অন্যদৃষ্টি ONNODRISHTY sumi khan's Blog
সমাজ প্রগতির সংগ্রামে নিবেদিত প্রতিটি মানুষের প্রতি এ অন্ধ মৃত সমাজের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা-অন্ধকারের শক্তির মুখোশ উন্মোচন করে দৃষ্টির ভেতরে বাইরে প্রতিটি সর্বনাশ ঠেকানোর মানবিক প্রয়াস মাত্র!
Sunday, July 14, 2024
মুক্তিযোদ্ধা,প্রতিবন্ধী,ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ সকল কোটা পুনর্বহালে আদালতের নির্দেশের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ
Thursday, December 29, 2022
ফুটবল সম্রাট পেলে চিরনিদ্রায়-সুমি খান
তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল সম্রাট ব্রাজিলের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী পেলে ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন।
১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ তিনি ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। ’ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার পেলে মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন । ৮২ বছর বয়সে এ ফুটবল সম্রাট চলে গেলেন সকলকে ছেড়ে।
পেলে ১৯৭৭ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ব্রাজিলের রাজনীতিতে অংশ নেন দরিদ্র মানুষদের জন্য নিজেকে নিবেদন করেন। আমৃত্যু ব্রাজিল তথা সারা বিশ্বের মানবতার সেবায় কাজ করেছেন। বিভিন্ন কোম্পানীর ব্র্যান্ড ছিলেন পেলে ৷
১৯৫৮ সালে ব্রাজিল প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে পেলের নেতৃত্বে। পর পর চারটি বিশ্বকাপে খেলে তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পেলের নেতৃত্বে ব্রাজিল। বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের এ কৃতিত্ব নেই।
সর্বাধিক ৫৪১ টি গোল৷ আর সব রেকর্ড মেলালে ১২৯৭ গোল করেন তিনি৷এক মরশুমে সর্বাধিক ৭৭ টি গোল করার পর ব্রাজিলে পেলেকে জাতীয় নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
স্যান্টোসের কোচকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পায়ের যাদুতে মুগ্ধ করেছিলেন পেলে৷ সেই থেকে স্যান্টোস এফসিতে তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের শুরু৷ ১৯৫৬ সালে নিজের কন্ট্র্যাক্ট সাইন করেন তিনি৷ তারপরেই তিনি নিজেদের পেশাদার অভিষেক ঘটান৷ নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল করেন ।ব্রাজিলিয়ান লীগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন৷
পেলে খেলবেন বলে নাইজেরিয়ান সিভিল ওয়ারের দুটি দল ৪৮ ঘণ্টা ১৯৬৯ সালে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল৷ পেলে এরপর ১৯৭৪ সালে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলেন৷ কিন্তু ইন্টারমিলান এবং রিয়েল মাদ্রিদের মতো ক্লাবের জন্য খেলেন৷
১৯৯২ সালে পেলে ইউনেসকো চ্যাম্পিয়ন্স ফর স্পোর্টসে পিছিয়ে থাকা অর্থনীতির শিশুদের খেলার বিকাশের জন্য নিযুক্ত হন৷ কিন্তু ২০০১ সালে এক বিশাল আর্থিক দুর্নীতিতে তাঁকে ৭ লক্ষ ডলার তছরূপের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপে তাঁর যোগদান৷ যাদুকরী খেলার গুণে অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার পান। কিন্তু সব প্রত্যাখ্যান করে তিনি স্যান্টোসের সঙ্গেই ছিলেন৷ তাঁর দল ১৯৬২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টল কাপ এবং ১৯৬৩ সালে কোপা লিবারেটোডরেস জেতেন ।
পেলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল।মৃত্যুকালে ১০০ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রেখে গেলেন ফুটবল সম্রাট ।
তাঁর মার্কেটিং কোম্পানি পেলে স্পোর্টস অ্যান্ড মার্কেটিং ইউনিসেফের থেকে টাকা ধার করেছিলেন একটি প্রীতি ম্যাচের জন্য, যা কখনও খেলা হয়নি৷ পেলে অডিট করে নিজের পার্টনারের বিরুদ্ধে ৪ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেন,তবে তা প্রমাণ করা যায় নি।
পুমা-র (Puma) সহ অনেকের ব্র্যান্ড পেলে অবসর নেবার এক যুগ পরও দশ লক্ষ ডলার করে রোজগার করতেন এনডর্সমেন্টের সুবাদে৷
ফুটবলের যাদুকর মারাদোনা ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে হঠাৎ প্রয়াত হন । এবার পেলে ও চলে গেলেন। দু’বছরের মধ্যে বিশ্ব হারাল সারাবিশ্বে কোটি ফুটবল অনুরক্ত দর্শকের হৃদয়ের রাজা দুই কিংবদন্তী ফুটবল যাদুকরকে।।
