Monday, March 24, 2014

সেই কালো রাত


 বেলা ১২টা- বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিট , শুক্রবার ,২৪ জানুয়ারী ২০১৪ , উত্তরা

যাচ্ছো কোথায়?
তোমার আমার হিসেব আছে -
একটু দাঁড়াও-

না মেটানো হিসেব গুলো
সুদ- আসলে অনেক হলো!
 সামনে তাকাও-
অস্ত্র-বোমার পথ এড়িয়ে
সৎ সাহসে বিচার মেনে  
শাস্তিটি নাও মাথা পেতে!

 পিতার বুকে বুলেট ছুঁড়ে
রাতদুপুরের নিরবতার বক্ষ চিরে
চার নেতাকে জেলে পুরে হত্যা করে 
ফেলে নিলে  বাহাত্তরের পবিত্র সেই সংবিধান-
পিতা -মাতা-  ভগ্নি -ভ্রাতার রক্ত ধারায়
 বুকের ভেতর অগ্নি শপথ নিত্য জাগায়
সেই কালো রাত  - অন্ধকারে অগ্নিস্নান !!
--------------------------------------------------------

  নীল জোছনায়
চাঁদ সুরুজের আকাশ আমার 
লাল সবুজের  বাতাস আমার
রাত্রি নিঝুম নীরবতায়-
সাগর জলের ঢেউয়ের খেলায়-
আমার ই থাক্ আমার আকাশ- বাতাস -
বারে বারে হায়নার দল কেন রে  হাত বাড়াস্??

 বীর বাঙ্গালীর পিছন থেকে ছুরি মেরে 
পালিয়ে যাবি বারে বারে?
আর হবেনা -
 পাপের ভাঁড় যে পূর্ণ হলো! একটু খানি দাঁড়াস্!
---------------------------------------------------------------------------

এই মাটিতে ঠায় দাঁড়িয়ে
লক্ষ  মানুষ এই পতাকা আজ মেলেছে মাথার উপর -
 পিতার রক্তে রাঙ্গা মাটির লাল সবুজের রক্ত শপথ 
ডাক দিয়ে যায়- 
লাল সবুজের জমিন জুড়ে রক্তে ভাসা  পিতার কবর
হাঁক দিয়ে যায় -
নুরুলদিনের এই বাংলায়
"জাগো বাহে ----
কুন্ঠে  সবাই? "
----------------------------------------------------------------------------------------

রাজীব - দীপের রক্তে জ্বলে 
আগুন হলো তরুণেরা-

রাত দুপুরে ঋষিপাড়ায় বীরাঙ্গনা মা বোনেরা 
শাঁখা সিঁদুর অশ্রুজলে সিক্ত হলো 
রক্তস্নানে রিক্ত হলো- 
এই বাংলায়-
তুই রাজাকার যাবি কোথায়?
থামতে হবে এবার তোদের-

 রাজাকারের বশংবদের টোপর পরে 
 বীর সেনাদের খতম করে
  হাওয়ার উপর বসত গড়ে- 
খুব বেড়েছিস্!

আলাউদ্দিন -আয়াত আলী খাঁ 
বিসমিল্লাহ খাঁ - আল্লারাখার
এই বাংলায় 
রবিশংকর  জর্জ হ্যারিসন  চৌরাসিয়া
এই অবেলায় ঘা মেরে তাই
জাগিয়ে গেলেন !! 
---------------------------------------------------------------------------------------------



''কবুল বলো- কন্যা তুমি কবুল বলো?''
রক্তগোলাপ -বেলির মালায় সাজিয়ে রাখা 
 দোলনা ছিল-
করুণ সুরে সানাই ছিলো-
 কতো নববধু সেই  কালো রাতে বাসর হারালো! 

না-পাকিদের পা-চাটা কুকুরের দল
লাল- সবুজে এফোঁড় ওফোঁড় বুলেট ছুঁড়ে
জলপাই রং জীপে চড়ে 
আম্মার বুক থেকে কেড়ে নিয়েছিস্ রুমীদের-
সারা দেশ যেন
পাহাড়তলী -মীরপুরের ঐ বধ্যভূমি!

মইনুদ্দিন আশরাফ -  আর কসাই কাদের
সাকা - কাশেম- ম-নিজামী গোলামদের
দেখানো পথে নববধু - বীরাঙ্গনার  টুকরা টুকরা নগ্ন দেহ
পাকি সেনার ক্যাম্পের ছাদে ঝুলে থাকে-
   বাংলার নারীদের পবিত্র শরীর খুবলে রক্ত চুষে  ব্যবচ্ছেদ করে 
  চাঁদ-তারা টুপি -দাড়ির ছদ্মবেশী পাকি শকুন!!
  
 রাজাকার আলবদর শেয়ালেরা লুটে নিলো  গীর্জা মন্দির
চন্দ্র তারা জলপাই রং পতাকাতে 
গো-আযম আর  ম-নিজামীর  চেক লুঙ্গি  অট্টহাসি-
চোখে কালো কাপড় পিছমোড়া করে বাঁধা দু'হাত
 নিষ্প্রান  শহীদুল্লাহ কায়সার, মেহেরুননেসা , সেলিনা পারভীন-
না  -শিলালিপি মুছে নি-
লাল সবুজের পতাকাতে 
জেগে আছে বীরদর্পে-

 যুদ্ধবাজ আর বোমাবাজের কোলে বসে
 ভ্রষ্ট ভ্রুণের নষ্ট বীজের সন্ত্রাস আর পেট্রোল বোম
 হাজার তিনেক প্রাণ কেড়েছে '১৩ সালের শেষ প্রহরে-

আমার মায়ের আঁচল আবার রক্তে ভেসে গেলো-
বিষন্ন দিন  শেষ বিকেলে  আবার এলোমেলো-

 রক্তবানে ভেসে গেছে ভুল রমনীর ছল!
 কোন্ মেজরের ছাউনী  থেকে ঘন্টাধ্বনি বল্?
কী ভেবেছিস্ জারজ খুনির দল? 
জলপাই রং ড্রামের ভেতর-
জন্ম তোদের হয়;
 বীর বাঙ্গালীর নয় !!

ইস্রাফিলের শিঙ্গা ফুঁড়ে
বুদ্ধ-যিশু -ভগবানের
খোদার আসন-আরশ ছুঁয়ে 
বলেছিলাম ধিক্!
 জ্যান্ত কবর হবে  তোদের 
 এই মাটিতে  ঠিক!!

 সাকা- গিকা- মুজাহিদ-সাঈদী 
কামারুজ্জামান- গোলাম আর 
কাশেম-মওদুদী
কসাই কাদের পথ দেখালো-
তোদের সে পথ এগিয়ে এলো 
লাখো শহীদের রক্তধারায় 
 এবার জাতির জিৎ!

বীর শহীদের রক্তধারায় 
রক্তমাখা ছুরির শানে কবর খুঁড়েছিলি -
পবিত্র এই মাতৃভূমে
বীর জনতার মনের জোরে
ফাঁসির দড়ি গলায় পরে 
সেই কবরে এবার তোদের ঠাঁই!

এমন ও দিন আসবে
 যেদিন  বীর বাঙ্গালী বলবে -
" জারজ তোরা খুনি কসাই-
কবরে ঠাঁই নাই-
এ পবিত্র বাংলায়!"
 সাগর ডেকে বলবে,"তোদের
জলে ও ঠাঁই নাই!"
মর্ রে কুলাঙ্গার-
 মায়ের ঘাতক হয়ে তোরা 
হইলি  রে ছারখার!"

No comments:

Post a Comment