২০১০ সাল থেকে লামা কোর্ট জামে মসজিদের খতিব সিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে লামায় আফগান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার তদারকিতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। এলাকার ধর্মভীরু তরুণ ও যুবকদেরকে মোবাইল মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বাংলাদেশের আমীর (বর্তমানে কারাগারে আটক) জসিম উদ্দিন আর রাহমানি’র দেয়া বিভিন্ন সময়কার জেহাদি বক্তব্য সরবরাহ করা হয়। দেয়া হয় বিভিন্ন বই-পুস্তক।
এসব বইতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহ উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোট,গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নেতা-নেত্রী ও আলেমদেরকে ' কাফের' বলে ঘোষণা দেয়া বক্তব্য শুনে ও বই পড়ে তরুণরা সংগঠনটির সাথে পরিচয় করায়। পরে পাঠানো হয় জসিম উদ্দিন আর রাহমানির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ঢাকার মোহাম্মদপুরের মারকাজুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায়। এখানে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। কোট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিহাব উদ্দিন দায়িত্ব নিয়ে লামায় যায়। মসজিদের খতিবের দায়িত্ব নেবার পাশাপাশি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
মসজিদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন্ন দোকানে কর্মরত অল্প শিক্ষিত তরুণদেরকে একত্রিত করে একটি বাসায় নিয়মিত বৈঠক করে আসছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।,এ ব্যাপারে বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। লামার বেশ কয়েকজন আলেম বলেন, এখানে যে শুধু জঙ্গি প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছে তা নয়, মুসল্লিদের মধ্যে বিভিন্ন আকিদা নিয়ে মতবিরোধও সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্কুলগামী ছাত্র, তরুণ ও বিভিন্ন পেশার যুবকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কোর্ট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, এ ধরণের কর্মকান্ডের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment