Friday, March 1, 2013

বিএনপির হরতাল অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত: গণজাগরণ মঞ্চ



গণজাগরণ চত্বর থেকে: জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর সহিংসতায় বিএনপির ডাকা হরতালের তীব্র হতাশা প্রকাশ করে একে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত বলে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে।শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে গণজাগরণ চত্বরের সমাবেশে এক বিশেষ বিবৃতিতে এ হতাশা প্রকাশ করা হয়।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বিবৃতিতে বলেন, “আমরা জানি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। তার দল বিএনপি দাবি করে তাদের দলে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তাই বিএনপির প্রতি আমাদের আহ্বান, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্র শিবিরকে বর্জন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখবেন।”

ডা. ইমরান আরও বলেন, “সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদলীয় প্রধান হচ্ছেন জাতির অন্যতম আশ্রয়ের জায়গা। জাতি প্রত্যাশা করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে প্রিয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় অগ্রসর হবে। বিরোধী দলীয় নেত্রীর সক্রিয় ইতিবাচক ভূমিকার মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল হবে বলে মনে করে গণজাগরণ মঞ্চ।”

একাত্তরে মানবতাবোরোধী অপরাধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়ার পর থেকে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনের ২৫তম দিন বিকেলে এক সমাবেশে ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যে জামায়াত ও বিএনপির হরতাল প্রতিহতের আহ্বান জানান।

এর আগে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে, যাতে রাষ্ট্রপক্ষের আপলি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আন্দোলন ২৪তম দিনে জামায়াতের আরেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সাঈদীর রায়ের দিন জামায়াতের হরতালে দেশব্যাপী পুলিশ ও নারীসহ অর্ধশত মানুষ খুন হয়। এদিকে রোববার ও সেমাবার হরতাল দিয়েছে দলটি।এদিকে সরাসরি রায় নিয়ে কোনো কথা না বললেও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার হরতালের ডাক দিয়েছে।

জাময়াত ও বিএনপির হরতাল প্রতিহত করতে সবাইকে মাঠে নামার আহ্বান জানান গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা।

No comments:

Post a Comment