Wednesday, November 30, 2016

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নির্বাচনে মুক্তচিন্তার দাবিদারদের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা:অশনি সংকেতের বার্তা -সুমি খান

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নির্বাচন ২০১৭ সমাপ্ত হলো। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকে , হারজিত থাকে, সেটাই স্বাভাবিক। যারা নির্বাচনে জয়ী হযেছেন, তাদের কারো প্রতি আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে তাদের প্রতি আমার শুভকামনা রইলো । 

নির্বাচনে জয় পরাজয়, হারজিত মেনে নেবার মতো সৎসাহস আমার আছে । যে কোন সৎ, পেশাদার সাংবাদিকের ই সেটা থাকে । এই নির্বাচনে যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা দেশকে ভালোবেসে পেশাদারীত্ব প্রতিষ্ঠায় তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোন সিন্ডিকেটের কাছে অন্তত মাথা বেচে দেন নি।  ্তআর তা্রই তাঁরা নির্বাচনের রায় তখনি মেনে নেবেন, যখন, সেটা স্বাভাবিক নিয়মে স্বচ্ছভাবে হবে। তারা সেই রায় মেনে নেবার মতো সৎসাহস রাখেন। 
কিন্তু সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি অপশক্তির কোন অপচেষ্টা এই নির্বাচনের মাধ্যমে সফল হয়, সেটা মেনে নেয়া যে কোন শুভশক্তির জন্যে বিপর্যয় ডেকে আনবে সুনিশ্চিত।আর সেই  বাস্তবতার কিছুটা তুলে ধরার জন্যেই এই লেখার প্রয়াস। এই নির্বাচনে গঠনতন্ত্রের চরম লঙ্ঘন করা হয়েছে , সহযোগী সদস্যদের ভোটার করা হয়েছে। হাতে চিরকূট ধরিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে-ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন । তাবড় তাবড় সাংবাদিক নেতারা মাঠে নেমেছেন প্রকাশ্যে। 
এই কাজে নাকি তারা মাঠে নেমেছে সেই নভেম্বর ২০১৬ থেকে।যখন 'সুমি খান' বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেবার।  তবু যতো গালমন্দ, যতো শাপশাপান্ত সব যেন সুমি খানের জন্যেই প্রযোজ্য। প্রথম দিকে বিস্মিত হয়েছি আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছি, তবু চেষ্টা করে গেছি একনিষ্ঠভাবে এই পেশায় নিয়োজিত সংবাদকর্মীদের জন্যে কাজ করে যেতে। প্রতিকূল বাস্তবতায় অনেকটা এগুলেও শেষ করতে পারিনি অনেক গঠনমূলক কাজ। সেটা যেন অন্যতম 'হাতিয়ার'  হয়েছে অপশক্তির জন্যে।  

 এই নষ্ট, ভ্রষ্ট বাস্তবতা কিছুটা অনুমান করে ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমি নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থিতা করেছি । 
একটি বছর এই পদে থেকে চরম প্রতিকূলতার মুখে পড়েছি প্রতিটি কাজে। কোন কাজ বা কোন অনুষ্ঠানে যেন আমি অংশ নিতে না পারি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কমিটির মূল ক'জন নেতা।
 চরম নারী- বিদ্বেষী অবস্থান থেকে তারা সতর্কতার সাথে আমাকে প্রতিটা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রেখেছে, যা একটু নজর দিলেই প্রত্যক্ষ করা যায়। তারই অংশ 'বেগম' পত্রিকার সম্পাদকের জীবদ্দশায় নূরজাহান বেগমকে নারী দিবসের সম্মাননা দেবার উদ্যোগ ঠেকালো কার্যনির্বাহী কমিটি। নীতিনির্ধারক বা নিয়ন্ত্রকদের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের চুড়ান্ত প্রকাশ ঘটালেন।  ৭৫ বছর সাংবাদিকতা করে নারীদের অগ্রযাত্রায় সমাজকে এগিয়ে নেবার পর ৯৩ বছর বয়সে ও পুরুষতান্ত্রিকতার হিংসার গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারেননি সাংবাদিকতার অগ্রদূত এই মহীয়সী ব্যক্তিত্ব। সেই রূঢ় বাস্তবতায় আমি সুমি খান যে তুচ্ছাতিতুচ্ছ। 

কমিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের সম্পৃক্ততা ঠেকানো সম্ভব না। পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। স্বপ্ন দেখেছি -অনেক আলোর ঝলকানিতে অন্ধকার কেটে যাবে ধীরে ধীরে। কিন্তু না। অন্ধকার তাদের প্রবঞ্চনা, নষ্টামি আর ভ্রষ্টাচারের মিথ্যাচারে ভুলিয়েছেন অনেককে। তবে আশার কথা, যথারীতি সেই ছলনায় ভুলেন নি শুভ শক্তির নিরন্তর লড়াকু সৈনিকেরা। তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার।

