এই শরতের প্রথম দিনেই বিদায় নিলেন ওবায়দুল গনি চন্দন । একালের ছড়া সাহিত্যের তরুণ সেনা ওবায়দুল গনি চন্দন ছড়া সাহিত্যে দোর্দন্ড প্রতাপে রাজত্ব করার পাশাপাশি ক্রাইমরিপোটিং ও করতেন । একুশে টেলিভিশনে ও এ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ক্রাইমরিপোর্টিং আর আদালত পাড়ায় আমার ব্যস্ত পদচারণা । টেলিভিশনে অনেক সময়ে ক্রাইম রিপোর্টিং আর আদালত একসাথে এ্যাসাইনমেন্ট থাকে । সেই নিয়মে ২০০৭ থেকে ২০১০ একুশে টেলিভিশন থেকে আমি ক্রাইম রিপোটিং , সিএমএম কোর্ট, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, উচ্চ আদালত, কারাগারে একাধারে এ্যাসাইনমেন্ট করেছি।
এমন নিরস জায়গায় এক বিরল বিনোদন ছিল ওবায়দুল গণি চন্দন। তিনি তখন বাংলাভিশনে কাজ করতেন।
আমার এমনিতেই হাসির বাতিক আছে। যেদিন এ্যাসাইনমেন্টে চন্দন ভাই থাকতেন-অন্যান্য রিপোর্টার দের সব ক্লান্তি আর অবসাদ কেটে যেতো এক লহমায়।
চন্দন ভাই অনর্গল সরস গল্প বলে যেতে পারতেন। আকাশ থেকে শব্দ নিয়ে যেন গল্প বানাতেন । এ এক অনন্য গুণ। ওবায়দুল গণি চন্দনের সরস ভঙ্গিও অনায়াস গল্পে রামগড়–রের ছানাও অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে বাধ্য। চন্দন ভাইয়ের গল্পের অনেক মজার কিছু স্মৃতি আছে। যা মনে করে বারবার হাসি পায়। এরকম একটা গল্প এখানে তুলে ধরছি, যাতে চন্দন ভাইকে যারা দেখেননি, তারা তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবেন।
একদিন এনটিভি থেকে রাজু এসেছিলো সিএমএম কোর্টে। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমরা একটু আগেই রওনা দিতাম। তখনো মামলা আদালতে উঠেনি। চন্দন ভাই , আমরা সবাই বটতলায় দাঁড়ানো। চন্দন ভাই হঠাৎ রাজুর দিকে তাকিয়ে এনটিভির দিদারের কথা জানতে চাইলেন। বললেন, “ আচ্ছা , দিদার কেমন আছে?“ আমরা সবাই একটু চমকে গেলাম। দিদারের অসুস্থতার কথা তো শুনিনি, হঠাৎ কী হলো তার? রাজু বেশ স্বল্পভাষী। চন্দন ভাইয়ের কথার জবাবে বললো, “ হ্যাঁ, ভালো আছে। “ “ভালো আছে? যাক॥” বলে একটু নিশ্চিন্ত ভাব দেখিয়ে চন্দন ভাই বটতলার নিচের গোল চত্বরে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসলেন। চানাচুর মুড়ি ভাজা নিলেন হাতে। খুব সিরিয়াস ভং্গি কওে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,” দিদারের কিডনীতে পাথর হইছিলো। সেই পাথ্থর বেইচ্চা দিদারে তিনটা বিল্ডিং বানাইছে। “ আমি তো এ কথা শুনে বেকুব বনে তাকিয়ে রইলাম- ভাবছিলাম, কী বলে এসব চন্দন ভাই?? অন্যেরা হো হো করে হেসে উঠলো। এর পর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ আরে , সুমি আপা, এই গল্প যে কতোজনরে কইছি, আমি । অনেকে বিশ্বাস ও করছে।... “ এবার আমি হা হা করে হেসে উঠলাম। গন্ডার আর কাকে বলে! এভাবে সেদিন এ্যাসাইনমেন্টের ফাঁকে ফাঁকে বিকেল পর্যন্ত মাতিয়ে রাখলেন চন্দন ভাই । এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার দিদার চোধুরী বেশ ভদ্র, বিনয়ী এবং মৃদুভাষী। আমাদের মতোই ক্রাইম আর আদালত পাড়ায় তার নিয়মিত পদচারণা ছিল। চন্দন ভাইয়ের সেদিনের গল্পের কয়েকদিন পর সিএমএম কোর্টেই এনটিভির দিদারের সাথে দেখা।সেদিন তার ও এ্যাসাইনমেন্ট ছিল। আমি তাকে এ গল্প বলতে যেতেই হো হো কওে হেসে উঠলো দিদার। বলে উঠলো, “ ও, আমার কিডনী বেচার গল্প?” আমি অবাক হলাম, এই গল্প সত্যিই চন্দন ভাই অনেক জায়গায় বলেছেন এবং দিদারেরও জানা। দিদার বললো , “ আমি শুনেছি চন্দন ভাই এই গল্প করেছেন।“ অন্যান্য রিপোর্টার দের মধ্যে চ্যানেল আই য়ের পরাগ আজিম সহ আরো কারা যেন ছিলেন। এবার আরেক প্রস্থ হাসির ঢেউ উঠলো সবার মধ্যে।
