Monday, April 28, 2014

ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় -কামাল লোহানী


এমনিতেই এবি সিদ্দিকের অপহরণকে অনেকেই নাটক বলতেও ছাড়ছেন না, তার ওপর আবার ম্যাডাম খালেদা জিয়ার পরোক্ষ ইঙ্গিতবহ এক মন্তব্য দেশবাসীকে নতুন করে সন্দেহ, নাটকীয়তা এবং বিভ্রান্তির গোলক ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। তিনি বেশ জোরগলায়ই বলেছেন, অবৈধ সরকার পতনের ভয়ে এবি সিদ্দিককে ছেড়ে দিয়েছে। তাকে ছেড়ে দিয়ে সরকার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। (যা হোক, বৈধ কি অবৈধ প্রশ্নটি না তুলে এই বুঝি প্রথম সরকারের প্রশংসাই করলেন ম্যাডাম)।
 অবশ্য পরেই বলেছেন, না হলে এখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হতো। পরে আবার এ অপহরণ ও ছেড়ে দেয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

কিন্তু ম্যাডাম আমার প্রশ্ন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেটের ইলিয়াস আলী আজ দু’বছর হলো অপহৃত হয়েছেন, সে ব্যাপারে তো আন্দোলন শুরুর কোন কথা গত দু’বছরে বলেছেন বলে তো আমার মনে পড়ে না। তো সিদ্দিক সাহেব অপহৃত হওয়ায় এতই ক্ষুব্ধ হলেন কেন যে, একেবারে সরকার পতনের আন্দোলনই শুরু করে দিবেন? আর কতবার সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকি দেবেন? নাকি, সত্যিই এবার শুরু করেই ফেলবেন? প্লিজ, শুরু করুন না। 

আমরাও সংক্ষুব্ধ, সঙ্গ দিতে পারব না তবে দূর থেকে হাততালি দেব। নাকি আপনাদের ‘আন্দোলন’ ‘আন্দোলন’ ফানুসটা ফুটে হয়ে গেছে? শুনলাম, জামায়াত কিছুটা বৈরী। হয়ত জোট (১৯ দল) ছাড়তেও পারে। তাই বোধহয় ‘অনাস্থা’ দেখা দিয়েছে মনে কারণ গত সময়ের আন্দোলনে আপনাদের নেতাদের ময়দানে-রাজপথে দেখা যায়নি। আপনি তাতে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। গত বছরের তথাকথিত আন্দোলন নামের সহিংসতা তা-ব তাই তো দেখা যায় যে হিংস্রতায় ঘটিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন, তা তো আপনাদের জোটের পেয়ারা দোস্ত জামায়াতই ঘটিয়েছে। এবারের ‘পতন আন্দোলন’ কাকে নিয়ে করবেন? দিশেহারা হয়ে মায়ে-ব্যাটায় পাগলের প্রলাপ বকে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত বেচারা সিদ্দিককেও ভর করতে চেয়েছিলেন বলে বক্তব্য দিয়েছেন।

বুঝলাম না, সিদ্দিক সাহেব বিএনপির কি আন্ডারগ্রাউন্ড সদস্য যে তাকে না মুক্ত করতে পারলে সরকার পতনের আন্দোলনই করে ফেলতেন। ভাগ্যিস, করেননি। তবে ম্যাডামের এমত আস্ফালন বেচারা সিদ্দিক সাহেবের অপহরণ ও মুক্তির ঘটনাকে আরও সন্দেহগ্রস্ত করে তুলেছে সাধারণ নাগরিকদের কাছে। সামাজিক গণমাধ্যমে যে যা ভাবছে, লিখে যাচ্ছেন। ভাল-মন্দ কোনটাই বিচার করার সুযোগ তো জনগণের নেই, তাই যারা বিত্তশালী সংশ্লিষ্ট সংগঠক-কর্মী তারাই কেবল কথা বলছেন, তা কিন্তু নয়, এখন তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হচ্ছে অনেকক্ষেত্রেই।


