Saturday, September 8, 2012

পাকিস্তানে কোরান পোড়ানোয় অভিযুক্ত কিশোরী রিমশা মাসিহর জামিন :মসজিদের ইমাম খালিদ চিস্তি কোরানের কয়েকটি ছেঁড়া পৃষ্ঠা এই মেয়েটির ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিল



পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খ্রিস্টান কিশোরী রিমশা মাসিহকে তিন সপ্তাহ ধরে আটকে রাখা হয়েছে , রিমশার বয়েস ১৪।
রিমশাকে এখন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।চিকিৎসকদের রিপোর্টে সে নেহায়েতই শিশু এবং মানসিকভাবে কিছুটা প্রতিবন্ধী প্রমাণ হবার পরেও তাকে জেলে আটক রাখা হয়। মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো রিমশাকে জামিনে মুক্তি দেবার আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এই মামলাকে ঘিরে পাকিস্তানে আবারও ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহার নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে এবং মানবাধিকার কর্মীরা আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

তাকে শুক্রবার জামিন দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। কিশোরী রিমশা মাসিহর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে সে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান পুড়িয়ে ফেলেছে। তাকে গ্রেফতারের পর কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগ করেন একটি মসজিদের ইমাম খালিদ চিস্তি কোরানের কয়েকটি ছেঁড়া পৃষ্ঠা এই মেয়েটির ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিল ।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই এলাকার একজন ইমাম নিজেই যেহেতু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবার মত কাজ করেছেন এখন তাকেই অভিযুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। এই সংগঠন রিমশার জামিনের অর্থ প্রায় ১৮ হাজার মার্কিন ডলার দেবার দায়িত্ব নিয়েছে। রিমশার ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কর্মীরা ।কারণ অতীতে ব্লাসফেমি অপরাধে অভিযুক্তদের উগ্রপন্থীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোরানের পৃষ্ঠা পোড়ানোর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাজা যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে।তার এক মুসলিম প্রতিবেশী তার বিরুদ্ধে কোরান পোড়ানোর এই অভিযোগ আনলে তাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে অভিযোগ আনা হয়।

No comments:

Post a Comment