খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিমকে বুধবার নিজেদের হেফাজতে নিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। এ দিন দুপুরে এসএসকেএম থেকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
হাকিমের বাড়ি বীরভূম জেলার মহম্মদবাজারের দেউচা গ্রামে। গত ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের অদূরে খাগড়াগড়ের ওই বিস্ফোরণে হাকিমের পায়ে স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। ওই বিস্ফোরণে নিহত হয় শাকিল আহমেদ এবং সুভান শেখ নামে দু’জন। বিস্ফোরণস্থন থেকে উদ্ধার করে হাকিমকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ৯ অক্টোবর  স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তার পায়ে একাধিক বার অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি দু’বার স্ক্রিন গ্রাফ্টিং-ও করা হয়। প্রায় এক মাস পর এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনআইএ-র হাতে তুলে দেয় হাকিমকে।
হাসপাতালে থাকাকালীন এনআইএ-র জেরায় হাকিম জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে সে জঙ্গি কাযর্কলাপের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী, নিষিদ্ধ সংগঠন জমিয়ত উল মুজাহিদিন (জেইউএম)-এর সদস্যও সে। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে হাকিম ছাড়াও ছিলেন নিহত শাকিলের স্ত্রী রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আলিমা বিবি। দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনায় বর্ধমানেরই মঙ্গলকোট থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসেম মোল্লাকে। হাকিম বাদে ধৃত বাকি তিন জনকে এ দিন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।