Tuesday, December 3, 2013

আবার একাত্তর ॥ কার কোথায় অবস্থান?-আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী


ঢাকায় আমাদের এক পরিচিত জ্যোতিষীকে সম্প্রতি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে? জ্যোতিষী বলেছেন, ‘আমার গণনা বলে, এই পরিস্থিতি সহসাই পরিবর্তিত হবে এবং মহাজোট ক্ষমতায় থাকবে।’ জ্যোতিষী-বাক্যে আমার খুব একটা বিশ্বাস নেই। কিন্তু আমার কোন কোন বন্ধু তাতে মহা উৎসাহী হয়েছেন, বিশেষ করে আমরা রাজনৈতিক-গবেষক বন্ধু মোনায়েম সরকার উৎসাহের আধিক্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটা নোট পাঠিয়ে জ্যোতিষীর কথাটা তাঁকে জানিয়েছেন। হাসিনা জবাব দিয়েছেন, জ্যোতিষী আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন না। আল্লাহ আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ইংরেজীতে তিনি লিখেছেন, ‘‘অষষধয রিষষ ফবপরফব ড়ঁৎ ভধঃব.’’
আমি কথাটা জানার পর শেখ হাসিনার সাহস ও আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে আরও বেশি প্রত্যয়ী হয়েছি। এই সাহস ও আত্মবিশ্বাস তিনি পেয়েছেন তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে। ১৯৭১ সালের গোড়ায় সেই ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক প্রলয়ের দিনগুলোর একটি দিনের কথা এখনও আমার মনে আছে। তখন অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে সারা বাংলা উত্তাল। ঢাকায় মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক চলছে। এই সময় বঙ্গবন্ধু এক সকালে বত্রিশ নম্বর ধানমণ্ডির বাসার বারান্দায় বসে আছেন। কথা বলছেন আমাদের সঙ্গে। লোকজন আসছে-যাচ্ছে। তখন এক যুবক তাঁর কাছে এসে দাঁড়ালেন। 
পরে জেনেছি, তিনি তখনকার ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) এক জুনিয়র বাঙালী অফিসার ছিলেন। ঢাকা বিমান বন্দরে তাঁর পোস্টিং ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুকে গোপনে নানা খবরাখবর জানাতেন। সেদিন তিনি বঙ্গবন্ধুকে জানালেন, ইয়াহিয়া একদিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক করছেন, ভাব দেখাচ্ছেন আলোচনা সফল হবে। অন্যদিকে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্লেনভর্তি করে সৈন্য ও অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানে। ভারতের ওপর দিয়ে পাকিস্তানের প্লেন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। সুতরাং সিলোন (শ্রীলঙ্কা) হয়ে এই সৈন্য ও অস্ত্র আনা হচ্ছে। ইয়াহিয়ার মনে অন্য কোন মতলব আছে।
কথাটা শুনে বঙ্গবন্ধু ভাবিত হয়েছিলেন। ভাবিত হয়েছিলাম তখন ৩২ নম্বরে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকও। পরিস্থিতি তখন দিন দিন খুবই ঘোলাটে হচ্ছে। আজকের মহাজোটের মতো সেদিন দেশের বামদের একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ বটে; কিন্তু তখনকার চীনপন্থী বামরা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ঘোট পাকাচ্ছে। মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলাম প্রভৃতি সাম্প্রদায়িক দল প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির বিপক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। প্রবীণ বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ আজকের বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশের মতো বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করছে, দেশময় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আজকের প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার মতো তখনকার দৈনিক আজাদ ও মর্নিং নিউজের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত শঠতাপূর্ণ। বামপন্থী বলে পরিচিত এনায়েতুল্লা খানের ‘সাপ্তাহিক হলিডে’ পত্রিকাটি তো প্রতি সপ্তাহে প্রোপাগান্ডা চালাত, শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভে সামরিক জান্তার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, সংগ্রামে নামবেন না। তিনি সংগ্রামের নামে জনসাধারণকে প্রতারণা করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি, চারদিকে জটিল ও কুটিল পন্থায় অনুসারীদের চক্রান্ত এবং এই বঙ্গবন্ধু একা নিরস্ত্র সেনাপতি, তখন আমরা ভেবেছি, তিনি কি পারবেন এই মহাদুর্যোগ পাড়ি দেয়ার শক্তি ও সাহস দেখাতে? নাকি পরাজয় বাঙালীর ললাটলিপি? ইপিআরের জুনিয়র বাঙালী অফিসারটি বঙ্গবন্ধুকে যে খবরটি দিয়ে গিয়েছিলেন, তা জেনে বঙ্গবন্ধুর মনে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল জানি না; কিন্তু আমরা সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম। 
