Friday, April 4, 2014

নিঃসঙ্গ শেরপা শেখ হাসিনা ॥ কাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন তিনি? - স্বদেশ রায়

তিনি সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছিলেন। মন্ত্রী হয়েছেন বলে নয়, সততার জন্য। আওয়ামী লীগের বড় নেতা হওয়া সত্ত্বেও নবাবপুর রোডের ২শ’ টাকার হোটেল থেকে তিনি এসে মন্ত্রী হয়েছিলেন। আমাদের এই সামরিক শাসনতাড়িত লোভ ও দুর্নীতির আকণ্ঠ মানসিকতার দেশে সেটা ছিল অনেক বড় সংবাদ। সেই সংবাদের পর অনেক দিন গেছে। তাকে নিয়ে আর কিছুই জানি না। নানান কারণে এখন আর মাঠের নিউজ করার সময় মেলে না। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখাও হয় কম। তাই অনেক খবর না জানা থেকে যায়। তারপরেও ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে যে অধিকাংশ মুক্ত নয় সেটুকু সকলে বোঝে। তারপরেও কিছু কিছু জায়গায় তো আস্থা রাখতে হয়! নইলে পৃথিবীতে চন্দ্র সূর্য উঠবে কাদের জন্য! কিন্তু সেদিন যে খবর পেলাম তাতে মনে হলো চন্দ্র সূর্য অনেক কষ্টে আলো দিচ্ছে এ পোড়া দেশে।
দেখা হয়েছিল গ্রামের এক বেকার তরুণের সঙ্গে। গত তিন চার বছরই সে চাকরি খুঁজছে। চাকরির তদ্বিরের জন্যে সে গিয়েছিল দুই শ’ টাকার হোটেল থেকে এসে যিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন তাঁর কাছে। গেলেই তার পিএস তাকে বলে, সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে হবে। দিয়েছিলও সে। তার কথা এ পর্যন্ত শুনে জোর দিয়ে বলি, এসব ওই বাটপাড় পিএসদের কাজ। ছেলেটি জোর দিয়ে বলল, না-পিএস মন্ত্রীর সামনেই কথা বলেছিল। এবং মন্ত্রী সে কথা শুনতে পায়। তাছাড়া মন্ত্রী তাকে চেনে। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। মন্ত্রীর নির্বাচনেও কাজ করেছে। ছেলেটির এ কথাগুলো শেষ হতেই বলি, তুমি ভুল করছ। মন্ত্রী মনে হয় শুনতে পাননি এমনভাবে পিএস বলেছেন। অপাপবিদ্ধ ছেলেটি মুখের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ঠিক নয়, মন্ত্রী জানেন। এবং তার সামনে আরেকজন পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে যায় সেদিন। এছাড়া ছেলেটির পরিচিত অনেকেই চাকরির জন্য মন্ত্রীকে টাকা দিয়েছে।
শূন্য থেকে ভূমিতে পতন হলে যেমন হয় অনেকটা তেমন অবস্থা নিয়ে বললাম শুধু কি ওই মন্ত্রী টাকা নিতেন। আর এমপিরা নিতেন না। ছেলেটি বলল, মন্ত্রী তার নিজের এলাকার এমপি নন, তার নিজ এলাকার এমপিকেও সে একটি চাকরির জন্যে তিন লাখ ও আরেকটি চাকরির জন্যে পঁচিশ হাজার টাকা দিয়েছিল। তিনি এখন মন্ত্রী হয়েছেন। তারপরে বললেন, মন্ত্রী এমপি কেন, মেয়রও তো টাকা নিতেন চাকরি দেয়ার জন্যে।