এর মধ্যে খালেদা জিয়ার সিদ্দিক-রিজওয়ানা প্রসঙ্গে বক্তৃতবাজি আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি বলেই ভাবছেন বহুজন। তাই সবার ধারণা ডাল মে কুছ হ্যায়। অন্যদিকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বেলার নির্বাহী প্রধান, ঃধষশবফ ধনড়ঁঃ পরিবেশবাদী সংগঠক-আইনজীবী, যিনি সাহসের সঙ্গে পরিবেশ শুদ্ধ রাখার কাজে অসাধারণ কৃতিত্ব ও মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি কিন্তু সরকারের সমালোচক হয়েও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই ঘটনাটি তদারক করেছে বলে এত চটজলদি তার স্বামী মুক্তি পেয়েছেন বলে প্রশংসাও করেছেন। 


ভদ্রমহিলা কুশলী পরিবেশ নেত্রী, তিনি গণমাধ্যম, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ও র‌্যাব পুলিশদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। আবার তিনিই নারায়ণগঞ্জ থানায় কর্তাদের ওখানকার টর্চার সেলও খুঁজে দেখতে নাকি বলেছিলেন। এতসব বলেকয়েও ওরা দু’জনাই সিদ্দিক এবং রিজওয়ানা বহু সন্দেহের উদ্রেক করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা তো সিদ্দিকের অসংলগ্ন তথ্য দেয়ায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। 

ওদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, রিজওয়ানা কার স্বার্থে এমন করেছেন? ম্যাডাম খালেদা জিয়া না হয় রাজনৈতিকভাবে শাসক দলকে শায়েস্তা করার অজুহাত সুযোগ খুঁজছেন। ক্ষমতায়, যখন ১৪ দল অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ঐক্যের সরকার; তখন খালেদা তো অবশ্যই তাকে খোঁচাতে পারলে ছাড়বেন কেন? কিন্তু সে খোঁচা যে তার বা তাদের ওপরই পড়বে, সেটা তো ভাবেননি। তিনি এবং তার পলাতক জ্যেষ্ঠ পুত্র যে ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াসে মত্ত হয়ে উঠেছিলেন, তাকে খুব একটা জমাতে বা জনগণকে খাওয়াতে ব্যর্থ হয়ে ডুবন্ত ব্যক্তির মতন খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। সেটা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। ধুয়া ধরেছিলেন পরিষদ দলে কোরাসেও কিন্তু কোন ফায়দা হলো না। তাই যখন তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ করতে যাচ্ছেন এবং আগেই চিৎকার করতে শুরু করেছেন যদি বাধা দেয়া হয় তবে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এসব উল্টাপাল্টা এবং আগাম হুমকি ধমকি দিয়েছেন।

মাননীয় ম্যাডাম, এমন কথা যে বলবেন এবং এরই অছিলায় নানান ঝঞ্ঝাট বাধাবেন, তা তো আমরা জানিই, আপনার কথা শুনতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম না। আজ থেকে আট বছর আগে যখন আপনারা গদিতে ছিলেন, তখন কেন কোন উদ্যোগ, পদক্ষেপ বা আন্দোলন শানাননি? তখন কি ভেবেছিলেন? ভারতকে কোনভাবে তোষণ করা যায় কিনা! ম্যাডাম বিরোধীদলীয় নেত্রী (সংসদে না গিয়েও) নিজেকে যখন দিল্লী গিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্বার্থ নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন কি করে তিস্তার মতন এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলাপ করতে ভয় পেলেন? লাল গালিচা কালো হয়ে যাবে সেই ভয়ে?


