Friday, March 1, 2013

শহীদ তাজুল শ্রমিক আন্দোলনের অগ্নি মশাল’




ঢাকা: “শহীদ তাজুল ইসলাম ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের অগ্নি মশাল। তার নির্মোহ আত্মত্যাগই তা প্রমাণ করেছে। তাই আজকের এ দিনটিতে সব শ্রমজীবী মানুষের নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন। তার দেখানো পথ ধরেই সকলকে শোষণ মুক্তির পথে এগুতে হবে।”
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের শহীদ কমরেড তাজুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শুক্রবার সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আজ সারা দেশে যে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব শুরু হয়েছে, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্যও শহীদ তাজুল আমাদের স্মরণীয়। এজন্য শ্রমিকশ্রেণীকে আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।”
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের নীচে অস্থায়ী শহীদ বেদি নির্মাণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কমরেড তাজুলের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম শুভ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জিলানী শুভ ও কে এম রহুল আমীন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসময় অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, তাজুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ১৯৭৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশ অনুযায়ী শ্রমিক আন্দোলন সংঘটিত করার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ দেশব্যাপী আহুত শিল্প ধর্মঘট ও হরতালের সমর্থনে আগের মধ্যরাতে আদমজী জুটমিল এলাকায় কমরেড তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্রমিকরা প্রচার মিছিল বের করলে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের হামলায় কমরেড তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক মারাত্মক আহত হন। ভোরবেলা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

No comments:

Post a Comment