Wednesday, March 19, 2014

আপোসের আর্ট ও ইসলামী ব্যাংক - স্বদেশ রায়


৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা যখন দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনলেন, তখন সাধারণ মানুষ একটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। তাঁরা হাফছেড়ে বেঁচেছিলেন। কারণ, জামায়াত ও বিএনপির সন্ত্রাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে শিক্ষা-দীক্ষা সবই। পেট্রোলবোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, রেলের স্লিপার তুলে রেল দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ হত্যা এ সবের বিচার তো আছেই। শুধু যত কৃষিপণ্য নষ্ট হয়েছে এবং ‘ও’ লেভেলের ছেলেমেয়েদের একটি বছর পরীক্ষা দিতে না পেরে যে ক্ষতি হয়েছে এর বিচার হলেই কিন্তু ওই গোটা সন্ত্রাসের মূলনেতা খালেদার কমপক্ষে যাবজ্জীবন কারদন্ড হওয়া উচিত। আর মানুষ হত্যার বিচার তো আছেই। 

বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা অবশ্য পার্লামেন্টে বলেছেন, জামায়াত-বিএনপির ওই সন্ত্রাসের, নরহত্যার বিচার করবেন। শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে গিয়েছিলেন। বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে তিনি বলেছিলেন, আগুনে পুড়িয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে এটা গণহত্যা। শেখ হাসিনা যখন এ কথা বলেছিলেন তখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী। এখনও তিনি প্রধানমন্ত্রী। 

তাই তাঁর কাছে প্রশ্ন আসে স্বাভাবিকভাবে, তিনি নিজেই যাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছেন তার বিচার শুরু কবে হবে? কারণ কোন দেশে গণহত্যাকারীরা ও গণহত্যার নেতা বিচারের আওতার বাইরে থাকতে পারে না। ইতোমধ্যে অবশ্য দেখা গেছে শাহবাগ ও পরিবাগের বাসে আগুন দেয়া মামলায় বিএনপির যে নেতারা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছিলেন, মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের বিচারকগণ সে জামিন বাতিল করেছেন। এবং এখন তারা কারাগারে। সাধারণ মানুষকে যারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, নারী শিশুকে যারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, কিশোর মনিরের দেহ আগুনে পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে যারা উল্লাস করেছে তারা এবং তাদের হুকুমদাতা নেতারা যদি জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় তাহলে ওই দেশের আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে সরকারের চরিত্র নিয়ে।

আগেও এই কলামে লিখেছি, এখনও বলব শেখ হাসিনা একাই সরকার নয়। তিনি একা বা তার সঙ্গে আরও কয়েকজনই গোটা সরকার নয়। বাস্তবে এই সরকারের মধ্যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে ‘পাকিস্তান’ আছে। ‘আপোস’ আছে। 

আর আছে বলেই কিন্তু ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে এই দেশে খালেদা জিয়ার নির্দেশে যে গণহত্যা হয়েছে তারপরেও খালেদা জিয়াকে গণহত্যার আসামি করে এখনও অবধি কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। এমনকি কোন দৃশ্যমান উদ্যোগও নেই। পার্লামেন্টে প্রথমত পার্লামেন্ট সদস্যরা উপস্থিত হন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকলেও তারা উপস্থিত থাকেন না। অথচ এই পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনেই পুরো হাউসের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল নির্বাচনের আগে সাত মাসে দেশে যে গণহত্যা হয়েছে তার তদন্ত করে ওই গণহত্যার নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক। তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক। সে কাজটি করা হয়নি। কারণ ওই মনোজগতে পাকিস্তান এবং আপোস। কিন্তু বর্তমান সরকারকে ভবিষ্যতের দিকে এগুতে হলে, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই মনোজগতকে পরিবর্তন করতে হবে। আজ দেশে বেশ কয়েকটি জায়গায় সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পরে যারা সরকারী অফিস ধ্বংস, নরহত্যা ও শিশু হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তারা জামিন নিয়ে নির্বাচন করেছে?

 প্রশ্ন ওঠে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা করা হয়েছিল যে, তারা জামিন পেল? তাদের এই জামিন পাবার পিছনেও কিন্তু কোথাও কোথাও যেমন প্রশাসনের ভেতর থাকা ভূত কাজ করেছে তেমনি আওয়ামী লীগের ভূত কাজ করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবির, তাদের সুপারিশেও অনেকে জামিন পেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অনেক অর্থ জামায়াতের কাছ থেকে নিয়েছে তারও খবর প্রতিনিয়ত কিন্তু সংবাদপত্র অফিসে আসে। শুধু তাই নয়, ওই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা আবার অর্থ দিয়ে তাদের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের বশ করেছেন। 
আর জামায়াতের অর্থ যে কত শক্তিশালী সে তো ২৬ মার্চের কোটি কণ্ঠের জাতীয় সঙ্গীত উৎসব নিয়েই বোঝা যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক গত সাড়ে চার বছর ধরে কী করছে সেটা সরকারের অজানা থাকার কথা নয়। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাকে রগকাটা অস্ত্রসহ রাজশাহীতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া সরকারের জানা থাকা উচিত যে, সাতক্ষীরায়, সীতাকুন্ডে প্রভৃতি জায়গায় জামায়াত যে তান্ডব চালিয়েছিল সেখানে গৌরি সেনের মতো টাকার জোগান দেয় ইসলামী ব্যাংক।

