Wednesday, January 29, 2014

জামাতের সন্ত্রাসের শিকার বাদশা র চিঠি

ছাত্রলীগ করতাম বলেই শিবির ক্যাডাররা সেদিন গভীর রাতে শহীদ হবিবুর রহমান হল থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় টেনে হিচড়ে পার্শ্ববর্তী জিয়া হলের পিছনে নিয়ে যায়,লোহার পাইপ দিয়ে সারা শরীরে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় তারপর চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ দেয়,নারায়ে তাকবীর বলে দুই হাতের রগ কেটে দেয়,ডান পায়ে ১৩ টি কোপ দেয়..মৃত ভেবে আমায় ফেলে রেখে যায় ।
একই দিনে বিশ্ববদ্যালয়ের এস এম হলে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফারুককে হাত পায়ের রগ কেটে ম্যানহোলে ঢুকিয়ে হত্যা করে,হাত পায়ের রগ কেটে দেয় লেলিন ও ফিরোজ নামের আরো দুই ছাত্রের । বঙ্গবন্ধু হলের আসাদ ও কাওসার নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে শিবির ক্যাডার রা । আমার সহপাঠীরা মুমূর্ষু অবস্থায় আমাকে ভর্তি করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে । ।পরদিন অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন,প্রতিমন্ত্রী টুকু,শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ,স্বাস্থ মন্ত্রী রুহুল হক,এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী নানক,বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফিজার সহ শতাধিক এমপি মন্ত্রী সহ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সেক্রেটারী আমার শয্যাপাশে এসে দাড়ান,এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা সহ অন্যরা সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন । ৩৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর বের হয়ে দেখি পাশে কেউ নেই ।
চিকিৎসা পূনর্বাসন তো দুরের কথা কেউ একটু খোঁজ ও রাখেনি ।। সেই ঘটনার কোনও বিচারও হয়নি । চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে পরিবার হয়েছে নিঃস্ব আর আমি হয়েছি প্রতিবন্ধী..বেচে থাকার মতো একটা চাকরীর আশায় ঘুরেছি মন্ত্রী এমপি আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ।। কেউ কথা রাখেনি,বরং পেয়েছি লান্ছনা।। বৃদ্ধ বাবার পেনশনের টাকায় সংসার চলেনা,প্রতিবন্ধী হয়ে সংসারের বোঝা হয়ে আছি ।। ইচ্ছে করে আত্মহত্যা করি কিন্তু বৃদ্ধ বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাও পারিনা । সেদিন ফারুক মরে গিয়ে বেচে গিয়েছে আর আমি আমরা বেচে আছি মরার মতো ।।
সেদিনের শিবিরের হামলায় আহত আসাদ আজ অন্ধ,কাওসার ফিরোজের অবস্থাও আমাদের মতো করুন,

প্লিজ আপু যদি সম্ভব হয় আমাদের করুন অবস্থা নিয়ে কিছু একটা লিখুন,যদি তাতে আপনার এই অভাগা ছোট ভাইদের জীবনের কোন গতি হয় ।।

No comments:

Post a Comment