Saturday, February 15, 2014

শ্যামার উপাখ্যান- সুমি খান

পদ্মা এক্সপ্রেস ছুটে চলেছে।  জানালার বাইরে অপরূপ প্রকৃতি। মুগ্ধতার সুযোগ কৈ আর!পাশের সিটের ভদ্র্রলোক নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন। তমালের এতো বিরক্ত লাগছে, কিছু বলার নেই।
ট্রেনের গার্ড টিকেট চেক করতে এলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম ভেঙ্গে জাগতে হলো পাশের ভদ্রলোক কে। তমার মনে মনে শান্তি পেলো এই ভেবে, তার কর্ণকুহরে আর সশব্দে ইঞ্জিন চলবে না অন্তত!
হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন ডেকে উঠলো ," শ্যামা, ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস্?"
সুলতা?? কে?
অনেকদিন পর এই নাম শুনলো তমাল। স্লাইড শটের মতো মনে পড়লো - শ্যামার কথা! কেমন আছে? এখন কোথায় আছে?  তমালের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো!
 বাবার বদলী সূত্রে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো তমালেরা। সেই দুরন্ত কৈশোরে  এলাকার পিটিআই প্রাইমারী স্কুলে একই ক্লাসে পড়তো তমাল আর শ্যামা।স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে অনেকের সাথে শ্যামাও একই পথে বাড়ি ফিরতো। ভীষণ  দুরন্ত ছিল শ্যামা। অকারণেই খুনসুটি হতো দু'জনের!
প্রাথমিক স্কুল ছেড়ে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলো তমাল। শ্যামা ও চলে গেলো অপর্ণাচরণ স্কুলে। শ্যামার বাবা-মা তার স্কুলের কাছে নন্দনকাননে বাড়ি ভাড়া নিলেন।
একদিন  মুসলিম হাই স্কুলের পর্তুগীজ ভবনে আন্ত:স্কুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলো। ক্লাস সেভেনে পড়তো তমাল। তবলা আর গানে ভালোই ছিল। আবৃত্তি, জারি গান আর ভাওয়াইয়া গানের প্রতিযোগী ছিল তমাল। নানান বিভাগে কলেজিয়েট স্কুলের সাথে খাস্তগীর স্কুল, অপর্ণাচরণ স্কুল, পোস্তারপার স্কুলের প্রতিযোগিতা।
হঠাৎ


No comments:

Post a Comment