Friday, July 13, 2012

জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই তাকে ফোন করে সাহস জোগাচ্ছেন

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই তাকে ফোন করে সাহস জোগাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী।
দশম শ্রেণীর এক ছাত্র, নওগাঁর মাণ্ডার এক কলেজ ছাত্র এবং ঝিনাইদহের এক দিনমজুর টেলিফোনে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ দিতে চেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমি যে উন্মেষ দেখেছি, তাদের মর্যাদাবোধ আমাকে আশান্বিত করে, আমরা এগিয়ে যাব।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা নতুন আঙ্গিকে পদ্মা সেতু করতে চাই। সোজা কথায় দোতলা ব্রিজ। ওপরে গাড়ি চলবে, আর নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে।  
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ফোন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের মধ্যে অনেক প্রবাসী এ প্রকল্পে অর্থায়নেরও আগ্রহ দেখিয়েছেন। সেতু নির্মাণের জন্য বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহেরও পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও যখনই সময় পাচ্ছেন, তখনই ফোন ধরছেন।” 
প্রধানমন্ত্রী গত ৪ জুলাই সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করে দেন। তার পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে কেউ অবৈধ সুযোগ নিতে চাইলে তা সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
এরপর স্কুলছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে ফোন করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছেন বলে জানান শাকিল।তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যয়ী এবং উদ্দীপ্ত। তিনি মনে করছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আবারো দেশের মানুষ পদ্মা সেতুকে জাতীয় মর্যাদার বিষয় হিসাবে বিবেচনা করে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।”  প্রধানমন্ত্রী গত ৪ জুলাই জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন। ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেন।প্রবাসীরা ফোনে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তারা যে পরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে দেশে পাঠায়, তার পরিমাণও তারা সাধ্যমতো বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জানান, জাহাঙ্গীরনগর ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে চেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কিছু ছাত্র তাদের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে উপাচার্যের কাছে ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন।জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের একদিনের বেতন এই সেতুর জন্য দেওয়ার কথা বলেছেন। গোপালগঞ্জের করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা দুই লাখ টাকা দেবেন বলেছেন।এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন, বেসরকারি ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানি ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমিতির বার্ষিক নৈশভোজে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান বলেন, “পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা সরকারি কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে আমরা জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যেতে প্রস্তুত। আমাদের সন্তানরাও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ,  প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সামান্য একটা পদ্মা সেতু করতে পারব না?” 
প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল নম্বর +৮৮ ০১৭১১৫২০০০০ এবং +৮৮ ০১৮১৯২৬০৩৭১ । ,sheikhhasina@hotmail.com। 

No comments:

Post a Comment