ছেলেটির সঙ্গে এ নিয়ে আর কথা বলিনি। কারণ, এর বেশ আগে একজন সৎ রাজনৈতিক কর্মীর কাছে শুনেছিলাম, তার এলাকার একজন মহিলা এমপি, যিনি এবার বাদ পড়েছেন তিনি কিভাবে মাদ্রাসার জন্যে টাকা নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিগত সরকার ও বর্তমান সরকারের একজন দক্ষ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের গত টার্মের শেষ দিকে এসে ব্যক্তিগত আলোচনায় দুঃখ করে বলছিলেন, শেখ হাসিনা এত কাজ করলেন কিন্তু মন্ত্রী এমপিরা সব শেষ করে দিল এলাকার লোকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নিয়ে। ওই উপদেষ্টার অসহায় মুখ দেখে সেদিন মনে হয়েছিল, আসলে শেখ হাসিনা কত অসহায়! কিন্তু তিনি যে এত অসহায় সেটা এই বেকার তরুণের সঙ্গে দেখা না হলে বুঝতে পারতাম না। কারণ, দু’শ’ টাকার হোটেল থেকে এসে মন্ত্রী হয়ে তিনি যদি এভাবে চাকরি বাণিজ্যে নামেন, তাহলে শেখ হাসিনা কাকে নিয়ে দল করবেন?

