Monday, June 2, 2014

ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক: কাজী সেলিম


১৯৮৩ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশে জনগণ ও সরকারগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম, অর্থের উৎস, ব্যাংকঋণের সুদের পরিমাণ ও সুদ আদায় পদ্ধতি, চেয়ারম্যান মহাব্যবস্থাপক, বোর্ড সদস্য পদ্ধতি ও বয়স মেয়াদসহ ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ সকল বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞ এক অন্ধ ধারণা পোষণ করছিল। ২০১০ সালের ৩ নবেম্বর নরওয়ে টেলিভিশনের ধারণকৃত একটি পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টারি ছবি প্রচারণার মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সকল গোপন, অবৈধ, অপ্রকাশিত কার্যক্রম, লেনদেন ঘুমন্ত বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে জাগ্রত করে তোলে। বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশেই গ্রামীণ ব্যাংকের উপর প্রচারিত উক্ত প্রামাণ্য চিত্রের মূল ও প্রধান বিষয়সমূহ ফলাও করে প্রচারিত হয়, যা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে শুধু কলুষিত ও কলঙ্কিতই করেনি, নোবেল পদক, পদকপ্রাপ্ত ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের উপর বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি করেছে সন্দেহ, বিতর্ক ও দাতা দেশসমূহের নজরদারি ও জবাবদিহিতার চরম গাফিলতির। পুরস্কারপ্রাপ্ত ডেনমার্কের ডকুমেন্টারি ছবি প্রস্তুতকারক, টম হেইনিম্যানের পরিচালনায় প্রামাণ্য চিত্র ‘মাইক্রো ঋণের খপ্পরে’ তৈরির সময় পরিচালক টম বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্র্থঋণ গ্রহণকারীদের সঙ্গে ব্যাপক আলাপ আলোচনা ও সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন। টম হেইনিম্যান তাঁর বহুল প্রচারিত ও সমালোচিত উক্ত প্রামাণ্য ছবিতে গ্রামীণ ব্যাংকের কি কি স্পর্শকাতর বিষয় কয়েক যুগ পরে ফাঁস করে বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচার করে ইউনূস সাহেবকে ও গ্রামীণ ব্যাংককে বিতর্কিত, সমালোচিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

নরওয়ের টেলিভিশনে প্রচারিত ওই প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে যে, ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস সাহেব গ্রামীণ ব্যাংকের নামে নরওয়ে ও অন্য দাতা দেশসমূহের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (মার্কিন) নরওয়ে ও অন্যান্য দাতা দেশসমূহের বিনা অনুমতি ও অনুমোদন ব্যতীত ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামে অপর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান নামে স্থানান্তর করে যা মাইক্রো ঋণের সঙ্গে কোন প্রকার সম্পর্ক বা লেনদেন ছিল না।

 ওই প্রামাণ্য চিত্রে দাবি করা হয় যে, ঢাকার নরওয়ের দূতাবাস, নরওয়ের দাতা সংস্থা, নোরাড এবং বাংলাদেশে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের চাপের ফলে, গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূস সাহেব ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার ফেরত প্রদান করেছে, যা ছিল নরওয়ে, সুইডেন ও জার্মানির প্রদত্ত অর্থের অংশবিশেষ। ওই প্রামাণ্য চিত্রের পরিচালক টম দাবি করেছেন যে, ড. ইউনূস সাহেবের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নরওয়ের দাতা সংস্থা নোরাড, বাংলাদেশস্থ নরওয়ের দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম ও অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে নীরবতা পালন করছিল বলে প্রামাণ্য চিত্রে দাবি করে আরও বলা হয়েছে যে, উল্লেখিত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির নিকট হতে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংককে প্রদান করা হয়েছিল, গ্রামীণ কল্যাণ নামে অপর কোন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে নয়।

