Thursday, October 18, 2012

উত্তমের মা-মাসীকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ :খাদ্য ও নিরাপত্তা দেবে রাষ্ট্র


Thu, Oct 18th, 2012 7:09 pm BdST

ঢাকা, অক্টোবর ১৮ - কক্সবাজারের রামুর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনায় আলোচিত উত্তম বড়–য়ার মা ও মাসীকে আটক রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণার পাশাপাশি তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী বসবাসে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমদের বেঞ্চ আদেশে বলেছে, ওই দুই নারী যে কোনো স্থানে বসবাস করতে করতে পারবে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তমের ফেইসবুক পাতায় একটি অবমাননাকর ছবি দেখে রামুতে মিছিল বের হয়। পরে উগ্রপন্থিরা বৌদ্ধ মন্দির ও বসতিতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালায়। আগুনও দেয়া হয় বিভিন্ন স্থানে।ঘটনার পর থেকে উত্তমের কোনো সন্ধান পাওয়া না গেলে তার মা মাধু বড়ুয়া (৪১) এবং খালা আদি বড়ুয়াকে (২৬) ঘটনার পরদিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডেও নেয়া হয়। কোনো অভিযোগ না থাকার পরও গ্রেপ্তারের এই খবর সংবাদপত্রে দেখে হাই কোর্টের ওই বেঞ্চ বুধবার মাধু ও আদিকে মুক্তি দেয়ার মৌখিক নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ওই আদেশের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে জানাতে বলা হয় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদারকে। বৃহস্পতিবার অমিত তালুকদার জানান, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণেই তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলে, নিরাপত্তার বিষয়টিকে আমরা হালকভাবে নিতে পারি না। ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের (মাধু ও আদি) সম্মতি সাপেক্ষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাইজে অথবা মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের সেফ হাউজে তাদের রাখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খাদ্য ও নিরাপত্তা দেবে রাষ্ট্র। সেখানেও থাকতে তারা রাজি না হলে অন্য যে কোনো স্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে তাদের রাখতে সরকারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালত আদেশে আরো বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাদের আটক রাখা ও রিমান্ডে নেয়া অবৈধ ও অসাংবিধানিক। যতদ্রুত সম্ভব তাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। যে কোন মূল্যে তাদের জীবনের সুরক্ষা দিতে হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, মেরে ফেললেও তারা নিজেদের বাড়িতেই থাকতে চান।” তখন আদালত বলে, পরিস্থিতি খুবই নাজুক। তাদের স্বাধীনতা রয়েছে, কোথায় তারা বসবাস করবেন। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার বিষযটিও ভাবতে হচ্ছে। তাদের স্বাধীনতা আমরাও খর্ব করতে পারি না।

এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক হয়েছে।

No comments:

Post a Comment