Monday, March 10, 2014

গণমাধ্যমের ব্যর্থতা এবং উচ্চ আদালতের প্রতি ঔদ্ধত্য- সুমি খান

দৈনিক প্রথম আলো এবং  মিজানুর রহমান খান 'আদালত বিচারব্যবস্থা' নিয়ে মিথ্যাচারপূর্ণ অপব্যাখ্যা পূর্ণ লেখা নিয়মিত লিখেন। একটি ধরা খেলো ! আদালতের বিচারে অপসাংবাদিকতা -তার বিরোধিতা করতে গিয়ে সাংবাদিক সংগঠন এবং সম্পাদকেরা  পুরো কমিউনিটিকে যুক্ত করছেন কেন? চরম দুর্নীতিগ্রস্থ অসাংবাদিক  সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষে  ১৫  সম্পাদক জোট বেধেছিলেন।এখন আবার তারা জোট বেধেছেন আদালতের বিরুদ্ধে। প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়টির বাস্তব ভিত্তি কতো টা আছে? সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতার মানদন্ড কী?  সাংবাদিকতা পেশা নয়-বাণিজ্য -এটাই প্রমাণ করছেন তো বারবার??

রোকন উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের সম্পর্কে আদালতে যে  বক্তব্য দিয়েছেন সেটি আদালতেই চ্যালেঞ্জ করা হলো না কেন?  রোকনউদ্দিন মাহমুদের অভিযোগ কি  অনেক ক্ষেত্রে সত্য নয়? মাননীয়  সম্পাদকগন, সাংবাদিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে বা আলাদাভাবে আদালতের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন না কেন? ব্যারিষ্টার রোকন যখন তার বক্তব্য দেন তখনতো মিজানুর রহমানের  আইনজীবীও সেখানে ছিলেন, তিনি কি কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন ?? না করলে কেন করেননি?

 আমরা সাধারণ সংবাদকর্মীরা এর চরম বিরোধিতা করি! কিন্তু আমরা বিচ্ছিন্ন - তাই সংঘবদ্ধ অপশক্তি অনেক শক্তিশালী! এরা  অনৈতিক উপায়ে সারা বিশ্বের কাছে এবং সাধারণ পাঠকদের কাছে বেআইনি ভাবে রাষ্ট্র কে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করেন-তবু তথ্য মন্ত্রনালয় এবং সংশ্লিষ্ট দের কাছে ডরম সম্মানিত। আর অন্যায়ের বিরোধিতা কারীরা বরাবর ই সবখানে অবহেলিত! এ কারণেই আমাদের গণমাধ্যম কখনো জনকল্যাণকর বা পেশাদারীত্ব প্রতিষ্ঠায় বারবার ব্যর্থ এবং উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে।

এভাবে মতিউর রহমান- মিজানুর রহমান সহ চরম মিথ্যাচারের বেসাতি যারা করে এমন  অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র অথবা সমাজ কখনো দায়িত্ব নিয়ে কঠোর হয় না। কারণ এরাই সমাজের নিয়ন্ত্রক!!
তবু আমরা মুষ্টিমেয় যারা দেশের প্রশ্নে মানবতার প্রশ্নে নীতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে আছি- যতোই নিঃসঙ্গ একাকী হোক্ না কেন -এ লড়াই আমাদের চলবে!  অন্যায় আর অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে  আমরা জোর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো।  বরাবরের মতোই আদালতের প্রতি আমরা পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই! সত্যের জয় হোক্!

No comments:

Post a Comment