 ওই ডেনিশ সাংবাদিক ও প্রামাণ্য চিত্র নির্মাতা টম হেইনিম্যান কয়েকবার গ্রামীণ ব্যাংকের উপর প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ কাজে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং কয়েকজন আন্তর্জাতিক অর্থ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন, তিনি তার প্রামাণ্য চিত্রে দাবি করেছেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের কঠিন ঋণের শর্তের যাঁতাকলে বহুসংখ্যক মহিলা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। প্রামাণ্য চিত্রে টম দাবি করেছেন যে তিনি বহুবার ইউনূস সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রামাণ্য চিত্রটি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র ধরে তুলে প্রচার করে যে, গ্রামের দরিদ্র মহিলাগণ শতকরা ৩০ শতাংশ সুদ প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অর্থঋণ গ্রহণ করেন এবং এক সপ্তাহ পরই ঋণের সুদের টাকা শোধ করা শুরু হয়। ওই প্রামাণ্য চিত্রে কয়েকজন ঋণগ্রহীতার সাক্ষাতকার তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রামের গরিব মহিলাদের ঋণের টাকা পরিশোধ ও আদায় করার জন্য ভয়ভীতি ও বল প্রয়োগ করে থাকে। সাংবাদিক টম দাবি করেছেন যে, প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করার পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যপদ্ধতি ও দৈনন্দিন লেনদেনের উপর বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করতে গিয়ে বিতর্কিত ও বহুল সমালোচিত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গ্রামীণ কল্যাণে স্থানান্তরের চিঠিপত্র এবং তথ্য প্রমাণাদি দেখতে পেয়ে আঁতকে উঠেন। তিনি বলেন যে, ওই তথ্য প্রমাণাদি অসলোস্থ নোরাড ও নরওয়ের সাহায্য সংস্থার আর্কাইভ বা গ্রন্থশালা থেকে সংগ্রহ করেছেন।

প্রামাণ্য চিত্রে ৯০ দশক থেকে শুরু করে চিত্র প্রদর্শন পর্যন্ত সাহায্য সংস্থা নোরাড অনেক গোপন তথ্যাদি প্রকাশ বা প্রচার করে বিশেষভাবে গোপন করে রেখেছিল, যা নরওয়ের জনগণ সরকার ও পার্লামেন্ট সদস্যদের বৈদেশিক ঋণ প্রদান ও তার অপব্যবহারের সংবাদ জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল বলে প্রামাণ্য চিত্রে দাবি করা হয়। প্রামাণ্য চিত্রটি প্রচারিত ও প্রদর্শনের পর নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এরিক সোল হেইম এই বলে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘প্রামাণ্য চিত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলো সত্য ও সঠিক এবং ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।’ এর পরই নরওয়ের পার্লামেন্ট গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর প্রচারিত প্রামাণ্য চিত্রের বিষয়গুলোর ওপর ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা করে এবং নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। নওয়ের প্রামাণ্য চিত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা, এন আর কের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, প্রামাণ্য চিত্রটি প্রদর্শনের ছয় সপ্তাহ পূর্ব থেকে ড. ইউনূসের সঙ্গে ই-মেইল করে তার মতামত জানার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্ত ড. ইউনূস কখনই তাদের ই-মেইলের জবাব প্রদান করেন নি।
বিশ্বব্যাপী গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম ও দাতা সংস্থার ও দেশের অর্থ অপব্যবহারের ওপর প্রামাণ্য চিত্র সংবাদ আকারে প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত বার্ষিক তদন্ত ও অনুসন্ধানের উপস্থাপিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণের আদেশ জারি করে।

 প্রামাণ্য চিত্রের অভিযোগ ও সরকারের পরিচালিত তদন্ত সাপেক্ষে যে বিষয়গুলো অভিযোগ হিসেবে নির্দিষ্টভাবে উদঘাটন করা হয় সেগুলো হলো :

১. দরিদ্র ঋণ গ্রহীতাদের নিকট থেকে জোরজবরদস্তি ভয়ভীতি ও হয়রানি করে ঋণের সুদের অর্থ আদায় করা হয়। ২. ঋণের টাকার সুদের হার সম্পর্কে বানোয়াট ও বিভ্রান্তমূলক ড. ইউনূসের স্বাক্ষরযুক্ত তথ্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। ৩. ড. ইউনূস বেআইনীভাবে ৫৪টি কোম্পানি গঠন করেন যার সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করেন। এ সম্পর্কে ড্যানিয়েল পার্ল ফাউন্ডেশনের ওয়েব সাইটে একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে উক্ত প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট থেকে ব্লগ করে রাখা হয়েছে যাতে কেউ আর প্রতিবেদনটি পড়তে না পারেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে, মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দেশী-বিদেশেী সাংবাকিদের নিকট গোজামিল তথ্য প্রদান করেন এবং ড. ইউনূস তাদের সঙ্গে সাক্ষাত প্রদান না করে লুকোচুরি খেলেছেন।
দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস সম্পর্কে বিরূপ সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিকভাবে কলঙ্কিত করেছে। স্বভাবতই কোন সরকারই এ ক্ষেত্রে হাত-পা গুটিয়ে চুপচাপ বসে থেকে দেশ- বিদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম, দুনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ ও সচিত্র প্রতিবেদনকে নীরবে হজম করতে পারে না। তা হলে সেটা হতো বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জন্য এক লজ্জাকর জঘন্য অন্যায় ও রীতি নীতিবিবোধী জাতীয় অপরাধ। 