আমি বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু, এখন কী হবে? ওরা তো বাংলাদেশের মাটিতে সৈন্য ও অস্ত্র নামাতে শুরু করেছে। ভাবচক্কর ভাল মনে হয় না, আমরা নিরস্ত্র। এখন কী হবে? বঙ্গবন্ধু পাইপ টানছিলেন, সেটি ঠোঁট থেকে সরালেন, রুমালে ঠোঁট মুছলেন। তার পর ধীরকণ্ঠে পাঠ করলেন, ‘নাসরুন মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব।’ আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন, এর অর্থ এবং শানে নজুল জানো? 
আমি একটা সময় পর্যন্ত মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। পবিত্র কোরানের এই পঙ্ক্তিটির অর্থ ও শানে নজুল জানতাম। বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু, আমি এর অর্থ জানি। শক্তিশালী কাফের সৈন্যের সঙ্গে যুদ্ধে মহানবী (দ) পরাজয় যখন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, তখন এই আয়াত নাজেল হয়েছিল, আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা ভীত ও শঙ্কিত হয়ো না। আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় তোমাদের সন্নিকটবর্তী। এই যুদ্ধ অনিবার্য পরাজয় ঠেকিয়ে মুসলমানরা জয়ী হয়েছিল। আমার এই জবাব শুনে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত প্রত্যয়পূর্ণ কণ্ঠে বলেছিলেন, আমরা নিরস্ত্র ও শত্রুবেষ্টিত হতে পারি। কিন্তু আল্লাহ জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবেন। আমার বিশ্বাস এই যুদ্ধে জনগণ জয়ী হবে।
বহু বছর আগের কথা। আবার শেখ হাসিনার কণ্ঠে সেই কথার অনুরণন শুনলাম। এই যুদ্ধে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জনগণের চূড়ান্ত জয়ে আস্থা না থাকলে শেখ হাসিনার পক্ষে জীবনবাজি রেখে নিজের কঠোর অবস্থানে টিকে থাকা সম্ভব হতো না। একদিক থেকে বঙ্গবন্ধুর চাইতেও অনেক বেশি কঠিন সংগ্রামে শেখ হাসিনা রত এবং বঙ্গবন্ধুর চাইতেও অনেক বেশি শত্রুবেষ্টিত এবং চারদিক থেকে অবরুদ্ধ। তাঁর দেশী-বিদেশী শত্রুপক্ষও অনেক বেশি শক্তিশালী। তাদের প্রোপাগান্ডা আরও বেশি চাতুর্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। শেখ হাসিনা তবু নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েও যেমন রণাঙ্গন ছেড়ে যাননি; আজও রণাঙ্গন ছাড়ছেন না। তাঁর এই সাহস ও দৃঢ়তাই হয়ত বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সব চক্রান্ত ব্যর্থ করবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপদমুক্ত রাখবে। 
শেখ হাসিনার হালের অবস্থা একনজরে একটু দেখা যাক। তাঁর মহাজোটের ঐক্য অক্ষুণœ আছে বটে, কিন্তু মহাজোট চারদিক থেকে আক্রান্ত। এটা একাত্তরের অসমাপ্ত যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি। একাত্তরের পরাজিত চক্র এবার অনেক বেশি শক্তি সংগ্রহ করে ডেসপারেট হয়ে যুদ্ধজয়ের চূড়ান্ত প্রচেষ্টায় নেমেছে। দেশময় চালাচ্ছে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-। এক ফ্রন্টে স্বাধীনতার এই শত্রুপক্ষকে মোকাবেলা করা হাসিনা সরকারের পক্ষে কঠিন হতো না, যদি আর তিন ফ্রন্টে তিন ধরনের চক্র হাসিনা সরকারকে উচ্ছেদে দলবদ্ধ হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার শত্রুপক্ষকে সাহায্য না জাগাতো। 
এই তিন ফ্রন্টের তিন চক্র হচ্ছে, (ক) একটি সুশীল সমাজ ও এলিট শ্রেণীর সুযোগসন্ধানী অংশ নিয়ে গঠিত ইউনুস শিবির; (খ) নিরপেক্ষতার মুখোশ ঢাকা একটি হাসিনা-বিদ্বেষী মিডিয়া সার্কেল, যাঁর নেতা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার; যাঁরা আবার ইউনুস-শিবিরেরও অনুগ্রহভোগী; (গ) রাজনীতিতে বার বার জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত কিছু প্রবীণ ও নবীন রাজনৈতিক নেতা, যাঁদের মধ্যে আছেন ড. কামাল হোসেন, ডা. বদরুদ্দোজা, কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে।
এই তিন চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে যা করছে, অর্থাৎ হাসিনা সরকারের অবিরাম বিরোধিতা এবং হাসিনাবিরোধী প্রচার, তা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নয়, বিপক্ষের শিবিরকে সহায়তা যোগাচ্ছে। ড. ইউনূসের কাছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থের চাইতে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বার্থ অনেক বেশি বড়। এই স্বার্থের জন্য দেশ গোল্লায় যাক, সে জন্য তাঁর পরোয়া নেই। তিনি বিদেশে বসে শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধেই ঘোট পাকাচ্ছেন।
