Friday, October 17, 2014

কম বয়সে বিয়ে নারীর উন্নয়নে বাধা

সম্প্রতি লন্ডনে কন্যাশিশু সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনার বিষয়ে নিজের অঙ্গীকারের কথা দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। ওই বৈঠকে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ (অনুশাসন) দেয়া হয়। অর্থাৎ ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ এবং ১৮ থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ১৮ এবং ১৬ করা যায় কিনা এই বিষয়ে মতামত জানতে চান। বাংলাদেশে ছেলে-মেয়েদের বিয়ের বয়েস কমানো নিঃসন্দেহে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন মহলে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইতিমধ্যেই বিয়ের বয়স কমানোর এই প্রস্তাবকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ হবে বলে মনে করছে।

এছাড়া এর ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট বিয়ের বয়সের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার থেকে সরে আসবে। এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাল্যবিয়ের হারের দিক থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর বাল্যবিবাহের জেরে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হারের পরিমাণও অত্যধিক উল্লেখযোগ্য।
 প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ে এবং সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজস্ব মতের কোন মূল্য নেই। কথাটি মোটেই অসত্য নয়। এতদিন এটি আমাদের কালচার ছিল। এই দেশে কন্যার জন্য পাত্র বাছাই করে তাদের পিতা-মাতা বা অভিভাবক শ্রেণী। ভারতীয় উপমহাদেশে কন্যাসন্তান জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই পিতা-মাতা এবং পরিবার একটি অদ্ভুত অদৃশ্য দায়ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ে। অহর্নিশ এই চিন্তা পিতা-মাতার রাতের ঘুম দিনের শান্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। কবে এই কন্যাসন্তানটিকে ভাল ঘরে ভাল বরে পাত্রস্থ করা হবে। বাংলদেশের পিতা-মাতাও এই দায়বদ্ধতা থেকে যত দ্রুত সম্ভব তাদের কন্যাসন্তানটিকে বিয়ে দিয়ে কন্যার একটি নিশ্চিত নিরাপদ ঘর দিতে চায়। এটি খুব খারাপ ব্যবস্থা তা কিন্তু নয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাদের এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তারা কন্যা দায় থেকে নিজেরা ভারমুক্ত হতে পারে ঠিক। কিন্তু তাদের কন্যাসন্তানটি যে অকালে পরিবার, সমাজ, সংসার এবং সন্তান জন্মদানের এক ভারবাহী যন্ত্রতে পরিণত হয়ে পড়ে তা তারা বেশ ভাবেই জানে বোঝে।


 বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের সর্বোচ্চ জনঘনত্বের দেশ (কিছু নগর-রাষ্ট্র বাদে), এবং উচ্চ জনসংখ্যার চাপে আমাদের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, ট্রাফিক জ্যাম, বিদ্যুত, পানি, গ্যাস, পরিবেশ সব কিছুই মারাত্মক হুমকির মুখে। সে ক্ষেত্রে কন্যাসন্তানটিকে লেখাপড়া শিখিয়ে নিজের অবস্থানে দৃঢ় হতে শিক্ষা না দিয়ে বরং পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের কাছে বোঝা করে তোলা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নারীবান্ধবনীতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের অনেক নারীই আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। এমনকি স্বল্পশিক্ষিত কর্মজীবী নারীরাও বিয়ে করার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে ভাবছে। তারা নিজেদের জীবনে যে কোন অকাল দুর্ঘটনাকে পরাস্ত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিক, শারীরিক, আর্থিক দিক চিন্তা করেই তবে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ভাবছে। বড় কথা হলো গত কয়েক বছরে নারী উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এক নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। পরিবার, শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে বাঙালী নারীরা শিক্ষিত, অশিক্ষিত নির্বিশেষে অসামান্য দক্ষতা ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। তারাও ছেলে সন্তানের মতো পিতা-মাতার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। সহযোগী বন্ধু হিসেবে স্বামীর পাশে থাকছে। যদিও এই সংখ্যাটি এখনও সমান নয়। কিন্তু একবারে হিসেবের বাইরেও নয়। নারীর ক্ষমতায়নের সঠিক সফল উন্নয়নের জন্য বিশ্বের কাছে অন্য মাত্রার ভূয়সী প্রশংসা এবং সাধুবাদ পেয়ে আসছে বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাব একটি বিরাট খারাপ এবং ভুল প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