সৎ সাংবাদিকদের বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আমি নীরব লড়াই করে গেছি নিরন্তর । সাথে ছিল আমার বাবার আদর্শ, আমার মায়ের নিরন্তর লড়াই এবং তীব্র অনুপ্রেরণা। আশৈশব লালন করা সমাজ সংস্কারকদের ত্যাগ এবং তিতিক্ষার দৃষ্টান্ত সামনে রেখে পেশাজীবি সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠায় উজাড় করে দিয়েছি নিজেকে । অনেক বঞ্চনার আর যন্ত্রনার এ পেশা বেছে নিতে আনন্দ নেই;তবে সততা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মানসিক প্রশস্তি আছে।

আমার স্নেহের ছোট বোন উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ঝর্ণা মণি, জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, মোরসালিন মিজানসহ আমার অনেক শ্রদ্ধার এবং স্নেহের ভাইবোনেরা প্রানান্ত সহযোগিতা করেছেন , তাঁদের কাছে আমি বারবার কৃতজ্ঞতা জানাই ।
পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতি পদে হেনস্থা করেছে যারা,তাদের একজন ( যার কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল বাক্যবাণ শুধু মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা নির্যাতিত দের পরিবারের সন্তানদের প্রতি)। তাতে জোর দিয়েছেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ অন্য কেউ কেউ।
এ ব্যাপারে আমাদের নারী সদস্যদের নেতৃত্বস্থানীয়রা কিছুটা জানেন। তার পরও এবারের ডিআরইউ নির্বাচনে তাদের অবস্থান তারা পরিস্কার করলেন।তবে কি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে চরম 'সোচ্চার' এ বোনেরা নিজেদের পুরুষতন্ত্রের কাছে সমর্পনেই বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ? নাকি তারা পুরুষতন্ত্রের কাছে স্বেচ্ছাজিম্মি?
যাঁরা আমার ত্যাগ, সততা ও নিষ্ঠার প্রতি আস্থা রেখেছেন,তাঁদের মূল্যবান ভোট আমার জন্যে নিশ্চিত করেছেন,সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ।
সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদা চৌধুরী ভোট দিয়ে এসে আমার কানে কানে বললেন," সুমি , তোমাকেই ভোট দিলাম, তোমার মতো সৎ আর সাহসী সাংবাদিক আর কে আছে বলো তো? আমি তোমাকেই তাই ভোট দিলাম।" আপার স্নেহশীল মন ভালোবাসার তোড়ে বাড়িয়েই বলেছেন নিঃসন্দেহে।আপার মতো অনেকেই আমাকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছেন;সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন ও আমাকে। তাঁদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আমার প্রিয় সাংবাদিক বোনেরা যে যা করেছেন, তাদের ভবিষ্যত তাঁরা নির্ধারণ করেছেন। তাদের সহযোগিতা -অসহযোগিতা সবকিছুর প্রতি, তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা ।
ডিআরই্উ নেতৃত্বে অবস্থানকারী এক নেতা বললেন, " সুমি আপা, আপনার বিরুদ্ধে 'প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ' হয়েছে । এটা আমি বারবার বলবো। 'সুমি খান' কে ঠেকাতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির সাথে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ দাবিদার বেশ কয়েকটি শক্তি (তাদের দূরদর্শীতার প্রতি সন্দেহ করা আমার জন্যে বাতুলতা মাত্র) একাত্ম হয়ে পরিকল্পিত ভাবে 'কাজ' করেছেন । আপনার বিরুদ্ধে'কলাগাছ ' দাঁড় করিয়ে হলেও আপনাকে হারানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে । সেই ষড়যন্ত্রে ও আপনাকে পরাজিত করতে পারেনি; পরাজিত হয়েছে নীতি নৈতিকতা। "
নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শারমীন সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রার্থীরা গড়ে ৪০০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছে।
সম্মানিত সদস্য বললেন," আপনি তার চেয়ে ৩৭ ভোট কম পেয়েছেন মাত্র। সেক্ষেত্রে এটা পরিষ্কার হলো, আপনি অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছেন; শুধু একটি চিহ্ণিত গোষ্ঠীর পরিকল্পিত 'নেগেটিভ ভোট' গেছে আপনার বিরুদ্ধে। আপনাকে নারী সাংবাদিকেরা নেগেটিভ ভোট দিয়েছেন। "
শুরু থেকে্ই আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার সকল অপচেষ্টা ঠেকিয়ে কিছু কিছু কাজ করে আমি অনেক 'অপরাধ ' করেছি। প্রথম বারের মতো বুদ্ধিজীবি দিবস পালন করেছি, মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তানকে অশ্লীল অশালীন ভাষায় আক্রমণ করার পর তার দিকে তেড়ে এলে আমি সামনে দাঁড়িয়ে গেছি তাঁর অপমান লাঞ্ছনা ঠেকাতে ।
অনেকে জানালেন, রাতের পর পর রাত একুশে টেলিভিশনের গলিতে ভোজের আয়োজন করে সংগ্রাম আর নয়াদিগন্তের সাংবাদিকদের নেতৃত্বে 'নির্বাচনী পরিকল্পনা' (?) করেছেন । " আমি শুনে গেলাম কথা গুলো। মেলালাম কিছু ঘটনা - বেশ কয়েক জন সক্রিয় ছিলেন ভোটার দের প্রভাবিত করতে । তাদের মধ্যে ৫ জন ভোট দেবার সময়ে গেটেই দাঁড়িয়ে থাকেন বা অফিস রুমে বসে থাকেন ভোটারদের প্রভাবিত করতে। সাতসকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন তারা। ভেতরে বাইরে সবখানে 'নির্বিকার ' চলে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন তারা।
ভোট দেবার জন্যে কোলে করে আনা হয়েছে কয়েকজন অশীতিপর বৃদ্ধকে । লাঠি হাতে বৃদ্ধরা এসেছেন অনেক কষ্টে সিঁড়ি দিয়ে উঠে ভোট দিয়েছেন -এঁরা সবাই ইনকিলাব, নয়াদিগন্ত এবং সংগ্রামের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক এবং বিভিন্ন পদে কর্মরত সাবেক কর্মকর্তারা । বেশ বৃদ্ধএক ভোটারের কাছে ভোট চাইলাম আর আমার নাম জিজ্ঞেস করে হাতে লেখা চিরকূট বের করলেন মেলালেন আমার নাম। না, চিরকূটে যে নারী সাংবাদিকের নাম-তা যে আমার নাম নয়। আমার মুখের দিকে কেমন অসহায় চোখে তাকিয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি সিঁড়ি বেয়ে উঠে চলে গেলেন ভোট দিতে।
জাল ভোট দিতে গিয়ে একজন ধরা পড়লো । তার মুখভর্তি দাড়ি। কার পক্ষে ভোট দিতে এসেছে এই জাল ভোটার -সেটা উদ্ধার করা হলেও প্রকাশ করা হয় নি।ধামা চাপা পড়ে গেলো কি?
সমাজে মানুষের অধিকারের লড়াই করতে গিয়ে আমি সংসার ,পড়ালেখা, চাকরি ,নিজের পত্রিকার কাজ সব বিসর্জন দিয়েছিলাম । আমার প্রিয় বন্ধু এবং ছোট বোনেরা বিভিন্ন সময়ে আমার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসেছেন ,তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। অনেকে আসেন নি কোন অনুষ্ঠানেই; বরং কটাক্ষ করে নানা রকমের মন্তব্য করেছেন। সেসব বিচক্ষণ নারীবাদী সাংবাদিকদের চিন্তা চেতনা এবং দূরদর্শীতা তাদের উপর ছেড়ে দিলাম। তবে এই নারীদের কেউ কেউ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদী সৈনিক ও বটে!
একজন মন্তব্য করলেন, "এই 'প্রতিবাদী' নারীরা জামাতের ষড়যন্ত্রের সহযোগী শক্তি হয়ে গেলেন দ্বিধাহীন চিত্তে, বীরদর্পে, বীরত্বের সাথে!! বেশ উৎসবমুখর সাজে উৎসবের আয়োজনে হৈ হৈ রৈ রৈ করে ভোট দিয়েছেন;কাজ করেছেন জামাত মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে। "

