যে তুমি শিখালে -
যেই মানব তুমি-সেই মানব আমি-
যদ্যপি চন্ডাল কন্যা-
সেই মানবের আমি কন্যা!
রাজার বংশে দাসী জন্মায় অসংখ্য-আমি সে দাসী নই -
তুমিই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনুধাবন করলে-
আমি নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
বলতে শেখালে -পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে
সে নহি নহি-
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি!
তোমার দীক্ষায় আমার যতো স্পর্ধা !
তোমারি স্পর্ধায় উচ্চারিলাম-
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
বিদ্রোহী কবি ঠিক ঠিক বলে-
তুমিই একাকী রণ-দুন্দুভি বাজালে গভীররোলে-
কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ণ এঁকে গেছো কবি-
সাতের দশক পেরিয়ে আটের দশকেও চির অমর তুমি-
লিখন তোমার ধুলায় হয়নি ধুলি!
তোমার খেয়াতরী বাইতে হয় না, তুমি যে নিত্য বিরাজ করো -
আমাদের সকল বেচাকেনা আর লেনাদেনায়!
তানপুরাটার তারগুলায় ধুলা জমেছে ,
ঘরের দ্বারগুলায় কাঁটালতা উঠেছে-সত্যি,
ঘনঘাসের ফুলের বাগান বনবাসের সজ্জা পরেছে বটে-
দীঘির ধারগুলায় শ্যাওলা এসে ঘিরেছে-
আর তাইতো তোমায় আরো বেশী করে মনে রেখেছে সবাই!
তেমন করে আর বাঁশি বাজে না কবিগুরু,
তেমন দিন ও কাটে না গো আর!
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী আর ভরে উঠে না-
গরু চরে বটে , রাখাল আর খেলে না গো তেমন! তোমার পায়ের চিহ্ণ আর পড়েনা !
আর তাইতো তুমি আছো ৭৩ তম প্রভাতে ও -
সকল খেলায় করছো খেলা-
করবে খেলা সেই তুমি-
তোমায় মনে না রেখে পারি কী করে , বলো?
শতবর্ষ পরেও তোমার কবিতা-গল্প -ছোটগল্প পড়ে যাই বারেবার-
নতুন নামে নয়-তোমার নামেই তারার পানে চেয়ে চেয়ে
তোমারেই ডাকি -
নতুন বাহুডোরে ও তুমিই আছো-
চিরসত্য, চিরবন্ধু চিরনির্ভর কবিবর
বিশ্বজয়ী -বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!!
২২ শ্রাবণ , ১৪২১
৬ আগষ্ট ২০১৪
No comments:
Post a Comment