Saturday, March 2, 2013

১৯ পুলিশকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা:চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জামায়াতের বর্বরতা


গুলি ছুড়তে ছুড়তে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে না গেলে ১৯ পুলিশ সদস্য পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এই দলেরই এক কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা করে জামায়াত-শিবির। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে লোহাগাড়ার আমিরাবাদের তিনতলা ভবনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশের বাকি ১৯ জন আশ্রয় নেন। কমিউনিটি সেন্টারের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় জামায়াত-শিবির। ভবনে অবরুদ্ধ ১৯ পুলিশ সদস্যকে পুড়িয়ে মারতে এই আগুন দেওয়া হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই স্থানীয় জামায়াত-শিবির বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওই দিন বেলা তিনটা থেকে শত শত নেতা-কর্মী লোহাগাড়া সদরে জড়ো হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জামায়াত-শিবিরের একটি জঙ্গি মিছিল লোহাগাড়া সদরের আমিরাবাদের ‘জমির কমপ্লেক্স’ নামের তিনতলার একটি কমিউনিটি সেন্টার অতিক্রম করছিল। এ সময় চারজন পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ২০ পুলিশ সদস্য জমির কমপ্লেক্সের দিকে ঢুকে যান। বিক্ষোভকারীরা কমিউনিটি সেন্টারের লোহার কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এর আগ মুহূর্তে টানাহেঁচড়া করে তারেকুল ইসলাম নামের এক কনস্টেবলকে নিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। বাকি ১৯ পুলিশ সদস্য দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা বিকেল পাঁচটার দিকে জমির কমপ্লেক্সের ফটকে তালা ঝুলিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে অবরুদ্ধ ১৯ পুলিশ সদস্য বেতার বার্তার মাধ্যমে আমাদের সাহায্য চান। আমি আরও ১৮ পুলিশ নিয়ে চায়নিজ রাইফেলের গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থলে যাই। বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে অবরুদ্ধ ১৯ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
ইলতুৎ মিশ আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা জমির কমপ্লেক্স থেকে আমাদের কনস্টেবল তারেকুল ইসলামকে ধরে নিয়ে কোপাতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর মাথায় লোহার খন্তা ঢুকিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. হাফিজ আক্তার বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের ১৯ পুলিশ সদস্যকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। পুলিশের আরেকটি দল গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে না গেলে তাদের বাঁচানো সম্ভব ছিল না। এই দলের আমাদের আরেক কনস্টেবলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী, যাঁদের অনেককে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।’
- See more at: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-02/news/333291#sthash.a3YDQ6ZG.dpuf

No comments:

Post a Comment