যাই হোক সাজেকের অভিজ্ঞতা আর একটু শেয়ার করি । (ন্ হালিলে ভিলে দুধও হেই ন পায়) । যখন আমার গন্তব্যস্থলে পৌঁছালাম প্রায় অন্ধকার হয়ে আসছে । কারণ বৃষ্টির কালো মেঘ সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি । ( দেরী এজন্য আমারর রথ দেখা আর কলা বেচা । দিঘীনালায় থেমেছি ৩ ঘন্টার মত । কারণ মামা বাড়ী + নানি অসুস্থ তাকেও দেখা) ঠিক সে সময় দু'জন ঢাকায়া ছেলে বলে উঠলো এই সময়েও বেড়াতে আসে !! আমি বললাম এখানেই রাতে থাকবো । ওরা অবাক !! কোথায় থাকবেন।? বললাম দেখে যেতে পারেন । ওরা রুমের ভাড়া শুনে যত না অবাক তারচেয়ে আরো বেশী অবাক হ্যাডম্যান বাবু'র মেয়ের জামাইয়ের পেটানো শরীর দেখে !! ওহ্ দাদা কিভাবে এই বডি বানালেন ? আমরাতো ফার্মের মুরগী হয়ে গেছি । অনেক চেষ্টা করেও পারছি না 😃😃 আসলেই ওদের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করে দেখলাম লম্বা একহারা গড়ন পেটানো শরীর ।ওদের লোভি বা কেন হবে না !! সাজেকবাসীর আগে বাজারে যেতেই লাগত দু'দিন । এখন রাস্তা হওয়ার কারণে দিনের ভিতরেই ফিরতে পারে । আগে যে কলার ছড়া বিক্রি করতো ১ দিনের পথ হেঁটে ২০ টাকায় সে কলা এখন বাড়ীর কাছেই বিক্রি করছে জোড়া ৫ টাকায় । আসার সময় ছোট এক ছেলেকে সঙ্গে পাঠিয়ে ছিলো আমার ব্যাগ আর তাদের দেওয়া জুমের চাল ৪ কেজির মত সেগুলো পৌঁছে দিয়ে যাবে । ফেরার সময় কথা হলো তারর সাথে । কথা বলার শুরুতেই তোতলামি শুরু হয় তার । মা বাবা নাই। থাকে দাদু'র সাথে। কাজ করে রিসোর্টে বাসন মাজা + বোর্ডারদের খাবার পৌঁছে দেওয়া। ভালোই টাকা পায় । যখন পৌঁছালাম আমি দিলাম ১০ টাকা। না সে বললো ৫০ টাকা দিতে হবে। অথচ তাকে বলা হয়েছে টাকা না নিতে 😃 ।
এভাবে বিভিন্নভাবে টাকা কামানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে অনেকের । একজনকে দেখলাম ছোট ছোট বাঁশের লাঠি বিক্রি করছে ।
সাজেক বললে অনেকে রাগে লাফায় । ওদের রাগের কারণটাও ঠিক উপরে উপরে অনেক কিছু দেখা যায় কিন্তু বাস্তব উপলদ্ধি অনেক কঠিন । শহুরে বাবু সুইচ টিপলে বাতি জ্বলে, ঠান্ডা সুপেয় পানি পাওয়া যায়। হয়তো দেখা গেলো এক গ্লাস পানি নিজ হাতে ঢেলেও খেতে হয় না। কাজের লোক অথবা মা অথবা বউ করে দিচ্ছে । বর্ষাকালটা খুব আরামে কাটে সাজেক বাসীর । যখন পানি অনেক নীচে নেমে ঝর্ণা থেকে সংগ্রহ করা লাগে তখনি পানির কষ্ট কাকে বলে বুঝা যায় । একটা কাল্লোংয়ে( বেতের তৈরী যেগুলো রশি পেঁচিয়ে মাথায় করে জিনিসপত্র আনা নেওয়া করে পাহাড়বাসী) ২টা কলসি একসাথে নিয়ে আসে । আমাকে বললো, এভাবে এতবড় পাহাড় বেয়ে কতবার আনা যায় ?
হে শহুরে বাবু, আপনি রাস্তায় বেরুলেই গাড়ী, নদী পথে গেলে স্পীড বোট, দূরে কোথাও বেরাতে গেলে এসি গাড়ী, বাজার ঘরের দুয়ারে । সেই তুমি কি ওদেরকে আমৃত্যু পায়ে হেঁটে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলবে ?? অসুস্থ হলেও কাজ করে যেতে হয় । আমি আমরা হলে বিছানা থেকেও নড়তে পারতাম না। আর কতো বন্ধু be practical ,,,,
এভাবে বিভিন্নভাবে টাকা কামানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে অনেকের । একজনকে দেখলাম ছোট ছোট বাঁশের লাঠি বিক্রি করছে ।
সাজেক বললে অনেকে রাগে লাফায় । ওদের রাগের কারণটাও ঠিক উপরে উপরে অনেক কিছু দেখা যায় কিন্তু বাস্তব উপলদ্ধি অনেক কঠিন । শহুরে বাবু সুইচ টিপলে বাতি জ্বলে, ঠান্ডা সুপেয় পানি পাওয়া যায়। হয়তো দেখা গেলো এক গ্লাস পানি নিজ হাতে ঢেলেও খেতে হয় না। কাজের লোক অথবা মা অথবা বউ করে দিচ্ছে । বর্ষাকালটা খুব আরামে কাটে সাজেক বাসীর । যখন পানি অনেক নীচে নেমে ঝর্ণা থেকে সংগ্রহ করা লাগে তখনি পানির কষ্ট কাকে বলে বুঝা যায় । একটা কাল্লোংয়ে( বেতের তৈরী যেগুলো রশি পেঁচিয়ে মাথায় করে জিনিসপত্র আনা নেওয়া করে পাহাড়বাসী) ২টা কলসি একসাথে নিয়ে আসে । আমাকে বললো, এভাবে এতবড় পাহাড় বেয়ে কতবার আনা যায় ?
হে শহুরে বাবু, আপনি রাস্তায় বেরুলেই গাড়ী, নদী পথে গেলে স্পীড বোট, দূরে কোথাও বেরাতে গেলে এসি গাড়ী, বাজার ঘরের দুয়ারে । সেই তুমি কি ওদেরকে আমৃত্যু পায়ে হেঁটে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলবে ?? অসুস্থ হলেও কাজ করে যেতে হয় । আমি আমরা হলে বিছানা থেকেও নড়তে পারতাম না। আর কতো বন্ধু be practical ,,,,
No comments:
Post a Comment