Saturday, March 1, 2014

জঙ্গীবাদের বিশ্বায়ন, সরকার এবং বাংলাদেশে : আবদুল মান্নান


বাংলায় প্রবাদ আছে-সর্ষে দিয়ে নাকি ভূত তাড়ায়। তারপরের প্রশ্ন হচ্ছে সর্ষেই যদি ভূত থাকে তাহলে সেই সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানো সম্ভব কিনা। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দেশীয় মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে বা হচ্ছে, যার অন্যতম হচ্ছে, কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে তিন ভয়ঙ্কর জঙ্গীবাদী জেএমবি’র সন্ত্রাসীকে মাঝপথে মিনিট তিন হতে চারের মধ্যে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ছিনতাইকারীদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্যও নিহত হন। এমন ঘটনা বাংলাদেশে তো নয়ই উপমহাদেশে এর আগে কখনও ঘটেছে বলে শোনা যায়নি, এমনকি জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য পাকিস্তানেও না। বাংলায় আরও একটি প্রবাদ আছে, যেটিতে বলা হয় ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।’ এখন এই ঘটনা নিয়ে সরকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপের কাজ চলছে। এর মধ্যে একজন জঙ্গী রাকিব, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে সে নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। রাকিবের বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল। কারণ তা হলে তার কাছ থেকে এই অপারেশন সম্পর্কে হয়ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যেত। এসব প্রসঙ্গে পরে আসছি। এখন আসি সর্ষের মধ্যে ভূতের প্রসঙ্গে। এই ভূত হচ্ছে সরকারের মধ্যে ভূত এবং এই ভূত সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য যা যা করার প্রয়োজন, ঠিক তাই করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি আরও সত্য। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের মানুষকে ঠিক আড়াআড়ি মাঝখান দিয়ে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এই সময়ে সরকারের মধ্যে এমন অনেক মানুষ ঢুকে পড়েছে যাদের অনেকেই বাংলাদেশের মৌলিক কাঠামোকে বিশ্বাস করেন না। পারলে কালকেই বাংলাদেশকে একাত্তর পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ বিরতির পর এসব কর্মচারী আর কর্মকর্তাকে নিয়েই যাত্রা শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনও আওয়ামী লীগ তার মিত্র কারা আর শত্রু কারা তা বুঝতে পারেনি অথবা বুঝতে পারলেও তার গুরুত্ব দেয় না। এই ভুলটি বঙ্গবন্ধুও করেছিলেন এবং এর ফলে শুধু তাঁকে সপরিবারে নিহতই হতে হয়নি জাতিকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে; বঙ্গবন্ধু কন্যাও মাঝে মাঝে একই ভুল করেন। বাবা এবং কন্যার মধ্যে তফাৎ এই যে, বাবা সময় থাকতে বুঝতে পারেননি তাঁকে একদল ঘাতক নীরবে তাড়া করছে। কিন্তু সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কন্যার তো বোঝা উচিত একটি বুলেট তাঁকে সর্বক্ষণ তাড়া করছে। শুধু একটি ঘটনার কথা পাঠকদের জানার জন্য বলি তাহলে পাঠক বুঝতে পারবেন, কখনও কখনও পরিস্থিতি কত নাজুক হয়ে উঠতে পারে। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লাইট এ্যান্ড সাউন্ড শো’র প্রদর্শনী উদ্বোধন হবে। এমন প্রদর্শনী ভারতের অনেক ঐতিহাসিক শহরে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু আলো, শব্দ আর ধারা বর্ণনায় জীবন্ত করে আনা হয় ওই অঞ্চলের ইতিহাসকে। লালবাগ দুর্গের এমন এক স্থায়ী প্রদর্শনীর আয়োজক সংস্কৃৃতি মন্ত্রণালয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সাতটার একটু আগেই মূল প্রদর্শনী শুরু হবে। আধ ঘণ্টারও কম সময়ের অনুষ্ঠান সাড়ে সাতটার এশার আযানের আগেই শেষ হতে হবে। আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা শ’দুয়েক হবে। সেই মতোই সব কিছুর প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজের পর পরই চলে এলেন। তাঁর গাড়ি কেল্লার ভেতরে ঢুকলো। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি হতে নেমেই দু-কদম না দিতেই কেল্লার সব বাতি নিভে গেল। কেল্লার বাইরের সব বাতি কিন্তু তখন জ্বলছিল। আর আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কারো হাতে কোন টর্চ লাইট দেখা যায়নি। ভরসা সব টিভি ক্যামেরার সঙ্গে থাকা লাইট। সেই আলোয় প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসলেন। তারপর আবার আলো জ্বলে ওঠে। প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর রাতের বেলায় পুরনো ঢাকায়, যেখানে রাস্তাঘাট খুব সরু, সেখানে যাওয়াটা তাঁর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খুব বেশি সমীচীন হয়েছে বলা যাবে না। দ্বিতীয়ত এই এলাকায় আওয়ামী লীগের ভেতরের দলীয় কোন্দল বহু পুরনো। কোন একটি এলাকায় দলীয় কোন্দল থাকলে তার কি পরিণতি হতে পারে তা আমার একবার দেখার দুর্ভাগ্য, হয়েছিল চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায়। সেটি সম্ভবত ১৯৮৪ সাল। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। জনসভা চলাকালীন সভাস্থলে শুরু হলো দুই উপদলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ। শেখ হাসিনাসহ মঞ্চে উপবিষ্ট সকলে তখন বেশ অসহায় হয়ে পড়েন। দলীয় নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে বহু কষ্টে পুলিশ পাহারায় রক্ষা করেন। তৃতীয়ত, এলাকাটিতে বিডিআর হত্যা মামলায় আটক নাসির উদ্দিন পিন্টুর কর্মীরা বেশ সক্রিয়। তারাও যে কোন সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটাতে সক্ষম। সেদিন সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হলেও মূল অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দুবার ছন্দপতন ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি প্রাণহীন হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এমন একটি ঘটনা অভূতপূর্ব এবং সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। তবে ওই রাতেই বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত বারো কর্মচারী আর কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঘটনার তদন্তের পদক্ষেপ অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই যাবত মানুষ জানতে পারেনি তদন্তের ফলাফল কি হলো। 
তবে সাম্প্রতিককালে সব চেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ছিল ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে দ-প্রাপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র তিন সদস্য ছিনতাই যার কথা প্রথমেই উল্লেখ করেছি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, সম্প্রতি এই ছিনতাইকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে অবহিত করলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এমন একটি উক্তি দায়িত্বহীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ছিনতাইয়ের জন্য ছিনতাইকারী জেএমবি’র সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তারা তা নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করেছে। ছিনতাইকৃতদের একজন পালিয়ে গিয়ে আবার ধরা পড়ার পর পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা গেলেও আরও দুজন ভয়াবহ জঙ্গী এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। তাদের এই সফল অপারেশনের পর নিশ্চিতভাবে তাদের মনোবল আরও চাঙ্গা হবে এবং হয়ত পরবর্তী আরও এমন একটি ভয়াবহ অপারেশনের জন্য ইতোমধ্যে সকলের অজ্ঞাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এই ঘটনার পর যেটি দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে, একে অন্যকে দোষারোপ করা। কোন কোন সংবাদ মাধ্যম খবর দিচ্ছে তারা পলাতক এবং পরে নিহত রাকিব ও গাড়ির চালক জেএমবি সদস্য জাকারিয়ার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই যাবত বাকি দু’জন জঙ্গী এখনও পলাতক আছে। এই অপারেশনে সহায়তা করেছে কারাগারের কিছু পুলিশ। তারা নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে জঙ্গীদের মোবাইল ফোনে তাদের বাইরের সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলতে দিত। কারা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে কারাগার হতে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নয়। কারণ কারাগারে মোবাইল জ্যামার বসানো আছে। যেটি তারা বলে না তা হচ্ছে জ্যামারকে বন্ধ করে রাখা কোন ব্যাপারই নয়। এটি হচ্ছে এ রকম