 বিয়ে ঠিক কোন বয়সে করলে মানুষ্য জাতির জন্য ভাল হবে আজ পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞানীরা তা নির্ধারণ করতে পারেননি। বিয়ের উপযুক্ত সঠিক বয়স কত ছিল বা কত হলে ভাল হয় এ নিয়ে নানা দেশে নানা সমাজে এবং নানা ধর্মে নানারকম মতামত রয়েছে।
 বিবাহিত জীবনেও অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রয়োজন সৌন্দর্য, সুস্থতা এবং যৌনতার। যৌনতা একটি মৌলিক বিষয়। পুরুষ এবং নারীর সমান আগ্রহ চাহিদা এবং অধিকার রয়েছে এই বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে চর্চা বা উপভোগ করার। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের যৌন শিক্ষা নেই বললেই চলে। কম বয়সে বিয়ে হওয়া কিশোরী প্রায় অশিক্ষিত, ভীরু, পরমুখাপেক্ষী এক নারী মাত্র। স্বামীর অবর্তমানে অন্যের গলগ্রহ। আমরা কি এ রকম স্ত্রী, কন্যা চাই? পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে আছে যারা। যদি আমরা বিয়ের বয়স হিসেবে মেনে নিই এক্ষেত্রেও বঞ্চিত হবে কিশোরীটি। মানসিক অভিঘাত তৈরি হবে তার মধ্যে। অসুস্থতা, মন খারাপ, এরমধ্যে কিশোরীর অনভিজ্ঞতার সুযোগে জন্মাবে একাধিক সন্তান। শরীর ভেঙে যাবে। সৌন্দর্য বিলীন হবে। পুরুষটি মুখ পাল্টাতে বেছে নেবে পরকীয়া বা অন্য পথ। কিংবা না পাওয়ার বেদনায় অকালে নারী হওয়া মেয়েটি বেছে নেবে পরকীয়া। বাংলাদেশের সমাজে এ ঘটনা অহরহ ঘটছে। তারপরও এই দেশের কিশোরীরা তাদের অভিভাকের অবিমৃষ্য সিদ্ধান্তের কারণে বাল্যবিয়ের বলি হতে বাধ্য হচ্ছে। ১৮ বছরের আইনকেই সরকার পারছে না সফল ও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে। সেক্ষেত্রে বিয়ের বয়স ১৬ করার অর্থ হচ্ছে একজন কন্যাসন্তানের নারীত্বকে অত্যন্ত হীন প্রক্রিয়ায় জলাঞ্জলি দেয়া। মানুষ হিসেবে কন্যাসন্তানকে চরম অবমূল্যায়ন করা। 