আসলে এ মুহূর্তে এটা অনেক বড় প্রশ্ন- শেখ হাসিনা কাকে নিয়ে দল করবেন? কাদের নিয়ে দেশ চালাবেন? 
গতবার থেকে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা দেশের নানান প্রান্ত থেকে নবীন ও প্রবীণ এবং বিভিন্ন পেশা থেকে আসা লোকদের নেতৃত্বে ও মন্ত্রিত্বে এনে সেকেন্ড লাইন গড়তে চাচ্ছেন। একটি দলকে ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকতে গেলে যা প্রয়োজন হয়। যেমন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খোন্দকার বয়সের কারণে নিজেই রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। শেখ হাসিনা হয়ত এ কারণে বা অন্য কোন হিসেব থেকে ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হওয়া লোটাস কামালকে পরিকল্পনামন্ত্রী বানিয়েছেন। কিন্তু তিনি অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে যে সকল বক্তব্য রেখেছেন- তা কোন পর্যায়ে পড়ে? তার বক্তব্য প্রসঙ্গে বলার আগে বলতে হয় শেখ হাসিনা আসলে নানান দিক থেকে ভাগ্যবান। 
যেমন খালেদা-তারেক মিলে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেও তাকে ২১ আগস্ট হত্যা করতে পারেনি। ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে যান। তেমনি অনেক ছোট একটি দিক, তারপরেও অনেক বড়- শেখ হাসিনা দুজন অর্থমন্ত্রী পেয়েছেন- এক, শাহএএমএস কিবরিয়া আর আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ দু’জনের ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু অতি বড় শত্রুরাও বলবেন না তাঁরা অসৎ। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন লাঞ্ছিত দেশে, যেখানে সব মূল্যবোধ শেষ হয়ে যায়। তরুণ থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশই যেখানে নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ফেলে বা ফেলতে বাধ্য হয়। সেই দেশে একজন সৎ অর্থমন্ত্রী পাওয়া কেবল শেখ হাসিনার ভাগ্য ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এ তো গেল শুধু সততার দিক থেকে। এছাড়া আবুল মাল আবদুল মুহিত শুধু একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থমন্ত্রী নন। বরং সুধী সমাজে আবুল মাল আবদুল মুহিতের বড় পরিচয় কিন্তু মন্ত্রী নন, তিনি একজন লেখক, ইতিহাসবিদ, বিদ্বান, সুপত এবং সংস্কৃতিবান মানুষ। যাকে দেখে, যার আচরণকে অনুকরণ করে তরুণরা নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। এই আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) যে মন্তব্য করেছেন তার থেকে এটা স্পষ্ট হয়, আবুল মাল আবদুল মুহিতকেও তিনি বোঝেন না এমনকি বোঝেন না তিনি বর্তমানে যে পদে আছেন সেই পদের মর্যাদা। 
অবশ্য এটা তার দোষ নয়, কারণ আবুল মাল আবদুল মুহিতের শুধু পারিবারিক ঐতিহ্য নয়, তিনিও দীর্ঘ জীবন পরিক্রমায় নিজেকে গড়ে তুলেছেন। তাকে হঠাৎ করে যে কারও বোঝা সম্ভব নাও হতে পারে। যেমন অনেক সাংবাদিক তাঁর বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। যে কারণে তাকে পুনরায় তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হয়। এটা কিন্তু আবুল মাল আবদুল মুহিতের জ্ঞান ও সংস্কৃতির ঘাটতি নয়, ঘাটতি ওই সাংবাদিকদের। লোটাস কামালের ক্ষেত্রে তেমনই ঘটেছে। কারণ হঠাৎ করে লাঙ্গলের ক্ষেত থেকে কাউকে পেইন্টিং এক্সিবিশনে নেয়া হলে তার পক্ষে পেইন্টিং বোঝা সম্ভব নয়। এখানেও বিষয়টি অমনই ঘটে গেছে।
 ম্যানপাওয়ারের ব্যবসা আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-এ তো সাগরসম পার্থক্য। যেমন তিনি বলেছেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত বিস্তারিত বাজেট দেন। তিনি হলে এটা পনেরো পাতায় শেষ করে দিতে পারতেন। তার এ কথা বলার পরে, তার প্রতি করুণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না বা বলারও থাকে না। কারণ একটি দেশের পরিকল্পনামন্ত্রী যখন এ কথা বলেন, তখন এটা স্পষ্ট যে, তিনি বাজেট কি সেটা বোঝেন না। তিনি বাজেটকে মনে করেন একটা আয় ব্যয়ের হিসাব মাত্র। যেমন তার ব্যবসা অফিসে বছরের শেষে হয়। 
বাজেট যে একটি সরকার বা যে রাজনৈতিক দল ওই সরকারটি গঠন করে তাদের দর্শন ও দেশকে এগিয়ে নেবার সার্বিক রূপরেখা তা হয়তো তিনি জানার সময় পাননি। তাকে শুধু অনুরোধ করব, তিনি যেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাজেটটি, পার্লামেন্ট লাইব্রেরি থেকে নিয়ে সময় করে একটু পড়েন। এবং তাজউদ্দীনের ভাষা ও বঙ্গবন্ধু সরকারের দর্শন না বুঝতে পারলে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাহায্য নিতে পারেন। তিনি অনেক বড় মনের মানুষ। এবং তিনি হাসি মুখে সে কাজ করবেন। 
মনে হয় এ কাজটি যদি মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী করেন তাহলে রাষ্ট্র, বাজেট ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে তার একটি ধারণা হবে। নিশ্চিত বলা যায়, রাষ্ট্র বাজেট এগুলো সম্পর্কে তার প্রাথমিক ধারণা হলে তিনি আর বলবেন না যে ১৫ পৃষ্ঠায় বাজেট করা যায়। আর যে অসংস্কৃত ভাষায় তিনি একজন ভদ্রলোক সম্পর্কে কথা বলেছেন, এই ভাষা তার পরিবর্তন হবে কিনা এটা বলা যায় না। কারণ এটা দীর্ঘ পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিষয়। এর জন্যে শর্টকাট কোন রাস্তা নেই। 
যেমন বেগম জিয়া কথা বলতেন না বলে লোকে তার সম্পর্কে বুঝতে পারতেন না। তিনি যখন পুলিশ সদস্যদের গালি দিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ঝগড়া করলেন ঠিকই বোঝা গেল তার সংস্কৃতির লেভেল। এটা পরিবর্তনের জন্যে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে তারপরেও যেটুকু দরকার সেটা কিন্তু আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মন্ত্রীদের কথা বার্তায় একটা শিষ্টাচার থাকতে হয়।
শুধু মন্ত্রী নয়, সকল জনপ্রতিনিধির কথাবার্তায়, আচরণে এবং কাজের একটি সীমারেখা দরকার আছে। নইলে এই যে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের কর্মীদেরই দুঃখ তাদের মন্ত্রী ও এমপিরা চাকরির জন্য টাকা নেন। তাদের ব্যবহার ভাল নয়। তারা জমিদারের মতো চলেন। যে কারণে শেখ হাসিনার সকল ভাল কাজ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। এই সব দুর্নীতির ও আচরণের একটা সীমা রেখা টানা দরকার। জিরো পর্যায়ে না নামুক রাতারাতি অন্তত একটি সীমা রেখা এখনই টানা দরকার। লোভেরও একটি সীমা রেখা দরকার। যেমন শেখ হাসিনার বিশাল উন্নতি যজ্ঞের মধ্যে একটি বড় কালো তিলক শেয়ারবাজার। এখানে কিন্তু অর্থমন্ত্রী বা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কোন আর্থিক দুর্নীতি নেই। 
বরং আজ যারা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের নাম বাজার জোড়া। তারাই এ বাজারকে নিয়ে জুয়া খেলেছেন এটা মানুষের মুখে মুখে। এটা সত্য কি মিথ্যা সেটা তদন্তে প্রমাণ করবে। কিন্তু বিষয়টি কতদূর গড়িয়েছে তার একটি উদাহরণ দেই, এদের মধ্য থেকে একজনকে মন্ত্রী ও আরেকজনকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকতে দেখে এক আড্ডায় বিদেশি এক রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, এই অভিযোগ আমার দেশে হলে এ ব্যক্তি জেলে থাকতেন। আর এখানে মন্ত্রী হলেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে গেলেন। ওই রাষ্ট্রদূতের কথা যে বেদবাক্য তা নয়। কিন্তু এই সত্য এখান থেকে দেখতে হবে যে, এরা শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি এভাবেই ক্ষতি করছে।