 সাতক্ষীরা থেকে সাধারণ মানুষ আমাদের ফোন করে তখন বলেছে, সন্ত্রাসীদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায় আর ইসলামী ব্যাংকের টাকা চলে আসে থানায়, বের হয়ে আসে সন্ত্রাসীরা। এই ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি টাকা না হলে কি কোটি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে না এ দেশে? এ দেশের তিন কোটি দরিদ্র কৃষককে বলা হলে তারা এক ঘণ্টার মধ্যে এক টাকা করে তিন কোটি টাকা সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেবে। কারণ, তাদের মাথার ভিতর ক্ষমতা নেই, পাকিস্তান নেই, টাকা নেই, আপোস নেই। তাই তারা তাদের জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানকে কলুষিত করবে না। 

সরকার তাদের গত আমলে বিশ্বকাপের সময় রাজধানীর শোভাবর্ধনের দায়িত্ব দেয় ইসলামী ব্যাংককে। জানি না ক্ষমতার চশমা সরকারের কোন ব্যক্তিকে পড়তে দিয়েছিল কিনা- কী সাইনবোর্ডগুলো ইসলামী ব্যাংক রাজধানীতে টাঙিয়ে ছিল? কোথাও তারা ‘বাংলাদেশ’ লেখেনি। লিখেছিল ‘এই দেশ।’ অর্থাৎ তারা এখনও বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। তারা তাদের অবস্থানে ঠিক আছে।

 আপোস শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ওপর ভর করেছে। আর এই আপোসের কারণেই কিন্তু আজ ইসলামী ব্যাংক এমনি করে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত উৎসবে ঢুকে পড়ছে। এবং দুঃখজনক হলো, সরকারের ভুল স্বীকারের কোন লক্ষণ নেই। দেখা যাচ্ছে ১৮ মার্চ ১৬.৪৯ মিনিটে বিডি নিউজ ২৪ডটকম সংবাদ আপলোড করছে যার শিরোনাম, ‘ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে দুই মন্ত্রীর দুই কথা।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এ টাকা ফেরত দেয়া উচিত।’ বিডি নিউজের ওই সংবাদে আরও বলা হয়, ‘তার কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কর্মসূচীর জন্য ইসলামী ব্যাংক থেকে কোন টাকা বা অনুদান নেয়া হয়নি।’ এর মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ১৭.৪৪ মিনিটে বিডি নিউজ ২৪ ডটকম আরেকটি নিউজ আপলোড করে, যার শিরোনাম ‘৩ কোটি টাকা দিয়েছি : ইসলামী ব্যাংক।’ ওই নিউজে বলা হয়, ‘ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান বিডি নিউজ ২৪ডটকমকে বলেন, ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত আয়োজনের জন্য ১৪ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিন কোটি টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তফা আনোয়ার।’ ওই সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান আতাউর।’ ইসলামী ব্যাংকের এই দাবির পরে সংস্কৃতি মন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর কোন বক্তব্য পাইনি। 
তবে বিডি নিউজ ২৪ডটকমের ওই নিউজে একটি আপোসের আর্ট কিন্তু পাওয়া গেছে। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী অনেক বড় আর্টিস্ট বরং তার তুলনায় মন্ত্রিত্ব তার জন্য অনেক ক্ষুদ্র। বাংলাদেশে অনেকেই সংস্কৃতি মন্ত্রী আগেও হয়েছেন পরেও হবেন। কিন্তু আর্টিস্ট আসাদুজ্জামান নূর একজনই। দেশবাসী মুগ্ধ হয়ে তার অভিনয় দেখেছে অতীতে। এখনও মঞ্চে নামলে দেখবে। 

এই বড় অভিনেতার যে বক্তব্যটি এসেছে সেটা কিন্তু বর্তমান সময়ের জন্য খুবই উপযোগী টনিক, যা খেলে আমাদের সকলের স্বাস্থ্য ভাল থাকতে পারে। তিনি ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে বলেছেন, ‘তারা তো (ইসলামী ব্যাংক) আর বেআইনী ব্যাংক নয়।’ 