ডিআরইউ প্রেসিডেন্ট জামালউদ্দিন এবং সেক্রেটারী রাজু আহমেদ তাদের প্রার্থী দিনার সুলতানাকে জিতিয়ে আনার জন্যে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মাহমুদা ডলি ( গণজাগরণের যোদ্ধা প্রকৌশলী রাজীব, নীলাদ্রি সহ ব্লগারদের হত্যার পর যে সাংবাদিক অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ মনগড়া রিপো্র্ট লিখেছে নিহতদের ব্যক্তিজীবন কটাক্ষ করে।) কে অভিনন্দন জানালেন। জামায়াতের এক সংগঠক দিনার সুলতানাকেে বললেন, "আমরা এই নির্বাচনে যে পোস্টে যাকে চেয়েছিলাম, প্রত্যেককে সেই পোষ্টে জয়ী করেছি; আপনি জিতেছেন- আমি খুব খুশি, খুব খুব খুশী । " এ বক্তব্য অনেক বার্তা দেয় !
নারী বিষয়ক সম্পাদক পদটির প্রতি চরম অশ্রদ্ধা অনেক নারী সাংবাদিকের। এমন কথাও অনেকে বলেছেন, তারা ঘেন্না করেন। নারী সমাজ এবং সমাজের উন্নয়নে ভূমিকার রাখার জন্যে গঠনতান্ত্রিক ভাবে তৈরি গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি বিলুপ্ত করার পক্ষে ও তারা জোরালো মত দেন। অবার লাগে, আমরা কতোটা আত্মঘাতী হলে এমন কথা বলতে পারি। নিজেদের দায়িত্বশীলতার প্রতি চরম অবমাননা করেও 'নারীবাদী' হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন বেশ অহংকারের সাথে। তবু তাদের প্রতি আমার শুভকামনা রইলো ।
মেলানো যায় ঘটনা পরম্পরা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আইরিন নিয়য়াজি মান্নার বিরদ্ধে নয়াদিগন্ত পত্রিকার লুৎফা শাহানা কে হঠাৎ দাঁড় করানো হয়। মান্না এর আগে একটি বছর প্রানান্ত কাজ করেছে । লুৎফা শাহানা কে জয়ী করে ৩/৪ মাসের মধ্যে আমেরিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অনেকে বলেন, এমনই চুক্তি ছিল লুৎফা শাহানার সঙ্গে । ২০১৬ সালে আমাকে নির্বাচিত করে নারী সাংবাদিকদের মধ্যে যারা ডিআরইউতে সক্রিয়, তারা। একই ভাবে সেবার আমার বিরুদ্ধে অনেককে অনুরোধ করে ও কাউকে পান নি তখনকার প্রভাবশালী নেতারা। এবার ও 'সুমি খান' এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী প্রার্থী খুঁজে বেড়ায় । কে্উ কে্উ বলে ,সুমি খানকে সরিয়ে বাম সংগঠনের এক কর্মীকে নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে নিশ্চিত করা হয়, তাকে বিদেশে পাঠানোর চুক্তি ও করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় এ পদে আসতে হলে তাকে আরো ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে। নিউজরুমে বসে হতাশায় আর বিষন্নতায় ডুবে গেলো বেচারী; তার আর বিদেশে যাওয়াই হলো না।ব্যর্থ হলেও থেমে রইলো না কালো শক্তি । আবার হন্তদন্ত হয়ে মাঠে নামলেন প্রভাবশালী সেই নেতারা। যে করেই হোক সুমি খান কে 'হঠাতে ' হবে। বেশ ভালো একটা 'প্রার্থী' পাওয়া গেলো। প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের অংশ এক নেতার স্ত্রী । তার স্বামীর অনুসারীরা সবাই মাঠে নামলেন । দুর্জনেরা বলে, খালেদা জিয়ার দৃষ্টান্ত দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রেও আসতে পারে, সে যে কোন পর্যায়েই হতে পারে।
তাকে অনেকে অনেক ভাবে বললো , আগামী বার তাকে একক প্রার্থী করা হবে , এবার যেন তিনি প্রার্থীতা থেকে সরে যান। তিনি বললেন, কারা তাকে প্রার্থী করেছে তিনি জানেন না। তবে খুব চাপে আছেন। আরো বললেন, আগামীতে কখনো তিনি ডিআরইউতে আসবেন না। যে সংগঠন কে তিনি ধারণ ই করেন না, সেই সংগঠনে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির সহায়ক হয়ে দায়িত্ব নিতে রাজী হয়ে গেলেন মতায়নে বেশ এগিয়ে রয়েছেন বামেরা ও -এই গুঞ্জন কি তবে আবারো সত্য প্রমাণিত হলো?


নির্বাচনে ব্যাপক খাটাখাটনি করলেন যারা 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির দাবিদার' সেই সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার প্রশ্ন এই । সাথে রাখলেন বামনেতা স্বামীর সকল সহযোগীকে। তাহলে নির্বাচনে কারা জয়ী হলো? এ্ই বাস্তবতায় যারা আনন্দিত, ভেবে দেখুন -এ কোন অশনি সংকেত নয় তো? কারো কারো আশঙ্কা, 'প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের' ধারাবাহিকতার টার্গেট জাতীয় নির্বাচন নয় তো?

No comments:

Post a Comment