আরেক দিনের কথা মনে পড়ছে খুব। দেশাল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পত্রিকা দিয়ে প্রথম যেবার ফতুয়া বানায়, আমি খুব শখ করে কিনেছলিাম। সাদাকালো সেই ফতুয়া পরে এ্যাসাইনমেন্ট করতে যাই একদিন।
সেদিন সিএমএম কোর্টে চন্দন ভাই , দিদার দু’জনেই সম্ভবত ছিলেন। যথারীতি আড্ডায় গল্পে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন চন্দন ভাই। আমি , আরো কয়েকজন রিপোর্টার একটু দূরে দাঁড়িয়ে চন্দন ভাইয়ের রসালো গল্প শুনছিলাম। উনি হঠাৎ স্বভাবসুলভ ভং্গিতে হাত নেড়ে নেড়ে বলে উঠলেন, “ আইচ্ছা, দিদার , সবাই তো পত্রিকা পড়েন। পড়েন না?” সবাই হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন। চন্দন ভাই বলে উঠলেন, “ আইচ্ছা, সুমি আপাওে দেখছেন আপনারা আইজকা? গুমি আপা পুরা পত্রিকাটা গায়ে পইড়া চইলা আসছে!” এবার তো হাসির হুল্লোড় । এখানেই শেষ হলো না। আবার বললেন, “ আইচ্ছা পরাগ, আপনার সঙ্গে আমার ১শ’ টাকার বাজি- যদি আপনে সুমি আপার গায়ের পত্রিকা টা পড়তে পারেন. . . . .”
সেদিন ও সবার কাজের ক্লান্তি কেটে গিয়েছিলো চন্দন ভাইয়ের এমন হাস্য রসাত্মক গল্পে!
এই ক্ষণজন্মা নানান গেিণ গুণী ছিলেন । গান ও গাইতেন বেশ। একটি গানে তিনি বলেছেন- কত দুর তুমি যাবে প্রিয়া/তত দুর যাবো আমি/তোমার পথের বাঁকের শেষে/পাখিদের কানাকানি হবে/জানি পাখিদের কানাকানি।
---ওবায়দুল গনি চন্দন কম্পিউটারে লিখবার ফন্ট নিয়ে লিখেছেন , ছয় বান্ধবী-
সুলেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়
ভালোবাসি খুব তাকে,
তাইতো দেখি সে অনেক ব্যাপারে
সঙ্গী হয়েই থাকে।
সুশ্রীকে লাগে মোটামুটি ভালো
মেঘনাকে নয় মন্দ,
সুতন্বীর মুখ দেখা ইদানীং
করেই দিয়েছি বন্ধ!
সাবরীনা খুব পপুলার নয়
মাঝে মাঝে দেখা হয়,
চন্দ্রাবতীও নজর কেড়েছে
মনকে করেছে জয়!
বান্ধবী এরা? ধূর বোকা!
নাম
কম্প্যুটারের ফন্টের,
বুদ্ধিমানের দ্বিতীয় লাইনে
পেয়েছে হয়তো মন টের!
২০০৮ সালে যেদিন তার সাথে আমার অত্যন্ত স্নেহের ছোটবোন রুবিনার বিয়ে হয়, তার পর দিনই এ্যাসাইনমেন্টে রুবিনার সাথে দেখা হয়। রুবিনা আমাকে বলে , চন্দন ভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এর পর রুবিনার বাচ্চা হলো। সবই যেন আমাদের সামনেই, সবই যেন সেদিনের ঘটনা। গত ২৩ জুলাই রাত একটা বাজে পুত্র রাফীকে নিয়ে ফেসবুকে চন্দন ভাই লিখেছেন, এইটা আমার দুষ্ট একটা মিষ্টি বাচ্চা , এই বাচ্চাটা আমারেই চুরি করছে। “
নিজের এমন সর্বনাশ করা চরম অন্যায় হয়েছে তার । একবার রুবিনা আর তাদেও মিষ্টি সোনা বাচ্চাটার কথা ভাবলেন না। দেশের এমন মেধাবী সন্তান এমন অকালে সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন-কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না চন্দন ভাই।
চন্দন ভাই তার লেখায় বলেছিলেন, যেখানে পাখিদের কানাকানি হবে, যাবেন সেখানে। সবকিছু রেখে সবার অলক্ষ্েয নিজেই চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। তার কাজ আর লেখার মাঝে রয়ে যাবেন ওবায়দুল গণি চন্দন আর রয়ে যাবেন তার সহকর্মীদেও আড্ডায়!! ওুবিনা আর ছোট্ট রাফীর জন্যে গভীর সমবেদনা। এই শূণ্যতা কোনভাবেই পূরণ হবার নয়!