আবার গ্যাস, বিদ্যুত নিয়ে যখন কথা বলেন, তখন কি খেয়াল থাকে না কী সব কেলেঙ্কারী করেছেন সেই আপনাদের জমানায়? বিদ্যুতের জন্যে তো ১০-১০টা তরজাতা জোয়ান মরদকে মেরে ফেলেছিলেন, সে কথা কি খেয়াল আছে? এখন এ সরকারের বিদ্যুত সংকট সমাধানের উপায় দেখে এত গোস্বা হন কেন? বর্তমান সরকার তো তবু সংকট সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানে আপনারা সহযোগিতা তো দূরের কথা, সমালোচনা করছেন। কারণ উন্নয়ন রুখতে পারলে নিজেদের গৌরব বাড়বে বলে মনে করছেন বুঝি। জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে মার্কিনীদের তেলাতে গিয়ে কী সর্বনাশটাই না নিজেদের করেছেন, এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন। তাই মাথা খুটে মরবেন আর সভা-সমাবেশে মিথ্যাচার-অপপ্রচার দিয়ে সে অজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দীনতা ঢাকতে চেষ্টা করছেন। এতে কোন লাভ হবে না। সত্যিই গাড়ি মিস্ করেছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আগে শেখ হাসিনা আপনাদের অংশগ্রহণের জন্য এমনকি আলোচনায় বসার দাওয়াতও দিয়েছিলেন কিন্তু গ্রাহ্য করলেন না। যদি রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতেন এবং সত্যিই জনগণের কল্যাণ ও ভালো চাইলে করার জন্য ক্ষমতা বসতে পারতেন। 


আসলে বিএনপির আন্দোলনের সাহস এবং শক্তি তো জামায়াতই। তাই এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময় জামায়াত কোনক্রমেই বিএনপিকে ত্যাগ করবে না এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও ধ্রুব সত্য যে, বিএনপিও জামাতকে ছেড়ে ডাঙ্গায় ইলিশ এর প্রাণ। কি কোরে এই পূত পবিত্র বন্ধন ছিন্ন করবে তারা? তাই তো আওয়ামী ঝাঁক ধরে যোগ দেয়াটা যেমন লোক দেখানো, তেমনি এই যোগদানকে কৌশল হিসেবেই বিবেচনা করা উচিত আওয়ামী লীগেরও। এতে পুলকিত হবার কিংবা ফুল দিয়ে বরণ করার বিষয় এটা নয়। জামায়াতীরা নিষিদ্ধ হবার আগে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে দুটো লাভ ওদের। এক. নিরাপদ আশ্রয় মিলল; দুই. আওয়ামী লীগ থেকে জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন সহজ হবে। এ কৌশল নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ বুঝতে পারছে, তাই ওদের সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ এর ফলে আওয়ামী লীগের জনভিত্তি নড়বড়ে হতে থাকবে ওদের নানান নাশকতামূলক কার্যক্রমে। ক্ষতি আওয়ামী লীগেরই হবে আর জামায়াত চক্রের লাভ হবে। ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। 


আওয়ামী লীগকেই লোকে দোষারোপ করতে থাকবে। তাতে পরোক্ষ কেন বিএনপিরই সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক ফায়দা হবে। যতই আওয়ামী মহল বলুক না কেন এগুলো জামায়াতী বা শিবির গোপনে ঢুকে এ সহিংসতা বা গণবিরোধী কাজ করে আওয়ামী লীগের ফুটহোল্ড দুর্বল করে গেছে। তাই সাবধান!

বিভিন্ন পত্রিকার খবরে জানতে পারলাম যে বিএনপি’র গাড়ি বহরের ঢাকা থেকে তিস্তায় পৌঁছতে কোন সরকারী বাধা, দলীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে নাকি হয়নি। 


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করে জনগণ বিশেষ করে দলীয় সমর্থকদের উসকে দেবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু জনগণ তাঁদের কথা শুনেছেন কিন্তু রুষ্ট বা রুদ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। তাই মোটরে চড়ে লংমার্চ শান্তিপূর্ণ হয়ে গেল। হায়রে বিএনপি, এত গর্জন করে নানা দোষারোপ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হলো। আশঙ্কা বাস্তব হলো না। তাহলে কি করতে হবে? এই অবৈধ সরকার ব্যর্থ পানি আনতে তো এদের সরিয়ে জনগণের সরকার আনলে পানি সমস্যা দূর হবে। 

