Friday, February 20, 2015

হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার


‘‘হরতাল’’ একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, আমরা তার সাথে ১০০% একমত।... একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ‘‘হরতাল’’ পালনের সুযোগ থাকবে এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু ‘হরতাল’ এর নামে দুর্বৃত্তরা লিপ্ত হয় সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে এবং গাড়ি ভাংচুর করে, আগুন দিয়ে, মানুষকে হত্যা করে, বোমা ফাটিয়ে, ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলে, গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে যে ভাবে ‘‘হরতাল’’ পালনে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হয়, সেটা গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না।

 ‘‘হরতাল’’ এর সঠিক প্রয়োগ এবং হরতালের কার্যকারিতার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্যে এবং হরতালের নামে সহিংসতার সুযোগ কমানোর জন্যে কিছু সুনির্দিষ্ট ‘নীতিমালা ও আইনি বিধান প্রণয়ন’ এর জন্যে সরকারের কাছে আবেদন ও দাবী জানাবার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।আমাদের মহান সংবিধান এবং মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই নিতিমালা ও আইনি বিধান প্রণিত হলে একদিকে যেমন ‘হরতাল’ আহ্বান করার গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা পাবে তেমনি অন্যদিকে সাধারন মানুষের ‘হরতাল’ না করার গণতান্ত্রিক অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হবে। একই সাথে হরতালের নামে সহিংসতাও বন্ধ হবে এবং সহিংসতায় অংশগ্রহণকারীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। 
 
 আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ৩ দিন ব্যপী, বিকেল ৩ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত, একুশে বইমেলার উত্তর প্রবেশপথে (টি এস সি এর পুর্ব দেয়াল) “হরতালের নীতিমালা ও আইনি বিধান প্রণয়ণ” শীর্ষক একটি প্রদর্শনী, জনমত জরিপ ও জনসংযোগ এর কর্মসুচির আয়োজন করা হয়েছে।
“হরতাল আমার গণতান্ত্রিক অধিকার, সহিংসতা চাই না। হরতাল নিষিদ্ধ না করেও সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব। কথা দিচ্ছি, দেশ সহিংসতা মুক্ত হবে”
কর্মসুচিতে থাকবে,
১) হরতাল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সম্বলিত “তথ্য প্রদর্শনী”।
২) “হরতাল এর সহিংসতা বন্ধে নীতিমালা ও আইনি বিধান প্রণয়ন” বিষয়ক প্রস্তাবনা বিতরণ।
৩) “হরতাল এর সহিংসতা বন্ধে নীতিমালা ও আইনি বিধান” বিষয়ক জনমত জরিপ।

No comments:

Post a Comment