Tuesday, November 19, 2013

জামাতের টাকার গুন - মিনা ফারাহ’র ডিগবাজি


হায়রে, জামাতের টাকার কি গুন!লাউ হয়ে যায় বেগুন!!!
Article of মিনা ফারাহ, January 23, 2011 in Bangla Blog, Politics:
http://minafarah.com/?p=30

আমিও চাই দ্রুত বিচার হোক। মুক্তিযুদ্ধে আমারও আত্মীয়-স্বজন মারা গেছে। আমার নিজের বাড়িটিই ছিল কামারুজ্জামানের আলবদর হেডকোয়ার্টার, যেখানে বসে পাকিস্তানীদের সঙ্গে কামারুজ্জামান মানুষ হত্যার নীল নকশা তৈরি করতো। নয় মাস পরে ফিরে এসে দেখি, মেঝেতে রক্ত মাখা। তাদের তৈরি জেলখানা। যমটুপি। অস্ত্র। দড়ি। গর্ত। গণহত্যার নীল নকশা তৈরি শেষে কার্যকর হতো সেরিপুলে। কামারুজ্জামানের বিষয়ে আমি বহু আগে থেকেই জাগরণের কাজটি করে আসছি। যারা আমার বাড়িতে তার হয়ে কাজ করেছে, পরবর্তীতে সাক্ষী দিয়েছে, টিভিতে বহুবার প্রচার হয়েছে শেরপুরের সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে রাজাকার মোহন মুন্সির মুখে কামরুজ্জামানের কুকর্মের কাহিনী।

জোট এবং তাদের বিচারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে লবি করছে বর্তমান বিরোধীদল। যেহেতু নিউইয়র্ক শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৮ বছর আছি, একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে নিয়ত দেখছি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি প্রবাসেও কতোটা শক্তিশালী। গেল একমাসে বাচ্চু রাজাকার, সাঈদী, কামারুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে বিশাল মিটিং-লবি হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টেও তারা গেছে। ফান্ডিং করেছে নিউইয়র্কের চেনা ব্যক্তিত্বরা। এতোবড় মিটিং, লবি খোদ ঢাকায় হয়েছে কি-না সন্দেহ। নিউইয়র্কের অধিকাংশ বাংলা মিডিয়া এদের অন্যতম সমর্থক। গণতন্ত্র থাকলে এর চর্চাও যে কতোটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে, নিউইয়র্ক শহরে বসে সেই অভিজ্ঞতায় প্রায় সারাক্ষণই টইটুম্বুর আমি।

নয়া দিগন্তের সাথে মিনা ফারাহর সাক্ষাৎকার (18.3.13) প্রশ্ন আকারে এখানে তুলে ধরা হলো।
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=142034

প্রশ্ন : যুদ্ধাপরাধ বিচারে আপনি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু আপনি সাক্ষ্য দেননি। কেন?

মিনা ফারাহ : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ১০ এপ্রিল আমরা পরিবারের সবাই ভারত চলে যাই। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে বাড়ি ফিরে আসি। আসার পর শুনি আমাদের বাড়িতে ক্যাম্প করা হয়েছিল; কিন্তু আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। কাউকে দেখিওনি। কারো নামও আমি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। আমার কাছে তদন্ত কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। আমি বলেছি আমি যা শুনেছি তাই বলতে পারব। আমি নিজে কিছু দেখিনি এবং শোনা কথার বাইরে কিছু জানিও না। তারা আমার শোনা কথাই রেকর্ড করল। কিন্তু পরে আমি জানতে পারলাম আমি যা বলেছি তার সাথে তদন্ত কর্মকর্তার লিখিত জবানবন্দীর মিল নেই। এরপর আপনাদের নয়া দিগন্তেই একটি প্রবন্ধ লেখার মাধ্যমে আমি আমাকে সাক্ষী হিসেবে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেই।

অ্যানরেন্ডের স্কুল বনাম জিম জোন্সের দরগা
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩২ অপরাহ্ন

মিনা ফারাহ
ইদানীং বাংলা খবর দেখলে আগে নিশ্চিত হতে হয়, এটা মিসর নাকি বাংলাদেশ?পানির ড্রাম লুকিয়ে রেখে ঢেলে দিচ্ছে পেট্রল। মানুষের পশুবৃত্তিকে উসকে দিচ্ছে রাজনীতিবিদেরা। হয়েছে ক্যান্সারÑ চলছে কালাজ্বরের চিকিৎসা!
রাজনীতিবিদদের রাজনীতিহীনতায় দেশটি প্রায় কলোনি। প্রতিবেশী দেশ বন্ধু হয়, আপনজন হয় না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘হাসিনাজি আমাদের আপনজন, মনে হয় তিনি এই বাংলারই মেয়ে।’ সাম্রাজ্যবাদীদের কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে ভারত, যেভাবে পশ্চিমারা সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার করছে মধ্যপ্রাচ্য ও
আফ্রিকায়। যাদের দায়িত্ব সার্বভৌমত্ব রা করা তারাই তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবী। জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনের সময় ২০ মিনিটের মিটিং কেন্দ্র করে নয়া দিগন্তে যে কথা আগেই লিখেছিলাম, সেটাই সত্য হলো। ‘জঙ্গিবাদ প্রশ্নে মনমোহনকে বুঝিয়েছেন হাসিনা, ওবামাকে ম্যানেজ করলেন মনমোহন।’ এভাবেই সাম্রাজ্যবাদী অবস্থান কায়েম করছে ভারত।
সম্ভবত মার্কিনিরা চায়, খালেদা। ভারত চায়, হাসিনা। কোনপর্যায়ে নামিয়েছি দেশটাকে! মতার নাম ইয়াবা। ১/১১-এর রিহ্যাব সেন্টার থেকে বেরহয়েই রাজনীতিবিদেরা ফিরে গেছেন যার যার ইয়াবা আস্তানায়। ইয়াবা কেউ খায় না, ইয়াবাই তাকে খায়। সর্বত্রই ‘ঐশী’র কালোছায়া। ’৭৫-এর স্বৈরাচার ভুলে গেছি। আবার বাকশাল প্রত্যাবর্তনে তবুও নীরব মানুষ।অ্যাক্টিভিজমের ভিত্তিতে লেখাটি পর্যাপ্ত নমনীয় নয় বলে দুঃখিত।

No comments:

Post a Comment