মির্জা ফখরুলের সরকার পতনের আন্দোলন সেভাবে সাড়া পেল না। নীলফামারীর বিএনপি নেতা কেউ নাকি একটি বিশেষ চ্যানেলকে বলেছিল, ডালিয়া পয়েন্টে তিন লাখ লোকের সমাগম ঘটবে। এই আশাবাদ প্রচার করে বিএনপি সমর্থকেরা ভেবেছিল জনগণকে ভাঁওতা দেয়া যাবে। কিন্তু তা তো হলো না। কত লোক জমায়েত হয়েছিল বিএনপি সমর্থক চ্যানেলগুলোই বলুক না কেন! আবার এদেরকে তিস্তায় পানি বাড়তে দেখে বিএনপি পাছা চাপড়ে বলেছে, তাদের মার্চের কারণেই তিস্তায় পানি ছেড়ে দিয়েছে। সত্যিই, মমতা অথবা মনমোহন ভয় পেয়েছে বিএনপির গাড়ি মার্চকে, তাই পানি ছেড়েছে। 

মনে রাখবেন, মমতার জন্যে অনেক সমস্যা বাংলাদেশের, হাল হয়নি। কিন্তু ঐ ভদ্রমহিলার কপটতার কারণে আমরা সাফার করছি এতকাল। হঠাৎ কেন জল ছেড়ে দিল? ভারতে নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গেও ভোটগ্রহণ চলছে। শেষ হবে ১২ মে। তো কপটতার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তিনি পারঙ্গম। তাই হয়ত, এবার এমনি একটি হঠাৎ মমতা দেখিয়েছেন। আমার ধারণা, সবাই তো জানে মমতার কারণেই তিস্তাচুক্তি হচ্ছে না। পানিও যথাযথ পাচ্ছি না। সেই হয়ত উদারতার মমত্ব দেখিয়েছে। না, তা নয়।

 মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমকে যেভাবেই হোক ঠেকাতে মমতা বদ্ধপরিকর, যে ছলে বলে কৌশলে, সেভাবেই হোক না কেন নির্বাচনে জয়ী হবার জন্য ছিটমহল সম্পর্কে যে কৌশল নিয়েছে একই কৌশল হয়ত এখানেও নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেকায়দায় ফেলবার জন্য হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে যদি বিএনপি চক্র নির্বাচন করেই এবং জয়লাভ করে যায়, তাহলে যেন মিত্রতার হাত বাড়িয়ে মমতা বলবেন, দেখুন কেরামতি। কেন্দ্র আমার ওপর দোষারোপ করছিল আমি নাকি চুক্তি হতে দিচ্ছি না। তাহলে এ পানি এলো কোত্থেকে?

 যাক গে, এত কষ্টের মধ্যে থেকেও বিএনপির জনসমাবেশে মানুষের যে ঢল নামবার কথা নাকি ছিল, তা কেন হলো না? তবে কি সেই পুঁথির পাঠ মনে করব। লাখে লাখে লোক মরে, শুমার করিয়া দেখে চল্লিশ হাজার। এবার তিস্তাপাড়ে মানুষ আসলেন না, তাতে মনঃকষ্ট বাড়ত বৈ কমত না। না গিয়ে ভালই করেছেন। লোকে বলছেন, এতদিন হয়ে গেল, ম্যাডাম পলিটিক্স বুঝতে পারছেন, তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে যাবার প্রশ্নে দলের জনসম্পৃক্ততা বাড়লো সেটা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাক, সফলভাবেই শেষ হয়েছে মোটরযান যাত্রা। 

বর্তমান সরকার এক গেলাস পানিও আনতে পারেনি বলে বিএনপি নেতারা বক্তৃতায় গলা উঁচিয়ে কথা বলেছেন। জিয়ার সময় বিএনপি পেরেছিল। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো এমনি পাল্টাপাল্টি বক্তব্য-সন্ত্রাস করে থাকে। এতে রাজনৈতিক ঘোলাটে হয় এবং পরিবেশ দূষিত হয়। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা, অসন্তোষ বাড়ে এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এসব দূরাচারী নিপীড়নমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে। না হলে কলঙ্কিত রাজনৈতিক দিনপঞ্জির পৃষ্ঠা বাড়তেই থাকবে। ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। সে কি আদৌ রাজনীতি? জনগণের?


লেখক : সাংবাদিক

No comments:

Post a Comment