Monday, August 17, 2015

দাবি তাই একটাই-প্রবীর সিকদারের মুক্তি চাই - সুমি খান

পিতা মুজিব -
তুমি আমাদের পিতা-
তোমায় নমি বারংবার-
তোমায় স্মরি বারংবার-
তোমার কাছেই কেঁদে মরি বারংবার -
পিতা, দ্যাখো চেয়ে 
তোমার হাতে গড়া দেশের পবিত্র মাটিতে
  কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে  গুমরে মরে
শহীদের রক্তঋণ !
 
তুমি আমাদের পিতা-
কখনো কি ভেবেছিলে- এমন দিনও আসবে এ মুক্ত স্বদেশে ?

 যে দেশের প্রতিটি ধূলিকণা রক্তস্নাত,
সে দেশে শহীদের সন্তানের কন্ঠরোধ করে নিক্ষিপ্ত হবে কারাগারে?
না, এ হয় না পিতা-
রক্তঋণের মুক্তি চাই পিতা!
মুক্তি দাও -মুক্তি চাই, পিতা -
আমার দাদা প্রবীর সিকদারের মুক্তি চাই!

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে  ১১ মাসের সংবিধানেও
আমাকেই সকল ক্ষমতার উৎস করেছিলে-
পিতা আমার -
১৫ আগষ্টের কালো রাতে তোমায় হত্যা করে খন্দকারের দল-
অধিকারহীন করেছে তোমার সন্তানদের-
আর তাই -
তোমার সন্তানেরা আজ ঠুঁটো জগন্নাথ-
ঢাল নেই তলোয়ার নেই -
নিধিরাম সর্দার  আমি
১৩ শহীদের বংশধর প্রবীর সিকদারের দুর্ভাগা ছোট বোন আমি !
আমার দাদা দাগী অপরাধী নন -
তবু তিনি নিক্ষিপ্ত হলেন কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে
তার এক মুহূর্ত আগেও পান নি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ-

রাষ্ট্র তুমি কার?
এমন কলংক যেন না হয় আবার!
রাষ্ট্র , এ দায় এড়াবে কী করে আর?

মুক্ত করো হে সবার সঙ্গে যুক্ত করো হে বন্ধ-
 ঘাতকের আঘাত বারবার যাকে প্রাণহীন করে দেয়!
আবার কী করে যেন মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসেন-
 তিনি-প্রবীর সিকদার
র্পর্বপুরুষের পবিত্র রক্ত- শহীদের রক্তে ভেজা মাটি ফিরিযে দেয় তার প্রাণ-
তিনি-প্রবীর সিকদার!

স্বাধীন দেশের এ মাটিতে
কারাগারে নিক্ষিপ্ত হতে হলো এই প্রবীর সিকদারকে-

'অপরাধ' জানবার আগেই কারাগার? কিন্তু কেন, পিতা?
তোমার গড়ে দেয়া এ  রাষ্ট্র -
আত্মপক্ষ সমর্থনের তো সুযোগ দেবে, পিতা!!
জানি, তোমার গড়ে দেয়া রাষ্ট্র
তোমারি রক্তে
 হয়েছে  সিক্ত
এ রাষ্ট্র একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মাদের হাতে জিম্মি-
যে প্রতাত্মারা তোমাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয় নি -
তোমার প্রতিটি চিহ্ণ বিলীন করে দিতে চেয়েছে মূর্খের দল!
তারা জানেনা তুমি মিশে আছো প্রতিটি বাঙালীর অন্তরে অন্তরে -
এই অপশক্তি বারবার  হত্যা করতে চেয়েছে তোমার কন্যা এ জাতির কান্ডারী শেখ হাসিনাকে -
আগষ্ট কে যেন ভীষণ ভয় তাদের !
আর তাই এই আগষ্টেই যেন তাদের তান্ডব সবচেয়ে বেশি!
দশকের পর দশক-অন্ধকারে ডুবিয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম-নব তারুণ্যকে-

এই আগষ্টেই যারা  মুক্তবুদ্ধির গলা টিপে মারতে চায় -তারা কারা?
সেসব কাদের দোসর?

পিতা তুমি যে লোকেই থাকো-
হয়তো হাসছো-
সত্যি, তোমায় রক্ষা করতে পারে না যে জাতি,
সে জাতি নিজেদের রক্ষা করবে কী করে?
তোমাকে সপরিবারে হত্যা করে যে জাতি -তাষা করবে কী করে?
তোমার কন্যার কাঁধে গুরু দায়িত্ব-
ঘাতকদের একে একে বিচারের কাঠগড়ায় তুলে
রক্তঋণের দায় থেকে জাতিকে মুক্ত করতে
তোমার সুযোগ্য কন্যা  শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর!

যাঁর ত্যাগ এবং তিতিক্ষায় বিশ্বসভায় আজ বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য  দৃষ্টান্ত!
কিন্তু এতো ভালো মনে হয় ভালো নয়!
হায়েনা দের বিষাক্ত নিঃশ্বাসের ছায়া চারপাশে
তোমার সন্তানেরা এই বিষছায়া থেকে মুক্ত হতে পারে নি এখনো-
কখনো পারবে না হয়তো-
দিকে দিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস-
নাগপাশে বন্দী প্রশাসন
মুক্তচিন্তা মুক্তিকামী মানুষকে শৃঙ্খলিত করার পথ নিয়েছে-
এ বড়ো সর্বনাশা পথ, পিতা
তুমি জানো!
তোমার সতর্কতায় নজর দেবার মতো সময় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নেই!
জাতিকে বিপন্ন করে
সকল শুভ কাজের সুফল পন্ড করার
নীল নক্সা কার্যকরে সক্রিয় নীল শক্তি !
সবকিছু নষ্টদের দখলে আজ, পিতা!

  কাকে আর বলি বলো তো?
তুমি বলো না,
রাষ্ট্র যদি সাংবিধানিক অধিকার সম্মান করে-
এমন কালাকানুন বাতিল করতে হবে -
যে আইন ঘাতকের বিচারের জন্যে সহায়ক মনে করে প্রণয়ন,
তা কেন নিরীহের উপর প্রয়োগ ?
এ কি নিপীড়ন নয়?

আর তাই আইনের এমন অপপ্রয়োগ-
 শুধু ঘাতককূলের সহায়ক-

দাবি তাই
একটাই
মুক্তি চাই
মুক্তি চাই!
প্রবীর সিকদারের মুক্তি চাই -
শহীদ পরিবারের  সন্তানের মুক্তি চাই  -

সন্তানেরা -অসহায় স্ত্রী পথ চেয়ে আছে-
চোখের জল বাধ মানে না!

'শোন শোন পিতা-
কহো কানে কানে ,শোনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গল বারতা-
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে, রয়েছে বাঁচিয়ে , সদাই ভাবনা- যা কিছু পায়
হারায়ে যায়, না মানে স্বান্তনা..."

No comments:

Post a Comment