১৯৭৭ সালে তিনি অবসরে যান। ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট দিয়েগো মারাদোনার পক্ষে ছিল। ফিফা দু’জনকেই যুগ্ম ভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে । ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর পেলের জন্ম। ২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে।
পেলে নামে চেনে বিশ্ব তাঁকে; মায়ের দেয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো নামে দুনিয়া তাকে চেনে না।
কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বাড়ি ফেরা হয়নি। বড়দিন হাসপাতালেই কাটিয়েছেন। বিছানায় অসুস্থ বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছবি গণমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তাঁর কন্যা কেলি। গত শনিবার হাসপাতালে পৌঁছেন ছেলে এডিসন।
পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে তাঁর পাশে থেকেও শেষ রক্ষা হল না। চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারলেন না ফুটবল সম্রাটকে।
চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন পেলে।
৩০ ডিসেম্বর,২০২২
Friday, February 25, 2022
৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব-৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া
'ঠান্ডা যুদ্ধ'-র প্রায় ৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব। একে অনেকেই 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ'র আগের মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করছেন।
অবশেষে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া। বিদেশমন্ত্রী লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন অস্ত্র রেখে দিলে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি মস্কো। পাল্টা প্রতিরোধ করা চলবে না। চিনা সরকারের আধিকারিকের দাবি, ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে পুতিনের।
আমেরিকা ও ন্যাটোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে দুদিন ধরে ‘সামরিক অভিযান’ (Russia-Ukraine War) জারি রেখেছে রাশিয়া। হঠাৎ করে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। চেনা ইউক্রেন রাতারাতি পাল্টে গেছে।যুদ্ধ ঘোষণা করেই একসঙ্গে ইউক্রেনের ১১ টি শহরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ সহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা হয়েছে।ইউক্রেনের একশ’র বেশি সেনা নিহত ।
রাশিয়ার চিরশত্রু ইউক্রেনের পাশে আমেরিকা;রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিন। আফগানিস্তানের তালিবান শাসক কায়েম হওয়ার পর সুরক্ষার স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়াকেই সমর্থন করবে। আজারবাইজান এবং মধ্য প্রাচ্যের ইরানকেও পাশে পাবে মস্কো। এছাড়া পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে উত্তর কোরিয়ারও সমর্থন পাবে রাশিয়া।
ন্যাটো (NATO) অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয় দেশগুলোকে পাশে পাবে ইউক্রেন। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্য়ান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, ব্রিটেন এবং আমেরিকার সমর্থন পাবে ইউক্রেন। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াও ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণা।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আর্জি জানিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন।
আগেই চিন জানিয়ে দিয়েছে যে এই লড়াইয়ে রাশিয়ার পাশে রয়েছে তাঁরা। এছাড়া একসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কর্গিস্তান, তাজিকিস্তান এবং বেলারুসের সমর্থন পাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।
Tuesday, December 28, 2021
একটা ছোট্ট ট্রিক- বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ
মেসেজিং অ্য়াপ বলতে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) -যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করছেন, তাঁরা সবুজ রঙের লোগো দেখতেই অভ্যস্ত- একটা পদ্ধতি রয়েছে যা ব্যবহার করলে মুহূর্তে বদলে যাবে হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) লোগোর রঙ।