সুমি খান, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক জনকন্ঠ
এমন নিরস জায়গায় এক বিরল বিনোদন ছিল ওবায়দুল গণি চন্দন। তিনি তখন বাংলাভিশনে কাজ করতেন।
আমার এমনিতেই হাসির বাতিক আছে। যেদিন এ্যাসাইনমেন্টে চন্দন ভাই থাকতেন-অন্যান্য রিপোর্টার দের সব ক্লান্তি আর অবসাদ কেটে যেতো এক লহমায়।
চন্দন ভাই অনর্গল সরস গল্প বলে যেতে পারতেন। আকাশ থেকে শব্দ নিয়ে যেন গল্প বানাতেন । এ এক অনন্য গুণ। ওবায়দুল গণি চন্দনের সরস ভঙ্গিও অনায়াস গল্পে রামগড়–রের ছানাও অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে বাধ্য। চন্দন ভাইয়ের গল্পের অনেক মজার কিছু স্মৃতি আছে। যা মনে করে বারবার হাসি পায়। এরকম একটা গল্প এখানে তুলে ধরছি, যাতে চন্দন ভাইকে যারা দেখেননি, তারা তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারবেন।
একদিন এনটিভি থেকে রাজু এসেছিলো সিএমএম কোর্টে। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমরা একটু আগেই রওনা দিতাম। তখনো মামলা আদালতে উঠেনি। চন্দন ভাই , আমরা সবাই বটতলায় দাঁড়ানো। চন্দন ভাই হঠাৎ রাজুর দিকে তাকিয়ে এনটিভির দিদারের কথা জানতে চাইলেন। বললেন, “ আচ্ছা , দিদার কেমন আছে?“ আমরা সবাই একটু চমকে গেলাম। দিদারের অসুস্থতার কথা তো শুনিনি, হঠাৎ কী হলো তার? রাজু বেশ স্বল্পভাষী। চন্দন ভাইয়ের কথার জবাবে বললো, “ হ্যাঁ, ভালো আছে। “ “ভালো আছে? যাক॥” বলে একটু নিশ্চিন্ত ভাব দেখিয়ে চন্দন ভাই বটতলার নিচের গোল চত্বরে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসলেন। চানাচুর মুড়ি ভাজা নিলেন হাতে। খুব সিরিয়াস ভং্গি কওে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,” দিদারের কিডনীতে পাথর হইছিলো। সেই পাথ্থর বেইচ্চা দিদারে তিনটা বিল্ডিং বানাইছে। “ আমি তো এ কথা শুনে বেকুব বনে তাকিয়ে রইলাম- ভাবছিলাম, কী বলে এসব চন্দন ভাই?? অন্যেরা হো হো করে হেসে উঠলো। এর পর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ আরে , সুমি আপা, এই গল্প যে কতোজনরে কইছি, আমি । অনেকে বিশ্বাস ও করছে।... “ এবার আমি হা হা করে হেসে উঠলাম। গন্ডার আর কাকে বলে! এভাবে সেদিন এ্যাসাইনমেন্টের ফাঁকে ফাঁকে বিকেল পর্যন্ত মাতিয়ে রাখলেন চন্দন ভাই । এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার দিদার চোধুরী বেশ ভদ্র, বিনয়ী এবং মৃদুভাষী। আমাদের মতোই ক্রাইম আর আদালত পাড়ায় তার নিয়মিত পদচারণা ছিল। চন্দন ভাইয়ের সেদিনের গল্পের কয়েকদিন পর সিএমএম কোর্টেই এনটিভির দিদারের সাথে দেখা।সেদিন তার ও এ্যাসাইনমেন্ট ছিল। আমি তাকে এ গল্প বলতে যেতেই হো হো কওে হেসে উঠলো দিদার। বলে উঠলো, “ ও, আমার কিডনী বেচার গল্প?” আমি অবাক হলাম, এই গল্প সত্যিই চন্দন ভাই অনেক জায়গায় বলেছেন এবং দিদারেরও জানা। দিদার বললো , “ আমি শুনেছি চন্দন ভাই এই গল্প করেছেন।“ অন্যান্য রিপোর্টার দের মধ্যে চ্যানেল আই য়ের পরাগ আজিম সহ আরো কারা যেন ছিলেন। এবার আরেক প্রস্থ হাসির ঢেউ উঠলো সবার মধ্যে।
আরেক দিনের কথা মনে পড়ছে খুব। দেশাল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পত্রিকা দিয়ে প্রথম যেবার ফতুয়া বানায়, আমি খুব শখ করে কিনেছলিাম। সাদাকালো সেই ফতুয়া পরে এ্যাসাইনমেন্ট করতে যাই একদিন।