২০০৯ সালের জানুযারি মাসে তদানীন্তন সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অনিয়ম, ক্ষমতার অব্যবহার এবং ড. ইউনূসের বয়স অতিক্রম করার পরও গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিয়োগ প্রদানসহ সকল বিষয় তদন্ত শেষে, গঠিত কমিটি তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সরকারের নিকট দাখিল করে। যেহেতু বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫% শতাংশ মালিকানার অংশীদার, সে ক্ষেত্রে দেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নিয়ন্ত্রণ “বাংলাদেশ ব্যাংক”ও দীর্ঘদিন পর নড়েচড়ে বসে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েক যুগ নাসিকায় সরিষার তেল দিয়ে গভীর নিদ্রায় মগ্ন ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব মুনাফা প্রতিষ্ঠা ও কর্তব্য পালনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সরকার প্রতিষ্ঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের পদ থেকে অপসারণ করার নির্দেশ জারি করে বলে যে, ড. ইউনূস অবসর গ্রহণ আইন ৬০ বছর লঙ্ঘন করে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান হিসেবে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের ব্যাংক কোম্পানির ধারা মোতাবেক কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের যে কোন ব্যাংক বীমা ও আর্থিক লেনদেন ও যে কোন অর্থ লগ্নি সংস্থা বা সংগঠনের গচ্ছিত কর্তা বা সঞ্চয় কর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে।

গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপকের পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অপসারণপত্র প্রাপ্তির পর ড. ইউনূস স্ব-প্ররোচিত হয়ে (সরকার নয়) স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের অপসারণ নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আপীল করেন। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ড. ইউনূসের অপসারণ সংক্রান্ত আদেশকে যথাযথ বলে সমর্থন করে এই মর্মে মত প্রকাশ করে যে, ২০০০ সালে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ব্যতীত ও পুনর্নিয়োগ প্রদান করা হয়েছিল, যা সরকারের আংশিক মালিকানাধীন ব্যাংকের লিখিত আইন বা বিধির প্রকাশ্য লংঘন ও ভঙ্গ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইউরোপের কোন একটি এ ধরনের ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক বা চেয়ারম্যান যদি এভাবে বিদেশের প্রাপ্ত ঋণ বা সাহায্যের অর্থ অবৈধভাবে অন্য যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে লগ্নি করত তাহলে তাকে নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্রেও কংগ্রেসের সিনেট অর্থ সংক্রান্ত সাব কমিটি অথবা ব্রিটেনের হাউস অব কমন্স অথবা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টের অর্থসংক্রান্ত সাব কমিটির সম্মুখে গলদের টাই ধরে টেনে হিঁচড়ে অপরাধী আসামি হিসেবে সশরীরে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হতো।

ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক কেন ১০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার ফেরৎ প্রদান করেছেন? ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করার মধ্যে যে একটি গভীর বড় ধরনের রহস্য বিদ্যমান, দেশের সচেতন ও শিক্ষিত জনগণ ও বিদেশে ড. ইউনূসের বন্ধুদের এটাই বাস্তবভাবে অনুধাবন করা উচিত। বাংলাদেশে সরকারকেও এই স্পর্শকারত বিষয়ে চুপচাপ না থেকে, যেহেতু প্রচারিত প্রামাণ্য চিত্রের বিষয়াবলী দেশের সুনাম ও মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে, তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত নরওয়ের টেলিভিশনের পরিচালক প্রামাণ্য চিত্র নির্মাতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে কয়েক শত মিলিয়ন ইউরো দাবি করে মামলা দায়ের করা উচিত ও দেশের ও বিশ্ব জনগণকে জানিয়ে দেওয়া উচিত যে, ড. ইউনূস সাহেবকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের প্রধান পদ থেকে অপসারণ করা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রচলিত আইন কানুন বিধি মোতাবেক সঠিক ছিল, এ ব্যাপারে কোন দেশ, পরিবার, বা গোষ্ঠীর অহেতুক আস্ফালন করার কোন অধিকার নেই।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা

No comments:

Post a Comment