ওয়েব
ডেস্ক: জঙ্গি নিশানায় এ বার কলকাতা। কলকাতা বন্দরে হামলার আশঙ্কায় রাজ্যকে
সতর্ক করল কেন্দ্র। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বন্দরে হানা দিতে পারে বলে
জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সতর্কবার্তা আসার পরই বাড়ানো হয়েছে
কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তা। বাড়ানো হয়েছে হলদিয়া বন্দরের নিরাপত্তাও।আরব সাগর পেরিয়ে জলপথে মুম্বইয়ে ঢুকেছিল কাসভরা। ২৬/১১ পর পশ্চিম উপকূলে
নিরাপত্তার কড়াকড়ি হওয়ায় জঙ্গিরা পূর্ব উপকূল দিয়ে ভারতে ঢুকতে চাইছে।
বেশকিছুদিন ধরেই এই ইঙ্গিত মিলছিল গোয়েন্দা সূত্রে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা
সংস্থার রিপোর্ট বলছে, পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গিদের টার্গেট এ বার কলকাতা। হামলা
চালাতে তারা বেছে নিতে পারে কলকাতা বন্দরকে।
কলকাতা বন্দরে হামলা চালাতে পাক নৌবাহিনীর সদস্যরা জঙ্গিদের সাহায্য করতে পারে বলে রাজ্য পুলিস ও কলকাতা পুলিসকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের ছায়াবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান: পেন্টাগন
কেন্দ্রের সতর্কবার্তা আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিস। বাড়ানো হয়েছে কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তা। বন্দরের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে তারা। বৈঠক হয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গেও। জঙ্গি হামলার সতর্কতা আসার পর কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুধীর মিশ্রকে।
ওয়াশিংটন, ৪ নভেম্বর (সংবাদ সংস্হা)– ভারত সীমাম্তে পাকিস্তানের ওয়াঘায় গত রবিবারের মানববোমা বিস্ফোরণের লক্ষ্য কী ছিল? জঙ্গিরা কি সীমাম্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিলঞ্জ– গোয়েন্দা মহলে যখন এ সব সন্দেহ জেগেছে, তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলল খোদ পেন্টাগন৷ আমেরিকার প্রতিরক্ষা সংস্হা পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে তাদের ষান্মাসিক রিপোর্ট পেশ করে জানাল, আফগানিস্তানে অস্হিরতা কায়েম করতে, সেই সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে উত্ত্যক্ত করতে জঙ্গিদের ছায়াবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান৷ পাকিস্তান মদত দিয়ে চলেছে সে দেশের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলিকে৷ ১০০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে আফগানিস্তানে স্হিতি বজায় রাখতে আফগান নেতৃত্বে যে সরকার ও প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া চলছে, তাতে পাকিস্তান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেও তা লঙঘন করা হচ্ছে৷ এর ফলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও হানি ঘটছে৷ এই রিপোর্টে আফগানিস্তানের হিরাটে গত মে মাসে ভারতীয় কনস্যুলেটে জঙ্গিহানার ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, একেবারে পরিকল্পনা এঁটে ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের প্রাক্কালে হিরাটের ওই জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ গত জুনে মার্কিন বিদেশ দপ্তর বলেছিল হিরাটে ভারতীয় কনস্যুলেটে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যে জঙ্গিদলটি হানা দিয়েছিল তারা লস্কর ই তৈবা দলের৷ এই সন্ত্রাসবাদী দলটি পাকিস্তানে আশ্রিত৷ হিরাটে ভারতীয় কনস্যুলেট ভবনে জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে প্রেসিডেন্ট কারজাই বলেছিলেন এ ধরনের জঙ্গি হামলা ভারত-আফগানিস্তানের নিবিড় সম্পর্ক ও সহযোগিতায় কোনও হানি ঘটাতে পারবে না৷ এই রিপোর্টে আফগানিস্তানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতের অকুন্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে৷ অবশেষে আব্দুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে পেল এনআইএ
কলকাতা বন্দরে হামলা চালাতে পাক নৌবাহিনীর সদস্যরা জঙ্গিদের সাহায্য করতে পারে বলে রাজ্য পুলিস ও কলকাতা পুলিসকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের ছায়াবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান: পেন্টাগন
কেন্দ্রের সতর্কবার্তা আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিস। বাড়ানো হয়েছে কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তা। বন্দরের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ। তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে তারা। বৈঠক হয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গেও। জঙ্গি হামলার সতর্কতা আসার পর কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস সুপার সুধীর মিশ্রকে।