সেদিন সিএমএম কোর্টে চন্দন ভাই , দিদার দু’জনেই সম্ভবত ছিলেন। যথারীতি আড্ডায় গল্পে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন চন্দন ভাই। আমি , আরো কয়েকজন রিপোর্টার একটু দূরে দাঁড়িয়ে চন্দন ভাইয়ের রসালো গল্প শুনছিলাম। উনি হঠাৎ স্বভাবসুলভ ভং্গিতে হাত নেড়ে নেড়ে বলে উঠলেন, “ আইচ্ছা, দিদার , সবাই তো পত্রিকা পড়েন। পড়েন না?” সবাই হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন। চন্দন ভাই বলে উঠলেন, “ আইচ্ছা, সুমি আপাওে দেখছেন আপনারা আইজকা? গুমি আপা পুরা পত্রিকাটা গায়ে পইড়া চইলা আসছে!” এবার তো হাসির হুল্লোড় । এখানেই শেষ হলো না। আবার বললেন, “ আইচ্ছা পরাগ, আপনার সঙ্গে আমার ১শ’ টাকার বাজি- যদি আপনে সুমি আপার গায়ের পত্রিকা টা পড়তে পারেন. . . . .”
সেদিন ও সবার কাজের ক্লান্তি কেটে গিয়েছিলো চন্দন ভাইয়ের এমন হাস্য রসাত্মক গল্পে!
এই ক্ষণজন্মা নানান গেিণ গুণী ছিলেন । গান ও গাইতেন বেশ। একটি গানে তিনি বলেছেন- কত দুর তুমি যাবে প্রিয়া/তত দুর যাবো আমি/তোমার পথের বাঁকের শেষে/পাখিদের কানাকানি হবে/জানি পাখিদের কানাকানি।
---ওবায়দুল গনি চন্দন কম্পিউটারে লিখবার ফন্ট নিয়ে লিখেছেন , ছয় বান্ধবী-
সুলেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়
ভালোবাসি খুব তাকে,
তাইতো দেখি সে অনেক ব্যাপারে
সঙ্গী হয়েই থাকে।
সুশ্রীকে লাগে মোটামুটি ভালো
মেঘনাকে নয় মন্দ,
সুতন্বীর মুখ দেখা ইদানীং
করেই দিয়েছি বন্ধ!
সাবরীনা খুব পপুলার নয়
মাঝে মাঝে দেখা হয়,
চন্দ্রাবতীও নজর কেড়েছে
মনকে করেছে জয়!
বান্ধবী এরা? ধূর বোকা!
নাম
কম্প্যুটারের ফন্টের,
বুদ্ধিমানের দ্বিতীয় লাইনে
পেয়েছে হয়তো মন টের!
২০০৮ সালে যেদিন তার সাথে আমার অত্যন্ত স্নেহের ছোটবোন রুবিনার বিয়ে হয়, তার পর দিনই এ্যাসাইনমেন্টে রুবিনার সাথে দেখা হয়। রুবিনা আমাকে বলে , চন্দন ভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এর পর রুবিনার বাচ্চা হলো। সবই যেন আমাদের সামনেই, সবই যেন সেদিনের ঘটনা। গত ২৩ জুলাই রাত একটা বাজে পুত্র রাফীকে নিয়ে ফেসবুকে চন্দন ভাই লিখেছেন, এইটা আমার দুষ্ট একটা মিষ্টি বাচ্চা , এই বাচ্চাটা আমারেই চুরি করছে। “
নিজের এমন সর্বনাশ করা চরম অন্যায় হয়েছে তার । একবার রুবিনা আর তাদেও মিষ্টি সোনা বাচ্চাটার কথা ভাবলেন না। দেশের এমন মেধাবী সন্তান এমন অকালে সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন-কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না চন্দন ভাই।
চন্দন ভাই তার লেখায় বলেছিলেন, যেখানে পাখিদের কানাকানি হবে, যাবেন সেখানে। সবকিছু রেখে সবার অলক্ষ্েয নিজেই চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। তার কাজ আর লেখার মাঝে রয়ে যাবেন ওবায়দুল গণি চন্দন আর রয়ে যাবেন তার সহকর্মীদেও আড্ডায়!! ওুবিনা আর ছোট্ট রাফীর জন্যে গভীর সমবেদনা। এই শূণ্যতা কোনভাবেই পূরণ হবার নয়!
সুমি খান, বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক জনকন্ঠ
No comments:
Post a Comment