যদি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ লোগোর রঙ বদলাতে চান, মেনে চলুন এই পদ্ধতিগুলো-
আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করুন 'Nova Launcher' নামে একটি অ্যাপ। ডাউনলোড হয়ে গেলে এবার সেখানে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) আইকন সিলেক্ট করুন।গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ আইকনটি ডাউনলোড করুন। এরপর হোমস্ক্রিনে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপটি অনেকক্ষণ প্রেস করে থাকুন বা চেপে ধরে থাকুন।
এরপর স্ক্রিনের উপর একটা 'এডিট পেনসিল' দেখতে পাবেন। ওটাতে ক্লিক করে ফোন গ্যালারিতে গিয়ে গোল্ডেন হোয়াটসঅ্যাপ লোগোটি সিলেক্ট করুন। দেখবেন মুহূর্তে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ লোগো সবুজ থেকে সোনালী হয়ে যাবে।Zee News
২৭ ডিসেম্বর সমুদ্রযাত্রা তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে লহমায় বদলে দিল সৃষ্টিতত্ত্ব-যোগ্যতমরাই বেঁচে থাকে- সুমি খান
২৭ ডিসেম্বর একটি সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন ডারউইন -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিবর্তনতত্ত্ব একটি বই লিখেছিলেন।বই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে পুরনো ধ্যানধারণা সব লহমায় বদলে দিয়েছিল।জীববিজ্ঞানেই শুধু নয়, সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের পৃথিবীতেই একটা 'প্যারাডাইম শিফট' ঘটে গেল।
ধাক্কা খেয়েছিল সৃষ্টিতত্ত্ব! বিশ্ব জুড়ে জ্ঞানবুভুক্ষু মানুষ চেটেপুটে পড়তে লাগলেন পৃথিবীর জীবজগতের নিয়ম। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব তো শুধু বিজ্ঞান নয়, দার্শনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বিপুল সাড়া ফেলেছিল।
বিগল নামের জাহাজটির ক্যাপ্টেন রবার্ট ফিটজয় -এই ক্যাপ্টেনের সাদর আমন্ত্রণেই তরুণ জীববিদ্যাবিদ চার্লস ডারউইন চেপে বসতে পেরেছিলেন সেই জাহাজে এবং পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন গ্যালাপোগোস দ্বীপে। শুরু করেন তাঁর অনন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ডারউইনের বাবা চাননি, ছেলে এই সমুদ্রভ্রমণে যাক। বাবার অমতেই ডারউইন নেমে পড়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের পিছু ধাওয়া করতে। সমুদ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৭ ডিসেম্বর। চার্লস ডারউইন সেই সমুদ্রযাত্রায় ছিলেন -তাঁর ইতিহাস বদলে দেওয়া অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন।
১৮৫৯ সালের ২৪ নভেম্বরে লন্ডন থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির উৎপত্তি অথবা জীবনসংগ্রামে আনুকূল্যপ্রাপ্ত গোত্রের সংরক্ষণ বিষয়ে বইটি বেরিয়েছিল। নাম-- 'অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস'। বইটির পুরো নাম দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসেস বাই মিনস অফ ন্যাচারাল সিলেকশন, অর দ্য প্রিজারভেশন অফ ফেভারড রেসেস ইন দ্য স্ট্রাগল ফর লাইফ'! বছরতেরো পরে অবশ্য বইটির নাম ছোট করে দেওয়া হয়-- 'দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস'।
সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাই ওই বই। সেই বইয়ের ভূমিকায় ডারউইন আর্মাডিলো, রিয়া নামের এক উড্ডীন-অক্ষম পাখি, কয়েকটি বিলুপ্ত প্রজাতির ঘোড়া এবং অধুনালুপ্ত স্লথের জীবাশ্মের কথা উল্লেখ করেন।
গ্যালাপোগোস দ্বীপের প্রাণী ও উদ্ভিদদের দেখেই তিনি বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে প্রথম চিন্তাভাবনা শুরু করেন। সেই চিন্তাভাবনা ক্রমে মহীরুহের আকার নেয়।
হঠাৎ ডারউইন কেন ভাবতে গেলেন এই সব? তাঁর প্রেরণা ছিলেন লামার্ক। তিনিই প্রথম বলেছিলেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মগ্রহণ করে প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মদাতার থেকে একটু আলাদা হয়ে যায় জীব। এবং এই ভাবে চলতে-চলতেই দীর্ঘ সময় পরে বড় ধরনের বদল, বা 'বিবর্তন' ঘটে। এই ভাবনাই ডারউইনকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল।