ওয়াশিংটন, ৪ নভেম্বর (সংবাদ সংস্হা)– ভারত সীমাম্তে পাকিস্তানের ওয়াঘায় গত রবিবারের মানববোমা বিস্ফোরণের লক্ষ্য কী ছিল? জঙ্গিরা কি সীমাম্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিলঞ্জ– গোয়েন্দা মহলে যখন এ সব সন্দেহ জেগেছে, তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলল খোদ পেন্টাগন৷ আমেরিকার প্রতিরক্ষা সংস্হা পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে তাদের ষান্মাসিক রিপোর্ট পেশ করে জানাল, আফগানিস্তানে অস্হিরতা কায়েম করতে, সেই সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে উত্ত্যক্ত করতে জঙ্গিদের ছায়াবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান৷ পাকিস্তান মদত দিয়ে চলেছে সে দেশের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলিকে৷ ১০০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে আফগানিস্তানে স্হিতি বজায় রাখতে আফগান নেতৃত্বে যে সরকার ও প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া চলছে, তাতে পাকিস্তান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেও তা লঙঘন করা হচ্ছে৷ এর ফলে পাকিস্তান-আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও হানি ঘটছে৷ এই রিপোর্টে আফগানিস্তানের হিরাটে গত মে মাসে ভারতীয় কনস্যুলেটে জঙ্গিহানার ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, একেবারে পরিকল্পনা এঁটে ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের প্রাক্কালে হিরাটের ওই জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ গত জুনে মার্কিন বিদেশ দপ্তর বলেছিল হিরাটে ভারতীয় কনস্যুলেটে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যে জঙ্গিদলটি হানা দিয়েছিল তারা লস্কর ই তৈবা দলের৷ এই সন্ত্রাসবাদী দলটি পাকিস্তানে আশ্রিত৷ হিরাটে ভারতীয় কনস্যুলেট ভবনে জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে প্রেসিডেন্ট কারজাই বলেছিলেন এ ধরনের জঙ্গি হামলা ভারত-আফগানিস্তানের নিবিড় সম্পর্ক ও সহযোগিতায় কোনও হানি ঘটাতে পারবে না৷ এই রিপোর্টে আফগানিস্তানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতের অকুন্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে৷ অবশেষে আব্দুল হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে পেল এনআইএ
৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১৫:৫৪:৫৭
আব্দুল হাকিম।—ফাইল চিত্র।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিমকে বুধবার নিজেদের
হেফাজতে নিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। এ দিন দুপুরে এসএসকেএম থেকে
ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে
রাখার নির্দেশ দেন।
হাকিমের বাড়ি বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের দেউচা গ্রামে। গত ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের অদূরে খাগড়াগড়ের ওই বিস্ফোরণে হাকিমের পায়ে স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। ওই বিস্ফোরণে নিহত হয় শাকিল আহমেদ এবং সুভান শেখ নামে দু’জন। বিস্ফোরণস্থন থেকে উদ্ধার করে হাকিমকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ৯ অক্টোবর স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তার পায়ে একাধিক বার অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি দু’বার স্ক্রিন গ্রাফ্টিং-ও করা হয়। প্রায় এক মাস পর এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাকিমকে।
হাসপাতালে থাকাকালীন এনআইএ-র জেরায় হাকিম জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে সে জঙ্গি কাযর্কলাপের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী, নিষিদ্ধ সংগঠন জমিয়ত উল মুজাহিদিন (জেইউএম)-এর সদস্যও সে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে হাকিম ছাড়াও ছিলেন নিহত শাকিলের স্ত্রী রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আলিমা বিবি। দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনায় বর্ধমানেরই মঙ্গলকোট থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসেম মোল্লাকে। হাকিম বাদে ধৃত বাকি তিন জনকে এ দিন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
হাকিমের বাড়ি বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের দেউচা গ্রামে। গত ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের অদূরে খাগড়াগড়ের ওই বিস্ফোরণে হাকিমের পায়ে স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। ওই বিস্ফোরণে নিহত হয় শাকিল আহমেদ এবং সুভান শেখ নামে দু’জন। বিস্ফোরণস্থন থেকে উদ্ধার করে হাকিমকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ৯ অক্টোবর স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তার পায়ে একাধিক বার অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি দু’বার স্ক্রিন গ্রাফ্টিং-ও করা হয়। প্রায় এক মাস পর এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাকিমকে।
হাসপাতালে থাকাকালীন এনআইএ-র জেরায় হাকিম জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে সে জঙ্গি কাযর্কলাপের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী, নিষিদ্ধ সংগঠন জমিয়ত উল মুজাহিদিন (জেইউএম)-এর সদস্যও সে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে হাকিম ছাড়াও ছিলেন নিহত শাকিলের স্ত্রী রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আলিমা বিবি। দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনায় বর্ধমানেরই মঙ্গলকোট থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসেম মোল্লাকে। হাকিম বাদে ধৃত বাকি তিন জনকে এ দিন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
No comments:
Post a Comment