১০ জুলাই প্রাচ্যের খ্যাতিমান ভাষা বিজ্ঞানীড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ১২৮ তম জন্মদিন। স্মরণীয় এ উক্তিটি বহু ভাষাবিদ, দার্শনিক , জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ
শহীদুল্লাহ’র।১৮৮৫ সালের এই দিনের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাভাষা ও সাহিত্যে অন্যন্য অবদান রাখা ছাড়াও তিনি চিরদিন বাঙালির
শ্রদ্ধা এবং সম্মান পাবেন বায়ান্নর
মহান ভাষা আন্দোলনে সাহসী ও জোরালো ভূমিকার জন্য। কিংবদন্তী ভাষা গবেষক ড.
দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী গবেষক
হিসেবে কাজ করেছেন ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই ঢাকায়
মৃত্যুবরণ করেন জ্ঞানতাপস মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শহীদুল্লাহ হলের পাশে।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯০৪ সালে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে
এন্ট্রান্স এবং ১৯০৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ বা এইচএসসি পাশ করেন।
১৯১০ সালে সিটি কলেজ, কোলকাতা থেকে সংস্কৃতে সম্মান-সহ বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে তুলনামূলক দর্শনতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি । প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ১৯২৫ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি (১৯২৫) লাভ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ।কলেজ
জীবন থেকে বহু ভাষা অনুরাগী মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. দীনেশ চন্দ্র
সেনের সহকর্মী গবেষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯২১ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত
ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে। পাশাপাশি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে খণ্ডকালীন
শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সালে পর্যন্ত । ফ্রান্সের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ১৯২৮ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা
বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন । ১৯৪৪
সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে বগুড়া আযিযুল হক কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে
যোগ দেন ।১৯৫৩ সালে আবারও
ফিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যোগ
দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে অবসরের পর ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগে যোগদান করে
১৯৫৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমীতে যোগ দেন। নিযুক্ত হন বাংলা একাডেমীর ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদে। কাজ করেন বাংলা পঞ্জিকা প্রণয়নের কাজেও। বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে ভাষা বিজ্ঞানে অন্যন্য অবদান রেখেছেন ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ - বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, দীওয়ানে হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, বিদ্যাপতি শতক, বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান অন্যতম।১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। একই বছর ফ্রান্স সরকার এই ভাষা বিজ্ঞানীকে সম্মানজনক পদক ‘নাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’ প্রদান করে। ###
পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমীতে যোগ দেন। নিযুক্ত হন বাংলা একাডেমীর ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদে। কাজ করেন বাংলা পঞ্জিকা প্রণয়নের কাজেও। বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে ভাষা বিজ্ঞানে অন্যন্য অবদান রেখেছেন ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ - বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, দীওয়ানে হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, বিদ্যাপতি শতক, বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান অন্যতম।১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। একই বছর ফ্রান্স সরকার এই ভাষা বিজ্ঞানীকে সম্মানজনক পদক ‘নাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’ প্রদান করে। ###
No comments:
Post a Comment