ডারউইন গুরুর চেয়ে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে গেলেন। দেখালেন, বিবর্তন শুধু পরিবর্তন নয়; এ হল পরিবর্তনের এমন এক ধারা যা অতীতকে সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে ভেসে চলে। এই পরিবর্তনের ভেসে চলার গতিপথ 'অতি সরল' থেকে 'সরল', 'সরল' থেকে 'জটিল' আবার 'জটিল' থেকে 'জটিলতর' কিংবা 'অনুন্নত' থেকে 'উন্নত', 'উন্নত' থেকে 'উন্নততরে'র দিকে।
এই জার্নিতে জীবকে পরিবেশের সঙ্গে লড়তে হয়, খাপ খাওয়াতে হয়। খাপ খাওয়ানোর এইসব কাজ করতে-করতে জীব নানা বৈচিত্র্য অর্জন করে এবং যোগ্যতমেরাই বেঁচে থাকে।
এর সঙ্গেই অন্বিত 'প্রাকৃতিক নির্বাচন'। এই পথেই নতুন এবং উন্নততর প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আরশোলা একই অবয়বে সুদীর্ঘকাল টিকে থাকল পৃথিবীতে।
আরশোলা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে বলেই এটা পারল।ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল; খাপ খাওয়াতে পারল না। অর্থাৎ, এখানে প্রাকৃতিক নির্বাচনই আসল খেলাটা খেলছে বলে মত ডারউইনের। Source Zee
Friday, July 30, 2021
বাংলাদেশে নাশকতা-পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক মাযহার খান-সুমি খান
<a href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=a35ce767' target='_blank'><img src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=782&amp;n=a35ce767' border='0' alt='' /></a>
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাশকতার সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দীর্ঘ অনুসন্ধান চালায় বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মাযহার খান জাল নোট (রুপি) তৈরি ও সংগ্রহ করে কতিপয় বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে ভারতে পাচার করেন। এতে তিনি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে আরও নিশ্চিত হন যে, মাযহার খানের সঙ্গে জলিল আখতার ও মো. মজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের লোকজনের যোগাযোগ রয়েছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বিশেষ করে লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, যশোর, বেনাপোল এলাকার বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন গত ১২ জানুয়ারি রাতে বনানীর মৈত্রী মার্কেট এলাকায় মজিবুর রহমান ও পাকিস্তান দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা মাযহার খানকে গোপন বৈঠকের সময় আটক করে। ওই সময় মাযহার তার সঙ্গে থাকা বেশ কিছু কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। ছিঁড়ে ফেলা কাগজ সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা কিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট নম্বর পান। ওই পাসপোর্টের সূত্র ধরে আরও অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে, পাসপোর্টধারীদের এমন তিন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের নাম বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুত করা হিযবুত তাহরীরের তালিকায় আছে। এরপরই গোয়েন্দারা মজিবুর ও মাযহারকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বনানী থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেদিনই রাত ১০টার দিকে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রথম সচিব সামিনা মাহতাব বনানী থানায় উপস্থিত হয়ে মাযহার খানকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান। অন্যদিকে, মজিবুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত আট থেকে ১০ বছরে ২২ বার পাকিস্তানে ১১ বার ভারত ও ২২ বার থাইল্যান্ডে যাওয়া মজিবুর রহমানের সঙ্গে মাযহার খানের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মাযহার খানের পূর্বসূরি সহকারী ভিসা কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে মজিবুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দতে জানান, মাযহার খান এক লাখ ৮০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি চালানোর জন্য তাকে দেন। একইভাবে মাযহার আরও ভারতীয় জাল রুপি জাহিদ, ইমরান ও আরও কয়েকজনকে দিয়ে বাজারে ছাড়িয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মাযহার খান