বাস্তবে এই আপোসের টনিকটি শুধু আজ নয়, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তো আর বেআইনী ছিলেন না, যে কারণে কমিউনিস্ট পার্টির মনি সিংও তার সঙ্গে খাল কাটতে গিয়েছিলেন। এ সব স্বেচ্ছাসেবী কাজে ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন সব সময়ই ভাল তাই তারা সেদিন ভালই খাল কেটেছিল। আর সেই খাল দিয়ে যে সব কুমির এসেছে এই যেমন জামায়াতে ইসলামী- এরা তো বেআইনী নয়। আইন অনুয়ায়ী তো তারা রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়ার বিএনপি, সেও তো বেআইনী নয়। আইন অনুযায়ী তারা রাজনীতি করছে। তাই জামায়াত- বিএনপি নরহত্যা, নারী হত্যা, শিশু হত্যা সর্বোপরি গণহত্যা করলেও তাদের সঙ্গে আপোস চলে। কারণ, তারা তো বেআইনী নয়। 

তবে এইটুকু সত্য মনে হয়- এখন মনে রাখার সময় এসেছে যে, ১৯৭৫-এর পনেরো আগস্টে স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ছিনতাই করার পরে অনেক কিছু আইনী কাঠামোর ভিতর ঢুকানো হয়েছে, যা কোনক্রমে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে না। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের উষ্ণতার সঙ্গে, সাড়ে ছয় লাখ মা-বোনের আব্রু হারানোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মানুষ জামায়াত-বিএনপির হাতে জীবন দিয়েও এই সরকারকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে এই অসঙ্গতি দূর করার জন্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে কেউ যেন মনে না করেন মানুষ তাদের ক্ষমতায় পাঠায়নি। মানুষ তাদের পক্ষে ছিল বলেই কিন্তু নির্বাচনের পরের দিনই বিএনপি-জামায়াতের তা-ব ঝুর ঝুর করে ভেঙ্গে পড়ে। আর এই মানুষ স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষ। এই মানুষ যারা গণজাগরণ মঞ্চে সারা দেশে এক হয়েছিল সেই মানুষ। 

তাই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে যারা তথাকথিত আইনী কাঠামোয় ঢুকে গেছে তাদেরকে ‘ওরা তো বেআইনী নয়’ বলে জায়েজ করা এই সরকারের দায়িত্ব নয়। সেটা বিএনপির দায়িত্ব। 

হ্যাঁ, এটা সত্য ইসলামী ব্যাংক এখনই বন্ধ করে দেয়া হয়ত সম্ভব নয়। কারণ, এর সঙ্গে বিদেশী অন্যান্য ব্যাংকের পুঁজি আছে। দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার মানে এই নয়, তারা জঙ্গী মদদ দেবে আবার জাতীয় সঙ্গীততে থাকবে। ঢুডুও খাবে তামাকও খাবে এটা হতে পারে না। জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের যে টাকা সরকার নিয়েছে সেটা ফেরত দিয়ে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা স্বীকার করে এই ব্যাংকটি জঙ্গী অর্থায়নে জড়িত। পাশাপাশি এই ব্যাংককে জঙ্গী ও জামায়াতমুক্ত করার ক্রাশ প্রোগ্রাম সরকারকে নিতে হবে। এর পরিচালনা বোর্ড থেকে সকল জামায়াত ও জঙ্গীদের বাদ দিতে হবে। এখানে চাকরি করে যারা জঙ্গী ও জামায়াতের সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচার করতে হবে। 

পাশাপাশি এই ব্যাংকের নিয়োগ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে দিতে হবে। যাতে জঙ্গী সংগঠন শিবিরের ছেলেমেয়েরা এখানে ঢুকতে না পারে। এমনিভাবে চরম কঠোরতার ভেতর দিয়ে এই জঙ্গী অর্থায়নের উৎস বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, অর্থই সন্ত্রাসের লাইফ ব্লাড। অতএব এটা বন্ধ করতে হবেই। এখানে আপোসের আর্ট প্রয়োগ করার নীতি এই সরকারকে বর্জন করতে হবে। পাশাপাশি যেমন জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে চলেছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তেমনি সন্ত্রাসী সংগঠনের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ, দীর্ঘদিন যাবত তারা সন্ত্রাসে অর্থ জোগান দিয়ে আসছে। এখানে ‘টাকা আমারও দরকার জগৎ শেঠ’ এই নীতিতে শরীর ও মনপ্রাণ ডুবিয়ে আপোস করার সুযোগ নেই। সে আপোস যদি এই সরকার করতে যায় তাহলে সরকার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে। এবং বাংলাদেশের শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনাকে বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে দেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের সঙ্গে গত তিন মাসে বার বারই এ ধরনের ঘটনাই বেশি ঘটছে।
swadeshroy@gmail.com

No comments:

Post a Comment