্রসঙ্গত সৌদি আরবের আল-রাজি গ্রুপের আল-রাজি ব্যাংক ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী’দের অর্থায়ন করছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক আগেই তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করেছে এইচএসবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ফলে যদিও বর্তমানে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এইচএসবিসি’র আমেরিকান ডলারের ব্যাংক নোটের ব্যবসা ২০১০ সালে বাদ পড়েছে কিন্তু, এইচএসবিসি’র দুই ডজন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা রয়েছে তাদের, যার ফলে আমেরিকার ডলার, মুদ্রা স্থানান্তর ও অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় প্রবেশিধাকর আছে ইসলামি ব্যাংকের।’’
সোসাল ইসলামি ব্যাংকের (বর্তমানে ‘সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’) ব্যাপারেও ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদে’র অর্থায়নে সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, ‘‘সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হল, ব্যাংকটির মালিকানার দুই অংশীদার- ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন ও লাজনাত আল বির আল ইসলামে’র সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগসূত্র আছে।’’
সিনেট কমিটির প্রধান সিনেটর কার্ল রেভিন এই প্রতিবেদন প্রকাশকালে তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অবৈধ মুদ্রা ব্যবসা বন্ধ করতে যদি কোনো আন্তর্জাতিক ব্যাংক তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত এটা বিবেচনা করা যে এইচএসবিসি’র ব্যবহৃত আমেরিকান অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর সনদ বাতিল করা হবে কি না।’’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই বছরের মে মাসে সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এইচএসবিসি। তদন্তকালে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করেছে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক।###
আমেরিকার সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে’র অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সরকারি বিষয়াদি সংক্রান্ত কমিটি’র তদন্ত বিষয়ক স্থায়ী উপকমিটি প্রণীত এই প্রতিবেদন বিষয়ে মঙ্গলবার সিনেটে হাজির হয়ে ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে নিশ্চয়তা দেবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ব্যাংকটি জানিয়েছে ভবিষ্যতে যাতে এমনটি না হয় সে লক্ষ্যে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে ব্যাংকের উদ্যোগের বাজেট দ্বিগুন করা হবে।
৩৩৫ পৃষ্ঠার বিশাল প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশ সামান্যই। দুটি বেসরকারি ব্যাংক- ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও সোসাল ইসলামি ব্যাংকের সঙ্গে এইচএসবিসি’র লেনদেনে আপত্তি তুলেছে আমেরিকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচএসবিসি’র আমেরিকান ব্যাংক এইচবিইউএস-এ যখন ‘‘২০০৭ সালে যখন ইসলামি ব্যাংক একটি হিসাব খোলার আবেদন করে তখন এইচবিইউএস-এর মুদ্রা পাচার বিরোধী বিভাগ থেকেই খোদ আপত্তি তোলা হয়, আপত্তির কারণ শুধুই এই নয় যে এইচবিসির হিসাবেই ব্যাংকটি এমন এক দেশে অবস্থিত যেখানে মুদ্রা পাচারের ‘উচ্চ ঝুঁকি আছে, কিংবা এটি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে বিশ্বে সর্বোচ্চ মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি, বরং একইসঙ্গে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানার শতকরা ৩৭ ভাগের অধিকারী হচ্ছেন আল-রাজি গ্রুপের মালিকরা।’’
প্রসঙ্গত সৌদি আরবের আল-রাজি গ্রুপের আল-রাজি ব্যাংক ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী’দের অর্থায়ন করছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক আগেই তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করেছে এইচএসবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ফলে যদিও বর্তমানে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ এইচএসবিসি’র আমেরিকান ডলারের ব্যাংক নোটের ব্যবসা ২০১০ সালে বাদ পড়েছে কিন্তু, এইচএসবিসি’র দুই ডজন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা রয়েছে তাদের, যার ফলে আমেরিকার ডলার, মুদ্রা স্থানান্তর ও অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় প্রবেশিধাকর আছে ইসলামি ব্যাংকের।’’
সোসাল ইসলামি ব্যাংকের (বর্তমানে ‘সোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’) ব্যাপারেও ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদে’র অর্থায়নে সহায়তার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, ‘‘সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হল, ব্যাংকটির মালিকানার দুই অংশীদার- ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন ও লাজনাত আল বির আল ইসলামে’র সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগসূত্র আছে।’’
সিনেট কমিটির প্রধান সিনেটর কার্ল রেভিন এই প্রতিবেদন প্রকাশকালে তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অবৈধ মুদ্রা ব্যবসা বন্ধ করতে যদি কোনো আন্তর্জাতিক ব্যাংক তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত এটা বিবেচনা করা যে এইচএসবিসি’র ব্যবহৃত আমেরিকান অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর সনদ বাতিল করা হবে কি না।’’
No comments:
Post a Comment