পাকিস্তান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেন। এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করা হয়। মূলত বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যা এখনো ধারাবাহিকভাবে চলছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রের তথ্যমতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইমরানকে আশি লাখ জাল রুপিসহ আটক করা হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। ইমরানের পাসপোর্টের ভিসাও ছিল জাল। আগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে ইমরানেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের মন্তব্য অংশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান হাইকমিশনে ২ বছর দায়িত্ব পালনের বাইরে মোহাম্মদ মাযহার খান নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও জামায়াত-শিবিরের কর্মকাণ্ড, পৃষ্টপোষকতা, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মুদ্রাবাজার ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিশাল জাল রুপির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। এই নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য মুজিবুর রহমান জঙ্গিসংগঠনগুলোর জন্য অর্থ পাচার কাজে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এ জন্যই তিনি ঘন ঘন ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে আসা-যাওয়া করেছেন। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভিসা প্রদান না করায় জাল ভিসার সংখ্যা বাড়ছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অতি জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয় বলে জানা গেছে।
Saturday, July 17, 2021
ভাষাসৈনিক ,মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন খান স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
Sunday, April 18, 2021
আফগানিস্তানে তারাবির নামাজ পড়ার সময় মসজিদে গুলি চালিয়ে এক পরিবারের আট ব্যক্তিকে হত্যা
Thursday, February 4, 2021
তৃষাতুর ঘাতক-সুমি খান
না চিনিতেই ভালোবেসে কেনা দীর্ঘশ্বাস- সুমি খান
Friday, December 18, 2020
আমাদের সুপারম্যান বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য শত বছরের বীরযোদ্ধা বাঘা যতীনের আবক্ষ মূর্তি সারা দেশে হোক-সুমি খান
Sunday, November 22, 2020
মুজিবের পরিবারকে আশ্রয় দানে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতবিরোধিতা- খুশবন্ত সিংকে জিয়া
প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক, লেখক খুশবন্ত সিং ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
জিয়ার কাছে আমার শেষ প্রশ্ন ছিল তার দেশে ক্রমবর্ধমান ভারতবিরোধী মনোভাব সম্পর্কে।
অনেক দেয়ালের ওপর স্লোগান লেখা -‘ভারতীয় কুকুর, হঠে যাও’, ‘বাংলাদেশের ওপর থেকে হাত গুটিয়ে নাও’।
আমি জিয়ার কাছে জানতে চাই যে, তিনি তার দেশে ভারতীয় হস্তক্ষেপের কোনো দৃষ্টান্ত উল্লেখ করতে পারেন কিনা।
তিনি যা বললেন, তা হলো ভারত সরকার কর্তৃক বাঘা সিদ্দিকী ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান।
আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য দায়ী একজনকেও কেন গ্রেফতার করা বা শাস্তি প্রদান করা হয়নি?
আমার প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করলেন না; বরং অধৈর্যের মতো তার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। আমি জানতাম, সাক্ষাৎকারের সময় শেষ হয়েছে।
সেই সন্ধ্যায় আমিই ছিলাম জিয়ার শেষ দর্শনার্থী।
জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়ার বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য উল্লেখ করেছেন খুশবন্ত সিং।
তিনি যখন জানতে চান বঙ্গবন্ধুর কোনো ঘাতককে কেন গ্রেফতার করা বা শাস্তির বিধান করা হয়নি, তাঁর এ প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য না করে জিয়া অস্থিরভাবে হাতঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন বলে লিখেছেন খুশবন্ত সিং।
শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দু'জনের সঙ্গেই আমার অনেকবার সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার জানামতে শুধু বাঙালি মুসলিম হওয়া ছাড়া তাদের উভয়ের মধ্যে আর কোনো বিষয়ে মিল ছিল না।