হাসিনা সরকারকে আর কোনভাবে কাবু করতে না পেরে ২০০৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি তা প্রমাণ করার জন্য প্রায় মস্তিষ্কবিকৃত এক সাংবাদিকের দ্বারা সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের লেখা বলে প্রচারিত একটি পুরনো চিঠি আবার বাজারে ছাড়া হয়েছে। হিলারি ক্লিনটন যে ড. ইউনূসের পুরনো বান্ধবী এটা সর্বজনবিদিত। গ্রামীণ ব্যাংকে ইউনূসের মালিকানা বহাল রাখার জন্য আমেরিকার সকল প্রকার সরকারী প্রভাব হিলারি বাংলাদেশের ওপর খাটাবার চেষ্টা করেছেন। পারেননি। এখন তাঁর লেখা বলে প্রচারিত একটি পুরনো চিঠি ইউনূস-শিবিরের ঝোলা থেকে বের করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউনূস-শিবিরের দেউলিয়াত্বই এতে প্রমাণিত হয়।
মহাজোটের ভেতরেও শেখ হাসিনার জন্য সমস্যা আছে। তিনি চতুর্মুখী চক্রান্ত থেকে দেশ এবং গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য মহাজোটে সিন্দবাদের বৃদ্ধ দৈত্যটিকেও গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই দৈত্যের মতিগতি ভাল নয়। তিনি সকালে যা বলেন, বিকেলে নিজেই তাঁর প্রতিবাদ করেন। তিনি কারও পরীক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু সেটাও আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীন সরকারে বহু আসন নিয়েছেন। এখন আবার বলছেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না। কারণ, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। এটাও তাঁর শেষ কথা, তা কেউ বিশ্বাস করছে না। এটা নতুন কোন দরকষাকষি কি না কে বলবে?
তবু এই বৃদ্ধ দৈত্যকেও সহ্য করে চলতে হচ্ছে মহাজোটকে। রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেতুবন্ধ বাঁধার জন্য রামকে বানরদের সাহায্য গ্রহণ করতে হয়েছিল। বাংলাদেশেও রাবণ বধের যুদ্ধে শেখ হাসিনাকে কোন কোন বিতর্কিত ব্যক্তি ও দলের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে আমার একটি ধারণা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বৃদ্ধ সিন্দবাদ যেভাবে পানি ঘোলা করে চলেছেন, তাতে এই ঘোলাপানি তাঁকেই একদিন পান করতে হবে এবং দেশের রাজনীতি থেকে তাঁর বিদায়ের দৃশ্যটি হবে শিক্ষামূলক।
সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন, কিন্তু জনজীবনকে নিত্যবিড়ম্বনা থেকে মুক্ত করতে পারছেন না। দেশের হাইওয়েগুলোকে যদি সন্ত্রাসমুক্ত করা না যায়, তাহলে ঢাকায় বিভিন্ন জিনিসপত্র ও মাছ, তরিতরকারি সরবরাহ কমবে এবং দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। দেশের আমদানি-রফতানিবাণিজ্যেও তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। দেশের ব্যবসায়ী মহল তাই উদ্বিগ্ন। তাঁরা ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরকারকে এ ব্যাপারে সহসাই একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। 
পরিস্থিতি কোন্্ দিকে গড়াবে, তা আগামী দু’এক দিনের মধ্যে পরিষ্কার হবে তা মনে হয় না। এই যুদ্ধ দুটি রাজনৈতিক দল বা পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ একাত্তরের অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব। এই যুদ্ধে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের জয়-পরাজয়ের ওপর বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে। শেখ হাসিনা যে অদম্য সাহস নিয়ে চতুর্দিকে পরাক্রান্ত দেশী-বিদেশী শত্রুবেষ্টিত অবস্থাতেও সাহসের সঙ্গে লড়াই করছেন, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে অতুলনীয়।
আমরা বলে থাকি চূড়ান্ত যুদ্ধে জনগণের কখনও পরাজয় ঘটে না। বর্তমানের ঘনায়মান দুর্যোগ যত ভয়ঙ্কর হোক, হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে জনগণ তা অতিক্রম করবে সে বিশ্বাস আমার আছে। কিন্তু এই যুদ্ধে আমাদের সুশীল সমাজ ও এলিট ক্লাসের একটা বড় অংশের চতুর ও প্রতারণাপূর্ণ অবস্থান যুদ্ধজয়কে কঠিন করে তুলছে। যার জন্য ভোগান্তি হচ্ছে জনগণের। এর খেসারতও একদিন গত শতকের ত্রিশের ইউরোপের বুদ্ধিজীবী ও এলিট ক্লাসের মতো বাংলাদেশের বর্ণিত এলিট ক্লাস ও সুশীল সমাজকে অবশ্যই দিতে হবে।

[লন্ডন, ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ২০১৩]

No comments:

Post a Comment