যে, একটি মার্কেটে রাতেরবেলায় ডাকাতি হলো। জানা গেল সেই মার্কেটে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ছিল কিন্তু তা রাতেরবেলায় বন্ধ ছিল। পুলিশের জানা উচিত বাংলাদেশে অশিক্ষিত-মূর্খরা জঙ্গী হয় না, তারা বড় জোর সন্ত্রাসী হয়। যারা জঙ্গী হয় তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অনেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত গিয়েছে। আয়মান আল জাওহিরি, যার বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে এত হৈচৈ তিনি একজন পিএইচডিপ্রাপ্ত জঙ্গী গুরু। বাংলাদেশে যে হিজবুত তাহরীর এত সক্রিয় তারা প্রায় সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এদের গুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর। ব্লগার রাজিবকে যারা হত্যা করেছিল তারা সকলে বনেদী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথের ছাত্র। পুলিশ প্রশাসন যদি একজন সন্ত্রাসী আর একজন জঙ্গীর মধ্যে তফাৎ বুঝতে না পারেন তা হলে বুঝতে হবে তাদের প্রশিক্ষণে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। সম্প্রতি ছাত্র শিবিরকে যখন আইএচএস জেনস টেররিজম এ্যান্ড ইনসারজেন্সি সেন্টার বিশ্বের তৃতীয় ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলো ঠিক তখন বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকে তার সমালোচনা করে বললেনÑ এই স্থানটি তো পাওয়া উচিত ছাত্রলীগের। কারণ তাদের হাতেই একে-৪৭ রাইফেল দেখা যায়। যারা এই ধরনের মন্তব্য করে তারা বুঝতে পারে না এরা হচ্ছে স্রেফ সন্ত্রাসী। এরা টেন্ডারবাজি, দলবাজি, অথবা চাঁদাবাজির জন্য সন্ত্রাস করে ছাত্র শিবিরের মতো কোন মতবাদকে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার জন্য নয়। ছাত্রলীগ বা এমনকি ছাত্রদলও জঙ্গীবাদের আশ্রয় নিয়ে কোন মতবাদ প্রচার করে না যা ছাত্র শিবির করে। 
পুলিশ যখন একজন আসামিকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যায় সে সময় বিরাট একটি অর্থের লেনদেন হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার সময় অর্থের বিনিময়ে একাধিকবার তার দলীয় কর্মীরা পথের মধ্যে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। চট্টগ্রামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার নাসিরকে অর্থের বিনিময়ে আদালত হতে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়ার সময় চট্টগ্রামের চকবাজারের সবুজ হোটেলে বিরানি খাওয়ারও সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। নাসির অর্থের বিনিময়ে কারাগারে ফোন ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত তার সাঙ্গোপাঙ্গদের সঙ্গেও নিয়মিত কথা বলে আর তারা নিয়মিত বাইরে চাঁদাবাজি করে। এই যে তিনজন ভয়াবহ জঙ্গীকে একই ভ্যানে তিনজন গাদা বন্দুকধারী পুলিশ দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় তা হয় উদ্দেশ্যমূলক না হয় চরম আহাম্মকি। কোনটি ঠিক; তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার। তবে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা যদিও অনেক দুরূহ রহস্যের সমাধান পূর্বে করেছেন অথবা করছেন তবুও তাদের আনাড়িপনাও মাঝে মধ্যে ক্ষমার অযোগ্য হয়ে পড়ে। একটি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রথম পূর্বশর্ত হচ্ছে তার গোয়েন্দা সংস্থাকে শক্তিশালী করা। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ একবারই হয়েছিল। এরপর হয়ত চেষ্টা করা হয়েছিল একাধিকবার। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার আগাম ব্যবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি। জঙ্গীবাদের বিশ্বায়নের কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছে। 
আমরা সব জঙ্গীবাদ উচ্ছেদ করে ফেলেছি অথবা জঙ্গীরা এখন আগের চেয়ে অনেক দুর্বল তেমন কথা বলে যদি ঢেঁকুর তুলি তাহলে সেটি হতে পারে একটি ভয়াবহ আত্মঘাতী ভুল। বাংলাদেশ গত চল্লিশ বছরে অনেক ভুল করেছে। জাতি আর কোন ভুলের খেসারত দিতে প্রস্তুত নয়। আশা করব বঙ্গবন্ধু কন্যা কাকে দিয়ে কি কাজ হবে তা বুঝতে পারবেন এবং সেই মতে তাকে কাজে লাগাবেন।

লেখক: শিক্ষবিদ ও বিশ্লেষক

No comments:

Post a Comment