মুজিবের উচ্চতা ছিল একজন বাঙালির গড় উচ্চতার চেয়ে বেশি, তাঁর ছিল শরীর মাংসল এবং পরনে থাকত ঢিলেঢালা পোশাক। জিয়া আকৃতিতে খাটো, তার শরীর হালকা-পাতলা হলেও গঠন চাবুকের মতো শক্ত। একবার তার দেহরক্ষী আমাকে বলেছিলেন, ‘তাঁর এক মুষ্টাঘাত কোনো মানুষকে বেহুঁশ করে ফেলতে পারে।’
মুজিব অত্যন্ত আন্তরিক, উষ্ণ-হৃদয়ের, বহির্মুখী এবং কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন; জিয়া সুদূরের, গম্ভীর এবং অল্প কথা বলেন।
মুজিবের দফতর মুঘল আমলের প্রাচ্যদেশীয় দরবারের মতো : কয়েক ডজন মানুষ কার্পেটের ওপর, সোফা ও চেয়ারের ওপর ছড়িয়ে বসে থাকে, দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাক্ষণ একটির পর একটি টেলিফোন বাজে; তিনি ফোনে কথা বলার পাশাপাশি উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে যিনিই তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন তার সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাঁর সামনে টেবিলে রাখা কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। পুরো বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ।
জিয়ার অফিস তার মতোই শীতল। ওয়েটিং রুমে তাঁর সচিব ও নিরাপত্তা কর্মীরা বিচক্ষণতার সঙ্গে আপনাকে মার্জিত কথাবার্তার মধ্যে ব্যস্ত রাখেন এবং তাদের সতর্ক দৃষ্টি খুঁজে ফিরে আপনার কাছে কোনো গোপন অস্ত্র আছে কিনা।
একসঙ্গে একজনের বেশি দর্শনার্থীকে তিনি স্বাগত জানান না এবং সময় মেনে চলেন স্টপওয়াচের মতো।
জিয়ার রুমে হুট করে অঘোষিতভাবে প্রবেশ করার সাহস কারও নেই।
কোনো টেলিফোনও বাজে না।
আপনার প্রশ্নগুলো বাতাসে জমে থাকবে;
জিয়াউর রহমানের নির্দিষ্ট-পরিমিত উত্তর আপনার জমাট প্রশ্নগুলোকে গলাতে পারবে না।
মুজিব আপনাকে আলিঙ্গন করবেন এবং দ্বিতীয় সাক্ষাতে আপনার তাঁর ‘পুরনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করবেন।
জিয়া তার শীতল হাতে আপনার সঙ্গে হাত মেলাবেন এবং চিনতে পারার স্বীকৃতি হিসেবে অস্পষ্ট, ম্লান হাসবেন।
মুজিব নিজের সম্পর্কে স্বয়ং তৃতীয় পুরুষে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন’, এবং আপনার কাছেও অনুরূপ সম্বোধন আশা করবেন।
জিয়া কখনো তার মুখ খোলেন না, অথবা তার সঙ্গে কাউকে খুব ঘনিষ্ঠ হতে দেন না।
তিনি সবসময় ‘মিস্টার’, ‘প্রেসিডেন্ট,’ ‘স্যার’ ছিলেন।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার দুই বছর পর তার সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়।
সামরিক একনায়কদের ব্যাপারে আমার আপত্তি ও নেতিবাচক মনোভাব ছিল এবং এমন একজনের প্রতি ভিন্ন ধরনের বিতৃষ্ণা ছিল, যিনি মুজিবের ঘাতকদের শাস্তি বিধান করার পরিবর্তে তাদের কূটনৈতিক দায়িত্বে ন্যস্ত করার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছিলেন।
তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে অতিবাহিত করা সপ্তাহে ঢাকার পরিবেশের যতটুকু দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, তাতে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি।
মাত্র কয়েক বছর আগেও যে এলোমেলো নগরীতে বিরাজ করছিল চরম বিশৃঙ্খলা, সেখানে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গড়ে ওঠা শপিং সেন্টার ও মার্কেটগুলো দেখে সমৃদ্ধির সুস্পষ্ট লক্ষণ বোঝা যায়।
দেশটিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঢাকার বাইরে পল্লীগুলোকে আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন এবং আমি আগে যেমন দেখেছি তার চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী মনে হয়েছে।
আমি জিয়াকে একথা বলার পর তাকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট মনে হয় এবং তিনি তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকারের সময় প্রলম্বিত করেন।
করিডোর দিয়ে আমার কয়েক গজ সামনে বিশালদেহী দু'জন দেহরক্ষীর অবস্থানের মাঝখান দিয়ে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন।
তখনই আমি লক্ষ্য করলাম যে আকৃতিতে তিনি কতটা খাটো ছিলেন- পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি। জিয়া হাই-হিল জুতা পরতেন।
(খুশবন্ত সিং এর ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য রিডিকুলাস’ থেকে)