আর এদের এই সব কীর্তি দেখে যেটা স্পষ্ট হয় যে, শেখ হাসিনা আসলে একা। তিনি একা কত যুদ্ধ করবেন। দুই শ’ টাকার হোটেল থেকে এসে যিনি মন্ত্রী হন তাঁর সম্পর্কে চাকরি বাণিজ্যের অভিযোগ। আবার ম্যান পাওয়ার, শেয়ারবাজার থেকে এসে যিনি মন্ত্রী হন, বিদেশীরা মনে করেন তার জেলে থাকা উচিত। এখন একা শেখ হাসিনা কত দিক সামলাবেন। যেমন এ মুহূর্তে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আছেন মুজিব বাহিনীর একজন বড় নেতা। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ে থাকতে যদি ২৬ মার্চের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত পোস্টারে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ না থাকে তাহলে শেখ হাসিনার কী করার আছে? এটাও কি শেখ হাসিনাকে দেখতে হবে? 
এমনকি ২৬ মার্চ বিটিভিতে বাসদের এক নেতার সাক্ষাতকার দেখলাম। সেখানে তিনি বলছেন, একটি ‘বিশেষ দলের’ নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলেও সেটা ছিল সকলের যুদ্ধ। ‘বিশেষ দল’ না বলে আওয়ামী লীগ বলতে লজ্জা কেন? আর এটা তো সামরিক শাসকরা বলত। এখন শেখ হাসিনার আমলেও কি টেলিভিশনে সেটাই বলা হবে? আওয়ামী লীগ শব্দটি উচ্চারিত হবে না? তথ্যমন্ত্রী মুজিব বাহিনীর নেতা অথচ এগুলো কি শেখ হাসিনাকে দেখতে হবে?
আসলে শেখ হাসিনা মনে হয় এ মুহূর্তে এক নিঃসঙ্গ শেরপা। নইলে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ফোন করে বলেন, ভাই একটু লিখুন না, শেখ হাসিনা যেন সপ্তাহে একটি দিন অন্তত বিকেল চারটা থেকে রাত ৮টা অবধি তাঁর দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বসেন। তাহলে ছয় মাসেই সংগঠন ঠিক হয়ে যাবে। ওই কর্মীর বক্তব্য সম্পূর্ণ তাদের দলীয় বিষয়। বাস্তবে এটা আওয়ামী লীগের দলীয় বিষয়। আমরা অন্য পেশার মানুষ এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম। কিন্তু এটা তো সত্য, আওয়ামী লীগের কর্মীরা মনে করছে শেখ হাসিনা ছাড়া তাদের সংগঠন ঠিক করার আর কেউ নেই। একি দুঃসহ ভার একজন নেতার ওপর! তাহলে বাদবাকি সব কি ‘নকল বুদিগড়’! আসলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষ আমরা যতটুকু খোঁজ খবর পাই তাতে কিন্তু শেখ হাসিনাকে সেই রবীন্দ্রনাথের নকল বুদিগড়ের হারাবংশী বীর কুম্ভের মতোই মনে হয়। চোখ বুঁজে চিন্তা করলে মনে হয় শেখ হাসিনা যেন সেই হারাবংশী রাজপুত বীর কুম্ভের মতো, ‘ভূমি পরে জানু পাতি তুলি ধনুস্বর, একা কুম্ভ রক্ষা করে ...swadeshroy@gmail.com

No comments:

Post a Comment