 কিছুদিন আগে বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং এনজিওর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়নে চলমান এইচপিএনসডিপি কর্মসূচির মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছাত্রীদের ব্যাপক উপস্থিতিকে বাংলাদেশের জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেন। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে জোর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘ঘর ছেড়ে পালানোর’ প্রবণতা বন্ধ করতেই মেয়েদের বিয়ের আইনসিদ্ধ বয়স কমিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
 যেখানে একজন সাত বাড়ি খেটে খাওয়া বুয়া তার চার মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছে মুখে রক্ত তুলে, একজন পিতা রিকশা চালিয়ে মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেবল ভুল তাই নয় এই সিদ্ধান্তের ফঁাঁক গলে অনেক কুপ্রথা, কুসংস্কার, সুযোগসন্ধানী, বিকৃত মানসিকতার মানুষ, ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে ধ্বংস করে দেবে। গত কয়েকদিনে বিচ্ছিন্নভাবে কথা বলে দেখা গেছে, অভিভাবকের ভেতর এখনই এক ধরনের হতাশা কাজ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কন্যাশিশুদের অভিভাবকরা মানসিকভাবে মোটেই খুশি নন সরকারের এই বিয়ের বয়স কমানোর প্রস্তাবে। নারীর ক্ষমতায়ন এবং কন্যাশিশুদের জন্য বর্তমান সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারী নিম্নবিত্ত, প্রান্তিক মানুষেরা কন্যার বিয়ে ছাড়াও আজকাল অন্য রকম স্বপ্ন দেখছিল। অনেকের ভেতরই সামাজিক সচেতনতা কাজ করতে শুরু করেছিল। তারা তাদের কন্যাটিকে ছেলের সমান মর্যাদা দিয়ে বড় করে তুলছিল। অনেক পোশাক কন্যা উদয়স্ত পরিশ্রম করে গ্রামে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্বামীর পরিবারকে টেনে তুলেছে। কন্যাসন্তান এখন বোঝা নয় এই কথাটি বাস্তবেও পিতা-মাতা, সমাজ অনুধাবন করছিল। সুতরাং এই অভিভাবকরা মনে করে যে, এই আইনের একেবারেই কোন যৌক্তিকতা নেই। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া কিশোরীদের মধ্যে ব্যাপক শঙ্কা এবং হতাশা দেখা দিয়েছে। কেননা তারা দেখেছে তাদের মায়েদের অধিকাংশই পড়াশোনা চলাকালীন বিয়ের শিকার হয়ে অকালে সন্তানের মা হয়ে অসুখী জীবনযাপন করছে। অনেক মা মাত্র ৩২-৩৫ বছর বয়েসে বুড়ি হয়ে গেছেন। তাদের বক্তব্য, যে আইনটি রয়েছে সরকার সেটিকেই কঠোর হাতে বাস্তবায়ন করুক। নারীর মূল্যায়ন, উন্নয়ন, অগ্রগতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু দেশে নারী হত্যা, খুন, ধর্ষণ, কমানোর জন্য এ ধরনের অপরিপক্ব , পশ্চাত আশ্রয়ী, আইন দেশের নারী সমাজকে কখনই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করতে দেবে না। ফলে দেশের অর্ধেক জনগণ রাষ্ট্রের বোঝা হিসেবেই থেকে যাবে।
 ইতিমধ্যে এই বক্তব্যের বিপক্ষে প্রতিবাদ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষরা জানাচ্ছে বিয়ের বয়স কমানো হবে একটি অত্যন্ত খারাপ সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং কন্যাশিশুদের ভবিষ্যত প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। বিয়ের সঙ্গে অনেক গভীর দায়দায়িত্বের ব্যাপার জড়িয়ে আছে বা থাকে। যেখানে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির মোকাবেলা করতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে, জীবন থেকে ছেঁটে দিচ্ছে অনেক কিছু, একা বাঁচাই যেখানে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে, অনেক ছেলেমেয়ে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বিয়ে করতে নারাজ হচ্ছে সেখানে এই আইন কতটা দরকার?
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ‘মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা নিঃসন্দেহে একটি পরস্পরবিরোধী চিন্তা। একদিকে সরকার নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছে আবার বিয়ের বয়স কমানোর বিধান করতে চাইছে, যা দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেবে। বাল্যবিয়ে নিরোধ করতে পারছি না বলে আমরা পিছিয়ে যাব, এটা মোটেই কোনো গঠনমূলক সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
 পুরানাপল্টনের মুক্তি ভবনে সিপিবির নারী সেলের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এটা করা হলে নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
 সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তা ড. ইশতিয়াক মান্নান বলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স কমালে তা হবে ‘খুবই ভুল’ পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিয়ে যদি শুধু আলোচনাও হয় তবুও দেশে ও বিশ্বজুড়ে ভুল বার্তা যাবে।’ ইশতিয়াক মান্নানের মতে, বাল্যবিয়েতে স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও ‘বড় ধরনের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা’ তৈরি হয়। কম বয়সে বিয়ে হলে ছেলে-মেয়েরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে না। ফলে পরিবারে অসন্তোষ তৈরি হয়ে সহিংসতা ও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করবে।
‘এটা কীভাবে আলোচনার টেবিলে আসে তা ভেবেই আমি বিস্মিত হই। মাতৃমৃত্যু ও প্রতিবন্ধীতার ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের ভূমিকা রয়েছে। এ ধরনের বিয়েতে অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান হয় এবং মা এবং শিশু সারাজীবন অপুষ্টিতে ভোগে।’
এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আবেদন, বাল্যবিয়ের হার কমানো, পালিয়ে বিয়ে রোধ, ফ্রি মিক্সিং, ফ্রি সেক্স, ধর্ষণ, ইভটিজিং কমানোর জন্য সামাজিক রাজনৈতিক প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম তো বাংলাদেশের বাইরে নয়। প্রতিটি গ্রামে প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের নিবিড় চেষ্টায় গ্রামের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজকে এ ধরনের সচেতন কর্মকান্ডের আওতায় আনতে পারলে গ্রামের জনগণের মধ্যে নতুন করে ভাবনা চিন্তার স্ফুরণ ঘটবে।

No comments:

Post a Comment