Monday, March 24, 2014

মুস্তাফা মনোয়ারের নেতৃত্বে ১৯৬৯ এর একুশে উদযাপন- অনালোকিত ইতিহাস



।।অনালোকিত ইতিহাস।।
জাফর ওয়াজেদ
পাকিস্হানযুগে অমর একুশের উপর কোন অনুষ্ঠান ১৯৬৯এর আগে হয় নি টেলিভিশনে-বেতারে।।
১৯৬৫সালে আইউবখান তার আত্মপ্রচারের জন্য টিভি চালু করেন।তবে ঢাকাতে ঠিভিতে যারা
যোগ দিয়েছিলেন তারা সবাই ছিলেন বাঙ্গালীসংস্কৃতি প্রতিস্ঠার কারিগর।১৯৬৯সালে যখন দেশজুড়ে
আন্দোলন তুঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবীতে-তখন টিভি প্রযোজক মুস্তাফা মনোয়ার টিভি কর্তৃপক্ষকে 
চাপ দেন-একুশের উপর অনুষ্ঠান করার --নতুবা গণরোষের শিকার হতে হবে।
পাকিস্হান টিভি কর্তৃপক্ষ গড়িমসির পর তা মেনে নেয় । তবে শর্ত দেয় যে,"শহীদ দিবস" কথাটি 
ব্যবহার করা যাবে না।প্রস্তুতি নেওয়া হয়।অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া বাঙলাবিভাাগের
শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করার।শান্তিনিকেতনে প্রথম মুসলমান কবিগুরুর ছাত্র সুরকার আবদুল আহাদ
"হাজার বছরের বাংলাগান"-কয়েকদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেন।
২০ফেব্রুয়ারী।সারাদেশ উত্তাল। গণ অভ্যূত্থানের মুখে দেশ।সারাদিন কারফিউ।টিভির একজন কর্মকর্তা
মাইক্র্রোবাস নিয়ে রফিকুল স্যারকে তুলে নেয়। অনেকগুলো কারফিউপাস দিয়ে ছেলেমেয়েদের তাদের বাড়ি থেকে
তোলা হয়। সারারাতধরে ভিটিআর হয়।খাওয়ানোর ব্যবস্হা অনুষ্ঠানের পরিকল্পক প্রযোজক মুস্তাফামনোয়ার আগেই করে রাখেন ।পরদিন ২১ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়েছিল।

একাত্তরের বীরযোদ্ধা সবার প্রিয় মন্টুভাই  মুস্তাফা মনোয়ারের ওই অনুষ্ঠান গণ উত্থানে প্রেরণা যেমন জোগায়
তেমন একুশের অধিকার অর্জন করেছিলো। সেদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা জীবিত--তবে ইতিহাসের এই অংশটুকু তারা না লেখায় অনালোকিত থেকে যায়।

No comments:

Post a Comment